বিড়াল গল্প নোটটি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি নিতে পারবেন ।তাই আর দেরি না করে আমাদের বিড়াল গল্প লেকচার শীটটি পড়ে ফেলুন ।
বিড়াল
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
লেখক পরিচিতি ও এইচএসসি বিড়াল গল্প
জন্ম পরিচয়:
২৬জুন ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দ: বাংলা ১৩ আষাঢ় ১২৪৫ বঙ্গাব্দ। কাঁঠালপাড়া, চব্বিশ পরগনা,পশ্চিমবঙ্গ। পিতা যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (ডেপুটি কালেক্টর)।
শিক্ষাজীবন:
এন্ট্রাস কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (১৮৫৭)। বি.এ. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (১৮৫৮)। বি.এল.প্রেসিডেন্সি কলেজ (১৮৬৯)।
কর্মজীবন/পেশা:
ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিযুক্ত (১৮৫৮)।
কর্মস্থল :
যশোর, খুলনা,মুর্শিদাবাদ, হুগলি, মেদিনীপুর, বারাসাত, হাওড়া, আলীপুর প্রভৃতি।
পরিচিতি :
বাংলা ভাষায় প্রথম শিল্পসম্মত উপন্যাস রচনার কৃতিত্ব তারই। বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রধান সৃষ্টিশীল লেখকদের একজন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরর প্রথম স্নতক (১৮৫৮)।
খেতাব ও সম্মাননা:
‘সাহিত্যসম্রাট’ সাহিত্যের রসবোদ্ধাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত খেতাব। হিন্দু ধর্মানুরাগীদের কাছ থেকে ‘ঋষি’ আখ্যা লাভ। বাংলার ‘ওয়াল্টার স্কট’।
মৃত্যুবরণ:
কলকাতায় ৮ এপ্রিল, ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দ: ২৬ চৈত্র ১৩০০ বঙ্গাব্দ ।
উপন্যাস:
Rajmohon’s Wife (১৮৬৪), দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫), কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬), মৃণালিনী (১৮৬৯), বিষবৃক্ষ (১৮৭৩), কৃষ্ণকান্তের উইল (১৮৭৮), রজনী (১৮৭৭), চন্দ্রশেখর, রাজসিংহ (১৮৮২), ইন্দিরা, যুগলাঙ্গুরীয়, রাধারাণী।
ত্রয়ী উপন্যাস:
আনন্দমঠ (১৮৮২), দেবী চৌধুরানী (১৮৮৪), সীতারাম (১৮৮৭)।
কাব্যগ্রন্থ:
ললিতা তথা মানস (১৮৫৬)।
প্রবন্ধ:
লোকরহস্য (১৮৭৪), বিজ্ঞানরহস্য (১৮৭৫), কমলাকান্তের দপ্তর (১৮৭৫), সাম্য (১৮৭৯), কৃষ্ণচরিত্র (১৮৮৬), ধর্মতত্ত্ব অনুশীলন (১৮৮৮), শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা প্রভৃতি ।
লেখক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলিত
★ ১৮৪৯ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মোহিনী দেবীর সঙ্গে।
* ১৮৫২ সালে তার সাহিত্যচর্চার শুরু হয় – সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে।
★ প্রথমা পত্নীর মৃত্যুর পর তিনি ১৮৬০ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন – রাজলক্ষ্মী দেবীর সঙ্গে।
★ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সাত নম্বর কম পেয়ে ফেল করেন – Mental and Moral Science এ
★ ১৮৫৮ সালে বি.এ. পরীক্ষায় Mental & Moral Science বিষয়ে সাত নম্বর কম পেয়ে ফেল করেন – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও যদুনাথ বসু।
★ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে সুদীর্ঘ ৩৩ বছর চাকরি করার পর অবসর গ্রহণ করেন ১৮৯১ সালে।
★ তার রচিত প্রথম ইংরেজি উপন্যাস Rajmohon’s Wife (1864) প্রথম প্রকাশিত হয় Indian Field পত্রিকায়।
★ উপন্যাস রচনায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রভাবিত হয়েছিলেন ইংরেজি ঔপন্যাসিক স্যার ওয়াল্টার স্কট কর্তৃক।
★ মোগল পাঠানের যুদ্ধের পটভূমিকায় নরনারীর প্রেমের উপাখ্যান অবলম্বনে তার রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে স্বীকৃত – দুর্গেশনন্দিনী।
★ বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্সধর্মী উপন্যাস দুর্গেশনন্দিনী।
★ বঙ্কিমচন্দ্রেরর পরে বঙ্গদর্শন সম্পাদনা করেছিলেন তার অগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
★ তার রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬)।
★ চাকরিসূত্রে খুলনার ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করে – নীলকরদের অত্যাচার দমন করেছিলেন।
★ সামাজিক সমস্যার আলোকে তার রচিত উপন্যাসগুলো হলো- বিষবৃক্ষ, কৃষ্ণকান্তের উইল।
★ বঙ্কিমচন্দ্রের মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণমূলক উপন্যাস – রজনী।
★ বঙ্কিমচন্দ্রের রম্যব্যঙ্গ রচনা সংকলন কমলাকান্তের দপ্তর।
★ বঙ্কিমচন্দ্রের খাঁটি ঐতিহাসিক উপন্যাস – রাজসিংহ।
★ বঙ্কিমচন্দ্রের দুটি তত্ত্বমূলক উপন্যাস – আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী।
★ বঙ্কিমচন্দ্রের রজনী উপন্যাসটি যে ইংরেজি উপন্যাসের ছায়া অবলম্বনে রচিত ইংরেজি ঔপন্যাসিক EB Lytton রচিত The Last Days of Pompeii অবলম্বনে রচিত।
* দুর্গেশনন্দিনী উপন্যাসের প্রতিক্রিয়ায় ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচনা করেন রায়নন্দিনী উপন্যাস (১৯১৮)।
*বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেন ‘সাম্য’ গ্রন্থটি।
বিড়াল প্রবন্ধের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি : এইচএসসি বিড়াল গল্প
★ কমলাকান্ত শয়নগৃহে ঝিমাচ্ছিল আফিঙের ঘোরে।
★ আমি শয়নগৃহে, চারপায়ীর উপর বসিয়া, হুঁকা হাতে ঝিমাইতেছিলাম। এখানে আমি হলো- কমলাকান্ত
★ একটু মিট মিট করিয়া ক্ষুদ্র আলো জ্বলিতেছে।
★ দেয়ালের উপর চঞ্চল ছায়া, প্রেতবৎ নাচিতেছে।
★ ‘বিড়াল’ রচনায় যুদ্ধের কথা আছে ওয়াটারলু যুদ্ধ।
* নেপোলিয়ন ছিলেন ফরাসি সম্রাট।
★ কমলাকান্ত হুকা হাতে নিমীলিতলোচনে ভাবিতেছিল
★ নেপোলিয়ন বোনাপার্ট এর জম্ম-মৃত্যু সাল- ১৭৬৯-১৮২১ সাল ।
★ নেপোলিয়ন সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নির্বাসিত হন – ৬ বছর।
* নেপোলিয়ন ওয়াটারলু যুদ্ধের পরাজিত হন – ওয়েলিংটনের হাতে।
★ এমত সময়ে একটি ক্ষুদ্র শব্দ হইল। এ শব্দটি হলো – মেও।
আরো পড়ুন :
★ ওয়েলিংটন বিড়ালত্ব প্রাপ্ত হয়ে কমলাকান্তের কাছে চাইতে এসেছিল – আফিম।
* কমলাকান্তের ভাবনাজগতে বিড়ালত্ব প্রাপ্ত হয়েছিল – ওয়েলিংটন (ওয়েলিংটন পরিচিত ডিউক অব ওয়েলিংটন নামে)।
★ ‘ডিউক’ দ্বারা বোঝায় ইউরোপীয় সমাজের বনেদি বা অভিজাত ব্যক্তি।
★ তখন চক্ষু চাহিয়া ভালো করিয়া দেখিলাম যে, ওয়েলিংটন নহে। ‘এ বাক্যে ওয়েলিংটন নামধারী হলো – ক্ষুদ্র মার্জার (বিড়াল)।
★ ‘উদরসাৎ’ শব্দের অর্থ – উদরস্থ উদরে গৃহীত, ভক্ষিত।
★ বিড়াল গল্প গাভীর নাম – মঙ্গলা।
★ মার্জার দুধ খেয়ে ফেললেও কমলাকান্ত দেখতে পায় নি। কারণ নেশার ঘোরে ওয়াটারলু মাঠে ব্যূহ রচনায় কমলাকান্ত ব্যস্ত ছিল।
★ মার্জারের প্রথম উক্তি ছিল কেহ মরে বিল ছেঁচে, কেহ খায় কই।
★ দুধ আমার বাপেরও নয়।দুধ মঙ্গলার, দুহিয়াছে প্রসন্ন। উক্তিটি – কমলাকান্তের।
★ তোমরা মনুষ্য, আমরা বিড়াল, প্রভেদ কী?এ বাক্যের ‘প্রভেদ’ শব্দের অর্থ পার্থক্য, ফারাক।
★ মার্জারের মতে- বিজ্ঞ চতুষ্পদের কাছে শিক্ষালাভ ছাড়া মানুষের বিকল্প নেই। তোমরা আমার কাছে কিছু উপদেশ গ্রহণ কর। উক্তিটি – বিড়ালের।
★ ‘পরোপকারই পরম ধর্ম’ সংলাপটি – বিড়াল বলেছে।
★ আমি তোমার ধর্ম সঞ্চয়ের মূলীভূত কারণ । উক্তিটি – মার্জারের।
★ চোরে যে চুরি করে, সে অধর্ম – কৃপণ ধনীর।
★ তাহার দত্ত হয় না কেন? কৃপণ ধনীর দণ্ডের কথা বলা হয়েছে।
★ ‘বিড়াল’ রচনায় মাছের কাটা, পাতের ভাত মানুষ ফেলে দেয় – নর্দমায়।
★ মাছের কাঁটা, পাতের ভাত বিড়ালকে না দিয়ে নর্দমা বা জলে ফেলে দেওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে বিড়াল দেখতে পায়- সমবেদনার অভাব।
★ “তাহারা অতি পণ্ডিত, বড় মান্য লোক। এ বাক্যে পণ্ডিত ও মান্য লোক হলোসমাজপতি ও সমাজের প্রধান ব্যক্তিরা।
★ দরিদ্রের কথা কেউ বোঝে না।
★ তেলা মাথায় তেল দেওয়া মনুষ্যজাতির রোগ।
★ বিড়াল গল্প অনুসারে প্রাচীরে প্রাচীরে, প্রাঙ্গণে প্রাঙ্গণে, প্রাসাদে প্রাসাদে চারিদিক দৃষ্ট দিয়ে ঘুরে বেড়ায় – মার্জার।
* অনেক মার্জার কবি হয়ে যায় গৃহমার্জারের রূপের ছটা দেখে। –
★ ‘খাইতে দাও- নহিলে চুরি করিব। উক্তিটির মর্মকথা- অধিকার চেতনা।
★ ধনীর দোষেই দরিদ্র চোর হয় উক্তিটি – মার্জারের।
★ ‘সমাজের ধনবৃদ্ধির অর্থ ধনীর ধনবৃদ্ধি । উক্তিটি – মার্জারের।
* কমলাকান্ত মার্জারকে সকল দুশ্চিন্তা পরিহার করে ধর্মাচরণে মন দিতে বলে।
* কমলাকান্ত মার্জারকে পাঠার্থে – নিউমান ও পার্কের গ্রন্থ দিতে চেয়েছে।
★ কমলাকান্ত মার্জারকে নিষেধ করেছে করো হাঁড়ি খেতে।
★ একটি পতিত আত্মাকে অন্ধকার হইতে আলোতে আনিয়াছি। উক্তিটি কমলাকান্তের।
* বিড়াল গল্প উল্লেখযোগ্য চরিত্র – নেপোলিয়ন, ডিউক অব ওয়েলিংটন,নসীরাম বাবু প্রসন্ন,কমলাকান্ত, মার্জার।
★ বিড়াল গল্প খাদ্যের নাম হলো- দুগ্ধ, সর, দধি, মৎস, মাংস, ভাত, মাছ, ছানা ।
★ বিড়াল গল্প মাদকদ্রব্যের নাম হলো- আফিম।
বিড়াল প্রবন্ধের গুরুত্বপূর্ণ লাইন : এইচএসসি বিড়াল গল্প
★ আমি যদি নেপোলিয়ন হইতাম, তবে ওয়াটারলু জিতিতে পারিতাম কি না।
★ আমি তখন ওয়াটারলুর মাঠে ব্যূহ রচনায় ব্যস্ত, অত দেখি নাই ।
★ কেহ মরে বিল ছেঁচে, কেহ খায় কই ।
★ দুধ মঙ্গলার, দুহিয়াছে প্রসন্ন।
★ মনুষ্যকুলের কুলাঙ্গার স্বরূপ পরিচিত হইব, ইহা বাঞ্ছনীয় নহে।
★ পরোপকারই পরম ধর্ম ।
★ আমি তোমার ধর্ম সঞ্চয়ের মূলীভূত কারণ।
★ আমি চোর বটে, কিন্তু আমি কি সাথ করিয়া চোর হইয়াছি।
★ অধর্ম চোরের নহে- চোরে যে চুরি করে, সে অধর্ম কৃপণ ধনীর।
★ চোর দোষী বটে, কিন্তু কৃপণ ধনী তদপেক্ষা শত গুণে দোষী।
★ তেলা মাথায় তেল দেওয়া মনুষ্যজাতির রোগ ।
* আমাদের কালো চামড়া দেখিয়া ঘৃণা করিও না।
★ এ পৃথিবীর মৎস্য মাংসে আমাদের কিছু অধিকার আছে।
★ অনাহারে মরিয়া যাইবার জন্য এ পৃথিবীতে কেহ আইসে নাই ।
★ একটি পতিত আত্মাকে অন্ধকার হইতে আলোতে আনিয়াছি, ভাবিয়া কমলাকাস্তের বড় আনন্দ হইল ।
বিড়াল গল্প লেকচার শীটটি ডাউনলোড করুন :