এইচএসসি জীবন ও বৃক্ষ গল্প

এইচএসসি জীবন ও বৃক্ষ গল্পের নোট ২০২৫ (PDF)

Advertisements

এইচএসসি জীবন ও বৃক্ষ গল্পের নোট: মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধটি ‘সংস্কৃতি কথা’ গ্রন্থ থেকে চয়ন করা হয়েছে। প্রবন্ধটিতে লেখক বৃক্ষের পরিপূর্ণ বিকাশের সাথে মানব জীবনের তুলনা করেছেন। শুধু বেঁচে থাকাই মানব জীবনের উদ্দেশ্য নয়। অন্যের প্রেমে ও সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেবার মাঝেই জীবনের যেমন পূর্ণতা আসে তেমনি বৃক্ষ ও ফল, ফুলে পরিপূর্ণ হয়ে তার জীবন সার্থক করে তুলে।


এইচএসসি জীবন ও বৃক্ষ গল্পের নোট

জীবন বৃক্ষ

মোতাহের হোসেন চৌধুরী

লেখক পরিচিতি ও এইচএসসি জীবন ও বৃক্ষ গল্পের নোট

জন্ম পরিচয়:

১৯০৩ খ্রিস্টাব্দ, নোয়াখালী কাঞ্চনপুর গ্রাম।

Advertisements

শিক্ষাজীবন:

মাধ্যমিক: ইউসুফ হাই স্কুল, কুমিল্লা। আই.এ. ভিক্টোরিয়া কলেজ, কুমিল্লা। বি.এ. ভিক্টোরিয়া কলেজ, কুমিল্লা । এম.এ. (বাংলা), ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

পেশা/কর্মজীবন:

সহকারী শিক্ষক: ইউসুফ হাই স্কুল, কুমিল্লা। প্রভাষক: ইসলামিয়া কলেজ, কলকাতা (১৯৪৬)। অধ্যাপক: বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ

মৃত্যবরণ:

১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দ ।

প্রবন্ধগ্রন্থ:

‘সভ্যতা'(ক্লাইভ বেলের ‘সিভিলাইজেশন’ গ্রন্থের অনুবাদ); ‘সুখ’ (বার্ট্রান্ড রাসেলের ‘কংকোয়েস্ট অব হ্যাপিনেস’ গ্রন্থের অনুবাদ)।

লেখক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি : মোতাহের হোসেন চৌধুরী

★ মোতাহের হোসেন চৌধুরী অনুসারী ছিলেন – বার্ট্রান্ড রাসেল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,ক্লাইভ বেল এদের জীবনাদর্শনের।

★ মুসলিম সাহিত্য সমাজের মুখপত্র ‘শিখা’ (১৯২৭) পত্রিকার পঞ্চম বর্ষে মোতাহের হোসেন চৌধুরীর প্রকাশিত গ্রন্থ – রবীন্দ্রনাথ ও বৈরাগ্যবিলাস।

★ মোতাহের হোসেন চৌধুরীর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় – সংস্কৃতি কথা (১৯৫৮), সভ্যতা(১৯৬৫), সুখ(১৯৬৮) এ তিনটি গ্রন্থ।

★ বাংলাদেশের প্রবন্ধ সাহিত্যে তার এক বিশিষ্ট সংযোজন – সংস্কৃতি কথা।

★ ‘Civilization’ গ্রন্থটি ক্লাইড বেলের লেখা।

★ মোতাহের হোসেন চৌধুরীর প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত সমস্ত রচনা ‘রচনাবলি’ আকারে প্রকাশ করে বাংলা একাডেমি।

★ মননশীল, চিন্তা-উদ্দীপক ও পরিশীলিত গদ্য রচনার ক্ষেত্রে বিশিষ্ট হয়ে আছেন মোতাহের হোসেন চৌধুরী।

★ মোতাহের হোসেন মারা যান চট্টগ্রাম কলেজে অধ্যাপনাকালে ।

★ তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন ঢাকার মুসলিম সাহিত্য সমাজের মুক্তবুদ্ধি চর্চা আন্দোলনের জন্য ।

‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি : এইচএসসি জীবন ও বৃক্ষ গল্প

★ সমাজের কাজ কেবল টিকে থাকার সুবিধা দেওয়া নয়। মানুষকে বড় করে তোলা সমাজের কাজ

★ জীবন ও বৃক্ষ গল্প প্রাবন্ধিক মানুষের বিকাশ সাধনের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।

★ স্বল্পপ্রাণ স্থূলবুদ্ধি ও জবরদপ্তিপ্রিয় মানুষে সংসার পরিপূর্ণ ।

★ অপরের সার্থকতার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করা জবরদপ্তিপ্রিয় মানুষের কাজ।

★ নিষ্ঠুর ও বিকৃতবুদ্ধি মানুষদের দেবতা – অহংকার।

★ ‘গায়ের জোরে কাজ হাসিলে তৎপর থাকে যে তাকে বলে- জবরদপ্তিপ্রিয়

★ স্বল্পপ্রাণ, স্থূলবুদ্ধি ও জবরদস্তিপ্রিয় মানুষের মানবপ্রেমেরর বাণী- আন্তরিকতাশূন্য ও উপলব্ধিহীন।

★ ‘স্থূলবুদ্ধি’ শবদের অর্থ- সূক্ষ্ম বিচারবুদ্ধিহীন।

আরো পড়ুন :

★ নিষ্ঠুর ও বিকৃতবুদ্ধি মানুষের স্থানে আনতে হবে – বড় মানুষ সূক্ষ্মবুদ্ধি উদারহৃদয় গভীরচিত্ত ব্যক্তিদের।

★ বড় মানুষদের কাছে জীবনাদর্শের প্রতীক- সজীব বৃক্ষ।

★ বৃক্ষের কাজ অপরের সেবার জন্য প্রস্তুত হওয়া।

★ বৃক্ষের জীবনের গতি ও বিকাশকে উপলব্ধি করা দরকার।

★ ফুল ফোটাকে রবীন্দ্রনাথ নদীর গতির সাথে তুলনা করেছেন।

★ নদীকে অনেক বাধা ডিঙানোর দুঃখ পেতে হয় ।

★ প্রাবন্ধিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বলেছেন- বৃক্ষপ্রেমী, তপোবন প্রেমিক।

★ কল্পনা ও অনুভূতির চক্ষুকে বড় করে তুললে বৃক্ষের বেদনা সহজে উপলব্ধি করা যায়।

★ গোপন ও নীরব সাধনা নদীতে অভিব্যক্ত নয়।

★ দোরের কাছে দাঁড়িয়ে বৃক্ষ নতি, শান্তি ও সেবার বাণী প্রচার করে।

★ সে তো প্রাপ্তি নয়, আত্মবিসর্জন। নদীর সম্পর্কে বলা হয়েছে।

★ বৃক্ষের পানে তাকিয়ে রবীন্দ্রনাথ – অন্তরের সৃষ্টিধর্ম উপলব্ধি করেছেন ।

★ নীরব ভাষায় বৃক্ষের সার্থকতার গান শুনতে হয় – অনুভূতির কান দিয়ে।

★ সুখ-দুঃখ-বেদনা উপলব্ধির ফলে অন্তরের যে পরিপক্বতা, তাই আত্মা।

★ বিজ্ঞানের অপর নাম বস্তুজিজ্ঞাসা।

★ ‘নতি’ অর্থ- অবনত ভাব। বিনয় নম্রতা।

★ ‘তপোবন’ অর্থ- অরণ্যে ঋষির আশ্রম।

* ‘গূঢ়’ অর্থ – প্রচ্ছন্ন গভীর তাৎপর্য ।

★ ‘আত্মিক’ অর্থ- মনোজাগতিক।


এইচএসসি জীবন ও বৃক্ষ গল্পের নোটটি ডাউনলোড করুন :

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top