রেইনকোট সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড করুন। রেইনকোট’ গল্পটি আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত সর্বশেষ গল্পগ্রন্থ ‘জাল স্বপ্ন স্বপ্নেরজাল’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ে গল্পটি রচিত হয়েছে। তাহলে চলো, শুরু করি।
রেইনকোট সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ২০২৫
১। মমতাজ উদ্দীন আহমদ রচিত নাটক ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’। এ নাটকের উজ্জ্বল চরিত্র দারোগা নুর মোহাম্মদ। অর্থ পুরস্কারের লোভে তিনি আকৃষ্ট হননি। তাই তো ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক পুরস্কার ঘোষিত আসামি স্বদেশি আন্দোলনের নেতাকে হাতের নাগালে পেয়েও ছেড়ে দিয়েছেন। এভাবেই দেশের স্বাধীনতার জন্য কাজ করে যাওয়া বিপ্লবী চেতনার সাথে একাত্ম হয়ে গেছেন তিনি।
ক. “আব্বুকে ছোটো মামার মতো দেখাচ্ছে”- উক্তিটি কার?
খ. উর্দুর প্রফেসর আকবর সাজিদকে প্রিন্সিপ্যাল আজকাল তোয়াজ করে কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের দারোগা নুর মোহাম্মদের সাথে ‘রেইনকোট’ গল্পের নুরুল হুদা চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্যের মিল রয়েছে? বুঝিয়ে দাও।
ঘ. “প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপক ও ‘রেইনকোট’ গল্পের মূল লক্ষ্য একই।”- মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিচার কর।
সমাধান:
ক। উঃ ‘আব্বুকে ছোটো মামার মতো দেখাচ্ছে’ উক্তিটি নুরুল হুদার ছেলের।
খ। উঃ পাকিস্তানি মিলিটারিরা উর্দুভাষী বলে উর্দুর প্রফেসর আকবর সাজিদকে প্রিনসিপ্যাল তোয়াজ করেন।
প্রিনসিপ্যাল বুঝতে পেরেছেন, পাকিস্তানি মিলিটারিরা প্রফেসর আকবর | সাজিদকে উর্দু জানার কারণে সম্মান করবে। তাই তার সাথে সম্পর্ক ভালো থাকলে মিলিটারির রোষাণল থেকে রেহাই মিলতে পারে। ভেবে তিনি আকবর সাজিদকে আজকাল তোয়াজ করে চলেন।
গ। উঃ উদ্দীপকের দারোগা নুর মোহাম্মদের সাথে ‘রেইনকোট’ গল্পের নুরুল | হুদা চরিত্রের দেশের সাথে একাত্মতার বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে মিল রয়েছে।
গল্পের নুরুল হুদা একজন ভীতু প্রকৃতির মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের কিন্তু বিপর্যয়ের সময় নিজের জীবন রক্ষাই ছিল তার একমাত্র চিন্তা। পরবর্তী সময়ে গল্পে মুক্তিযোদ্ধা শ্যালক মিন্টুর রেইনকোট পরিধান করে | সে সাহসী হয়ে ওঠে। রেইনকোটের প্রভাবে নুরুল হুদার মাঝে দেশপ্রেমের সঞ্ঝার হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তাঁর আঁতাতের অভিযোগে সে বিস্মিত ও আনন্দিত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে একাত্মতা অনুভব করেন। আর তাই প্রচণ্ড নির্যাতনেও তিনি শ্যালক মুক্তিযোদ্ধার কোনো তথ্য শত্রুদের কাছে প্রকাশ করেননি ।
উদ্দীপকের দারোগা নুর মোহাম্মদ একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। স্বদেশি আন্দোলনে নেতৃত্বদানের অভিযোগ ব্রিটিশ সরকার এককজন আসামিকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করে। দারোগা নুর মোহাম্মদ সেই আসামির খোঁজ জানলেও তা সরকারকে জানায়নি। তার কাছে নিজের স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বাধীনতা অনেক বড়ো ছিল। এভাবেই তিনি বিপ্লবী চেতনার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। এখানে নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে দেশের বিপ্লবী সন্তানদের সাহায্য করার মধ্য দিয়ে দেশরক্ষার ব্রতী হওয়ার দিক থেকে নুর মোহাম্মদ ও নুরুল হুদা একই ভাবনার অধিকারী ।
ঘ। উঃ উদ্দীপকে স্বদেশি আন্দোলন এবং গল্পে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট ফুটে উঠলেও উদ্দীপক ও ‘রেইনকোট’ গল্পের মূল লক্ষ্য একই।
‘রেইনকোট’ গল্পটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে রচিত। এ গল্পে বিবৃত হয়েছে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞের মধ্যে ঢাকা শহরের আতঙ্কগ্রস্ত জীবনের চিত্র। পাকিস্তান সেনাবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে গোপন আঁতাতের অভিযোগে কলেজ শিক্ষক নুরুল হুদা ও আবদুস সাত্তার মৃধাকে গ্রেপ্তার করে এবং নির্যাতন চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা শ্যালকের রেইনকোট গায়ে দিয়ে সাধারণ ভীতু প্রকৃতির নুরুল হুদার মধ্যে যে উষ্ণতা, সাহস ও দেশপ্রেম সঞ্চারিত হয় তা তাকে একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিকে পরিণত করে।
উদ্দীপকের নুর মোহাম্মদ অর্থ লাভে আকৃষ্ট না হয়ে দেশের স্বার্থে স্বদেশি আন্দোলনের নেতাকে ব্রিটিশ সরকারের হাতে তুলে দেয়নি। অথচ অভিযুক্ত, আসামিকে ধরিয়ে দিতে পারলেই অর্থ পুরস্কার দেওয়া হতো তাকে। কিন্তু সে নিজের চেয়ে দেশরক্ষার বিষয়টিকে বড়ো করে দেখেছেন ।
উদ্দীপকে স্বদেশি আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচিত হয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনই ছিল এই আন্দোলনের লক্ষ্য। অন্যদিকে ‘রেইনকোট’ গল্পে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পটপরিসর তুলে ধরা হয়েছে। উদ্দীপক ও আলোচ্য গল্পে | দুটি ভিন্ন ভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু দেশের | স্বার্থরক্ষার এবং স্বাধীনতা অর্জনে নুরুল হুদা এবং নুর মোহাম্মদের আত্মত্যাগ একই আদর্শে উজ্জীবিত। দেশের প্রতি এবং দেশের মানুষের প্রতি তাদের সীমাহীন ভালোবাসা ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল হয়েছে। তাই, প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপক ও গল্পের মল লক্ষ্য একই।
২। ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১। কালীগঞ্জ গ্রামের একজন যুবক রাতের অন্ধকারে ওই গ্রামের মিলিটারি ক্যাম্পে হামলা করে, বোমা মেরে ব্রিজ উড়িয়ে দেয়। প্রচন্ড গোলাগুলির সময় কয়েকজন মিলিটারির হাতে ধরা পড়ে। সেখান থেকে আহত অবস্থায় পালিয়ে বৃদ্ধ বশির দাদার বাড়িতে আশ্রয় নেয় আহাদ। খবর পেয়ে মিলিটারিরা ছুটে আসে কিন্তু আহাদকে পায় না। বৃদ্ধ বশিরকেই তারা তুলে নিয়ে অনেক অত্যাচার করে। বৃদ্ধ বশির গরম লোহার ছ্যাকা সহ্য করে তবুও আহাদের কোনো তথ্য দেয় না। তার কাছে মনে হয় আহাদকে বাঁচানো মানে দেশকে বাঁচানো। রেইনকোট সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
ক. প্রিন্সিপ্যাল আজকাল কাকে তোয়াজ করে?
খ. ‘এগুলো হলো পাকিস্তানের শরীরের কাঁটা’-উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকে মিলিটারি ক্যাম্পে হামলার ঘটনাটি ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন ঘটনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? আলোচনা করো।
ঘ. ‘দেশকে মুক্ত করার লক্ষ্যে বৃদ্ধ বশির ও নুরুল হুদার আত্মত্যাগ একই সূত্রে গাঁথা।’-মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
সমাধান:
ক। উঃ প্রিনসিপাল আজকাল উর্দুর প্রফেসর আকবর সাজিদকে তোয়াজ করে।
খ। উঃ প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটিতে ভাষা শহিদদের স্মরণে নির্মিত শহিদ মিনার সম্পর্কে পাকিস্তানিদের দোসর প্রিনসিপ্যালের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে।
‘রেইনকোট’ গল্পে বর্ণিত প্রিনসিপ্যাল কট্টর পাকিস্তানপন্থি। শিক্ষিত বাঙালি হওয়া সত্ত্বেও তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা করেন। বাঙালির স্বাধীনতার পথ রুদ্ধ করতে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীকে নানা রকম পরামর্শ দেন। এরই অংশ হিসেবে, তিনি পাকিস্তানি বাহিনীকে দেশের সকল শহিদ মিনার ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেন। তাঁর মতে, শহিদ মিনার মুক্তিযোদ্ধাদের পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে উজ্জীবিত করে। তাই এগুলো পাকিস্তানের শরীরের কাঁটা।
গ। উঃ উদ্দীপকে মিলিটারি ক্যাম্পে হামলার ঘটনাটি ‘রেইনকোট’ গল্পের ঢাকা কলেজের গেটের সামনে গেরিলা আক্রমনের ফলে ট্রান্সফরমার ধ্বংস হওয়ার বিষয়টির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঢাকা কলেজের গেটের সামনের ট্রান্সফরমার গেরিলা আক্রমনে ধ্বংস হয়ে যায়। পাশেই মিলিটারী ক্যাম্প থাকায় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর কলেজের শিক্ষকদের তলব করে। কলেজের পিয়ন ইসহাকে পাঠানো হয় নুরুল হুদার বাসায়। নূরুল হুদাকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যাম্পে কিন্তু বহু ভাবে নির্যাতনে পরেও তার মুখ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে প্রকৃত কোন উত্তর পাওয়া যায় না।
উদ্দীপকে কিছু যুবক ‘রাতের অন্ধকারে মিলিটারী ক্যাম্পে আক্রমন করে, বোমা মেরে ব্রিজ উড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে কিছু যুবক ধরা পরলে আহাদ নামে একজন পালিয়ে তার বৃদ্ধ বশিরের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে মিলিটারি বশিরকে তুলে নিয়ে যায়। বশিরকে গরম লোহার ছ্যাকা দিলেও আহদ সম্পর্কে কোন তথ্য সে দেয় না। রেইনকোট গল্পের ঢাকা কলেজের শিক্ষক নূরুল হুদাকেও গেরিলা আক্রমানের জন্য তলব করে নিয়ে যায় মিলিটারি। বহু অত্যাচরের পরেও সে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে কোন তথ্য দেয়নি। এই ঘটনাটির সাথেই ‘মূলত উদ্দীপকের ঘটনাটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ। উঃ পাকিস্তানিদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য উদ্দীপকের বশির ও গল্পে বর্ণিত শিক্ষক নুরুল হুদার আত্মত্যাগ একই সূত্রে গাঁথা।
আলোচ্য ‘রেইনকোট’ গল্পে দেখা যায় পাকিস্তানি বাহিনী পুরো ঢাকা শহরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধে পাক-হানাদার বাহিনী নিষ্ঠুর – নির্যাতন চালিয়ে অসংখ্যা নারী-পুরুষকে হত্যা করে। বাঙালি জনতা ধীরে ধীরে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বহু ভাবে নির্যাতনে পরেও ঢাকা কলেজের শিক্ষক নুরুল হুদার মুখ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে প্রকৃত কোন উত্তর পাওয়া যায় না।
একদল যুবক রাতের অন্ধকারে মিলিটারী ক্যাম্পে আক্রমন করে, বোমা মেরে ব্রিজ উড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে কিছু যুবক ধরা পরলে আহাদ নামে একজন পালিয়ে তার বৃদ্ধ বশিরের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে মিলিটারি বশিরকে তুলে নিয়ে যায়। বশিরকে গরম লোহার ছ্যাকা দিলেও আহাদ সম্পর্কে কোন তথ্য সে দেয় না।
উদ্দীপকের বৃদ্ধ বশির মিলিটারিদের কাছে কিছুতেই আহাদের কথা স্বীকার করেনি। তার কাছে মনে হয়েছে আহাদকে বাঁচাতে পারলে সে দেশকে বাঁচাতে পারবে। গল্পের নুরুল হুদাকেও নির্মম নির্যাতন করা হয় কিন’ তার মুখ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদর সংক্রান্ত কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। আঘাত সহ্য করেও নুরুল হুদার মধ্যে এক ধরণের চেতনা কাজ করছে। সে আঘাতকে অনুভব করছে না বরং দেশ রক্ষার্থে কোন ভাল কাজ করছে বলে মনে হয়।
Read More:
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র তাহারেই পড়ে মনে সৃজনশীল
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র আঠারো বছর বয়স সৃজনশীল
৩। হত্যাকে উৎসব ভেবে যারা পার্কে, মাঠে, ক্যাম্পাসে, বাজারে
বিষাক্ত গ্যাসের মতো মৃত্যুর বীভৎস গন্ধ দিয়েছে ছড়িয়ে,
আমি তো তাদের জন্য অমন সহজ মৃত্যু করি না কামনা।
(তথ্যসূত্র: অভিশাপ দিচ্ছি- শামসুর রাহমান)
ক. মিলিটারি পান্ডা কোথায় বসেছিল?
খ. রেইনকোট পরার পর থেকে নুরুল হুদার পা কেন শিরশির করতে থাকে? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ‘রেইনকোট’ গল্পের যে দিকটি চিত্রিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকে হানাদার বাহিনীর যে নির্মমতা ফুটে উঠেছে সেটিই ‘রেইনকোট’ গল্পের মূল উপজীব্য”- ব্যাখ্যা করো।
৪। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একটি ছাত্রাবাস থেকে মিলিটারিরা সাজ্জাদকে তুলে নিয়ে যায়। অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে তারা তার পিতার সন্ধান চায়। ক্ষত-বিক্ষত হয়েও সাজ্জাদ নীরব থাকে। মনে পড়ে বাবার শেষ উপদেশ, “জীবনের চেয়ে দেশ, অনেক বড়।” নিজেকে একজন দেশপ্রেমী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মনে করায় তার বুক ফুলে ওঠে।
ক. “সেই চোখ ভরা ভয়, কেবল ভয়”- ‘রেইনকোট’ গল্পে কোন চোখের কথা বলা হয়েছে?
খ. “ড্রেসিং টবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের নতুনরূপে সে ভ্যাবাচ্যাকা খায়।”- কে, কেন ভ্যাবাচ্যাকা খায়?
গ. উদ্দীপকের সাজ্জাদ ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন চরিত্রের সাথে তুলনীয়? তুলনার যৌক্তিকতা তুলে ধরো।
ঘ. সাজ্জাদের চেতনা ‘রেইনকোট’ গল্পের মূলভাবকে কতখানি মনে করো? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করো।
৫। কালরাত ঢাকা ছিল প্রেতের নগরী
সবাই ফিরেছে ঘরে সাত তাড়াতাড়ি। চতুর্দিকে
নিস্তব্ধতা ওঁৎ পেতে থাকে
ছায়ার ভিতরে ছায়া, আতঙ্ক একটি
কৃষ্ণাজা চাদরে মুড়ে দিয়েছে শহরটিকে আপাদমস্তক
ক. ‘সাবভার্সিভ অ্যাকটিভিটিস’ কী?
খ. ‘সিচুয়েশন নরমাল’- ব্যাখ্যা করো?
গ. উদ্দীপকটি ‘রেইনকোট’ গল্পের যে দিকটির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের পরিস্থিতি ‘রেইনকোট’ গল্পের নুরুল হুদা শ্যালকের পোশাক পরে অবলোকনের কারণেই তার পরিবর্তন ঘটে”- মূল্যায়ন করো।
৭। “ধাঁ করে একটি ট্রাক যাচ্ছে ছুটে, আরোহী ক’জন
চোখ বাঁধা, হাত বাঁধা আবছা মানুষ
পাশে রাইফেলধারী পাঞ্জাবি সৈনিক।
ছাত্র নই, মুক্তি সেনা নই কোনোও, তবু
হঠাৎ হ্যান্ডস আপ বলে
স্টেনগান হাতে আর প্রশ্ন দেয় ছুড়ে ঘাড় ধরে
বাঙালিহো তুম”?
ক. মিলিটারি পান্ডা কোথায় বসেছিল?
খ. নুরুল হুদার কাছে কোন বিষয়টি ‘স্রেফ উৎপাত’ বলে মনে হয়? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের ‘চোখ বাঁধা, হাত বাঁধা আবছা মানুষ’ বলতে ‘রেইনকোট’ গল্পে কাদের কথা বোঝানো হয়েছে? আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকে মিলিটারিদের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের ছবি যেন ‘রেইনকোট’ গল্পের প্রতিচ্ছবি- ব্যাখ্যা করো।
৭। বৃত্তাকারে দাঁড়ানো মিলিটারির মাঝখানে হাত-পা বাঁধা কালামকে টানতে টানতে এনে দাঁড় করানো হলো। কালামের নাক-মুখ থেকে রক্ত ঝরছে। তাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে, মুক্তিবাহিনী কোথায় পালিয়ে গেছে? তিনি ঠিক করলেন, কিছুই বলবেন না। বন্দুকের নলটা কপালের ঠিক মাঝখানটায় ধরা হলো। তিনি বললেন, ‘আমার মতো সাধারণ কালামের মৃত্যুতে কিছু এসে যায় না। কিন্তু মুক্তিফৌজদের জীবনের দাম আছে। মুক্তিফৌজ না বাঁচলে তোমাদের মারবে কে?’ গুলিটা কপাল ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রেইনকোট সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
ক. ‘রেইনকোট’ গল্পে ইসহাক কে?
খ. ‘রাশিয়ায় ছিল জেনারেল উইনটার, আমাদের জেনারেল মনসুন।’- উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত মিলিটারির নিপীড়নের দৃশ্যটি ‘রেইনকোট’ গল্পের সঙ্গে তুলনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের কালাম ও ‘রেইনকোট’ গল্পের নূরুল হুদার মতো সাধারণ ব্যক্তিরাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রেরণা।”- মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
৮। ‘বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ
নদীতে পানার মতো ভেসে থাকা মানুষের লাশ
মুণ্ডহীন বালিকার কুকুরের খাওয়া বীভৎস শরীর
ভেসে ওঠে চোখের ভেতরে, আমি ঘুমুতে পারিনি’-
ক.নুরুল হুদার স্ত্রীর নাম কী?
খ. ‘এগুলো হল পাকিস্তানের শরীরের কাঁটা’- বুঝিয়ে দাও।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘রেইনকোট’ গল্পের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকে ব্যক্ত কবির নির্ঘুম মনোভাবটিই ‘রেইনকোট’ গল্পের নূরুল হুদার রূপান্তরের কারণ”- মূল্যায়ন করো।
৯। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে রতনপুর গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে পরিণত হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাতেম আলী হয়ে ওঠেন হানাদার বাহিনীর আশ্রয়দাতা ও সাহায্যকারী। তিনি এ কাজে সহকর্মীদেরও বাধ্য করেন এবং কেউ সম্মত না হলে তার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন। অধিকাংশ শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের এ ধরনের কাজকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখেন কিন্তু ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পান না। সহকারী প্রধান শিক্ষক বাছেদ মিয়া ভীরু প্রকৃতির মানুষ হলেও তিনি ছিলেন মনে-প্রাণে একজন দেশপ্রেমিক মানুষ। তিনি গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতেন। তাঁর পরামর্শে মুক্তিযোদ্ধারা রাতের অন্ধকারে হাতেম আলীকে ধরে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করেন।
ক. ‘রেইনকোট’ গল্পে পিয়নের নাম কী?
খ. ‘ক্রাক-ডাউনের রাত’ বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকের হাতেম আলী ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন চরিত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং কেন?
ঘ. উদ্দীপকের ঘটনার পরিণতি প্রত্যাশিত কিন্তু ‘রেইনকোট’ গল্পের পরিণতি থেকে ভিন্ন।” -উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
১০। কলিমদ্দি দফাদারের বোর্ড অফিস শীতলক্ষ্যার তীরের বাজারে। নদীর এপারে- ওপারে বেশ কিছু বড় বড় কল-কারখানা। এগুলো শাসনের সুবিধার্থে একদল খান সেনা বাজারসংলগ্ন হাই স্কুলটিকে ছাউনি করে নিয়েছে। কোনো কোনো রাত্রে গুলিবিনিময় হয়। কোথা হতে কোন পথে কেমন করে মুক্তিফৌজ আসে, আক্রমণ করে এবং প্রতি আক্রমণ করলে কোথায় হাওয়া হয়ে যায়, খান সেনারা তার রহস্য ভেদ করতে পারে না । রেইনকোট সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
ক. ‘বর্ষাকালেই তো জুৎ’- কথাটি কে বলেছিল?
খ. “রাশিয়ায় ছিল জেনারেল উইন্টার, আমাদের জেনারেল মনসুন”- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকটির শেষাংশের বক্তব্য ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন বিষয়টি নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকটিতে ‘রেইনকোট’ গল্পের আংশিক বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে।”- তোমার মতামতসহ আলোচনা করো।
এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র রেইনকোট প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | রেইনকোট সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ২০২৫ PDF Download.