মানব কল্যাণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড করুন। ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধে লেখক বলতে চেয়েছেন, মানব-কল্যাণ মানব- মর্যাদার সহায়ক। মানুষকে মানুষ হিসেবে এবং মানবিক বৃত্তির বিকাশের পথেই বেড়ে উঠতে হবে; আর তার যথাযথ ক্ষেত্র রচনাই মানব-কল্যাণের প্রাথমিক সোপান। সাধারণভাবে অনেকে দুস্থ মানুষদের করুণাবশত দানখয়রাত করাকে মানব-কল্যাণ মনে করে। কিন্তু লেখকের মতে, মানব-কল্যাণের লক্ষ্য সকল অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় মানুষের উত্তরণ ঘটানো।
মানব কল্যাণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৫ PDF
১। জাকির ও জীবন দুই ভাই। লেখাপড়ায় ভালো, সমাজের উন্নয়নমূলক কাজেও তারা অংশগ্রহণ করে। তাদের পাশের গ্রামে পাহাড় ধসে অনেক বাড়ি-ঘর পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে। সেখানে বহু মানুষ আটকা পড়ে। দুই ভাই সেখানে ছুটে যায় কিন্তু জাকির উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করলেও জীবন দাঁড়িয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে এবং কিছু আর্থিক সাহায্য করে। পাশাপাশি জাকির উদ্ধার কাজ শেষে তাদের সার্বিক পুনর্বাসনের চেষ্টা করে
ক. র্যাশনাল শব্দের অর্থ কী?
খ.’মানব কল্যাণ’ কীভাবে মানব-মর্যাদার সহায়ক হয়ে উঠবে?
গ. ‘জীবন’ চরিত্রের মধ্যে মানব কল্যাণের কোন দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “জীবন নয়, জাকির চরিত্রের মধ্য দিয়ে মানব কল্যাণের আদর্শ ফুটে উঠেছে” — ‘মানব কল্যাণ’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটির মূল্যায়ন কর।
উত্তর:
ক। উঃ র্যাশনাল শব্দের অর্থ বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন।
খ। উঃ মানব-কল্যাণ মানব মর্যাদার সহায়ক হয়ে উঠবে কল্যাণময় পৃথিবী রচনা হলে। কোনো মানুষকে দয়া বা করুণার বশবর্তী হয়ে দান খয়রাত না করে তাকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখিয়ে দেয়া উচিত। এতে তার মর্যাদাবোধ বৃদ্ধি পাবে, মানবিক চেতনার বিকাশ হবে। একমাত্র মুক্ত বিচারবুদ্ধির সাহায্যে বিজ্ঞানের অভাবনীয় আবিষ্কারকে ধ্বংসের পরিবর্তে সৃজনশীল মানবিক কর্মে নিয়োগ করা গেলেই মানব-কল্যাণ মানব মর্যাদার সহায়ক হয়ে উঠবে।
গ। উঃ উদ্দীপকের ‘জীবন’ চরিত্রের মাধ্যমে জৈব অস্তিত্বের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনমূলক মানবকল্যাণের দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
উদ্দীপকে জীবনদের পাশের গ্রামে পাহাড় ধ্বসে অনেক বাড়ি-ঘর পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে। সেখানে বহু মানুষ আটকা পড়ে। জীবন দাঁড়িয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে এবং কিছু আর্থিক সাহায্য করে। শুধুমাত্র আর্থিক সাহায্য করেই জীবন তার মনুষ্যত্বের প্রতিফলন ঘটায়। এই এককালীন সাহায্য কোন ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারে না। কারণ এই ধরনের সাহায্য মানুষের দীর্ঘস্থায়ী বসবাসের জন্য উপযুক্ত সমাধান হতে পারে না।
“মানব-কল্যাণ” প্রবন্ধে লেখক এইসব সাহায্যকে জৈবঅস্তিত্ব তাড়িত মানবকল্যাণ বলেছেন। জৈবঅস্তিত্ব তাড়িত মানবকল্যাণ কখনো ফলপ্রসূ হতে পারেনা। তাছাড়া এ ধরনের মানব কল্যাণের কুৎসিত ছবি দেখার জন্য দূরদূরান্তে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, যেমনটি আমরা উদ্দীপকের ‘জীবনের’ ক্ষেত্রে দেখতে পাই।
ঘ। উঃ “জীবন নয়, জাকির চরিত্রের মধ্য দিয়ে মানব কল্যাণের আদর্শ ফুটে উঠেছে” – ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি যথার্থ হয়েছে।
উদ্দীপকে জাকির ও জীবন দুই ভাই। লেখাপড়ায় ভালো, সমাজের উন্নয়নমূলক কাজেও তারা অংশগ্রহণ করে। তাদের পাশের গ্রামে পাহাড় ধ্বসে অনেক বাড়ি-ঘর পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে। সেখানে বহু মানুষ আটকা পড়ে। দুই ভাই সেখানে ছুটে যায় কিন্তু জাকির উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করলেও জীবন দাঁড়িয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে এবং কিছু আর্থিক সাহায্য: করে। পাশাপাশি জাকির উদ্ধার কাজ শেষে তাদের সার্বিক পুনর্বাসনের চেষ্টা করে।
‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বলতে চেয়েছেন মানব-কল্যাণ হলো মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াস। এ কল্যাণের লক্ষ্য সকল অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় মানুষের উত্তরণ ঘটানো। এক্ষেত্রে সাহায্যকারীকে এমনভাবে সাহায্য করা উচিত যেন সাহায্য গ্রহণকারী ব্যক্তি স্বাবলম্বী হতে পারে নিজের পরিশ্রমের দ্বারা। তাকে যেন দ্বিতীয়বার অন্য কারো কাছে হাত না পাততে হয়। আর এর মাধ্যমেই তার মর্যাদাবোধ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও, লেখকের মতে প্রত্যেককেই নিজ নিজ স্থান থেকে পরিশ্রমী হতে হবে। যেমনটি উদ্দীপকের জাকির নিজে উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করে মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হিসেবে জাকির উদ্ধার কাজ শেষে তাদের সার্বিক পুনর্বাসনের চেষ্টা করে।
তাই বলা যায়, জীবন নয়, জাকির চরিত্রের মধ্য দিয়ে মানব কল্যাণের আদর্শ ফুটে উঠেছে।
২। শিক্ষানুরাগী আলী হায়দার অবসর গ্রহণের পর গড়ে তোলেন আলোকবর্তিকা নামক সেবা সংগঠন। যার মাধ্যমে বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজের পাশাপাশি পথশিশুদের শিক্ষাদান, দুর্নীতি-বিরোধী প্রচারণা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ বিষয়ক নানা সেমিনারের আয়োজন করেন। বেকারদের কর্মক্ষম করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিজ জমানো টাকায় ‘আলী হায়দার টেকনিক্যাল কলেজ’ স্থাপন করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে বেকার যুবক-যুবতীরা প্রশিক্ষিত হয়ে দেশ-বিদেশে চাকরি করে এলাকার সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে। মানব কল্যাণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
ক. কোন মনোভাব নিয়ে কারো কল্যাণ করা যায় না?
খ.”মানব-কল্যাণ অলৌকিক কিছু নয় এ এক জাগতিক মানবধর্ম।”—উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ.উদ্দীপকের সাথে ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের সাদৃশ্যপূর্ণ দিক তুলে ধর।
ঘ. “মানব মর্যাদায় উদ্বুদ্ধ জীবন চেতনাই মানব-কল্যাণের মূলকথা।”—উদ্দীপক এবং প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
উত্তর:
ক) উঃ বিভক্তি করনের মনোভাব নিয়ে কারো কল্যাণ করা যায় না ।
(খ) উঃ মানুষের স্বাভাবিক অধিকার আর মর্যদা প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় মানব-কল্যাণ কথাটি স্রেফ মানব-অপমানে পরিণত হয়েছে। মানব কল্যাণ এক জাগতিক মানবধর্ম। এরসাথে রয়েছে মানব মর্যাদার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। মানুষের স্স্বাভাবিক অধিকার আর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রকৃত মানব – কল্যাণ হয়।
গ) উঃ উদ্দীপকের সাথে’ মানব কল্যাণ’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য রয়েছে ।
মানবকল্যাণ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক মানবকল্যাণের প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরেছেন ।প্রাবন্ধিকের মতে করুণার বশবর্তী হয়ে দান খয়রাত কখনোই মানবকল্যাণ হতে পারে না ।মানুষ এখন গোষ্ঠীবদ্ধ জীব নয় বৃহত্তর মানবতার অংশ ।বিভক্তি করনের মনোভাব মানুষকে কেবল বিভক্তিই করে থাকে ।আর বিভক্তি কখনো কল্যাণ বয়া আনে না ।কল্যাণ বয়ে আনতে পারে একমাত্র সমতা আর সহযোগিতার পথ ।তাই সংকীর্ণতা বা গোঁড়ামি মুক্ত হয়ে সর্ব জীবের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াসী হচ্ছে মানবকল্যাণ ।
শিক্ষাঅনুরাগী আলী হায়দার অবসর গ্রহণের পর গড়ে তোলেন আলোকবর্তিকা নামক সেবা সংগঠন ।যার মাধ্যমে বিভিন্ন সমাজ কল্যাণমূলক কাজের পাশাপাশি পথশিশুদের শিক্ষাদান ,দুর্নীতি বিরোধী প্রচারণা ,নৈতিকতা, মূল্যবোধ ,বিষয়ক নানা সেমিনারের আয়োজন করেন ।বেকারদের কর্মক্ষম করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিজ জমানো টাকায় আলী হায়দার টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপন করেন ।উক্তা প্রতিষ্ঠান থেকে বেকার যুবক-প্রতি প্রশিক্ষিত হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করে এলাকার সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনছে ।যা মানব কল্যাণ প্রবন্ধের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ।
ঘ) উঃ “মানব মর্যাদায় উদ্বুদ্ধ জীবন চেতনাই মানব-কল্যাণের মূলকথা।”—উদ্দীপক এবং প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটির যথার্থ।
‘মানব কল্যাণ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক সমাজে প্রচলিত মানবকল্যাণ কথাটির উপলব্ধিহীন প্রয়োগের বিভিন্ন দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন ।স্রেফ দান খয়রাত আর কাঙ্গালি ভোজনের মত কাজকে মানব কল্যাণ মনে করলি মানব মর্যাদার অবমাননা ঘটে ।পাশাপাশি প্রাবন্ধিক প্রকৃত মানব কল্যাণ কিভাবে সম্ভব তার বিস্তারিত দিক তুলে ধরেছেন ।সংকীর্ণতা বা গোড়ামী মুক্ত হয়ে মানুষের সার্বিক মঙ্গলের কথা ভাবতে হবে ।কেবল মুক্তাবুদ্ধির চর্চা করে সুপরিকল্পিত পথে বিজ্ঞানের অভাবনীয় আবিষ্কারকে ধ্বংসের পরিবর্তে সৃজনশীল মানবিক কর্মের নিয়োগ করে কল্যাণময় পৃথিবী রচনা সম্ভব ।
উদ্দীপকে দেখা যায় শিক্ষানুরাগী আলী হায়দার অবসর গ্রহণের পর গড়ে তোলেন আলোকবর্তিকা নামক সেবা সংগঠন ।যার মাধ্যমে বিভিন্ন সমাজ কল্যাণমূলক কাজের পাশাপাশি পথশিশুদের শিক্ষাদান ,দুর্নীতিবিরোধী প্রচারণা, নৈতিকতা ,মূল্যবোধ বিষয়ক নানা সেমিনারের আয়োজন করেন ।তাছাড়া বেকারদের কর্মক্ষম করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিজ খরচে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন ।
মানবকল্যাণ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক সত্যিকারের মানবকল্যাণ কি তা বিশ্লেষণের সাথে সাথে আমাদের দেশের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছেন ।আমরা ভিক্ষুককে এক মুষ্টি ভিক্ষা দেওয়া কে মানব কল্যাণ বলে মনে করলেও এতে মানব মর্যাদার অবমাননা ঘটে ।মানবকল্যাণের প্রাথমিক সোপান রচনা করার প্রধান দায়িত্ব সমাজ ও রাষ্ট্রের হলেও পরিবারকেও এই দায়িত্ব পালন করতে হবে ।বিভক্তি করনের মনোভাব নিয়ে কারো কল্যাণ করা যায় না ।তাই মুক্ত বুদ্ধির চর্চার মাধ্যমে সর্বজীবের সার্বিক হিতের কথা ভাবতে হবে ।তাই বলা যায় যে ,উদ্দীপকের মন্তব্যটি মানবকল্যাণ প্রবন্ধের একটি আংশিক প্রতিচ্ছবি, পূর্ণাঙ্গ নয় ।
৩। মাদার তেরেসা অশৈশব স্বপ্ন দেখেন মানবসেবার। একসময় যোগ দেন খ্রিষ্টান মিশনারি সংঘে। মানুষকে আরও কাছে থেকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠা করেন মিশনারিজ অব চ্যারিটি। তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আরও অনেকেই এগিয়ে আসেন এ মহান কাজে। একসময় এ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি লাভ করেন নোবেল পুরস্কার। সারা জীবনের তাঁর সবটুকু উপার্জনই বিলিয়ে দেন মানবের কল্যাণে।
ক. মানব-কল্যাণের উৎস কীসের মধ্যে নিহিত?
খ. কীভাবে কল্যাণময় পৃথিবী রচনা সম্ভব বলে প্রাবন্ধিক মনে করেন?
গ. উদ্দীপকে, ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা আলোচনা করো।
ঘ. ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের সমগ্র ভাবনার বিষয় কী উদ্দীপকটিতে ফুটে উঠেছে? যে যে বিষয়গুলো অনুপস্থিত তার প্রাসঙ্গিকতা বিশ্লেষণ করো।
Read More:
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র বিলাসী সৃজনশীল প্রশ্ন
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র আমার পথ সৃজনশীল প্রশ্ন
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র সোনার তরী অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
৪। এ বছরের কালবৈশাখী ঝড়ে বশিরের হালের গরু মারা যায় এবং ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। সবকিছু থাকার পরেও তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। অন্য কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে, সে এলাকার চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে যায়। চেয়ারম্যান সাহেব সবকিছু শুনে একজোড়া হালের বলদ কিনে দেয় এবং আবার নতুন করে চাষাবাদ শুরু করতে বলে। চেয়ারম্যান সাহেবের কথামতো কঠোর পরিশ্রম করে মাত্র কয়েক মাসেই তার ঘরে নতুন ফসল আসে।
ক. মানব-কল্যাণের প্রাথমিক সোপান কী?
খ. ‘ওপরের হাত সব সময় নিচের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ।’ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়?-আলোচনা কর।
ঘ. “পরিশ্রমই মর্যাদাপূর্ণ জীবনের পূর্বশর্ত।”- উদ্দীপক ও ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের আলোকে এ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
৫। নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল,
তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল,
গাভি কভু নাহি করে নিজ দুগ্ধ পান;
কাষ্ঠ দগ্ধ হয়ে করে পরে অন্ন দান।
স্বর্ণ করে নিজ রূপে অপরে শোভিত,
বংশী করে নিজ সুরে অপরে মোহিত।
শস্য জন্মাইয়া নাহি খায় জলধরে;
সাধুর ঐশ্বর্য শুধু পরহিত তরে।
ক. আবুল ফজল ছাত্রজীবনে কোন আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন?
খ. ‘স্রেফ সদিচ্ছার দ্বারা মানব-কল্যাণ সাধিত হয় না।’- ব্যাখ্যা করো।
গ. ‘উদ্দীপকে ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের আংশিক প্রতিফলন। উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
৬। মাদার তেরেসা আশৈশব স্বপ্ন দেখেন মানবসেবার। একসময় যোগ দেন খ্রিষ্টান মিশনারির সঙ্গে। মানুষকে আরও কাছে থেকে সেবা দেয়ার লক্ষ্যে তিনি সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠা করেন মিশনারিজ অব চ্যারিটি। তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আরো অনেকেই এগিয়ে আসেন এ মহান কাজে। এক সময় এ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি লাভ করেন নোবেল পুরস্কার। সারাজীবনে তাঁর সবটুকু উপার্জনই বিলিয়ে দেন মানবের কল্যাণে। যে মানুষ হবে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন সাবলম্বী মানুষ। এজন্যই তাঁর চ্যারিটি গতানুগতিক কোন সেবা-সংস্থা নয়। মানব কল্যাণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
ক. আমাদের প্রচলিত ধারণা আর চলতি কথায় মানবকল্যাণ কথাটা অনেক খানি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়?
খ.” রাষ্ট জাতির যৌথ জীবন আর যৌথ চেতনারই প্রতীক” – উক্তিটি দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে ?
গ. উদ্দীপকটি ‘মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.“তাঁর চ্যারিটি গতানুগতিক কোনো সেবা সংস্থা নয়”—মানব কল্যাণ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি মূল্যায়ন কর।
৭। ভেলরি টেইলর, বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধুর নাম। ৭২ বছর বয়সী এই মহান ব্যক্তি কর্মজীবনে লাভ করেছেন নানা স্বীকৃতিসহ সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি। স্বেচ্ছাসেবা এবং সম্পূর্ণ আপন প্রচেষ্টায় সিআরপি প্রতিষ্ঠা করে তিনি দুস্থ, নিঃসহায় মানুষের জন্য বিশ্বে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে পঙ্গুত্বের শিকার হাজার হাজার মানুষকে স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরিয়ে আনতে তার গড়া সিআরপি নজিরবিহীন ভূমিকা পালন করছে।
ক. সত্যিকার মানব-কল্যাণ কিসের ফসল?
খ. মানব-কল্যাণ কীভাবে মানব-মর্যাদার সহায়ক হয়ে উঠবে? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের সাদৃশ্যপূর্ণ দিক তুলে ধর।
ঘ. “উদ্দীপকের ভেলরি টেইলরের কর্মকান্ড এবং ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের লেখকের
৮। আমিত্বকে বলি দিয়ে স্বার্থ ত্যাগ কর যদি,
পরের হিতের জন্য ভাব যদি নিরবধি!
নিজ সুখ ভুলে গিয়ে ভাবিলে পরের কথা,
মুছালে পরের অশ্রু ঘুচালে পরের ব্যথা! আপনাকে বিলাইয়া দীনদুঃখীদের মাঝে,
বিদূরিলে পর দুঃখ সকালে-বিকালে-সাঁঝে!
তবেই পাইবে সুখ আত্মার ভিতরে তুমি,
যা রুপিবে তাই পাবে, সংসার যে কর্মভূমি!
ক. জাতিকে কী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে?
খ. মানবকল্যাণ কথাটা আমরা সস্তা ও মামুলি বানিয়ে ফেলেছি কীভাবে? বুঝিয়ে লেখ।
গ. কবিতাংশটি ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন দিকটিকে ইঙ্গিত করেছে? বিশ্লেষণ কর।
ঘ. “কবিতাংশটি ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের আংশিক প্রতিফলন”-তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও।
৯। জীবনবৃক্ষের শাখার যে ফুল ফোটে তা-ই মনুষ্যত্ব। বৃক্ষের গোড়ায় জল ঢালতে হবে এই ফলের দিকে লক্ষ রেখে। শুধু শুধু মাটির রস টেনে গাছটা মোটাসোটা হয়ে উঠবে— এই ভেবে কোনো মালী গাছের গোড়ায় জল ঢালে না। মানুষের অন্তরতম মূল্যবোধ তথা সৌন্দর্য, প্রেম ও আনন্দচেতনা যখন মানুষের চিত্তে জাগে তখন এক আলোকময় সুষমায় তার জীবন হয় পরিপূর্ণ ।
ক. আবুল ফজল কোন সাহিত্য আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন?
খ. রাষ্ট্র জাতির কোন চেতনার প্রতীক? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকটি ‘মানব কল্যাণ’ প্রবন্ধের লেখকের কোন মানসিকতার পরিচায়ক? তুলে ধরো ।
ঘ. ‘মানব-মর্যাদায় উদ্বুদ্ধ জীবনচেতনাই মানব-কল্যাণের সারকথা’— মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।
১০। স্বার্থ-সুখ চাহি না কো, আত্মনিষ্ঠ কেহ মোরা নয়;
পরার্থে কবির বিশ্বে সর্ব বিসর্জন
আমাদের আত্মত্যাগে প্রতিগৃহে নামিবে অভয়
মর্ত্যের মাটিতে হবে স্বর্গের সৃজন।
ক. ‘মণীষা’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘সত্যিকার মানব-কল্যাণ মূহৎ চিন্তা-ভাবনারই ফসল’- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের কবিতাংশের বক্তব্যে ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের সামগ্রিক ভাব ফুটে ওঠেনি।”- এ সম্পর্কে তোমার যুক্তি দাও।
এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র মানব কল্যাণ সৃজনশীল প্রশ্ন ২০২৫ | মানব কল্যাণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৫ PDF Answer Sheet Download