তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র তাহারেই পড়ে মনে সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর (PDF)

Advertisements

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড করুন। ‘তাহারেই পড়ে মনে’ শীর্ষক কবিতাটি সুফিয়া কামালের বিখ্যাত কাব্য ‘সাঁঝের মায়া’ থেকে সংকলিত হয়েছে। কবিতাটি একটি সংলাপ নির্ভর কবিতা। এই কবিতায় প্রকৃতি ও মানবমনের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক প্রকাশিত হয়েছে। তাহলে চলো, শুরু করি।


তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৫

১। “ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে আমার গানের বুলবুলি
করুণ চোখে চেয়ে আছে সাঁঝের ঝরা ফুলগুলি।
………………………………………………..
কাল হতে আর ফুটবে না হায়, লতার বুকে মঞ্জরী
উঠছে পাতায় পাতায় কাহার করুণ নিশাস মর্মরী।
গানের পাখি গ্যাছে উড়ে-শূন্য নীড়-
কণ্ঠে আমার নাই সে আগের কথার ভিড়।”

ক.‘উত্তরী’ শব্দের অর্থ কী?
খ. “কহিল সে কাছে সরে আসি”-পঙ্ক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের কবি এবং ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির অন্তর্বেদনাকে এক সুতায় গাঁথা যায় কি?”-আলোচনা কর।
ঘ. “কণ্ঠে আমার নাই সে আগের কথার ভিড়।”- ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার আলোকে উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

ক। উঃ ‘উত্তরী’ শব্দের অর্থ চাদর বা উত্তরীয় ।

Advertisements

খ। উঃ প্রশ্নোক্ত পক্তিটির মাধ্যমে বেদনার্ত কবির বসন্তবিমুখতা ও তাঁর জীবনে শীতের রিক্ততার প্রভাব প্রকাশ করেছেন।

“তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবি প্রিয়জন হারানোর বেদনায় বিমূঢ়। এজন্য তাঁর কাছে বসন্ত বিশেষ কোনো অর্থ বহন করে না। কবিভক্ত বসন্তের আগমনী বার্তা কবিকে জানালেও কবি তাতে আগ্রহী হন না। বরং কবি তাঁর ভক্তের কাছে শীত ঋতুর রিক্ততায় শূন্য হৃদয়ের বেদনা বোঝানোর চেষ্টা করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলা হয়েছে।

গ। উঃ উদ্দীপকের কবি এবং ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবি দুজনই বিয়োগ ব্যথায় কাতর হওয়ায় তাদের অন্তর্বেদনাকে একই সূত্রে গাথা যায়।

‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় প্রকৃতি ও মানবমনের সম্পর্কের একটি সৌন্দর্য মানবমনের অফুরন্ত আনন্দের উৎস। কিন্তু কবিমন যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ দিক তাৎপর্যময় অভিব্যক্তি পেয়েছে। সাধারণভাবে প্রকৃতির কারণে শোকাচ্ছন্ন কিংবা বেদনা-ভারাতুর থাকে তবে বসন্ত তার সমস্ত সৌন্দর্য সত্ত্বেও কবির অন্তরকে স্পর্শ করতে পারে না। এই কবিতায় কবির ব্যক্তিজীবনের ছায়াপাত ঘটেছে। কবির কাব্য সাধনার প্রেরণাদানকারীর বিয়োগব্যথায় কবি প্রচণ্ড বেদনার্ত। তাই প্রকৃতি বসন্তের আগমনে ফুলের সাজে সাজলেও কবির মন জুড়ে আছে শীতের রিক্ততা। মূলত কবির প্রথম স্বামী ও কাব্য সাধনার প্রেরণা-পুরুষের আকস্মিক মৃত্যুতে কবির অন্তরে যে বিষণ্ণতা জাগে তারই সুস্পষ্ট প্রভাব । ও ইঙ্গিত এ কবিতায় ফুটে উঠেছে।

উদ্দীপকের কবিও বিরহ বেদনায় কাতর। কবি ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত ও বিষাদগ্রস্ত। গাছের ফুল যখন ঝরে পড়ে তখন সেই ফুলের মধ্যে থাকে করুণ চাহনি। কবিও ঝরা ফুলের মতো ক্লান্ত পরিশ্রান্ত। তাই বসন্তের আগমনে তার হৃদয়ে কোনো প্রভাব পড়েনি। লতার বুকে মঞ্জরী আর উ নতুন করে ফুটবে না বলে কবির হৃদয়ে যে শূন্যতা তা কবিকে বিষাদগ্রস্ত করেছে, ক্লান্ত পরিশ্রান্ত করেছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের কবি এবং ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির অন্তর্বেদনা একই সুত্রে গাঁথা কারণ উভয়ই বিয়োগ ব্যথায় কাতর।

ঘ। উঃ কণ্ঠে আমার নাই সে আগের কথার ভিড়’ উক্তিটির দ্বারা ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির কাব্যসাধনার প্রেরণা-পুরুষের আকস্মিক মৃতুতে কবির অন্তরে যে বিষণ্ণতা জাগে তারই সুস্পষ্ট প্রভাব বিদ্যমান।

প্রকৃতিতে বসন্ত এলেও কবির মন জুড়ে আছে শীতের রিক্ত ও বিষণ্ন ছবি। কবির মন দুঃখ ভারাক্রান্ত। তার কণ্ঠ নীরব, শীতের ‘করুণ বিদায়কে তিনি কিছুতেই ভুলতে পারছেন না। তাই বসন্ত তার মনে কোনো সাড়া জাগাতে পারছে না। বসন্তের সৌন্দর্য তার কাছে অর্থহীন, মনে কোনো আবেদন জানাতে পারছে না। প্রকৃতি বসন্তের আগমনে ফুলের সাজে সাজলেও কবির মন জুড়ে আছে শীতের রিক্ততার ছবি ।

উদ্দীপকেও কবির কণ্ঠে ক্লান্তির ছাপ বিদ্যমান। উদ্দীপকের কবিও বিয়োগব্যথায় ক্লান্ত পরিশ্রান্ত। উদ্দীপকের কবির গানের বুলবুলি ক্লান্ত- শ্রান্ত হয়ে ঘুমিয়ে যাওয়ার কারণে আগের মতো কবির কণ্ঠেও গান নেই । কবির বিষাদ যন্ত্রণায় প্রকৃতি পরিবেশের নিশ্বাসও উত্তপ্ত। প্রকৃতিতে গানের পাখিও আর নেই, এই জন্য কবির কণ্ঠে আগের মতো কথার ফুলঝুরিও আর নেই ।

উদ্দীপক ও ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার আলোকে বলা যায় যে, কবি হৃদয়ে শীতের রিক্ততা-শূন্যতা বিরাজ করার জন্য কবি উদাসীন। কবিমন শোকাচ্ছন্ন ও বেদনা ভারাতুর থাকার জন্য কবি হৃদয়ে আর কবিতার ছন্দ সৃষ্টি হচ্ছে না। কবি মন আচ্ছন্ন হয়ে আছে রিক্ততার হাহাকারে। তাই বসন্ত এলেও উদাসীন কবির অন্তরজুড়ে রিক্ত শীতের করুণ বিদায়ের বেদনা। তাই বলা যায়, হৃদয়ের ব্যথা, শূন্যতা ও করুণার জন্য কবির আর আগের মতো কথার ভিড় নেই।

২। সে চলে গেছে বলে কিগো স্মৃতি কি তার যায় ভোলা
আজো মনে হলে তার কথা, মর্মে যে মোর দেয় দোলা।।
ঐ প্রতিটি ধূলিকণায়, আছে তার ছোঁওয়া লেগে হেথায়
আজো তাহারি আসার আশায়, রাখি মোর ঘরের সব দ্বার খোলা।
হেথা সে এসেছিল যবে ঘর ভরে ছিল ফুল উৎসবে
মোর কাজ ছিল শুধু ভবে, তার হারগাঁথা আর ফুল তোলা।।

ক. তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
খ.’পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবির হাহাকারের দৃশ্য যেন উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে- ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকটির বিরহবেদনার বর্ণনার সাথে ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির মনোবেদনার প্রকৃতিঘনিষ্ঠ যে বর্ণনা, তার সাথে মিলের চেয়ে অমিলই বেশি”- মন্তব্যটি তোমার মতামতসহ যাচাই করো।

ক। উঃ ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ‘মাসিক মোহাম্মদী’ পত্রিকায়।

খ। উঃ পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে’ বলতে কবি শীতের রিক্ততার কথা বুঝিয়েছেন।

শীতকালে গাছের পাতা ঝরে যায়, গাছ হয় ফুলহীন। শীতের এ রূপকে বসন্তের বিপরীতে স্থাপন করা হয়েছে। প্রকৃতি বসন্তের আগমনে ফুলের সাজে সাজলেও কবির মন জুড়ে রয়েছে শীতের রিক্ততার ছবি। শীত যেন সর্বরিক্ত সন্ন্যাসীর মতো কুয়াশার চাদর গায়ে পুত্রপুষ্পহীন দিগন্তের পথে চলে গেছে।

গ। উঃ প্রিয়জনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় যে হাহাকার প্রকাশ পেয়েছে তা উদ্দীপকেও বিদ্যমান।

‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটিতে কবির ব্যক্তিজীবনের দুঃখময় ঘটনার ছায়াপত ঘটেছে। কবির স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে কবির জীবনে প্রচন্ড শূন্যতা নেমে আসে। দুঃসহ বিষণ্ণতায় ভরে

ওঠে তাঁর জীবন। উদ্দীপকে প্রিয়জন হারানোর দিকটি ফুটে উঠেছে। প্রিয়জন দূরে চলে গেলেও হৃদয়ে তার স্মৃতিরাই আনাগোনা করতে থাকে। তার ফিরে আসার অপেক্ষা করতে থাকে অবুঝ মন। ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবির স্বামী মারা যাওয়ায় কবিমন শোকাচ্ছন্ন হয়েছে। ফলে বসন্তের সৌন্দর্য তাঁর হৃদয়কে স্পর্শ করে না। তাঁর ব্যক্তিজীবন ও কাব্যসাধনার ক্ষেত্রে বেজে ওঠে বিষাদের সুর। প্রিয়জনকে হারালে হৃদয়ের যে করুণ অবস্থা হয় তা উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতা উভয়ক্ষেত্রেই ফুটে উঠেছে।

ঘ। উঃ ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবির মনোবেদনার প্রকৃতিঘনিষ্ঠ এক বর্ণনা রয়েছে যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত।

আলোচ্য কবিতাটিতে প্রকৃতি ও মানবমনের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তাৎপর্যময় অভিব্যক্তি পেয়েছে। বসন্তের আগমন কবি মনকে শিহরিত করার কথা থাকলেও তাঁর শোক যেন তাকে প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। উদ্দীপকে বলা হয়েছে যে, প্রিয়জনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও তার স্মৃতি কখনো ভোলা যায় না। তার ফিরে আসার জন্য মন সর্বদাই অপেক্ষা করতে থাকে। আবার, ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায়ও প্রিয়জন বিয়োগের দিকটি ফুটে উঠেছে। তবে এখানে কবির মনোবেদনা ও প্রকৃতির বিষন্নতা একইসূত্রে গাঁথা।

বসন্ত-প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য যে কবিমনে আনন্দের শিহরণ জাগাবে এবং তিনি তাকে ভাবে-ছন্দে-সুরে ফুটিয়ে তুলবেন সেটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু আলোচ্য কবিতায় কবি স্বামীর মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন বলে বসন্ত তার সমস্ত সৌন্দর্য নিয়ে হাজির হওয়া সত্ত্বেও কবির অন্তরকে স্পর্শ করতে পারেনি। তাই বসন্তের মাঝেও উদাসীন কবির অন্তর জুড়ে থাকে রিস্ত শীতের করুণ বিদায়ের বেদনা। কবির জীবনের দুঃসহ বিষণ্ণতা প্রকৃতির সাথে তাঁর মনের সংযোগকে ছিন্ন করেছে। এই যে কবির মনোবেদনার প্রকৃতি ঘনিষ্ঠরূপ তা উদ্দীপকে নেই। উদ্দীপকে রয়েছে বিরহবেদনার এক আবেগী বহিঃপ্রকাশ যেখানে প্রকৃতিঘনিষ্ঠতার দিকটি অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, “উদ্দীপকটির বিরহবেদনার বর্ণনার সাথে ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির মনোবেদনার প্রকৃতিঘনিষ্ঠ যে বর্ণনা, তার সাথে। মিলের চেয়ে অমিলই বেশি”- মন্তব্যটি যথার্থ।


Read More:


৩। বাইক্কা বিলের বর্ষার সৌন্দর্য কতই না চমৎকার! কাকের চোখের মতো টলটলে জল, রঙিন শাপলা-শালুক, কলমি লতার মতো নানাবিধ ফুল, পানকৌড়ি বুনো হাঁসের মতো বিপুল সংখ্যক দেশি-বিদেশি পাখি কার না ভালো লাগে। কিন্তু এমন মনোলোভা সৌন্দর্যের কাছে এসেও সেজুতি জামান আজ বিষণ্ণ। কারণ কয়েক বছর আগে নৌকা করে এ বিল পার হতে গিয়েই তার দশ বছরের ছেলে আবির মারা যায়। তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

ক. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতা প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
খ. ‘কুহেলি উত্তরীতলে মাঘের সন্ন্যাসী’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সেজুতি জামানের মনোভাব ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার সাথে কতটা সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর
ঘ. উদ্দীপকটিতে ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার সামগ্রিক ভাবনার সবটুকু ধরা পড়েছে বলে কি তুমি মনে কর? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও।

৪। ঋতুরাজ বসন্তে প্রকৃতি এক নতুন সাজে সজ্জিত হয়। শীতের শুষ্কতা কাটিয়ে প্রকৃতি তখন নব যৌবন লাভ করে। গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়, ফুলে ফুলে ভরে যায় অবারিত মাঠ-ঘাট ও বাগান। আমের মুকুল মৌ মৌ গন্ধে তখন চারদিক মুখরিত হয়ে ওঠে। এই ঋতুতে বিরহীদের মন প্রিয়জনের সান্নিধ্য খোঁজে। তাদের কথা বেশি বেশি মনে পড়ে। কারণ, প্রকৃতির সঙ্গে মানব মনের একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। প্রকৃতির সৌন্দর্যের প্রভাব তখন মানব মনে পড়ে। কবি-সাহিত্যিকগণ তখন নতুন নতুন সাহিত্য চর্চায় আত্মনিয়োগ করার অনুপ্রেরণা লাভ করেন।

ক. মাঘের সন্ন্যাসী কোথায় চলে গিয়েছে?
খ. বসন্তের আগমন সত্ত্বেও কবির নীরব ভূমিকা পালনের কারণ কী?
গ. বসন্তের সঙ্গে মানব মনের একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে’- উদ্দীপকের উক্তিটি ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ করো।
ঘ. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় বর্ণিত বসন্তের রূপচিত্র এবং উদ্দীপকের ঋতুরাজের রূপচিত্র একই অর্থে সমার্থক- উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো।

৫। বষণ্ণ বিরহী বাতাস মনের জানালায় দেয় উঁকি। উন্মাদ মন আজ মাধবীর। পড়ন্ত বিকেলে দখিনের বারান্দায় বেদনার রাগিনী ওঠে তার। শোকের পাথার বেয়ে আসে বসন্ত। চৈত্রের খরায় শুকিয়ে গেছে বুক। সেখানে শুধু ধু ধু বালুচর। নেই তাতে জল, আছে কষ্টের হলাহল। শীতের শুষ্কতা মুছে বসন্তের শূন্যতা চেপে ধরেছে তারে। কারণ মাঘের শীতে প্রিয়জন তার গিয়েছে চলে না ফেরার দেশে।

ক. কবি সুফিয়া কামালের প্রথম স্বামীর নাম কী?
খ. ‘বসন্ত-বন্দনা তব কণ্ঠে শুনি-এ মোর মিনতি।’-চরণটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? বিশ্লেষণ কর।
ঘ. উদ্দীপকের ‘মাধবী’ ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির ব্যক্তি চরিত্রের ছায়াচিত্র।”- উক্তিটি মূল্যায়ন কর।

৬। ঈশিতা বাংলা বিভাগের উচ্ছল প্রাণবন্ত মেয়ে। আড্ডার আসরকে সে মাতিয়ে রাখে। বাংলা বিভাগ প্রতিবারের মতো এবারও বসন্ত উৎসব পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। ঈশিতা বরাবরই এই ধরনের আয়োজনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। উৎসবের দিন রূপময় প্রকৃতির নান্দনিকতা ও উৎসব প্রাঙ্গনের বর্ণিল বিন্যাস একাকার হয়ে অভূতপূর্ব আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অথচ এই কোলাহলমুখর আনন্দঘন পরিবেশে প্রাণবন্ত ঈশিতা যেন প্রাণহীন, ছন্দহীন, গম্ভীর ও বিষণ্ণ। জানা গেল, তিন বছর আগে হারানো মায়ের স্মৃতিই আজ তার অন্তরকে বেদনাচ্ছন্ন করে রেখেছে। তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

ক. গঠনরীতির দিক থেকে ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কোন ধরনের কবিতা?
খ. “পুষ্পারতি লভেনি কি ঋতুর রাজন?” কবিতার এই চরণটির অর্থ বুঝিয়ে দাও।
গ. উদ্দীপকের ঈশিতা ও ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবিসত্তার ঐক্য নির্ণয় কর।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় একই জীবন-সত্যের পরিচয় উদ্‌ঘাটিত হয়েছে” বিচার কর।

৭। বৈশাখকে বরণ করার উৎসবে মেতেছে সবাই। কিন্তু সাহানা মনে শোকের ছায়া। তার ছেলে রাফিদ চলে গেছে অজানার দুনিয়ায়। অন্যান্যবার এ দিনটিতে রাফিদই মাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ত নববর্ষের উৎসবে যোগ দিতে। রাফিদহীন জীবনের সব আনন্দ নিঃশেষ হয়ে গেছে সাহানার। আজ তার কেবলি মনে হয়- ‘স্মৃতিভারে আমি পড়ে আছি ভারমুক্ত সে এখানে নাই?’

ক. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি কোন ছন্দে লেখা?
খ. ‘কুহেলি উত্তরী তলে মাঘের সন্ন্যাসী’ বলতে কবি-কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকটির রাফিদ ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কোন ঋতুকে স্মরণ করিয়ে দেয়? আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকে ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার ভাবের প্রতিফলন ঘটেছে।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

৮। নাহি জানি, কেহ নাহি জানে
তব সুর বাজে মোর গানে
কবির অন্তরে তুমি কবি
নও ছবি নও ছবি, নও শুধু ছবি


ক. কবিভক্ত কবিকে কী কী ভাবে কবিকে সম্বোধন করেছেন?
খ. ‘কুহেলী উত্তরী তল মাঘের সন্ন্যাসী’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের ‘তব সুর বাজে মোর গানে’ ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার যে দিকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের শোক গীতিময় এবং ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার শোক বিষাদময়।”- মন্তব্যটি যাচাই করো।

৯। একুশের বইমেলায় প্রতিবছর সবুজ সাহেবের কবিতার নতুন বই প্রকাশিত হয়। এ বছর তা হয়নি। গত ঈদে গ্রামের বাড়ির পুকুরে ডুবে সবুজ সাহেবের একমাত্র পুত্র ফয়সাল মারা যান। কবি পুত্রশোকে শোকগ্রস্ত। বইমেলা উপলক্ষে নতুন বই প্রকাশে কয়েকজন প্রকাশক কবি সবুজ সাহেবের কাছে পাণ্ডুলিপি চেয়েছেন। কিন্তু কবি কারো কথা রাখতে পারেননি।

ক. ‘পাথার’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘সে ভুলেনিতো, এসেছে তা ফাগুনে স্মরিয়া’- উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সবুজ সাহেবের সাথে ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় বিষণ্ণতার সুর স্পষ্ট হয়েছে।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

১০। পুনর্মিলন অনুষ্ঠানের প্রস্তাবনা, পরিকল্পনা, প্রযোজনা ও কর্মপন্থা নির্ধারণে পাঁচ মাস ধরে নিরলসভাবে কাজ করে আয়োজন প্রায় সম্পন্ন করে রেখেছে রতন। বন্ধুদের মিলনমেলা আয়োজন তার জন্য যেমন কষ্টসাধ্য কাজ ছিল, তেমনি এতে স্বপ্নপূরণের আনন্দও ছিল অফুরান। অনুষ্ঠান নিয়ে কোনো ভাবনা, উত্তেজনা বা উচ্ছ্বাস নেই আজ তার মনে। কারণ অনুষ্ঠানের আগেই তার মা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। মা যেন দূর আকাশে মুখ রেখে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

ক. ‘ফুটেছে কী আমের মুকুল’? উক্তিটি কার?
খ. “যদিও এসেছে তবু তুমি তারে করিলে বৃথাই” – কীভাবে?
গ. উদ্দীপক ও তাহারেই পড়ে মনে কবিতার মধ্যে সাদৃশ্য কোথায়?
ঘ. “প্রিয়জনের বিয়োগব্যথা আমাদের আনন্দ – আয়োজনের গতি ভিন্ন পথে ধাবিত করতে পারে। ” – “তাহারেই পড়ে মনে” কবিতা ও উদ্দীপকের আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।


এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র তাহারেই পড়ে মনে সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর (PDF) | তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৫ pdf download.

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top