মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম

এইচএসসি মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম ও রাসায়নিক বন্ধন নোট ২০২৫ | সৃজনশীল প্রশ্ন pdf | HSC Chemistry chapter 3 note

Advertisements

মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম ও রাসায়নিক বন্ধন এই লেকচার শীটটি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি , মেডিকেল প্রস্তুতি ও ইন্জিনিয়ারিং প্রস্তুতি নিতে পারবেন । এই লেকচার শীটটি পড়লে আর কোথাও কোচিং করতে হবে না ।।

মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম

মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বলতে মৌলগুলির পরমাণু সংখ্যা বা পরমাণু ভর অনুযায়ী তাদের গুণগত এবং রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তনকে বোঝায়। এই ধর্মের ভিত্তি হচ্ছে পরমাণুর ইলেকট্রন কনফিগারেশন। মৌলগুলো যখন তাদের পর্যায় বা গ্রুপ পরিবর্তন করে, তখন তাদের রাসায়নিক ধর্মও পরিবর্তিত হয়।

কিছু মূল বিষয়:

  • পর্যায়বৃত্ত পদ্ধতি: মৌলগুলির গুণগত ধর্ম তাদের পরমাণু সংখ্যা বা পারমাণবিক ভরের পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, আর্গন (Ar) এবং ক্লোরিন (Cl) বিভিন্ন পর্যায়ে হলেও তাদের রাসায়নিক ধর্ম বিভিন্ন।
  • পিরিয়ডিক ল স্কুল: মৌলগুলির রাসায়নিক ধর্ম পর্যায়বৃত্ত পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে বিন্যস্ত। উদাহরণস্বরূপ, গ্রুপ ১ এর মৌলগুলি, যেমন সোডিয়াম (Na) এবং পটাসিয়াম (K), একে অপরের সাথে রাসায়নিকভাবে সদৃশ।
  • পিরিয়ডিক টেবিলের বৈশিষ্ট্য: পর্যায়বৃত্ত পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে, মৌলগুলি গ্রুপ এবং পিরিয়ড অনুযায়ী শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। গ্রুপের মৌলগুলির রাসায়নিক ধর্ম প্রায় একই রকম থাকে, যেমন হ্যালোজেন গ্রুপের মৌলগুলির রিঅ্যাকটিভিটি।

রাসায়নিক বন্ধন

রাসায়নিক বন্ধন হল পরমাণুর মধ্যে শক্তি যুক্ত করা বা মুক্ত করা, যা তাদের স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজন। এই বন্ধন তিনটি প্রধান প্রকারে বিভক্ত:

Advertisements
  • আয়োনিক বন্ধন: এটি তখন ঘটে যখন একটি মৌল ইলেকট্রন হারিয়ে বা গ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ, সোডিয়াম (Na) এবং ক্লোরিন (Cl) এর মধ্যে আয়োনিক বন্ধন গঠন করে সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)।
  • কোভ্যালেন্ট বন্ধন: এটি তখন ঘটে যখন দুইটি মৌল তাদের ইলেকট্রন শেয়ার করে। যেমন, অক্সিজেন (O) এবং হাইড্রোজেন (H) একত্রিত হয়ে পানি (H₂O) গঠন করে।
  • মেটালিক বন্ধন: এটি ঘটে যখন ধাতু পরমাণুদের মধ্যে ইলেকট্রন গুলি মুক্তভাবে চলাফেরা করে। এর ফলে ধাতুর মধ্যে শক্তি এবং ইলেকট্রিক কন্ডাক্টিভিটি বৃদ্ধি পায়।

কিছু মূল বিষয়:

  • এলেকট্রন কনফিগারেশন: রাসায়নিক বন্ধনের শক্তি এবং প্রকার নির্ভর করে পরমাণুর ইলেকট্রন কনফিগারেশনের উপর।
  • বন্ড এনার্জি: বন্ধনের শক্তি নির্ভর করে বন্ধন শক্তির ওপর, যা প্রতিটি বন্ডের শক্তি নির্ধারণ করে।
  • বন্ডের ধরন: আয়োনিক, কোভ্যালেন্ট এবং মেটালিক বন্ধনের মধ্যে মৌলগুলির বৈশিষ্ট্য ভিন্ন হয়ে থাকে।

পর্যায় সারণি (Periodic Table)

 মৌলগুলির বৈশিষ্ট্য এবং তাদের রাসায়নিক আচরণ বোঝার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম। এটি মৌলগুলিকে তাদের পরমাণু সংখ্যা, ইলেকট্রন কনফিগারেশন এবং রাসায়নিক ধর্ম অনুযায়ী সাজানো হয়।

পর্যায় সারণির মূল অংশ:

1.গ্রুপস (Groups)

  • গ্রুপ ১ (অ্যালকালি মেটালস): লিথিয়াম (Li), সোডিয়াম (Na), পটাসিয়াম (K) ইত্যাদি।
  • গ্রুপ ২ (অ্যালকালাইন আর্থ মেটালস): বিইরিলিয়াম (Be), ম্যাগনেসিয়াম (Mg), ক্যালসিয়াম (Ca) ইত্যাদি।
  • গ্রুপ ১৭ (হ্যালোজেনস): ফ্লোরিন (F), ক্লোরিন (Cl), ব্রোমিন (Br) ইত্যাদি।
  • গ্রুপ ১৮ (আনার্জিব্ল গ্যাসেস): হেলিয়াম (He), আর্গন (Ar), নেবুলা (Ne) ইত্যাদি।

2. পিরিয়ডস (Periods)

  • পিরিয়ড ১: হাইড্রোজেন (H), হেলিয়াম (He)।
  • পিরিয়ড ২: লিথিয়াম (Li), বেরিলিয়াম (Be), বোরন (B), কার্বন (C), নাইট্রোজেন (N), অক্সিজেন (O), ফ্লোরিন (F), নিঅন (Ne)।
  • পিরিয়ড ৩: সোডিয়াম (Na), ম্যাগনেসিয়াম (Mg), অ্যালুমিনিয়াম (Al), সিলিকন (Si), ফসফরাস (P), সালফার (S), ক্লোরিন (Cl), আর্গন (Ar)।
  • এবং আরও পিরিয়ডস।

3. ব্লকস

  • এস-ব্লক: গ্রুপ ১ এবং গ্রুপ ২ মৌলগুলি।
  • পি-ব্লক: গ্রুপ ১৩ থেকে গ্রুপ ১৮ পর্যন্ত মৌলগুলি।
  • ডি-ব্লক: ট্রানজিশন মেটালস, গ্রুপ ৩ থেকে গ্রুপ ১২ পর্যন্ত।
  • এফ-ব্লক: ল্যান্থানাইডস এবং অ্যাকটিনাইডস।

4. মৌলগুলির বৈশিষ্ট্য

  • মেটালস: সাধারণত সোনালী রঙের, উত্তাপ এবং বৈদ্যুতিক প্রবাহ ধারণ করে।
  • নন-মেটালস: বিভিন্ন রঙের এবং বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন, গ্যাস, তরল বা কঠিন।
  • মেটালয়েডস: মাঝারি বৈশিষ্ট্য, যেমন সিলিকন (Si) এবং বোর্ন (B)।

পর্যায় সারণির সুবিধা

  • বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ: মৌলগুলির রাসায়নিক এবং পদার্থবিদ্যা বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করা সহজ।
  • রিয়াকশন প্রেডিকশন: মৌলগুলির সাথে অন্য মৌলগুলির রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে তা অনুমান করা।
  • মৌলিক সম্পর্ক: মৌলগুলির পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝা, যেমন গ্রুপ এবং পিরিয়ড অনুযায়ী বৈশিষ্ট্য।

আরো পড়ুন :

এইচএসসি রসায়ন ল্যাবরেটরির নিরাপদ ব্যবহার নোট

এইচএসসি রাসায়নিক পরিবর্তন নোট

এইচএসসি গুণগত রসায়ন নোট

মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম (Periodic Properties)

মৌলগুলির বৈশিষ্ট্য যা তাদের পরমাণু সংখ্যা বা পারমাণবিক ভরের পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। এই ধর্মগুলির পরিবর্তন মৌলগুলির অবস্থান অনুযায়ী বিভিন্ন পিরিয়ড এবং গ্রুপে ঘটে। প্রধান মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্মগুলি নিম্নলিখিত:

আণবিক রেডিয়াস (Atomic Radius)

আণবিক রেডিয়াস হল মৌলের পরমাণুর কেন্দ্র থেকে তার বাইরের ইলেকট্রনের পর্যন্ত পরিমাপিত দূরত্ব।

  • পিরিয়ড অনুযায়ী: পিরিয়ডে বাম থেকে ডানে চললে আণবিক রেডিয়াস হ্রাস পায়। এর কারণ হল, পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যা ইলেকট্রনগুলিকে আরও শক্তি দিয়ে কেন্দ্রে টানতে থাকে।
  • গ্রুপ অনুযায়ী: গ্রুপে উপরের থেকে নিচে চললে আণবিক রেডিয়াস বৃদ্ধি পায়। এর কারণ হল, নতুন শেলের সংযোজন।

আয়নিক রেডিয়াস (Ionic Radius)

আয়নিক রেডিয়াস হল আয়নের কেন্দ্র থেকে তার বাইরের ইলেকট্রনের পর্যন্ত দূরত্ব। আয়নের ধরনের উপর নির্ভর করে এই রেডিয়াস পরিবর্তিত হয়:

  • ক্যাটায়ন (Positively Charged Ions): ক্যাটায়নের আণবিক রেডিয়াস সাধারণত ছোট হয় কারণ ইলেকট্রনের সংখ্যা কমে যায়।
  • অ্যানায়ন (Negatively Charged Ions): অ্যানায়নের আণবিক রেডিয়াস বড় হয় কারণ ইলেকট্রনের সংখ্যা বাড়ে।

আয়নিক প্রাপ্তি (Ionization Energy)

আয়নিক প্রাপ্তি হল একটি মৌল থেকে একটি ইলেকট্রন সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি।

  • পিরিয়ড অনুযায়ী: পিরিয়ডে বাম থেকে ডানে চললে আয়নিক প্রাপ্তি বৃদ্ধি পায় কারণ পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটনের সংখ্যা বাড়ে, যা ইলেকট্রনকে আরও শক্তি দিয়ে কেন্দ্রে টানতে থাকে।
  • গ্রুপ অনুযায়ী: গ্রুপে উপরের থেকে নিচে চললে আয়নিক প্রাপ্তি হ্রাস পায় কারণ নতুন শেলের সংযোজন হয়, যা ইলেকট্রনকে নিউক্লিয়াস থেকে দূরে রাখে।

ইলেকট্রন অ্যাফিনিটি (Electron Affinity)

ইলেকট্রন অ্যাফিনিটি হল একটি মৌলে একটি নতুন ইলেকট্রন যুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি বা শক্তি মুক্তির পরিমাণ।

  • পিরিয়ড অনুযায়ী: পিরিয়ডে বাম থেকে ডানে চললে ইলেকট্রন অ্যাফিনিটি বৃদ্ধি পায় কারণ মৌলগুলি অধিক ইলেকট্রন আকর্ষণ করে।
  • গ্রুপ অনুযায়ী: গ্রুপে উপরের থেকে নিচে চললে ইলেকট্রন অ্যাফিনিটি কমে যায় কারণ নতুন শেলের সংযোজন ইলেকট্রনের আকর্ষণ হ্রাস করে।

ইলেকট্রন কনফিগারেশন (Electron Configuration)

মৌলের ইলেকট্রন কনফিগারেশন তার রাসায়নিক ধর্মের ওপর প্রভাব ফেলে। মৌলগুলির ইলেকট্রন কনফিগারেশন পর্যায়বৃত্ত পদ্ধতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকে এবং এটি মৌলের রিয়েকটিভিটি নির্ধারণ করে।

রাসায়নিক আচরণ

  • গ্রুপ অনুযায়ী: গ্রুপ ১ এর অ্যালকালি মেটালস অত্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীল হয়, যখন গ্রুপ ১৮ এর আনার্জিব্ল গ্যাসগুলি প্রায় প্রতিক্রিয়াহীন।
  • পিরিয়ড অনুযায়ী: পিরিয়ডে বাম থেকে ডানে যাওয়ার সাথে সাথে মৌলগুলির প্রতিক্রিয়া পরিবর্তিত হয়।

মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম ও রাসায়নিক বন্ধন বাকি নোটটি পড়তে আমাদের লেকচার শীটটি ডাউনলোড করুন :

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top