বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড করুন। কাজী নজরুল ইসলাম রচিত “বিদ্রোহী” কবিতাটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’ (১৯২২) থেকে সংকলিত হয়েছে। অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় কবিতা “বিদ্রোহী”।
“বিদ্রোহী” বাংলা সাহিত্যের একটি শ্রেষ্ঠ কবিতা। রবীন্দ্রযুগে এ কবিতার মধ্য দিয়ে এক প্রাতিস্বিক কবিকণ্ঠের আত্মপ্রকাশ ঘটে- যা বাংলা কবিতার ইতিহাসে এক বিরল স্মরণীয় ঘটনা।
“বিদ্রোহী” কবিতায় আত্মজাগরণে উন্মুখ কবির সদম্ভ আত্মপ্রকাশ ঘোষিত হয়েছে। কবিতায় সগর্বে কবি নিজের বিদ্রোহী কবিসত্তার প্রকাশ ঘটিয়ে ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষের শাসকদের শাসন ক্ষমতার ভিত কাঁপিয়ে দেন। এ কবিতায় সংযুক্ত রয়েছে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে কবির ক্ষোভ ও বিদ্রোহ। কবি সকল অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে গিয়ে বিভিন্ন ধর্ম, ঐতিহ্য, ইতিহাস ও পুরাণের শক্তি উৎস থেকে উপকরণ উপাদান সমীকৃত করে নিজের বিদ্রোহী সত্তার অবয়ব রচনা করেন। কবিতার শেষে ধ্বনিত হয় অত্যাচারীর অত্যাচারের অবসান কাম্য। বিদ্রোহী কবি উৎকণ্ঠ ঘোষণায় জানিয়ে দেন যে, উৎপীড়িত জনতার ক্রন্দনরোল যতদিন পর্যন্ত প্রশমিত না হবে ততদিন এই বিদ্রোহী কবিসত্তা শান্ত হবে না। এই চির বিদ্রোহী অভ্রভেদী চির উন্নত শিররূপে বিরাজ করবে।
বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫ PDF
১। ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রথম শহিদ বিপ্লবী নারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। ১৯৩০ সালে সমগ্র বাংলা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিপ্লবী হয়ে ওঠে। প্রীতিলতাও বিপ্লবে উদ্বুদ্ধ হন। প্রথম নারী সদস্য হিসেবে যোগ দেন সূর্য সেনের নেতৃত্বাধীন বিপ্লবী দলের সঙ্গে। এরপর টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ অফিস ধ্বংস এবং রিজার্ভ পুলিশ লাইনস দখল অভিযানে যুক্ত ছিলেন। তিনি অংশগ্রহণ করেন জালালাবাদ যুদ্ধেও। ১৯৩২ সালে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণে প্রীতিলতার ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ‘কুকুর ও ভারতীয়দের প্রবেশ ‘নিধিণ্য’ এরূপ অবমাননামূলক কথার জন্য ক্লাবটি নিয়ে ক্ষুদ্ধ ছিল ভারতীয়রা। প্রীতিলতার নেতৃত্বে বিপ্লবীরা ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করে। ওই সময়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হলে তাৎক্ষণিকভাবে পটাশিয়ায় সায়ানাইড খেয়ে আত্মাহুতি দেন। তাঁর আত্মদান বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামে আরও উজ্জীবিত করে তোলে।
ক. ‘পিনাক-পাণি’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
খ. কবি নিজেকে ‘অর্ফিয়াসের বাঁশরী’ বলেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের কোন দিকটি ‘বিদ্রোধী’ কবিতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকটিতে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছে কি? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করো।
সমাধান:
ক। উঃ ‘পিনাক-পাণি’ বলতে শিব বা মহাদেবকে বোঝানো হয়েছে।
খ। উঃ বাঙালি জাতিকে বিদ্রোহের অগ্নিমন্ত্রে উজ্জীবিত করতে কবি গ্রিক পুরাণে উল্লিখিত মহান শিল্পী অর্ফিয়াসের বাঁশির সাথে নিজের তুলনা করেছেন। অর্ফিয়াস গ্রিক পুরাণের একজন মহান কবি ও শিল্পী। তিনি যন্ত্রসংগীতে সকলকে মুগ্ধ করে রাখতেন। শুধু তা-ই নয়, সুরের ইন্দ্রজাল সৃষ্টি করে তিনি ইউরিডিসের মন জয় করেছিলেন। কবির প্রত্যাশা, অর্ফিয়াসের বাঁশির সুরের মতো তাঁর বিদ্রোহের সুরও মানুষের মাঝে ছড়িয়ে যাবে। সে সুরে বিদ্রোহের অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত হবে দেশবাসী। এমন ভাবনা থেকে কবি নিজেকে ‘অর্ফিয়াসের বাঁশরী’ বলে অভিহিত করেছেন।
গ। উঃ উদ্দীপকের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের দিকটি ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘বিদ্রোহী’ কবিতায় জ্বালাময়ী বর্ণনার মধ্য দিয়ে কবি তাঁর বিদ্রোহের স্বরূপ উন্মোচনে প্রয়াসী হয়েছেন। পরাধীন ভারতবর্ষে ব্রিটিশ বেনিয়া শোষকগোষ্ঠী এবং তাদের এদেশীয় দোসরদের শোষণ-নির্যাতনে সামাজিক বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করে। তাদের অবিচারে নাভিশ্বাস ওঠে জনজীবনে। সংগত এই অচলায়তনের নিরাশা অবতীর্ণ হন কবি। দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেন জয়ী না হওয়া পর্যন্ত তাঁর সংগ্রাম চলবেই। উদ্দীপকে ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুঙ্গে ধরা হয়েছে। এই আন্দোলনে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের অবদান ছিল চিরস্মরণীয়। তিনি প্রথম মহিলা সদস্য হিসেবে মাস্টার দা সূর্য সেনের নেতৃত্বে ব্রিটিশবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এবং জীবনদান করেন। ‘বিদ্রোহী’ কবিতাতেও কবি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী চেতনা প্রকাশ করেছেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের ব্রিটিশ বিরোধী চেতনার বিষয়টি ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ। উঃ উদ্দীপকটিতে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছে বলে আমি মনে করি।
‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি তাঁর বিদ্রোহী সত্তার স্বরূপ প্রকাশ করেছেন উপনিবেশিক ভারতবর্ষে কবির জন্ম। সংগত কারণেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির করালগ্রাসে ভারতবাসীর চরম দুরবস্থা তিনি প্রত্যক্ষ করেছিলেন। চারদিকে অন্যায়-অত্যাচার, যেন এক অদৃশ্য শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে গোটা জাতি গুমরে মরছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিরাজমান বৈষম্য ও অচলায়তনকে ঘোচাতেই বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন কবি।
উদ্দীপকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহিদ নারী বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের সংগ্রামী জীবন ও আত্মদানের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। তিনি নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদান করেন এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ধরা পড়লে পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ব্রিটিশ বিদ্রোহী আন্দোলনে এক উজ্জীবিত প্রাণশক্তির নাম। তাঁর জীবন ও আদর্শ এই আন্দোলনকে গতিশীল করেছে।
অন্যদিকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতাতে কবি এই একই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে বিদ্রোহের ঘোষণা দিয়েছে। দেশের প্রতিটি মানুষের মধ্যেই তিনি প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের বিদ্রোহী সক্রিয় সত্তাকে আকাঙ্ক্ষা করেছেন। তাঁর বিশ্বাস, দ্রোহই একদিন পরাধীন জাতিকে পৌঁছে দেবে মুক্তির সীমানায়। কবি দ্রোহের সঙ্গে সঙ্গে মানবপ্রেমকেও চেতনায় ধারণ করেছিলেন। আর এই প্রেম ও দ্রোহের মৌলিক প্রেরণা ছিল সর্বাঙ্গীণ মুক্তি। যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জীবনাদর্শের মূল লক্ষ্য ছিল। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটিতে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মূলভাবের প্রতিফলন ঘটেছে।
২। মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম
মোরা ঝরনার মতো চঞ্চল
মোরা বিধাতার মতো নিৰ্ভয়
মোরা প্রকৃতির মতো সচ্ছল
মোরা আকাশের মতো বাধাহীন
মোরা মরুসারী বেদুইন ।
ক. ‘খড়গ’ কী কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র?
খ. ‘আমি মানি নাকো কোনো আইন’ – কেন তিনি আইন মানেন না?
গ. উদ্দীপকের ‘মোরা বিধাতার মতো নির্ভয়’ লাইনের সঙ্গে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মিল দেখাও।
ঘ. “উদ্দীপকের ‘মোরা আকাশের মতো বাধাহীন’— যেন ‘বিদ্রোহী’ কবিতার বিদ্রোহী সত্তার স্মারক।” — উক্তিটির বিচার করো।
সমাধান:
ক। উঃ ‘খড়গ’ বলিদানে ব্যবহৃত হয়।
খ। উঃ পরাধীন ভারতবর্ষে ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর প্রণীত আইন এ দেশের মানুষকে শৃঙ্খলিত করে রেখেছিল বলেই কবি এই নিপীড়নমূলক আইন মানতে চাননি।
সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের জন্যই আইন প্রণয়ন করা হয়। তা সত্ত্বেও যুগে যুগে আইনের দোহাই দিয়ে অপশক্তির প্রতিভূরা সমাজে অন্যায়-অত্যাচারের স্টিমরোলার চালায়। অত্যাচারিত ও নিপীড়িত মানুষ এর প্রতিকার চাইলেই আইনের দোহাই দিয়ে তাদের শৃঙ্খলিত করা হয়। এসব দেখেই কবি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তথাকথিত ক্ষমতাধর গোষ্ঠীর স্বীয় স্বার্থে তৈরি আইন তিনি ভঙ্গ করবেন। আর তাই কবি বলেছেন যে, তিনি কোনো আইন মানেন না।
গ। উঃ বিদ্রোহী’ কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে এক নির্ভীক চিত্তের জাগ্রত শক্তির মানুষের কথা যে বাধা-বিঘ্ন, আইন, নিয়মের নিয়ন্ত্রণে আবদ্ধ না হয়ে মানুষের দুঃখ দূর করতে চায়, যার সাথে উদ্দীপকের ‘মোরা বিধাতার মতো নির্ভয়’ কথাটির মিল আছে।
‘বিদ্রোহী’ কবিতায় আত্মশক্তিতে বলীয়ান এক সত্তার আত্মপ্রকাশ ঘটতে দেখা যায়। অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে গিয়ে কবি কখনো নিজেকে তুলনা করেছেন টর্পেডোর সাথে, কখনো বেদুইন ও চেঙ্গিসের সাথে। কবি বিদ্রোহের কথা বলেছেন, কেননা বিদ্রোহীর মনে কোনো ভয়ভীতি থাকে না, তারা সত্যের শক্তিতে আলোকিত থাকে। শুধু অত্যাচারীর নিপীড়ন শেষ হলেই তার বিদ্রোহ ক্ষান্ত হয়।
উদ্দীপকের কবিতাংশে নিজেদের বিধাতার মতো নির্ভয় বলা হয়েছে। বিধাতা যেমন সৃষ্টি করেন তেমন ধ্বংসও করেন। তার নিজের ওপর রয়েছে তাঁর পূর্ণ কর্তৃত্ব। ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কবিও বলেছেন ‘চির উন্নত মম শির’। একই সাথে বিদ্রোহী কবিতায় বলা হয়েছে, ‘আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস’, যা উদ্দীপকের উল্লিখিত লাইন, ‘মোরা বিধাতার মতো নির্ভয়’ এর সুরই বহন করে।
ঘ। উঃ উদ্দীপকের ‘মোরা আকাশের মতো বাধাহীন’ চরণে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কবির বিদ্রোহী সত্তার প্রকাশ ঘটেছে।
‘বিদ্রোহী’ কবিতায় বিদ্রোহের স্বরূপ ফুটে উঠেছে। কবি নিজেকে ছাড়া ‘আর কারো কাছে মাথা নত করেন না, তাঁর কাছে হিমালয়ের মতো পর্বতও মাথা নত করে। বিদ্রোহী সত্তার আবেগ প্রকাশে কবি নিজেকে ঝড়, সৃষ্টি, ধ্বংসের সাথে তুলনা করেছেন। নিজেকে বলেছেন দাবানল দাহ, যা পুরো পৃথিবীকে জ্বালিয়ে দিতে পারে। মূলত পৃথিবীতে বিরাজমান-অন্যায় অত্যাচার দেখেই কবির বিদ্রোহী সত্তা জেগে উঠেছে, তাই অন্যায়-অত্যাচারের অবসানেই সেই সত্তা শান্ত হবে।
উদ্দীপকের ‘মোরা আকাশের মতো বাধাহীন’ অংশে তারুণ্যের শক্তির জয়কে নির্দেশ করা হয়েছে। তরুণেরা কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে চাইলে ঝড়ের মতো দুর্বার গতিতে এগিয়ে যায়। সামনে থাকা বাধা-বিপত্তিকে ভেঙেচুরে নতুন কিছু গড়ে নেয়। আকাশও তেমন বাধাহীন এক সন্ত্রা আকাশের মতোই তরুণেরা উদার ও বাধাহীন।
বিদ্রোধী’ কবিতায় প্রকৃতির অনেক বাধাহীন সত্তার সাথে কবি নিজেকে তুলনা করেছেন। তিনি নিজেকে নিয়ম, শৃঙ্খল ও কখন দলে যাওয় একজন মানুষ বলেছেন। দাবানল যেখানে বাধাহীনভাবে সব পুড়িয়ে দেয় নিজেকে তিনি সেই বাধাহীন সত্তায় খুঁজে পেয়েছেন। একই সাথে সুর দিয়ে ভালোবাসার মানুষকে জয় করা অর্ফিয়াসের বাঁশরীর সাথেও নিজের মিল পেয়েছেন তিনি। আকাশের মতো অসীম বাধাহীন সভার কাছে কোনে বাধাই যেমন টিকতে পারে না, তেয়নি ‘বিদ্রোহী’ সত্তার সামনেও সব বাধ তুচ্ছ হয়ে যায়। তাই ‘উদ্দীপকের “মোরা আকাশের মতো বাধাহীন’ যেন বিদ্রোহী কবিতার বিদ্রোহী সভার স্মারক।” মন্তব্যটি যথার্থ।
আরো পড়ুন:
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র তাহারেই পড়ে মনে সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র আঠারো বছর বয়স সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
৩। অনেক দাম দিয়ে কিনেছি এই বাংলা, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে লাখো শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই বাংলা আজ আমাদের। বাংলার ‘আকাশ থেকে হানাদারের কালো ছায়া সরিয়ে আমরা নিয়েছিলাম নির্ভরতার চাবি। বুকের কাছে যে কেউটে সাপের ঝাঁপি আগলে রাখতে হয়েছিল আমাদের তা নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলাম অনায়াসে।
ক. ‘কানুন’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি ‘অর্ফিয়াসের বাঁশরি’ বলতে কী বুঝিয়েছেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকটি ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কোন দিকটি নির্দেশ করছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “চেতনাগত মিল থাকলেও উদ্দীপকের মূলভাব ও কবিতার মূলভাব পুরোপুরি এক নয়।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
৪। আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।
যে মোরে করিল পথের বিরাগী-
পথে পথে আমি ফিরি তার লাগি,
দীঘল রজনী তার তরে জাগি, ঘুম যে হরেছে মোর;
আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর।
ক. ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কবিকে রুষে উঠতে দেখে কী বয়ে কাঁপতে কাঁপতে নিভে যায়?
খ. কবি নিজেকে বেদুঈন বলেছেন কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের কবির বক্তব্য বিষয়ের সাথে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার বৈসাদৃশ্যের দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের কবিতাংশে প্রতিফলিত চেতনা ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মর্মকথারই প্রতিরূপ।”- বিশ্লেষণ কর।
৫। আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি পুনঃমহাবিপ্লব হেতু
এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু।
সাত সাতশ নরকজ্বালা জ্বলে মম ললাটে।
মম ধূম কুণ্ডলী করেছে শিবের ত্রিনয়ন ঘন ঘোলাটে।
আমি স্রষ্টার বুকে সৃষ্টি পাপের অনুতাপ-তাপ হাহাকার
আর মর্ত্যে সাহারা-গোবি ছাপ
আমি অশিব তিক্ত অভিশাপ।
ক. অর্ফিয়াসের ভালোবাসার পাত্রীর নাম কী ছিল?
খ. ‘কবি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল’ কেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সাদৃশ্য তুলে ধর।
ঘ. “উদ্দীপকের মতো ‘বিদ্রোহী’ কবিতায়ও দ্রোহের স্বাক্ষর নিহিত।” কথাটির মূল্যায়ন কর।
৬। “ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর?- প্রলয় নূতন সৃজন-বেদন। আসছে নবীন জীবন-হারা অসুন্দরে করতে ছেদন!
তাই সে এমন কেশে বেশে
প্রলয় বয়েও আসছে হেসে- মধুর হেসে!
ভেঙে আবার গড়তে জানে সে চির-সুন্দর!
তোরা সব ‘জয়ধ্বনি কর।’
ক. নজরুল কত সালে ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত হন?
খ. “মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণ-তূর্য;” পরিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সাদৃশ্য নির্ণয় করো।
ঘ. উদ্দীপকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সমগ্র দিক ফুটে উঠেছে কি?— তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও ।
৭। মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম
মোরা ঝরনার মতো চঞ্চল
মোরা বিধাতার মতো নির্ভয়
মোরা প্রকৃতির মতো সচ্ছল
মোরা আকাশের মতো বাধাহীন
মোরা মরু সঞ্চার বেদুইন।
ক. ‘ইস্রাফিলের শিঙ্গা’ কী?
খ. বল উন্নত মম শির’- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকটি ‘বিদ্রোহী’ কবিতার যে দিককে ফুটিয়ে তুলেছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের ‘মোরা’ এবং ‘বিদ্রোহী কবিতার ‘আমি’র প্রতিবাদের ক্ষেত্র ছিল ঔপনিবেশিক শাসন।” মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিচার করো।
৮। তারুণ্য দেখিয়াছি আরবের বেদুঈনদের মাঝে। তারুণ্য দেখিয়াছি মহাসমরের সৈনিকের মুখে, কালাপাহাড়ের অসিতে কামাল-করিম-মুসোলিনি-সানাইয়াৎ-লেলিনের শক্তিতে। যৌবন দেখিয়াছি তাহাদের মাঝে-যাহারা বৈমানিকরূপে অনন্ত আকাশের সীমা খুঁজিতে গিয়া প্রাণ হারায়, আবিষ্কারকরূপে নব পৃথিবীর সন্ধানে গিয়া আর ফিরে না। বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. নটরাজ কী?
খ. “মম একহাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণ তুর্য”-ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের আলোকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সাদৃশ্য বর্ণনা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের চেতনা এবং ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মর্মকথা প্রায় একই” বিশ্লেষণ কর।
৯। “দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না
যে যা করে দেখি ভাই, সুবিধাটা নিয়ে যাই
ধুম করে প্রকাশ্যে আসি না …
রাজনীতি, দলাদলি কিংবা সে কোলাকুলি
যে যা খুশি হয়ে যাক, দুনিয়া চুলোয় যাক
আমি টু শব্দটি করি না
দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না।”
ক. ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?
খ. ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণ-তূর্য’- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার ভাবগত বৈসাদৃশ্য চিহ্নিত করো।
ঘ. পৃথিবীর সকল অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে ‘বিদ্রোহী’ কবিতা ও উদ্দীপকের মধ্যে কোন ‘আমি’কে গ্রহণ করা উচিত? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও।
১০। যতোই চাও না কেন আমার কণ্ঠ তুমি থামাতে পারবে না, যতোই করবে রুদ্ধ ততোই দেখবে আমি ধ্বনি প্রতিধ্বনিময়। আমার কণ্ঠকে কেউ কোনো দিন থামাতে পারেনি যেমন পারেনি কেউ কোনোকালে ঠেকাতে অরুণোদয়, চাও বা না চাও নৈঃশব্দেও যদি কান পাতো শুনবে আমারই কণ্ঠস্বর।
ক. ‘পাশরি’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘আমি সেই দিন হব শান্ত’- ব্যাখ্যা করো।
গ. ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সঙ্গে উদ্দীপকের সাদৃশ্য আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মূলভাব একসূত্রে গাঁথা।”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ করো।
এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড করুন।