আমার পথ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র আমার পথ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর PDF Download

Advertisements

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র আমার পথ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর PDF। তোমাদের জন্য আজকে নিয়ে আসলাম ১০০% কমন উপযোগী আমার পথ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর। এগুলো অনলাইনে পড়ার পাশাপাশি তুমি পিডিএফ ডাউনলোড করে অফলাইনে পড়তে পারবে । তাহলে চলো, শুরু করি আমার পথ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর PDF।।

আমার পথ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর PDF

০১। ‘একেই বলে সবচেয়ে বড়ো দাসত্ব।’-ব্যাখ্যা কর। [ঢা.বো., সি.বো.’23]

উত্তর: ‘একেই বলে সবচেয়ে বড়ো দাসত্ব’ বলতে পরাবলম্বন- কে বোঝানো হয়েছে।

নিজেকে চিনে, নিজেই নিজেকে পথ দেখাতে পারলে মানুষ আত্মনির্ভরশীল হতে পারে। কিন্তু তা না করে আমরা সর্বদা অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকি। সহায়ককে যদি কেউ একমাত্র অবলম্বন ভাবে সেখানেই চরম ভুলটি হয়। এই পরাবলম্বনই মানুষকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। সে সর্বদা দাসত্বের মনোভাব নিয়েই বাঁচে।

Advertisements

০২। “আমি সে দাসত্ব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত’। ব্যাখ্যা কর।[কু.বো.’২৩]

উত্তর: আমি সে দাসত্ব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত বলতে কবি সত্য-মিথ্যের বিভেদ করে নিজের সত্যকে চিনতে পারার শক্তি প্রকাশ করেছেন। কবি কখনো কারো বাণীকে বেদবাক্য হিসেবে মেনে নেন না। প্রমাণ ছাড়া তিনি কখনো কারো কথা বিশ্বাস করেন না। সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা বলবার সাহস তাঁর আছে কারণ তিনি আত্মনির্ভর, নিজেকে চিনেন এবং পরাবলম্বনকে প্রশ্রয় দেন না। তিনি এই দাসত্ব থেকে মুক্ত।

০৩। “ও রকম বিনয়ের চেয়ে অহংকারের পৌরুষ অনেক-অনেক ভালো।”–প্রাবন্ধিকের এ উক্তির কারণ ব্যাখ্যা কর। [চ. বো.’২৩]

উত্তর: ‘ও রকম মিথ্যা বিনয়ের চেয়ে অহংকারের পৌরুষ অনেক অনেক ভালো’ বলতে কবি যেকোনো অবস্থায় সত্যকেই প্রাধান্য দিতে বলেছেন।

মানুষ যখন নিজেকে চিনে নিজের সত্যকে পথপ্রদর্শক মেনে এগিয়ে যায় তখন অনেকেই একে দম্ভ হিসেবে নেয়। কিন্তু লেখকের মতে সরলতা দেখাতে গিয়ে মিথ্যা বিনয় প্রকাশ করার কোনো প্রয়োজন নেই। বেশি বিনয় অনেক সময় সত্যকে অস্বীকার করে ফেলে যা মানুষকে ছোটো করে ফেলে। তাই তাঁর মতে এমন বিনয়ের চেয়ে অহংকারের পৌরুষ অনেক ভালো ।

০৪। “যার ভিতরে ভয়, সেই বাইরে ভয় পায়।” ব্যাখ্যা কর। [য.বো.’২৩; ঢা.বো.’১৯]

উত্তর: নজরুলের মতে, মানুষের অন্তরে মিথ্যার ভয় না থাকলে বাইরের ভয় মানুষকে কাবু করতে পারেনা। সত্যই মানুষের প্রাণ প্রাচুর্যের উৎস বিন্দু। তাই নিজের সত্যকে চিনতে পারলেই মানুষ অসাধ্য সাধন করতে পারে। অপরদিকে যার মনে মিথ্যা, সে-ই মিথ্যাকে ভয় করে। নিজের বিশ্বাস আর সত্যকে না চিনলে মানুষ পরনির্ভরশীল ও ব্যক্তিত্বহীন হয়ে পড়ে, তার মনে গোলামির ভাব তৈরি হয়। আর এ গোলামির মনোভাব তাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়।

০৫। “মানুষ-ধর্মই সবচেয়ে বড় ধর্ম।”-উক্তিটির তাৎপর্য কী? [দি.বো.’২৩, ২২; সি.বো.’২২, ব.বো., দি.বো.’১৭]

উত্তর: ধর্ম, মত, পথের ভেদাভেদ ভুলে সকল মানুষকে সমান হিসেবে গণ্য করাকেই লেখক মানুষ-ধর্ম হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মানুষে মানুষে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে, তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করতে লেখক ধর্ম ও মতের পার্থক্যকে ভুলে সকল মানুষকে সমানচোখে দেখতে বলেছেন। মানুষ মানুষকে শ্রদ্ধা করলে, একে অপরের প্রতি সহনশীল হলে সম্প্রীতিময় ও শান্তিপূর্ণ মানবসমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। আর এর মাধ্যমেই মানুষ-ধর্মের মহিমা বিকশিত হবে।

আরো পড়ুন :

০৬। কবি নিজেকে ‘অভিশাপ রথের সারথি’ বলে অভিহিত করেছেন কেন? [ম.বো.’২৩, ব.বো.কু.বো.’২২]

উত্তর: প্রাবন্ধিক নিজেকে অভিশাপ রথের সারথি বলেছেন কারণ সমাজ পরিবর্তন করতে তিনি নিজেই রথচালক তথা সারথির আসনে বসেছেন।

সমাজের নিয়ম পাল্টাতে গেল বাধার সম্মুখীন হতে হয়, সমাজ রক্ষকদের আক্রমণের শিকার হতে হয়। এ কথা জেনেও নজরুল তাঁর বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি অভিশাপ হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন।

আমার পথ প্রবন্ধের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

০৭। “যে নিজের ধর্মের সত্যকে চিনেছে, সে কখনো অন্য ধর্মকে ঘৃণা করতে পারে না।”— উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: এখানে কাজী নজরুল ইসলাম সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছেন।

কোনো ব্যক্তি যদি নিজ ধর্মের প্রতি প্রকৃত বিশ্বাস স্থাপন করে তবে সে অন্য সকল ধর্মে কোনো বৈষম্য বা ভেদাভেদ টেনে আনবে নাঅন্য ধর্মের প্রতি কোনো বিদ্বেষ বা অবহেলা থাকবে না। কারণ পৃথিবীর সকল ধর্মই মানবতার পক্ষে। তাই মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করতে পারলে এক ধর্মের সঙ্গে অপর ধর্মের বিরোধ মিটে যাবে।

০৮। “আত্মাকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে”– বুঝিয়ে লেখ। [রা.বো.’২২, কু.বো.’১৯]

উত্তর: “আত্মাকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে” বলতে প্রাবন্ধিক বুঝিয়েছেন নিজেকে চিনলে নিজের সত্যকেই নিজের কর্ণধার মনে জানলে নিজের শক্তির ওপর অটুট বিশ্বাস আসে।

মানুষ যখন সত্য পথের পথিক হয় তখন নিজের মধ্যে আপনা আপনি এমন এক জোর আসে যে, সে যে কোনো ধরনের পরনির্ভরতা থেকে মুক্তি পায়। এই মুক্তির বোধ তার অন্তরের শক্তিকে জাগ্রত করে। এই আত্মনির্ভরশীলতার কারণেই সে তখন অসাধ্য সাধন করতে পারে।

০৯। লেখক নিজ সত্যকে সালাম জানিয়েছেন কেন? [য.বো.’২২]

উত্তর: লেখকের নিজেই নিজের কর্ণধার হবার পথে তাঁর পথ দেখাবে তাঁর সত্য। তাই তিনি সত্যকে সালাম জানিয়েছেন। লেখকের মতে, নিজেকে জানলে, নিজের সত্যকে চিনলে, সত্যের পথে অটুট থাকলে রাজভয়, লোকভয়— কোনো ভয়ই তাঁকে বিপথে নিয়ে যেতে পারবে না। অন্তরে মিথ্যার ভয় না থাকলে বাইরের কোনো ভয়ই তাঁকে পদানত করতে পারবে না। তাঁর মতে, সত্যকে নিজের পথপ্রদর্শক হিসেবে গ্রহণ করার মাধ্যমেই আত্মাকে চেনা যায়। এসকল কারণেই লেখক সত্যকে সালাম জানিয়েছেন।

১০। কাজী নজরুল ইসলাম ‘আমার সত্য’ বলতে কী বুঝিয়েছেন? [দি. বো.’১৯]

উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম আমার সত্য বলতে তাঁর অন্তরের সত্যের উপলব্ধিকে বুঝিয়েছেন।

নজরুলের মতে, আত্মাকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে। নিজের ওপর অটুট বিশ্বাস তৈরি হয়। আর এই আত্মবিশ্বাসই মানুষকে স্বাবলম্বী করে তোলে। আর নিজেকে চেনার উপায় হচ্ছে নিজের সত্যকে জানা। ‘আমার সত্য’ কথাটি দ্বারা নজরুল তাঁর এই আত্মা বা বিবেকের শক্তিকে চেনার বিষয়টিকে নির্দেশ করেছেন।

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র আমার পথ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর PDF Download

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top