এইচএসসি নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতার নোটটি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যার মাধ্যমে তুমি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে ।এই লেকচারে অন্তর্ভুক্ত আছে কবিতার ব্যাখ্যা, সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, কবিতার মূলভাব, জ্ঞানমূলক ও mcq pdf । তাই আর দেরি না করে আমাদের নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতার লেকচার শীটটি পড়ে ফেলুন ।।
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
সৈয়দ শামসুল হক
কবি পরিচিত ও সাহিত্যকর্ম
জন্ম পরিচয়:
২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৫ সালে, কুড়িগ্রাম। পিতা: সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন । শিক্ষাজীবন: ম্যাট্রিক (১৯৫০), ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল। ইন্টারমিডিয়েট (১৯৫২), জগন্নাথ কলেজ । স্নাতক (সম্মান), ইংরেজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
পেশা/কর্মজীবন:
সাংবাদিকতা ও লেখালেখি। প্রযোজক – বাংলা বিভাগ, বিবিসি। চিত্রনাট্য রচয়িতা ও গীতিকার হিসেবে পরিচিত।
পুরস্কার ও সম্মাননা:
বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আদমজি সাহিত্য পুরস্কার, অলক্ত স্বর্ণপদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক, টেনাশিনাস পদক।
মৃত্যুবরণ:
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে, ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতাল।
উপন্যাস:
দেওয়ালের দেশ (১৯৫৬), এক মহিলার ছবি (১৯৫৯), অনুপম দিন (১৯৬২), সীমানা ছাড়িয়ে (১৯৬৪), খেলারাম খেলে যা (১৯৭৯), নীল দংশন (১৯৮১), স্মৃতিমেধ (১৯৮৬), মৃগয়ায় কালক্ষেপ (১৯৮৬), স্তব্ধতার অনুবাদ (১৯৮৭), এক যুবকের ছায়াপথ (১৯৮৭), স্বপ্ন সংক্রান্ত (১৯৭৯), বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ (১৯৮৯), বারো দিনের শিশু (১৯৮৯), বনবালা কিছু টাকা ধার নিয়েছিল (১৯৮৯), ত্রাহি (১৯৮৯), তুমি সেই তরবারী (১৯৮৯), কয়েকটি মানুষের সোনালী
যৌবন (১৯৮৯), নির্বাসিতা (১৯৯০), নিষিদ্ধ লোবান (১৯৯০), মেঘ ও মেশিন (১৯৯১), ইহা মানুষ (১৯৯১), মহাশূন্যে পরাণ মাস্টার, দ্বিতীয় দিনের কাহিনি, বালিকার চন্দ্রযান, আয়না বিবির পালা, কালঘর্ম, দূরত্ব, না যেয়ো না, অন্য এক আলিঙ্গন, এক মুঠো জন্মভূমি, বুকঝিম ভালোবাসা, অচেনা, আলোর জন্য, রাজার সুন্দরী প্রভৃতি।
ছোটগল্প:
তাস (১৯৫৪), শীত বিকেল (১৯৫৯), রক্ত গোলাপ (১৯৬৪), আনন্দের মৃত্যু (১৯৬৭), প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান, জলেশ্বরীর গল্পগুলো (১৯৯০)। কাব্যগ্রন্থ: একদা এক রাজ্য (১৯৬১), বিরতিহীন উৎসব (১৯৬৯), বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা (১৯৭০), প্রতিধ্বনিগণ (১৯৭৩), অপর পুরুষ (১৯৭৮), পরানের গহীন ভিতর (১৯৮০), নিজস্ব বিষয় (১৯৮২), রজ্জুপথে চলেছি (১৯৮৮), বেজান শহরের জন্য কোরাস (১৯৮৯), এক আশ্চর্য সংগমের স্মৃতি (১৯৮৯), অগ্নি ও জলের কবিতা (১৯৮৯), কাননে কাননে তোমরাই সন্ধানে (১৯৯০), আমি জন্ম গ্রহণ করিনি (১৯৯০), তোরাপের ভাই (১৯৯০), নাভিমূলে ভস্মাধার, ধ্বংসস্তূপে কবি ও নগর, রাজনৈতিক কবিতা প্রভৃতি।
কাব্যনাটক:
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় (১৯৭৬), গণনায়ক (১৯৭৬), নূরলদীনের সারাজীবন (১৯৮২), এখানে এখন (১৯৮৮), ঈর্ষা, বাংলার মাটি বাংলার জল, নারীগণ প্রভৃতি।
প্রবন্ধ:
হৃৎকলমের টানে (১৯৯১)। আত্মজীবনী: প্রনীত জীবন ।
অনুবাদ:
ম্যাকবেথ, টেম্পেস্ট, শ্রাবণ রাজা (১৯৬৯)।
শিশুসাহিত্য:
সীমান্তের সিংহাসন (১৯৮৮), আনু রড় হয়, হডসনের বন্দুক প্রভৃতি।
কবি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি
★ সৈয়দ শামসুল হক তার বাবা-মার কততম সন্তান বাবা-মায়ের আট সন্তানের জ্যেষ্ঠতম সন্তান ।
★ সৈয়দ শামসুল হকের বাবা পেশায় ছিলেন – হোমিওপ্যাথিৰ ডাক্তার।
★ সৈয়দ শামসুল হকের স্ত্রীর নাম প্রথিতযশা লেখিকা ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হক।
★ সৈয়দ শামসুল হক রচিক প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস দেওয়ালের দেশ।
★ একাধারে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, নাটক, কাব্যনাট্য ও শিশু সাহিত্যের লেখক হওয়ায় তিনি – সব্যসাচী লেখক হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন।
★ সৈয়দ শামসুল হক রচিত প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ একদা এক রাজ্যে।
★ সৈয়দ শামসুল হকের সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থেরর নাম – উৎকট তন্দ্রার নিচে ।
★ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে রচিত সৈয়দ শামসুল হকের কবিতার নাম আহা, আজ কী আনন্দ অপার!
★ সাহিত্যের গঠনশৈলীর ক্ষেত্রে সৈয়দ শামসুল হক ছিলেন – নিরীক্ষাপ্রিয়।
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতা সম্পর্কিত তথ্যাবলি
★ ‘নূরলদীনের কথা মরে পড়ে যায় ‘ কবিতাটি সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত কাব্যনাটক ‘নূরলদীনের সারাজীবন’ শীর্ষক কাব্যনাটক থেকে সংকলন করা হয়েছে ।
★ ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় ‘ কবিতাটি গদ্যছন্দে রচিত।
★ নিলক্ষা আকাশ নীল ।
★ পূর্ণিমার চাঁদ ধবল দুধের মতো জ্যোৎস্না ঢালছে।
★ স্তব্ধতার দেহ ছিঁড়ে ধ্বনির শব্দ শোনা যায়।
★ অতীত মানুষের বন্ধ দরজায় হানা দেয়।
★ নূরলদীন মরা আঙিনায় দেখা দেয়।
* নূরলদীনের বাড়ি রংপুর
★ নূরলদীন সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন – ১১৮৯ বঙ্গাব্দে /১৭৮২ খ্রিস্টাব্দ।
আরো পড়ুন :
★ নির্ঝরের পতনের স্থানকে প্রপাত বলে ।
★ ‘নিলক্ষা’ অর্থ – দৃষ্টিসীমা অতিক্রমী।
★ ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় ‘ কবিতাটিতে ‘দালাল’ বলতে বোঝায় – রাজাকার, আলবদর, আলশামস ।
★ অভাগা মানুষ পাহাড়ি ঢলের মতো ভাসিয়ে দিবে সকল অন্যায়।
★ আকাশের নিচে উনসত্তর হাজার লোকালয় আছে।
★ ‘বাহে’ কোন এলাকার সম্বোধন বিশেষণ দিনাজপুর ও রংপুর।
★ ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় ‘ লাইনটি ৫ বার ব্যবহৃত হয়েছে।
★ ‘জাগো, বাহে, কোনঠে সবায়’ উক্তিটি – নূরলদীনের।
★ নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়। কবিতার লাইন সংখ্যা- ৪১টি।
এইচএসসি নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতার লেকচার শীটটি ডাউনলোড করুন :