এইচএসসি বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার নোটটি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যার মাধ্যমে তুমি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে ।এই লেকচারে অন্তর্ভুক্ত আছে কবিতার ব্যাখ্যা, সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, কবিতার মূলভাব, জ্ঞানমূলক ও mcq pdf । তাই আর দেরি না করে আমাদের বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার লেকচার শীটটি পড়ে ফেলুন ।।
বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ
মাইকেল মধুসুদন দত্ত
কবি পরিচিতি ও সাহিত্যকর্ম
জন্ম পরিচয়:
১৮২৪ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি, যশোর জেলার কেশবপুর থানাধীন সাগরদাঁড়ি গ্রাম। পিতা: রাজনারায়ণ দত্ত। মাতা: জাহ্নবী দেবী।
শিক্ষাজীবন:
কলকাতায় লালবাজার গ্রামার স্কুল, হিন্দু কলেজ এবং পরবর্তীকালে বিশপস কলেজে ভর্তি হন। তিনি ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য বিলেতে গিয়েছিলেন।
খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ:
১৮৪৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি (১৯ বছর বয়সে) খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হন।
মৃত্যুবরণ: ১৮৭৩ সালে ২৯ জুন। সমাধিস্থান: কলকাতার লেয়ার সার্কুলার রোড।
নাটক:
শর্মিষ্ঠা (১৮৫৯), পদ্মাবর্তী (১৮৬০), কৃষ্ণকুমারী (১৯৬১), মায়াকানন (১৮৭৪), কীর্তিবিলাস (১৮৫২), Rizia (অসমাপ্ত নাট্য-কাব্য), শুভদ্রা, বিষ না মধুগুণ।
কাব্য:
The Captive Ladie (১৯৪৯), ব্রজাঙ্গনা কাব্য (১৯৬১), চতুর্দশপদী কবিতাবলী (১৮৬৬), তিলোত্তমাসম্ভর কাকা (১৮৬০), বীরাঙ্গনা কাব্য (১৮৬২)।
প্ৰহসন:
একেই কি বলে সভ্যতা? (১৮৬০), বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ (১৮৬০)।
মহাকাব্য: মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১)।
কবি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি
★ মধুসূদন দত্ত নিজের নামের শুরুতে মাইকেল যোগ করেন ১৮৪৩ সালে।
★ কৰি ছাড়াও তিনি অন্য যে পরিচয়ে স্বনামধন্য ছিলেন নাট্যকার।
★ মধুসূদন দত্তের রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক গীতিকাব্যের নাম – ব্রজাঙ্গনা ।
★ মধুসূদন দত্তের বন্ধুর নাম রাজনারায়ণ বসু।
★ পেত্রার্ক যে দেশের কবি ছিলেন ইতালিয়ান ।
★ বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক মহাকাব্যের নাম মেঘনাদবধ কাব্য।
★ মাইকেল মধুসূদন দত্ত বিভিন্ন ভাষায় শিক্ষা লাভ করেন শিবপুরের বিশপস কলেজে অবস্থানকালে।
★ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম কাব্য – তিলোত্তমাসম্ভর কাব্য।
★ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক – কৃষ্ণকুমারী।
★ ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ গ্রন্থে সর্গ সংখ্যা ৯টি।
★ মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ প্রকৃতপক্ষে – বীর রসের কাব্য।
★ মাইকেল মধুসূদন দত্ত মূলত – উনিশ শতকের কবি।
★ মধুসূদন দত্তকে বলা হয়- বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি। কারণ তিনিই প্রথম সাহিত্যের মাধ্যমে সামাজিক বিদ্রোহ করেন।
★ মহাভারতের দেবযানী যযাতি উপাখ্যান অবলম্বনে লেখা নাটক – শর্মিষ্ঠা।
★ গ্রিক পুরাণ থেকে কাহিনি সংগ্রহ করে লেখা নাটক পদ্মাবতী।
★ বাংলা সাহিত্যে তিনি প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগ করেন পদ্মাবতী নাটকে (দ্বিতীয় অঙ্ক দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে)।
★ তিনি হোমারের ইলিয়াড’ এর উপাখ্যান অবলম্বন করে বাংলা গদ্যের রচনা করেন হেক্টরধ (১৮৭১)।
★ রাতপুত ইতিহাসের বিয়োগান্তক আখ্যান অবলম্বনে লেখা নাটক – কৃষ্ণকুমারী।
* আচারনিষ্ঠ প্রাচীনপন্থী রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের গোপন লাম্পট্যকে পরিহাস করে লেখা প্রহসন বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ।
* তিনি মাদ্রাজের উদ্দেশে কলকাতা ত্যাগ করেন ২৪ বছর বয়সে।
★ মধুসূদন যেসব ভাষায় দক্ষ ছিলেন- বাংলা, ইংরেজি, গ্রিক, ল্যাটিন, সংস্কৃত, হিব্রু, পার্সি, জার্মান, ইটালিয়ান, তামিল ও তেলেগু ভাষায় ।
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতা সম্পর্কিত তথ্যাবলি
★ “বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশটুকু মাইকেল মধুসূদন দত্তরে ‘মেঘনাদবধ কাব্য’র “বধো’ (বধ) নামক ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত।
★ “বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশটি ১৪ মাত্রার অমিল প্রবহমান যতিস্বাধীন অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত ।
★ নিকষা সতী তোমার জননী, সহোদর রক্ষঃশ্রেষ্ঠ? এখানে ‘সহোদর’ হলো বিভীষণের ভাই রাবণ ।
★ রামানুজকে মেঘনাদ শমন-ভবনে পাঠাতে চেয়েছে।
★ কেমনে ও মুখে আনিলে এ কথা, তাত, কহ তা দাসেরে!’ এখানে ‘দাসেরে’ হলো মেঘনাদ ।
আরো পড়ুন :
★ কুম্ভকর্ণের মায়ের নাম- নিকষা।
★ ইন্দ্রের অপর নাম- বাসব।
★ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ মেঘনাদ মহারথী’ বলে সম্বোধন করেছে – বিভীষণকে।
★ ‘প্রফুল্ল কমলে কীটবাস’ উক্তিটি মেঘনাদের।
★ লক্ষ্মণের মায়ের নাম সুমিত্রা।
★ মেঘনাদ ‘দুরাচার দৈত্য’ বলে অভিহিত করেছে – লক্ষ্মণকে
★ ‘বীরেন্দ্র বলী’ বলা হয়েছে মেঘনাদকে।
★ “নির্গুণ স্বজন শ্রেয়ঃ,পরঃপরঃ সদা!’ উক্তিটি – মেঘনাদের।
★ জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব, জাতি – এ সকলে দিলা জলাগুলি? জলাঞ্জলি দিয়েছে – . বিভীষণ
★ ‘অরিন্দম’ অর্থ- অরি বা শত্রুকে দমন করে যে।
★ ‘শূলিশম্ভুনিভ’ অর্থ – শূলপাণি মহাদেবের মতো।
★ ‘তস্কর’ অর্থ- চোর।
★ ‘ধীমান’ অর্থ- ধীসম্পন্ন বা জ্ঞানী।
★ ‘বিধু’ অর্থ – চাঁদ।
★ ‘প্রগলভে’ অর্থ – নির্ভীক চিত্তে।
★ রুষিলা অর্থ – রাগান্বিত হলো।
★ মন্ত্র অর্থ – শব্দ ।
★ ‘জীমূতেন্দ্ৰ’ অর্থ- মেঘের ডাক বা আওয়াজ ।
এইচএসসি বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার লেকচার শীটটি ডাউনলোড করুন :