মাসি-পিসি গল্প এর লেকচার শীটটি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা ও ইন্জিনিয়ারিং প্রস্তুতি নিতে পারবেন । তাই আর দেরি না করে আমাদের মাসি-পিসি গল্প নোটটি পড়ে ফেলুন ।
মাসি–পিসি
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
লেখক পরিচিতি ও এইচএসসি মাসি-পিসি গল্প
জন্ম পরিচয়:
১৯০৮ খ্রিস্টাব্দ বিহারের সাঁওতাল পরগনার দুমকা শহরে। পৈতৃক বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুর। পিতা: হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায়। মাতা: নীরদাসুন্দরী দেবী । পিতৃপ্রদত্ত নাম: প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাকনাম: মানিক।
লেখাপড়া:
বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে তিনি পড়াশোনা করেন।
সম্পাদক:
তিনি ‘নবারুণ’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
মৃত্যুবরণ:
কলকাতায় ১৯৫৬ সালে তেসরা ডিসেম্বর মাত্র ৪৮ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উপন্যাস:
জননী (১৯৩৫), পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬), স্বাধীনতার স্বাদ (১৯৫১), হলুদ নদী সবুজ বন (১৯৫৬), আরোগ্য (১৯৫৩), জীয়ন্ত, চতুষ্কোণ (১৯৪৮), অহিংসা (১৯৪১). হরফ(১৯৫৪),চিহ্ন (১৯৪৭), দিবারাত্রির কাব্য (১৯৩৫), শহরতলী, পুতুলনাচের ইতিকথা (১৯৩৬), ইতিকথার পরের কথা (১৯৫২), শহরবাসের ইতিকথা (১৯৪৬), সোনার চেয়ে দামী (১৯৫১)।
প্রবন্ধগ্রন্থ: লেখকের কথা।
ছোটগল্প:
অতসীমামী ও অন্যান্য গল্প (১৯৩৫), প্রাগৈতিহাসিক (১৯৩৭), মিহি ও মোটা কাহিনী (১৯৩৮), আজ কাল পরশুর গল্প (১৯৪৬), সরীসৃপ (১৯৩৯), ৰৌ (১৯৪৩), সমুদ্রের স্বাদ (১৯৪৩), ভেজাল (১৯৪৪), ছোট বড় (১৯৪৮), হলুদ পোড়া (১৯৪৫), ছোট বকুলপুরের যাত্রী (১৯৪৯), মাটির মাঞ্চল, উত্তরকালের গল্প সংগ্রহ। নাটক: ভিটেমাটি (১৯৪৬)।
লেখক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি
★ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস পদ্মানদীর মাঝি।
★ বিক্রমপুর অঞ্চলটি অবস্থিত – মুন্সিগঞ্জ জেলায়।
★ পদ্মানদীর মাঝি – আঞ্চলিক উপন্যাস ।
★ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় যে ধরনের লেখক হিসেবে পরিচিত- মার্কসবাদী।
★ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত গ্রন্থ – হলুদ নদী সবুজ বন।
★ লেখক তার ছোটগল্প ‘অতসীমামী’ রচনা করেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে বিএসসি পড়ার সময়।
★ প্রথম উপন্যাস পদ্মানদীর মাঝি।
★ ‘অতসীমামী’ প্রথম – বিচিত্রা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
* মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় নিরবচ্ছিন্নভাবে সাহিত্য সাধনা করেন ২৮ বছর ধরে।
★ মানিকের প্রথম গল্প অতসীমামী (মাত্র ২০ বছর বয়সে রচিত)।
★ তার সাহিত্যকর্মের সংখ্যা ৩৯টি উপন্যাস ও ৩০০টি ছোটগল্প।
★ লেখকের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য – বিজ্ঞানমনস্ক সমাজবাস্তবতার শিল্পী, মনোজগৎ তথা অন্তর্জগতের রূপকার।
‘মাসি-পিসি গল্প সম্পর্কিত তথ্যাবলি : এইচএসসি মাসি-পিসি গল্প
★ বয়সে সে ছিল অনেক ছোট, চেহারা ছিল অনেক বেশি রোগা। বুড়ো রহমানের মেয়ে।
★ মাসি বঁটি হাতে নিয়ে বেরিয়ে আসে।
★ মাসি-পিসি সর্বপ্রথম ‘ও বাবাঠাকুর’ নাম ধরে ডাক দেয়।
★ সোনাদের ঘরের মেয়েকে অন্য ঘরে পাঠানের জন্য আগুন দিয়েছিল।
★ আহ্লাদির বাবার আমলের গামলাটা আছে।
* কৈলাশ বয়সের দিক দিয়ে মধ্যবয়সী।
★ ওসমান কাঁঠাল গাছের ছায়ায় বসে আছে।
★ নারী হয়েও কঠোর জীবনযাত্রায় নেতৃত্ব দান করে এমন গল্প – মাসি-পিসি।
★ ‘খপরটা কী তাই কও।বেলা বেশি নেই কৈলাশ। উক্তিটি পিসির।
আরো পড়ুন :
★ মাসি-পিসি গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় কলকাতার ‘পূর্বাশা’ পত্রিকায় ১৩৫২ বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যায় (মার্চ-এপ্রিল ১৯৪৬)। পরে এটি সংকলিত হয় ‘পরিস্থিতি (অক্টোবর ১৯৪৬) নামক গল্পগ্রন্থে। বর্তমান পাঠ গ্রহণ করা হয়েছে ‘ঐতিহ্য’ প্রকাশিত মানিক রচনাবলি পঞ্চম খণ্ড থেকে।
★ শেষবেলায় খালের অবস্থা পুরো ভাটা (পানি পুরো নিচে নেমে যায়)।
★ কংক্রিটের পুলের কছ থেকে খালের ধারে লাগানো সালতি থেকে খড় তোলা হচ্ছিল।
★ মাসি-পিসি গল্পে উল্লেখকৃত পুলটি কংক্রিটের তৈরি।
★ তিনজনের মাথায় বহন করা খড় উপরের মন্তর গাদায় জমা হচ্ছিল।
★ সালতি শালকাঠ নির্মিত বা তালকাঠের সরু ডোঙাকে সালতি বলে।
★ সালতি থেকে মাথার উপরে ২জন খড় তুলে দিচ্ছিল।
★ কৈলাশের মাথার চুল ছিল – কদমছাঁটা রুক্ষ।
★ দু-মাথায় দাঁড়িয়ে দুজন প্রৌঢ়া বিধবা লগি ঠেলছে। এ দুজন – মাসি ও পিসি ।
★ প্রৌঢ়া বিধবা দুজনেরই কোমরে ময়লা মোটা থানের আঁচল বাঁধা ছিল।
* মাঝখানে গুটিসুটি হয়ে বসে আছে অল্পবয়সী একটি বৌ। এখানে বৌটি হলো আহ্লাদি ।
★ আঁটসাঁট থমথমে গড়ন, গোলগাল মুখ – আহ্লাদি ।
★ মাসি-পিসি গল্পে উল্লেখকৃত নৌকার মাঝখানে বসে আছে – আহ্লাদি ।
★ অল্পবয়সী বৌটির পরনে ছিল গায়ে জামা,নকশা পাড়ের সস্তা সাদা শাড়ি।
★ একজনের বয়স হয়েছে, আধাপাকা চুল, রোগা শরীর। এখানে বুড়ো রহমানের কথা বলা হয়েছে।
★ “উড়ে এসে জুড়ে বসা – একটি প্রবাদ।
★ গল্পের শেষে মাসি-পিসি যুদ্ধের আয়োজন করে রাখে।
★ কাঁঠাল গাছের ছায়ায় তিন-চারজন ঘুপটি মেরে বসে আছে।
★ আহ্লাদির স্বামীর নাম – জগু
★ সরকার বাবুর সাথে মাসি-পিসিকে বাজারে তোলা নিয়ে ঝগড়া করতে হয়েছে।
★ মাসি-পিসি উপোস করেছিল তরুপক্ষেরর একাদশীর।
★ ও মাসি ও পিসি রাখো রাখো। খপর আছে শুনে যাও। উক্তিটি কৈলাশের।
★ কানাইয়ের সাথে গোকুলের তিনজন পেয়াদা এসেছিল।
★ ছেলের মুখ দেখে পাষাণ নরম হয় ‘উক্তিটি পিসির।
★ পিসি কানাইয়ের সাথে কাছারিবাড়ি যেতে চায়।
* পিসি রামদার মতো কাটারি হাতে নিয়ে বেরিয়ে আসে।
★ তিনজন ব্যক্তির মাথায় চড়ে গিয়ে খড় জমা হচ্ছে মস্ত গাদায় ।
★ মাসি-পিসি ‘ছাগল’ বিক্রি করে জগুকে আপ্যায়ন করেছিল।
★ বজ্জাত হোক, খুনে হোক, জামাই তো’ এটি মাসির কথা।
★ বুড়ো রহমানের মেয়েটা শ্বশুরবাড়ি মারা গেছে।
★ কলেরা রোগে আহ্লাদির বাবা-মা-ভাই-বোন মারা যায়।
★ বাইরে থেকে হাক আসে- কানাই চৌকিদারের।
* মাসি-পিসিকে কানাই ‘দিদিঠাকরুন’ বলে সম্বোধন করে।
★ ‘তুইও যাবি, সোয়ামির ঘর করবি। ডরাসনি, ডর কিসের? উক্তিটি – পিসির।
★ ‘এত রাতে মেয়েনোককে কাছারিবাড়ি ডাকতে কত্তার নজ্জা করে না কানাই?’ উক্তিটি পিসির । ।
★ শকুনরা বিকালে এসে গাছে বসেছিল
★ জগু আহ্লাদিকে কলকেপোড়া ছ্যাঁকা দিয়েছিল।
★ ‘বেলা আর নেই কৈলেশ’ কথাটি বলে – মাসি।
★ আহ্লাদির বাবার বেশির ভাগ সম্পদ – গোকুলের দখলে গেছে।
★ মাসি-পিসি গল্পে উল্লেখকৃত চরিত্র কৈলাশ, রহমান, আহ্লাদি, মাসি-পিসি, জাগু গোকুল, সাধু, বৈদ্য, কানাই চৌকিদার, সরকারবাবু, দারোগাবাবু, ওসমান, ঘোষ মশায়, বংশী, জনাদ্দন, কানুর মা, বিপিন, পেয়াদা, কনস্টেবল।
মাসি-পিসি গল্প লেকচার শীটটি ডাউনলোড করুন :