এইচএসসি আমি কিংবদন্তির কথা বলছি কবিতার নোটটি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যার মাধ্যমে তুমি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে ।এই লেকচারে অন্তর্ভুক্ত আছে কবিতার ব্যাখ্যা, সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, কবিতার মূলভাব, জ্ঞানমূলক ও mcq pdf । তাই আর দেরি না করে আমাদের আমি কিংবদন্তির কথা বলছি কবিতার লেকচার শীটটি পড়ে ফেলুন ।।
Table of Contents
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
কবি পরিচিতি ও সাহিত্যকর্ম
জন্ম পরিচয়:
৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪ সাল। বহেরচর ক্ষুদ্রকাঠি গ্রাম, বাবুগঞ্জ, বরিশাল।পিতা: আবদুল জব্বার খান।
শিক্ষাজীবন:
ম্যাট্রিক (১৯৪৮), ময়মনসিংহ জিলা স্কুল। ইন্টারমিডিয়েট (১৯৫০), ঢাকা কলেজ।বি.এ অনার্স (১৯৫৩), এম.এ (১৯৫৪), ইংরেজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মজীবন/পেশা: লেকচারার ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ সচিবালয়। কৃষি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রদূত – ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র। মহাপরিচালক – FAO. এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল। চেয়ারম্যান – বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ। ফেলো- হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স এবং জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট ।
পুরস্কার:
একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৯)।
মৃত্যুবরণ:
১৯ মার্চ ২০০১ সালে।
কাব্যগ্রন্থ:
সাতনরী হার (১৯৫৫), কখনো রং কখনো সুর (১৯৭০), কমলের চোখ (১৯৭৪), আমি কিংবদন্তির কথা বলছি (১৯৮১), বৃষ্টি ও সাহসী পুরুষের জন্য প্রার্থনা, আমার সময়, সহিষ্ণু প্রতীক্ষা, খাঁচার ভিতর অচিন পাখি, নির্বাচিত কবিতা, মসৃণ কৃষ্ণগোলাপ ।
কবি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি
★ তিনি ইংরেজি সাহিত্যে বি.এ. (অনার্স) সহ এম.এ. পাস করে কিছুদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
★ আবু জাফর ওবায়দুল্লাদের কবিতার বিষয়ে বিশেষভাবে প্রাধান্য পেয়েছে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ।
★ আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর দুটি বিখ্যাত কবিতার নাম – ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ ও ‘কোন এক মাকে’।
★ আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর পুরো নাম আবু জাফর মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ খান ।
★ আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ ছিলেন মূলত – বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের মৌলিক কবি ।
★ তিনি কার আমলে মন্ত্রী ছিলেন স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের আমলে ।
★ তার জীবিত থাকা অবস্থায় সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ মসৃণ কৃষ্ণগোলাপ ।
★ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কাব্যগ্রন্থে কবিতা আছে – ৩৯টি ।
★ তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালে।
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতা সম্পর্কিত তথ্যাবলি
★ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কাব্যগ্রন্থের নাম কবিতা।
★ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটি গদ্যছন্দে রচিত।
★ কবি পূর্বপুরুষের কথা বলছেন।
# কবির পূর্বপুরুষের করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল ।
★ কবিব পূর্বপুরুষের পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল।
★ পলিমাটির সৌরভ দ্বারা বোঝায় উর্বর মৃত্তিকা।
★ কবির পূর্বপুরুষেরা অতিক্রান্ত পাহাড়ের কথা বলতেন ।
★ কবির পূর্বপুরুষেরা পতিত জমি আবাদের কথা বলতেন- তারা সংগ্রামী ছিলেন বলে।
★ জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ কবিতা ।
★ যে কবিতা শুনতে জানে না সে ঝড়ের আর্তনাদ শুনবে।
★ যে কবিতা শুনতে জানে না – সে দিগন্তের অধিকার হতে বঞ্চিত হবে।
আরো পড়ুন :
★ উজ্জ্বল জানালা উনোনের আগুনে আলোকিত।
★ কবির মা প্রবহমান নদীর কথা বলতেন।
★ যে কবিতা শুনতে জানে না সে নদীতে ভাসতে পারে না।
★ যে কবিতা শুনতে জানে না সে মাছের সাথে খেলা করতে পারে না।
★ কৰি গৰ্ভবতী বোনের মৃত্যুর কথা বলতেন।
★ ভালোবাসা দিলে মা মারা যায়।
★ যুদ্ধ আসে ভালোবেসে।
* মায়ের ছেলেরা ভালোবেসে যুদ্ধে যায়।
★ যে কবিতা শুনতে জানে না, সে হৃৎপিণ্ডে সূর্যকে ধারণ করতে পারে না ।
★ কবির পূর্বপুরুষ ক্রীতদাস ছিলেন।
★ শস্যের সম্ভার সমুদ্ধ করবে যে কর্ষণ করবে।
★ প্রবহমান নদী পুরস্কৃত করবে যে মৎস্য লালন করে।
★ জননীর আর্শীবাদ দীর্ঘায়ু করবে যে গাভীর পরিচর্যা করবে।
★ ইস্পাতের তরবারি সশস্ত্র করবে যে লৌহখণ্ডকে প্রজ্বলিত করে।
★ সুপুরুষ ভালোবাসার সুকন্ঠ সংগীত – কবিতা ।
★ সশস্ত্র সুন্দরের অনিবার্য অভ্যুত্থান – কবিতা ।
★ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় দীর্ঘদেহ – পুত্রগণ ।
★ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় ‘যে কবিতা শুনতে জানে না’ লাইনটি ৯ বার ব্যবহৃত হয়েছে।
★ ‘কিংবদন্তি’ অর্থ- জনশ্রুতি।
★ ‘শ্বাপদ’ অর্থ- হিংস্র মাংসাশী জন্তু।
★ ‘আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি’ লাইনটি ৩ বার ব্যবহৃত হয়েছে। নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
আমাদের লেকচার শীটটি ডাউনলোড করুন :