এইচএসসি জীববিজ্ঞান ১ম পত্রের ৭ম অধ্যায় নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী উদ্ভিদ নোটটি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যার মাধ্যমে তুমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় , মেডিকেল কলেজ পরিক্ষা ও ইন্জিনিয়ারিং পরিক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারবে । এই লেকচারে অন্তর্ভুক্ত আছে নগ্নবীজী ও আবৃতবীজীর বৈশিষ্ট্য, পার্থক্য এবং উদ্ভিদ প্রজনন ও পরিবেশে ভূমিকা। তাই আর দেরি না করে আমাদের লেকচার শীটটি পড়ে ফেলুন ।।
এইচএসসি জীববিজ্ঞান ১ম পত্রের ৭ম অধ্যায় “নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী” উদ্ভিদের দুটি প্রধান শ্রেণী, কনিফার (Gymnosperms) এবং আনজিওসপার্ম (Angiosperms) এর বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য সম্পর্কে আলোচনা করে। এখানে কিছু মূল বিষয় আলোচনা করা হলো:
নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী
নগ্নবীজী (Gymnosperms)
সংজ্ঞা: সিডার, পাইন, সাইকাস ইত্যাদি উদ্ভিদ এই শ্রেণীতে পড়ে। এগুলির বীজ আবৃত নয়, অর্থাৎ বীজবহুল অংশে খোলামেলা থাকে।
বৈশিষ্ট্য:
- বীজ: বীজগুলো সাধারণত কনিফার ফ্রুট বা গুলি (cone) এর মধ্যে থাকে।
- পত্র: সাধারণত পাইন জাতীয় উদ্ভিদের মতো দীর্ঘ এবং সরল হয়।
- বংশবৃদ্ধি: সাধারণত পাখিরা ও পতঙ্গেরা তাদের পরাগায়ন করে।
- লাঠি: সাধারণত লাঠি জাতীয় এবং গাছগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে কণ্টকযুক্ত।
আবৃতবীজী (Angiosperms)
সংজ্ঞা: ফুল যুক্ত উদ্ভিদ যেমন ফুল গাছ, ফলজ গাছ ইত্যাদি এই শ্রেণীতে পড়ে। এগুলির বীজ সাধারণত ফলের মধ্যে আবৃত থাকে।
বৈশিষ্ট্য:
বীজ: ফলের ভিতরে থাকে এবং সাধারণত বেশিরভাগ উদ্ভিদকেই এর দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
পত্র: পত্রের বিভিন্ন আকার ও বৈচিত্র্য থাকে এবং বিভিন্নভাবে সাজানো থাকে।
বংশবৃদ্ধি: ফুলের মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটে এবং ফল তৈরি হয়।
লাঠি: সাধারণত স্টেম লাঠি এবং প্রমাণিক উন্নতি।
আরো পড়ুন :
পার্থক্য – নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী
বীজের অবস্থান:
- নগ্নবীজী: বীজ খোলামেলা থাকে।
- আবৃতবীজী: বীজ ফলের মধ্যে আবৃত থাকে।
ফুল ও ফল:
- নগ্নবীজী: ফুল ও ফলের অভাব থাকে।
- আবৃতবীজী: ফুল ও ফল থাকে।
বংশবৃদ্ধি:
- নগ্নবীজী: সাধারণত পাখিরা এবং বাতাস দ্বারা পরাগায়ন হয়।
- আবৃতবীজী: ফুলের মাধ্যমে পতঙ্গ বা অন্যান্য উপায় দ্বারা পরাগায়ন হয়।
উদাহরণ:
- নগ্নবীজী: পাইন, সাইকাস, সিডার।
- আবৃতবীজী: অ্যাপল গাছ, গোলাপ, ধান।
আমাদের লেকচার শীটটি ডাউনলোড করুন :