এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র বিদ্রোহী কবিতার MCQ প্রশ্ন ও উত্তর ব্যাখ্যাসহ pdf ফাইল দেওয়া হলো। বিগত সালের বিভিন্ন বোর্ড পরিক্ষার প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে ১০০% গুরুত্বপূর্ণ বিদ্রোহী কবিতার MCQ প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া আছে আমাদের এই লেকচারে। তাই আর দেরি না করে আমাদের বিদ্রোহী কবিতার MCQ প্রশ্ন ও উত্তর pdf লেকচার শীটটি ডাউনলোড করুন ।।
এইচএসসি বিদ্রোহী কবিতার MCQ PDF
বিদ্রোহী কবিতার MCQ part 01
১. কাজী নজরুল ইসলাম কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
ক) ১৮৬১
খ) ১৮৭৬
গ) ১৮৯৯
ঘ) ১৯০৯
সঠিক উত্তরঃ গ) ১৮৯৯
২. ১৯৭২ সালে কার উদ্যোগে কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশে এনে নাগরিকত্ব ও জাতীয় কবির স্বীকৃতি দেওয়া হয়?
ক) প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ
খ) সৈয়দ নজরুল ইসলাম
গ) সরাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামান
ঘ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
সঠিক উত্তরঃ ঘ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
ব্যাখ্যাঃ বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে স্বাধীন বাংলাদেশে আনা হয় এবং তাকে জাতীয় কবির স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
৩. কাজী নজরুল ইসলাম কত বছর বয়সে পিতাকে হারান?
ক) ছয় বছর
খ) সাত বছর
গ) আট বছর
ঘ) দশ বছর
সঠিক উত্তরঃ গ) আট বছর
ব্যাখ্যাঃ মাত্র আট বছর বয়সে কাজী নজরুল ইসলাম পিতাকে হারান।পিতাকে হারিয়ে কবির পরিবার চরম দারিদ্র্যে পতিত হয়। ১৩১৬ বঙ্গাব্দে কবি গ্রামের মক্তব থেকে নিন্ম প্রাইমারি পাস করে সেখানেই একবছর শিক্ষকতা করেন। বারো বছর বয়সে তিনি লেটোর দলে যোগ দেন এবং দলের জন্য পালাগান রচনা করেন। বস্তুত তখন থেকেই তিনি সৃষ্টিশীল সত্তার অধিকারী । ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ১৯১৭ সালে ৪৯ নং বাঙ্গালী পল্টনে সৈনিক হিসেবে যোগদান করেন এবং করাচি যান। পরে তিনি সেনাবাহিনীর হাবিলদার পদে উন্নীত হন।
৪. কোনটি নজরুল রচিত কাব্য?
ক) ব্যাথার দান
খ) বিষের বাঁশি
গ) রুদ্র-মঙ্গল
ঘ) বাঁধনহারা
সঠিক উত্তরঃ খ) বিষের বাঁশি
ব্যাখ্যাঃ ‘বিষের বাঁশি‘ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কাব্যগ্রন্থ। কাজী নজরুল ইসলামের অন্যান্য কাব্যগ্রস্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ‘অগ্নি-বীণা’, ‘সাম্যবাদী’, ‘সর্বহারা’, ‘সিন্দু-হিন্দোল’, ‘চক্রবাক’, ‘সন্ধ্যা’, ‘প্রলয়শিখা’ ইত্যাদি।
৫. কাজী নজরুল ইসলাম কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন?
ক) ১৮৯৯
খ) ১৯১৭
গ) ১৯৬০
ঘ) ১৯৭৬
সঠিক উত্তরঃ ঘ) ১৯৭৬
ব্যাখ্যাঃ কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৭৬ সালের ২৯ শে আগষ্ট ঢাকায় মৃত্যুবরন করেন।
৬. ‘চির উন্নত মম শির’ – কথাটি কীসের পরিচায়ক? –
ক) হিমালয়ের মতো দৃঢ়তার
খ) আত্নদম্ভ প্রকাশের
গ) মাথা উঁচু করে থাকার
ঘ) অন্যায়ের সামনে মাথা নত না করার।
সঠিক উত্তরঃ ঘ) অন্যায়ের সামনে মাথা নত না করার।
ব্যাখ্যাঃ ‘চির উন্নত মম শির’ কথাটি অন্যায়ের সামনে মাথা নত না করার পরিচায়ক। বিদ্রোহী কবিতায় কবি সমস্ত অন্যায়-অত্যাচার, অপশাসন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এই বিদ্রোহের জন্য প্রবল আত্নবিশ্বাসের ও আত্নমর্যাদার দরকার। কবির এই আত্নমর্যাদাবোধ কোনো শক্তির কাছেই নত হয়না ।কবির এই মর্যাদা সমুন্নত রাখার প্রত্যয় থেকে ‘চির-উন্নত শির’ কথাটি ব্যবহার করেছেন। কবির শির দেখে হিমালয় পর্বতের শিখর নতশির হয়ে যায়।
৭. কবি নিজেকে কিসের নটরাজ হিসেবে ঘোষনা করেছেন?
ক) নিখিল পৃথ্বীর
খ) বিশ্ব বিধাতুর
গ) মহা-প্রলয়ের
ঘ) শিখর হিমাদ্রির
সঠিক উত্তরঃ গ) মহা-প্রলয়ের
ব্যাখ্যাঃ কবি নিজেকে মহাপ্রলয়ের নটরাজ বলেছেন। সৃষ্টির ধ্বংসকালে অর্থাৎ মহাপ্রলয়ে শিবের ভয়ংকর নৃত্যময় মুর্তি নটরাজ হতে চান কবি। কবি নিজের শক্তির প্রচন্ডতা বুঝাতে নিজেকে মহাপ্রলয়ের নটরাজ বলেছেন৷
৮. কবি নিজেকে পৃথিবীর কী হিসেবে ঘোষনা করেছেন?
ক) আশীর্বাদ
খ) অভিশাপ
গ) শান্তির দূত
ঘ) দীর্ঘশ্বাস
সঠিক উত্তরঃ খ) অভিশাপ
ব্যাখ্যাঃ কবি নিজেকে পৃথিবীর অভিশাপ বলেছেন। অভিশাপকে যেমন মানুষ ভয় পায়। তেমনি কবিকেও মানুষ ভয় পাবে। কবির শক্তি মত্তা সম্পর্কে প্রতিপক্ষকে জানান দিতেই নিজেকে অভিশাপের সাথে তুলনা করেছেন।
৯. কবি সব ভেঙেচুরে চুরমার করেন কেন?
তিনি অশান্ত বলে
খ) নতুনের আবাহনে
গ) ক্ষমা প্রদর্শনের জন্য
ঘ) তিনি অভিশপ্ত হওয়ায়
সঠিক উত্তরঃ খ) নতুনের আবাহনে
ব্যাখ্যাঃ কবি নতুনের আবাহনে সব ভেঙে চুরমার করতে চান। কবি নতুন পৃথিবী চান, আর নতুন পৃথিবী গড়তে হলে বর্তমান সেকেলে, জরাজীর্ণ পৃথিবী ভেঙে ফেলতে হবে।
১০. কবি নিজেকে কেমন ঝড় বলে উল্লেখ করেছেন?
ভয়ংকর
খ) বিধ্বংসী
গ) এলোকেশে
ঘ) বিদ্রোহী
সঠিক উত্তরঃ গ) এলোকেশে
ব্যাখ্যাঃ কবি নিজেকে এলোকেশে ঝড় বলে অভিহিত করেছেন। কবি নিজের প্রচন্ডতা, উন্মত্ততা এবং ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা বোঝাতে নিজেকে এলোকেশে ঝড় অকালবৈশাখি বলেছেন। মানুষ উন্মত্ত বা পাগল হলে যেমন চুল এলোমেলো বা এলোকেশ হয়, কবি তেমনি শক্তিশালী বৈশাখি ঝড় হয়ে চারদিকে এলোমেলো করার জন্য নিজেকে এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখি বলে আখ্যায়িত করেছেন।
১১. কবি নিজেকে কার বিদ্রোহী-সুত বলে ঘোষণা করেছেন?
ক) বিশ্ব-বিধাতার
খ) ভারত-মাতার
গ) জন্মভূমির
ঘ) স্বীয় ধর্মের
সঠিক উত্তরঃ ক) বিশ্ব-বিধাতার
ব্যাখ্যাঃ কবি নিজেকে বিশ্ব-বিধাতৃর বিদ্রোহী সুত বলে ঘোষণা করেছেন। পৃথিবীব্যাপি অন্যায়অত্যাচার শোষণ বৈষম্য দূরীকরণের জন্য একটি ব্যাপক বিদ্রোহের প্রয়োজন। বিশ্ব বিধাতৃর পুত্র হলে সেই বিদ্রোহের জন্য পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যাবে। কবি তাই নিজেকে বিশ্ববিধাতার পুত্র বা সুত বলেছেন।
১২. ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণতুর্য’- চরণটিতে কী বোঝানো হয়েছে?
ভালোবাসা ও ঘৃণা
খ) ভালো ও মন্দ
গ) নতুন ও পুরাতন
ঘ) প্রেম ও দ্রোহ
সঠিক উত্তরঃ ঘ) প্রেম ও দ্রোহ
ব্যাখ্যাঃ প্রশ্নোক্ত উক্তি দ্বারা কবির দ্রোহ ও প্রেমের সত্তাটি প্রকাশিত হয়েছে। কবি মানুষের প্রতি হওয়া সমস্ত অন্যায়, নির্যাতন ও জুলুমের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এজন্য তিনি হাতে অস্ত্র বা ‘রণতুর্য’ নিয়েছেন, তবে কবির রয়েছে অত্যাচারিত-নির্যাতিত-নিপীড়িতের প্রতি অসীম ভালোবাসা, যার জন্য তার এক হাতে রণতূর্য থাকলেও এই নিষ্পেষিত মানুষের জন্য তার অন্য হাতে রয়েছে ভালোবাসার বাঁকা বাঁশের বাঁশরী।
১৩. কবি নিজেকে ছাড়া আর কাউকে কুর্নিশ করেন না কেন?
ক) অহংকারী বলে
খ) বিদ্রোহী বলে
গ) শক্তিশালী বলে
ঘ) আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন বলে
সঠিক উত্তরঃ ঘ) আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন বলে
ব্যাখ্যাঃ কবি প্রবল আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন বলে নিজেকে ছাড়া আর কাউকে কুর্ণিশ করেন না । বিদ্রোহী কবিতায় আত্নজাগরণে উন্মুখ কবির প্রবল আত্নপ্রকাশ ঘটেছে। কবির এই আত্নপ্রকাশের একটি দিক হলো আত্নমর্যাদাবোধ। নিজের শ্রেষ্ঠত্বের যে বোধ আত্নমর্যাদাবোধ, সেই বোধ থেকে কবি অন্যকে “আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের” কুর্ণিশ করতে বা তার নিকট মাথা নত করতে চান না।
১৪. ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কোন চরণে কবির কোমল হৃদয়ের পরিচয় মেলে?
ক) আমি ইন্দ্রানী-সুত হাতে চাঁদ ভালে সুর্য
খ) আমি অবমানিতের মরম বেদনা
গ) আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার
ঘ) আমি সেই দিন হবো শান্ত
সঠিক উত্তরঃ খ) আমি অবমানিতের মরম বেদনা
ব্যাখ্যাঃ ‘আমি অবমনিতের মরম বেদনা’ পঙক্তিতে কবির কোমল মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়। বিদ্রোহী কবিতায় কবির মধ্যে কঠোরতার পাশাপাশি কিছু জায়গায় কোমলতার পরিচয়ও পাওয়া যায়। কবি মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসেন। তাই তাদের অন্তরের ব্যথা অনুভব করেন এবং ভালোবাসার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা করেন। কবির কোমল হৃদয়ের পরিচয়বাহী আরও কয়েকটি পঙক্তি: “আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের”, আমি অবমানিতের মরম বেদনা, বিষ-জ্বালা, প্রিয় লাঞ্ছিত বুকে গতি ফের আমি উত্তর- বায়ু মলয়-অনিল উদাস পূরবী হাওয়া, আমি পথিক-কবির গভীর রাগিণী, বেণু-বীণে গান গাওয়া। “
১৫. “ঘুম চুমু দিয়ে করি নিখিল বিশ্বে নিঝুম” – চরণটিতে নজরুলের কোন মনোভাবটি প্রকাশ পেয়েছে?
ক) শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা
খ) প্রবল দ্রোহের চেতনা
গ) সম্প্রীতি ও সৌহার্দের আহ্বান
ঘ) প্রচলিত রীতি-নীতির বিরোধিতা
সঠিক উত্তরঃ ক) শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা
বিদ্রোহী কবিতার mcq pdf
১৬. তিথি অত্যন্ত রাগী প্রকৃতির মেয়ে। ক্রোধান্বিত হলে হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। তিথির সাথে ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কার মিল রয়েছে?
ক) চেঙ্গিস খানের
খ) ক্ষ্যাপা দুর্বাসার
গ) পিণাক-পাণির
ঘ) নটরাজের
সঠিক উত্তরঃ খ) ক্ষ্যাপা দুর্বাসার
ব্যাখ্যাঃ তিথির সাথে বিদ্রোহী কবিতার ক্ষ্যাপা দুর্বাসার মিল রয়েছে। দুর্বাসা ও বিশ্বামিত্র প্রাচীন ভারতের দুই বিশিষ্ট মুনি ও ঋষি। ঋষি বিশ্বামিত্রের শিষ্য দুর্বাসা ছিলেন প্রচন্ড রাগী। আলোচ্য কবিতায় কবি দুর্বাসাকে ক্ষ্যাপা বলেছেন এবং ওর সঙ্গে নিজের তুলনা করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজের ক্রোধের স্বরূপ উন্মোচন করেছেন।
১৭. ‘আমি শ্যামের হাতের বাঁশরী’ – এখানে ‘শ্যাম’ বলতে কাকে বোঝোনো হয়েছে? –
ক) মহাদেবকে
খ) বিষ্ণুকে
গ) নারায়ণকে
ঘ) শ্রীকৃষ্ণকে
সঠিক উত্তরঃ ঘ) শ্রীকৃষ্ণকে
ব্যাখ্যাঃ শ্যাম বলতে শ্রীকৃষ্ণকে বোঝানো হয়।শ্রীকৃষ্ণের বা শ্যামের হাতে বাঁশি থাকতো । এই বাঁশির সুরে শ্রীরাধা মোহিত হত। কবিও এমন বাঁশি হতে চান।
১৮. ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি বিশ্বকে নিঃক্ষত্রিয় করতে চান কেন?
ক্ষাত্রশক্তিকে বিনষ্ট করতে
খ) বিদ্রোহের অবসান ঘটাতে
গ) পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য
ঘ) শত্রুতা নিরসনের জন্য
সঠিক উত্তরঃ গ) পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা জন্য
ব্যাখ্যাঃ ক্ষত্রিয় হিন্দু সমপ্রদায়ের চার বর্ণের দ্বিতীয় বর্ণ। রাজ্যশাসন, রাজ্যরক্ষা এবং নিরাপত্তা বিধান করা এদের দায়িত্ব। হিন্দু পুরাণের এক বিশিষ্ট চরিত্র পরশুরাম। তিনি বহুবার তাঁর কুঠার দিয়ে অত্যাচারী ক্ষত্রিয় রাজাদের ধ্বংস করেন। আলোচ্য অংশে পরশুরামের প্রতীকে অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে কবি তার ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। কবিতায় কবি পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পরশুরামের কুঠার দিয়ে বিশ্ব থেকে ক্ষত্রিয়দের নিক্ষত্রিয় করতে চান। কবিতার ভাষায়, ‘নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব’এলাইনের মাধ্যমে কবির যুদ্ধ বিরোধী মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়।
১৯. মহা-বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত-এই রণ কীসের বিরুদ্ধে?
ক) অন্যায়-অত্যাচার
খ) ধর্মনাশের অপচেষ্টা
গ) স্বদেশের পরাধীনতা
ঘ) বৈশ্বিক মহামারি
সঠিক উত্তরঃ ক) অন্যায়-অত্যাচার
ব্যাখ্যাঃ প্রশ্নোক্ত কবির ‘রণ’ বা যুদ্ধ অন্যায়-অত্যাচার না বন্ধ হওয়া পর্যন্ত উৎপীড়িতের ক্রন্দন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দেন। কবি বলেন যে, ভীম ভয়ঙ্কর যুদ্ধক্ষেত্রে যতক্ষন অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ (অস্ত্রবিশেষ) যুদ্ধ করবে, ততক্ষণ রণভুমে অর্থাৎ তার রণ বা যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।
২০. কার ‘ক্রন্দনরোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না” – বলে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কবির কামনা? –
ক) অবমানিতের
খ) অত্যাচারিতের
গ) উৎপীড়িতের
ঘ) হতদরিদ্রের
সঠিক উত্তরঃ গ) উৎপীড়িতের
ব্যাখ্যাঃ বিদ্রোহী কবি বলিষ্ঠ ঘোষনায় জানিয়ে দেন যে, উৎপীড়িত জনতার ক্রন্দনরোল যতদিন পর্যন্ত প্রমশিত না হবে ততদিন এই বিদ্রোহী কবিসত্তা শান্ত হবে না। এই চির বিদ্রোহী অভ্রভেদী চির উন্নত শিররূপে বিরাজ করবে।
বিদ্রোহী কবিতার MCQ part 02
২১. বিদ্রোহী কবিতার ব্যবহৃত ঐতিহাসিক চরিত্র কোনটি?
ক) আর্ফিয়াস
খ) ইস্রাফিল
গ) নটরাজ
ঘ) চেঙ্গিস
সঠিক উত্তরঃ ঘ) চেঙ্গিস
ব্যাখ্যাঃ বিদ্রোহী কবিতায় ব্যবহৃত চেঙ্গিস চরিত্রটি ঐতিহাসিক। চেঙ্গিস খান (১১৫২-১২২৭) ছিলেন মঙ্গল জাতির দুর্ধর্ষ যোদ্ধা ও সামরিক নেতা। তাঁর নেতৃত্বে মঙ্গল জাতি মধ্য এশিয়ার বিশাল এলাকা জুড়ে মোঙ্গল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
২২. পঞ্চ-পান্ডবের দ্বিতীয় পান্ডব কে?
ক) শ্যাম
খ) ভীম
গ) পরশুরাম
ঘ) বলরাম
সঠিক উত্তরঃ খ) ভীম
ব্যাখ্যাঃ পঞ্চপান্ডবের দ্বিতীয় পান্ডব ছিলেন ভীম। তিনি গদাযুদ্ধে পারদর্শী ছিলেন।
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙ্গা প্রভাত
আমরা টুটাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল ।
২৩. উদ্দীপকটি কোন কবিতার ভাব ধারণ করে?
ক) আঠারো বছর বয়স
খ) সেই অস
গ) ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
ঘ) বিদ্রোহী
সঠিক উত্তরঃ ঘ) বিদ্রোহী
ব্যাখ্যাঃ উদ্দীপকে কবিতায় আঘাতের মাধ্যমে রাঙা প্রভাত আনতে, অন্ধকার দূর করতে বলা হয়েছে। ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কবিও সকল অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন।
আরো পড়ুন :
২৪. বৃষ্টি ও খাদ্য উৎপাদনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কে?
ক) বিশ্বামিত্র
খ) শ্যাম
গ) ইসরাফিল
ঘ) পিণাক-পাণি
সঠিক উত্তরঃ গ) ইসরাফিল
ব্যাখ্যাঃ বৃষ্টি ও খাদ্য উৎপাদনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতার নাম ইসরাফিল । তিনি মহাপ্রলয়কালে শিঙ্গায় ফুঁক দিবেন।
২৫. গ্রিক পুরাণের গানের দেবতা কে?
ক) অর্ফিয়াস
খ) অ্যাপোলো
গ) ইগ্ৰাস
ঘ) জিউস
সঠিক উত্তরঃ খ) অ্যাপোলো
ব্যাখ্যাঃ গ্রিক পুরাণের গানের দেবতা অ্যাপোলো ও মিউজ ক্যালোপির পুত্র অর্ফিয়াস ছিলেন মহান কবি ও শিল্পী। তবে মতান্তরে ইনি থ্রেসের রাজা ইগ্রাসের সন্তান। ইনি যন্ত্রসংগীতে পারদর্শী ছিলেন। তিনি যন্ত্রসংগীতে সকলকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতেন। ইনি সুরের ইন্দ্রজাল বিস্তার করে ভালোবাসার পাত্রী ইউরিডিসের মন জয় করেছিলেন। সুরের জাল বিস্তার করে অর্ফিয়াস মৃত ইউরিডিসের প্রাণ ফিরে পেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সামান্য ভুলের জন্য ঐ সাফল্য তাঁর অধরা থেকে যায়।
২৬. কার আদেশে পরশুরাম কুঠার দিয়ে মাতৃহত্যা করেন?
ক) রাজার
খ) পিতার
গ) দেবতার
ঘ) পরশুরাম
সঠিক উত্তরঃ খ) পিতার
ব্যাখ্যাঃ বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম। জমদগ্নি ও রেণুকার পঞ্চম পুত্র। অস্ত্র হিসেবে পরশু বা কুঠার ধারণ করায় তাঁর নাম হয় পরশুরাম। ইনি পিতার আদেশে কুঠার দিয়ে মাতৃহত্যা করেন। আবার সাধনাবলে মাকে বাঁচিয়ে তোলেন। তিনি একুশ বার ক্ষত্রিয়দের নিধন করেন। তিনি শ্রীকৃষ্ণের বৈমাত্রেয় জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা।
২৭. বিদ্রোহী কবিতায় কবি কাকে কুর্নিশ করেন?
ক) নিজেকে
খ) ঈশ্বরকে
গ) মাতৃভূমিকে
ঘ) মাতা-পিতাকে
সঠিক উত্তরঃ ক) নিজেকে
ব্যাখ্যাঃ বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি নিজেই নিজেকে কুর্নিশ করেন, কবিতার ভাষায় ‘আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ!”
২৮. ‘আমি দলে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল’- এই পঙ্কক্তির মাধ্যমে বুঝানো হয়েছে-
ক) কবির কোনো পরোয়া নেই
খ) কবি নির্ভার
গ) কবি নির্দ্বান্দ্বিক
ঘ) কবি মুক্ত
সঠিক উত্তরঃ ক) কবির কোনো পরোয়া নেই
ব্যাখ্যাঃ “বিদ্রোহী” কবিতার কবি সমস্ত অন্যায় আর অনিয়মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। তিনি কোনো বন্ধন-নিয়ম-শৃঙ্খলা মানেন না। তাই তাদের নিয়মকে কবি কোনো পরোয়াও করেন না। তাই তাদের নিয়মকে কবি কোনো পরোয়াও করেন না।
২৯. ‘বিদ্রোহী’ কবিতা রচনার শতবর্ষ পূর্ণ হয়েছে-
ক) ২০১৯ সালে
খ) ২০২০ সালে
গ) ২০২১ সালে
ঘ) ২০২২ সালে
সঠিক উত্তরঃ ঘ) ২০২২ সালে
ব্যাখ্যাঃ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’ (১৯২২) থেকে সংকলিত হয়েছে। উল্লিখিত হিসাব অনুসারে ‘বিদ্রোহী’ কবিতা রচনা শতবর্ষ পূর্ণ হয়েছে ২০২২ সালে।
৩০. ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ কত সালে প্রকাশিত হয়?
ক) ১৯২১ সাল
খ) ১৯২২ সাল
গ) ১৯২৩ সাল
ঘ) ১৯২০ সাল
সঠিক উত্তরঃ খ) ১৯২২ সাল
ব্যাখ্যাঃ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’ (১৯২২) থেকে সংকলিত হয়েছে। উল্লিখিত হিসাব অনুসারে ‘বিদ্রোহী’ কবিতা রচনা শতবর্ষ পূর্ণ হয়েছে ২০২২ সালে।
৩১. ‘জাগ রে কৃষাণ, সব তো গেছে, কীসের আর ভয়- উদ্দীপকটিতে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার যে ভাব ফুটে ওঠেছে—
ক) বিদ্রোহ
খ) সংগ্ৰাম
গ) প্ৰতিবাদ
ঘ) প্রতিরোধ
সঠিক উত্তরঃ ঘ) প্রতিরোধ
ব্যাখ্যাঃ উদ্দীপকের কৃষকের সবই গেছে, তার আর ভয় নেই, তাকে এখন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কবিও সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বলেছেন।
৩২. বিদ্রোহী কবি-
i) সবকিছু ভেঙে চুরমার করেন
ii) আইন অমান্য করেন
iii) অপরাধীকে শাস্তি দেন
নিচের কোনটি সঠিক
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তরঃ ক) i ও ii
ব্যাখ্যাঃ বিদ্রোহী কবিতায় কবি অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। তিনি শোষকনির্যাতকদের প্রতিষ্ঠিত আইন অমান্য করেন। কেননা এগুলোর দ্বারা মানুষকে বন্দি করা হয়েছে। আবার তিনি জরাজীর্ণ পৃথিবী ভেঙে চুরমার করতে চান। পৃথিবীর জঞ্জাল পরিষ্কার করে নতুন পৃথিবী গড়তে চান কবি। কারণ ন্যায় ও সাম্যের প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন একটি পৃথিবী গড়া দরকার।
৩৩. কবির মতে, তিনি পিণাক-পাণির-
i) ডমরু
ii) ত্রিশূল
iii) মহাশঙ্খ
নিচের কোনটি সঠিক
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তরঃ ক) i ও ii
ব্যাখ্যাঃ কবির মতে তিনি পিণাক পাণির ডমরু ত্রিশূল। মহাদেব শিব পিণাক নামক ধনু ধারণ করেন। আর তাঁর অন্য হাতে থাকে ডমরু নামক ডুগডুগি জাতীয় বাদ্যযন্ত্র ও ত্রিশূল। কবিও এমন ক্ষমতা লাভ করতে চান। অন্যদিকে বিষ্ণু বা সুদর্শনের চারটি হাতের একটি হাতে মহাশঙ্খ থাকে।
৩৪. কবির প্রেমিক সত্তার পরিচয় বহনকারী চরণ—
i) আমি আকুল নিদাঘ-তিয়াসা
ii) আমি অফিয়াসের বাঁশরী
iii) আমি শ্যামের হাতের বাঁশরী
নিচের কোনটি সঠিক
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তরঃ গ) ii ও iii
৩৫. মহা-প্রলয়ের সাথে সম্পর্ক আছে-
i) নৃশংসতার
ii) নটরাজের
iii) ইসরাফিলের সিঙ্গার
নিচের কোনটি সঠিক
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তরঃ গ) ii ও iii
ব্যাখ্যাঃ মহাপ্রলয়ের সাথে ইস্রাফিলের শিঙ্গা এবং নটরাজের সম্পর্ক রয়েছে। ইসলাম ধর্মমতে, কিয়ামত বা মহাপ্রলয়কালে ইস্রাফিলের শিঙ্গা ব্যবহৃত হবে। অন্যদিকে নটরাজের উদ্দাম নৃত্যের ফলে সৃষ্টি ধ্বংস হবে বলে নিচের কে ভারতীয় পুরাণে বলা হয়েছে।
৩৬. দুর্গমগিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার লঙ্ঘিত হবে রাত্রি নিশীথে যাত্রীরা হুঁশিয়ার উদ্দীপকের কবি এবং সৈয়দ শামসুল হকের মিল-
i) সংগ্রামী চেতনায়
ii) বিরহ বোধে
iii) দৃষ্টিভঙ্গিতে
নিচের কোনটি সঠিক
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তরঃ খ) i ও iii
ব্যাখ্যাঃ উদ্দীপকের কবিতাংশটি কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার। কবিতাটি কবির সংগ্রামী চেতনাকে প্রকাশ করে। কবি সৈয়দ শামসুল হকও তার ‘নূরুলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতায় ১৯৭১ সালের বাঙালির সংগ্রামে রংপুরের নূরুলদীনের সংগ্রামী চেতনাকে প্রত্যাশা করেছেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের কবি এবং সৈয়দ শামসুল হকের মিল সংগ্রামী চেতনা আর দৃষ্টিভঙ্গিতে।
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও: বিদ্রোহী কবিতার mcq প্রশ্ন ও উত্তর
“ভাঙা ঘর, ফাঁকা ভিটেতে রয়েছে নির্জনতার কালো হে মহামানব, এখানে শুকনো পাতায় আগুন জ্বালো।”
৩৭. উদ্দীপকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ পঙ্কক্তি কোনটি?
ক) মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী
খ) আমি মানি না কোন কোন আইন
গ) বলবীর-বল উন্নত মম শির।
ঘ) আমি উম্মন মন উদাসীর
সঠিক উত্তরঃ গ) বলবীর-বল উন্নত মম শির।
ব্যাখ্যাঃ উদ্দীপকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ পঙ্কক্তি হলো বলবীর – বল উন্নত মম শির। উক্ত বাক্যে মাথা উঁচু করে সাহস নিয়ে এগিয়ে যাবার প্রেরণা দেয়া হয়েছে। উদ্দীপকেও শূন্য ভিটেয় মহামানবকে আগুন জ্বালিয়ে অত্যাচারী রাজশক্তিকে সতর্কবার্তা প্রদান করা হয়েছে।
৩৮. উদ্দীপকে বিদ্রোহী’ কবিতার কোন ভাবের প্রকাশ ঘটেছে?
ক) মহানুভবতার অনিন্দ্য প্রকাশ
খ) বিপ্লবী চেতনার অবসায়নের আহ্বান
গ) অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান
ঘ) রাজশক্তিকে সতর্কবার্তা প্ৰদান
সঠিক উত্তরঃ ঘ) রাজশক্তিকে সতর্কবার্তা প্ৰদান
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৯ ও ৪০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও: বিদ্রোহী কবিতার MCQ প্রশ্ন ও উত্তর pdf download
“এই যে মায়ের অনাদরে ক্লিষ্ট শিশুগুলি,
পরনে নেই ছেঁড়া কানি, সারা গায়ে ধূলি।
সারাদিনের অনাহারে শুষ্ক বদনখানি
ক্ষিধের জ্বালায় ক্ষুণ্ণ, তাতে জ্বরের ধুকধুকানি।”
৩৯. উদ্দীপকে বিদ্রোহী’ কবিতার কোন দিকটি ফুঠে উঠেছে?
ক) নিপীড়িতের বেদনা
খ) বিদ্রোহী মনোভাব
গ) প্রেম ও দ্রোহের সমন্বয়
ঘ) বিধ্বংসী মনোভাব
সঠিক উত্তরঃ ক) নিপীড়িতের বেদনা
ব্যাখ্যাঃ উদ্দীপকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার নিপীড়িতের বেদনার দিকটি ফুটে উঠেছে। ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি নিজেকে নিপীড়িতের বেদনার সাথে একাত্ম, করেছেন। তিনি নিজেকে বঞ্চিত ব্যথা, অবমানিতের মরমবেদনা, ইত্যাদি কথা দ্বারা অসহায়, নিপীড়িত, সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট অনুভবের কথা প্রকাশ করেন। উদ্দীপকেও সাধারণ বঞ্চিত মানবশিশুর দুঃখ-কষ্টের এবং অনাহারের চিত্রটি এসেছে।
৪০. উদ্দীপকের সমান্তরাল ভাবনা ‘বিদ্রোহী’ কবিতার যে চরণে ফুটে উঠেছে তা হলো—
i) আমি বিদ্রোহ-বাহী নিখিল অখিল ব্যাপিয়া
ii) আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের
iii) আমি অবমানিতের মরম বেদনা
নিচের কোনটি সঠিক
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তরঃ গ) ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪১ ও ৪২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও: বিদ্রোহী কবিতার MCQ for hsc pdf
ফকির মজনু শাহ ও ভবানী পাঠক ইংরেজ শাসকদের অপশাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলনের পথ বেছে নেন ৷
৪১. উদ্দীপকের ফকির মজনু শাহ ও ভবানী পাঠক ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কার প্রতিনিধিত্ব করে?
ক) ইসরাফিল
খ) বিশ্বামিত্র
গ) কবি
ঘ) পথবাসী
সঠিক উত্তরঃ গ) কবি
ব্যাখ্যাঃ ফকির মজনু শাহ ও ভবাণী পাঠক ইংরেজদের অপশাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলনের পথ বেছে নেন, যা তাদের বিদ্রোহী-মনোভাবের এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থানকে সমর্থন করে। ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কবিও ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ, অন্যায় নিয়ম-কানুনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন।
৪২. ফকির মজনু শাহ ও ভবানী পাঠক-এর আন্দোলনের সঙ্গে মিল রয়েছে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার-
i) মানবপ্রেম ভাবনায়
ii) বিদ্রোহ মনোভাবের
iii) অন্যায়ের বিরুদ্ধে কবির অবস্থানের
নিচের কোনটি সঠিক
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তরঃ গ) ii ও iii
ব্যাখ্যাঃ ফকির মজনু শাহ ও ভবাণী পাঠক ইংরেজদের অপশাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলনের পথ বেছে নেন, যা তাদের বিদ্রোহী-মনোভাবের এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থানকে সমর্থন করে। ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কবিও ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ, অন্যায় নিয়ম-কানুনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন।
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৩ ও ৪৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও: বিদ্রোহী কবিতার MCQ PDF
তিতুমীর পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত জেলায় বিটিশ-সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেন। বিশাল ইংরেজ বাহিনীকে ও তাদের অস্ত্রসস্ত্র দেখে তিনি ভীত হননি।
৪৩. উদ্দীপকের তিতুমীরের সাথে “বিদ্রোহী’ কবিতার কার মিল রয়েছে?
ক) দুর্বাসার
খ) কবির
গ) বিশ্বামিত্রের
ঘ) ইস্রাফিলের
সঠিক উত্তরঃ খ) কবির
ব্যাখ্যাঃ উদ্দীপকের তিতুমীরের সাথে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কবির মিল রয়েছে। উদ্দীপকে তিতুমীর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন। অপরদিকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি সমস্ত অন্যায়-অত্যাচার- শোষণের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। উদ্দীপকে ও ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় বিদ্রোহ’ চেতনার প্রকাশ ঘটেছে। দুইক্ষেত্রেই দ্রোহ এবং আপসহীনতার প্রকাশ ঘটেছে।
৪৪. উক্ত মিলের অন্তর্নিহিত কারণ-
i) দ্রোহ চেতনা
ii) আপসহীন মনোভাব
iii) মানবপ্রেম
নিচের কোনটি সঠিক
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তরঃ ক) i ও ii
এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র বিদ্রোহী কবিতার MCQ প্রশ্ন ও উত্তর pdf download