Close Menu
    Facebook X (Twitter) Instagram
    • Home
    • Blog
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube
    EduQuest24EduQuest24
    • Home
    • Academic
      • এইচএসসি
      • এসএসসি
    • Learn English
      • Spoken English
      • English Grammar
      • Topic Based Vocabulary
    • Job Study
    EduQuest24EduQuest24
    Home » এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র মাসি পিসি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৫ | PDF
    এইচএসসি বাংলা নোট

    এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র মাসি পিসি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৫ | PDF

    EduQuest24By EduQuest24February 13, 2025Updated:February 13, 2025No Comments11 Mins Read
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Telegram Tumblr Email
    মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
    মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

    মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড করুন। ‘মাসি-পিসি’ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ‘পূর্বাশা’ পত্রিকায় ১৩৫২ বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যায়, পরে এটি সংকলিত হয় ‘পরিস্থিতি’ নামক গল্পগ্রন্থে। নিঃস্ব ও বিধবা দুই নারী স্বামীর নির্যাতনের শিকার পিতৃমাতৃহীন এক তরুণীর রক্ষায় যে সাহসী ভূমিকা পালন করেছে তা এই গল্পটিতে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের লালসা, দুর্ভিক্ষের স্মৃতি ও জীবিকা নির্বাহের কঠিন সংগ্রাম এ গল্পের বৈচিত্র্যময় দিক। তাহলে চলো, শুরু করি।


    মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫

    ১। শৈশবে বাবা-মাকে হারিয়ে এক চাচার আশ্রয়ে থাকা আসমার জীবনে ঘটে যায় বাল্যবিবাহ। স্বামীর ঘরে অত্যাচার-নির্যাতন, পরে তালাক। চাচার সহযোগিতা না পেলেও দমে যায়নি সে। টিউশন করে লেখাপড়া চালিয়ে যায় সে। অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় লাভ করে ভালো ফল। আসমা এখন মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী।

    ক.’মাসি-পিসি’ গল্পে চৌকিদারের নাম কী?
    খ. আহ্লাদিকে দেখে বুড়ো রহমানের চোখ ছলছল করে ওঠে কেন?
    গ. উদ্দীপকের চাচা ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসি, চরিত্রের তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করো।
    ঘ. “উদ্দীপকের আসমা এবং ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদি উভয়েই নির্যাতিত নারী সমাজের প্রতিনিধি।”- আলোচনা করো।

    উত্তর:

    ক। উঃ ‘মাসি-পিসি’ গল্পে চৌকিদারের নাম কানাই।

    খ। উঃ আহ্লাদিকে দেখে তার নিজের মেয়ের কথা মনে হওয়ায় বুড়ো রহমানের চোখ ছলছল করে।

    আহ্লাদির চেয়ে বয়সে ছোট মেয়েটাকে রহমান বিয়ে দিয়েছিল। অবুঝ মেয়েটা শ্বশুরবাড়ি না যাওয়ার জন্য খুব কেঁদেছিল। কিন্তু তার ভালোর জন্যই তাকে জোর-জবরদস্তি করে শ্বশুরবাড়ি পাঠায় রহমান। সেখানে গিয়ে অল্পদিন পরেই মেয়েটা মারা যায়। একই সমস্যার শিকার আহ্লাদিকে দেখে মেয়ের কথা মনে হওয়ায় বুড়ো রহমানের চোখ ছলছল করে।

    গ। উঃ ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসি আহ্লাদির ব্যাপারে যথেষ্ট দায়িত্বশীল হলেও উদ্দীপকের চাচা আসমার ব্যাপারে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।

    আলোচ্য গল্পের আহ্লাদি স্বামীর দ্বারা নির্যাতিত এক কিশোরী, যে অত্যাচারে অতিষ্ঠ হলে তার মাসি-পিসি তাকে আশ্রয় দেয়। মাসি-পিসি তাকে ভরণপোষণ ও নিরাপত্তা দিতে সর্বোচ্চ সচেষ্ট হয়। আলোচ্য গল্পের মাসি- পিসিকে দায়িত্বশীল অভিভাবকের চরিত্রে দেখা যায়। তারা শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসা আহ্লাদিকে শুধু আশ্রয়ই দেয়নি, তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়ার পাশাপাশি তাকে সমাজের লালসা-উন্মত্ত মানুষদের কাছ থেকে নিরাপত্তাও দিয়েছে।

    উদ্দীপকের পিতৃমাতৃহীন আসমা চাচার আশ্রয়ে লালিত-পালিত হয়। সে বাল্যবিবাহ এবং স্বামীর ঘরে নানা নির্যাতনের শিকার হয়। চাচার দায়িত্বজ্ঞানের অভাবে তাকে বাল্যবিবাহের বলি হতে হয়। তালাকপ্রাপ্ত আসমা পরবর্তীতে চাচার কাছ থেকে কোনো সহযোগিতাও পায়নি। এমনকি অনাথ মেয়ে আসমাকে নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে তার চাচা। কিন্তু ‘মাসি-পিসি’ গল্পে মাসি-পিসি তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। তাই বলা যায়, দায়িত্বশীল আচরণের দিক থেকে উদ্দীপকের চাচা এবং আলোচ্য গল্পের মাসি-পিসির মাঝে বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।

    ঘ। উঃ পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নির্যাতিত ও বঞ্চনার শিকার হওয়ার দিক থেকে উদ্দীপকের আসমা এবং ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদি একসূত্রে গাঁথা।

    ‘মাসি-পিসি’ গল্পে নারীদের ওপর পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ঘৃণ্য মানসিকতার প্রতিফলন দেখানো হয়েছে। পুরুষদের তথাকথিত পৌরুষ ও লালসার শিকার হলে নারীজীবন কতটা দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে, সে বিষয়টি গল্পে দৃশ্যমান। আলোচ্য গল্পে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নির্যাতিত নারীর প্রতিনিধিত্ব করেছে আহ্লাদি।

    উদ্দীপকেও নারীদের ওপর পুরুষের কর্তৃত্ব জাহিরের বিষয়টি লক্ষ করা যায়। পিতামাতাহারা আসমাকে শৈশবেই বিয়ে দেয় তার চাচা। বাল্যবিবাহের বলি হওয়া আসমা স্বামীগৃহে নির্মম নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়। স্বামী তালাক দিলে এই অসহায় নারী পুরুষতান্ত্রিক সমাজে কারও কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পায়নি। জীবনসংগ্রামে একাকী লড়াই করতে হয়েছে তাকে। উদ্দীপকের আসমা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নেতিবাচক মানসিকতার শিকার।

    আলোচ্য গল্পে আহ্লাদি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সেই ঘৃণ্য হামলার শিকার। পিতৃমাতৃহীন আহ্লাদিকে স্বামী উঠতে বসতে নির্যাতন করে। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেই কেবল ক্ষান্ত হয় না, পেটপুরে খেতেও পর্যন্ত দেয় না। বাঁচার তাগিদে বিধবা মাসি ও পিসির কাছে সে আশ্রয় গ্রহণ করে। কিন্তু সেখানেও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কালো ছোবলে সে শঙ্কিত হয়। দারোগা, জোতদার, গুণ্ডা-বদমাশদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে আহ্লাদির ওপর। উদ্দীপকের আসমা স্বামীর নির্যাতনের শিকার। সমাজে নারীদেরকে দুর্বল ভেবে পুরুষরা হরহামেশাই তাদের ওপর অত্যাচারের স্টিমরোলার চালায়। তখন নারী তার স্বকীয়তা হারিয়ে জীবন সংকটে ভোগে। অসহায় আসমাকে সমাজ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, উদ্দীপকের আসমা এবং আলোচ্য গল্পের আহ্লাদি উভয়ই নির্যাতিত নারী সমাজের প্রতিনিধি।

    ২। রূপার বাবা হঠাৎ মারা যাওয়ায় তার মা দীপা তাকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। সে তার স্বামীর রেখে যাওয়া সামান্য কৃষিজমিতে উৎপন্ন ফসল বিক্রি করে যা আয় করে তাতে রূপার লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারে না। তাই অন্যের বাড়িতে ধান ভানা, মাড়াই দেওয়া ও গৃহপরিচারিকার কাজ করে রূপার লেখাপড়া ও সংসারের খরচ চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ বাধা হয়ে দাঁড়াল রূপার বয়স। ষোড়শী রূপাকে গ্রাম্য মোড়লের কুদৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য দীপা তাকে বিয়ে দিলো। কিন্তু অর্থলোভী ও স্বার্থান্ধ পরিবারে রূপার ঠাঁই হলো না। সে মায়ের কাছে চলে আসল। শুরু হলো মা-মেয়ের নতুন করে বেঁচে থাকার লড়াই।

    ক. ‘মাসি-পিসি’ গল্পটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?.
    খ. ‘কেমন একটা স্বস্তি বোধ করে ‘মাসি-পিসি’- ব্যাখ্যা করো।
    গ. উদ্দীপকের সমাজচিত্রের সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সমাজচিত্রের ‘সাদৃশ্য কতটুকু? আলোচনা করো।
    ঘ. ‘বেঁচে থাকার লড়াই’- কথাটি উদ্দীপক ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আঙ্গিকে ব্যাখ্যা করো।

    উত্তর:

    ক। উঃ ‘মাসি-পিসি’ গল্পটি প্রথম কলকাতার পূর্বাশা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

    খ। উঃ আশপাশের লোক চলে আসায় কানাই ও তার দল-বল পালিয়ে গেলে নিজেদের আপাত নিরাপদ ভেবে মাসি-পিসি এক ধরনের স্বস্তিবোধ করে। এক রাত্রে কানাই ও তার দল-বল সুপরিকল্পিতভাবে আহ্লাদিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাসি-পিসির বাড়িতে আসে। মাসি-পিসি নিজেদের মতো করে সাহসের সাথে তাদের তাড়ানোর চেষ্টা করে। যখন তারা যাচ্ছিল না তখন উপায়ান্ত না দেখে মাসি-পিসি গ্রামের লোকজনকে ডাকতে থাকে। তাদের ডাকে লোকজন আসতে শুরু করলে কানাইরা পালিয়ে যায় এবং মাসি-পিসি স্বস্তিবোধ করে।

    গ। উঃ উদ্দীপকের পুরুষশাসিত বিরূপ সমাজব্যবস্থায় নারীর জীবনসংগ্রাম ও লড়াই করে টিকে থাকার সঙ্গে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সমাজচিত্রের বহুলাংশে সাদৃশ্য রয়েছে।

    ‘মাসি-পিসি’ গল্পে সামন্তবাদী সমাজব্যবস্থার নির্মম রূপ ফুটে উঠেছে। এ গল্পে পুরুষশাসিত সমাজে নারীদের ভাগ্যবিড়ম্বনার দিকটি স্পষ্ট। মাসি- পিসি দুজনেই স্বামীর সংসারে নিগ্রহের শিকার। এছাড়া আহ্লাদির অত্যাচারী স্বামী, লালসা-উন্মত্ত জোতদার, দারোগা, চৌকিদার, গুন্ডা-বদমাশদের উপস্থিতি আলোচ্য গল্পের বিরূপ সমাজচিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছে।

    উদ্দীপকে পুরুষশাসিত সমাজে শোষণের নগ্নরূপ ‘অঙ্কিত হয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত হয় রূপা ও তার মা দীপার। চরিত্রহীন মোড়লের হাত থেকে রক্ষা পেতে দীপা তার মেয়েকে অল্প বয়সে বিয়ে দেন। কিন্তু অর্থলোভী ও স্বার্থান্ধ পরিবারে রূপার ঠাঁই হয়নি। নির্যাতিত ও নিপীড়িত দীপা ও রূপাকে অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়। আলোচ্য গল্পেও পুরুষশাসিত সমাজব্যবস্থার ঘৃণ্য রূপ পরিলক্ষিত হয়। সুতরাং, প্রতিকূল সমাজচিত্রের দিক থেকে উদ্দীপকের সঙ্গে আলোচ্য গল্পের সাদৃশ্য রয়েছে।

    ঘ। উঃ প্রতিকূল সমাজব্যবস্থায় নারীদের সংগ্রাম করে টিকে থাকার চিত্র উদ্দীপক ও ‘মাসি-পিসি’ গল্প উভয়ক্ষেত্রেই পরিলক্ষিত হয়।

    ‘মাসি-পিসি’ গল্পের প্রধান উপজীব্য মাসি ও পিসির কঠোর জীবনসংগ্রাম। মাসি-পিসি সর্বদা অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে লিপ্ত। সমাজজীবনে সহায়- সম্বলহীন ও দুর্বল অবস্থানে থেকেও তারা প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। বিপদগ্রস্ত আহ্লাদিকে তারা আগলে রেখেছে। নারী হয়েও তারা নৌকা চালনা ও সবজির ব্যাবসা করেছে। আহ্লাদি ও নিজেদের সম্ভ্রম রক্ষায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিবাদমুখর হয়েছে।

    উদ্দীপকে একমাত্র সন্তান রূপাকে নিয়ে বিধবা দীপার কষ্টের সংসার। স্বামীর রেখে যাওয়া সামান্য কৃষিজমিতে উৎপন্ন ফসল তার আয়ের একমাত্র উৎস। এই সামান্য আয়ে সংসার চলে না। তাই দীপাকে অন্যের বাড়িতে ধানভানা ও গৃহপরিচারিকার কাজ করতে হয়। গ্রাম্য মোড়লের হাত থেকে বাঁচতে অল্প বয়সে মেয়েকে বিয়ে দিতে বাধ্য হয় দীপা। কিন্তু অল্পকাল পরেই অসৎ ও লোভী স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে রূপার। স্বামীর গৃহ থেকে বিতাড়িত হয়ে মায়ের কাছে ফিরে আসে সে। মা-মেয়ের টিকে থাকার লড়াই নতুন করে শুরু হয়। আলোচ্য গল্প ও উদ্দীপকে দেখা যায়, সার্বক্ষণিক বিপদের মধ্যে নারীদের লড়াই করে টিকে থাকতে হচ্ছে। আলোচ্য গল্পের মাসি-পিসি নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার পাশাপাশি আহ্লাদিকে রক্ষার জন্য সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছে। গল্পটিতে তারা মূলত নারীর শ্রেণিসংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। সমাজের অবিবেচক, লোভী, স্বার্থান্বেষী মহলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। উদ্দীপকের দীপা স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়ে। অন্যের বাড়িতে ধানভানা, মাড়াই দেওয়া প্রভৃতি কাজ করে মেয়ের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ চালাতে হয় তাকে। সংকট থেকে উত্তরণের জন্য মেয়েকে বিয়ে দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে অসহায় মা-মেয়েকে অনিশ্চয়তার পথে যাত্রা করতে হয়েছে। উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, আলোচ্য গল্প এবং উদ্দীপকের নারীরা কঠোর জীবনসংগ্রামে লিপ্ত।

    ৩। ১৯৭১ সাল। পাক বাহিনীর অত্যাচারে দিশেহারা, পর্যুদস্ত দেশ। মাঠ-ঘাট পেরিয়ে মিলিটারি-রাজাকারের চোখ এড়িয়ে ভারতের আশ্রয় শিবিরের উদ্দেশ্যে ছুটে চলার প্রাণান্তকর চেষ্টা বৃদ্ধা আদুরির। হঠাৎ ক্ষেতের মধ্যে গুলিবিদ্ধ মায়ের লাশের পাশে কান্নারত এক শিশুকে দেখে থমকে যায় আদুরি। নিঃস্ব কোলে তুলে নেয় অসহায় শিশুটিকে। আবারও ছুটতে থাকে আদুরি। শিশুটিকে যে বাঁচাতেই হবে-ভাবতে ভাবতে সুদৃঢ় হয় বৃদ্ধার পদক্ষেপ। মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

    ক. ‘মাসি-পিসি’ গল্পে উল্লিখিত বাবুর নাম কী?
    খ. “মোরা নয় মরব।”-পিসির এ উক্তি কিসের ইঙ্গিত বহনকারী?-বুঝিয়ে দাও।
    গ. উদ্দীপকে বর্ণিত শিশুটির সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদির মিল কোন দিক থেকে?-বুঝিয়ে দাও।
    ঘ. “ভাবতে ভাবতে সুদৃঢ় হয় বৃদ্ধার পদক্ষেপ।”-এ উক্তিটি দ্বারা ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসির চারিত্রিক দৃঢ়তা ব্যাখ্যা কর।


    আরো পড়ুন:

    • এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র মানব কল্যাণ সৃজনশীল প্রশ্ন
    • এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র বিলাসী সৃজনশীল প্রশ্ন
    • এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র আমার পথ সৃজনশীল প্রশ্ন
    • এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল

    ৪। স্বামীহারা তাহেরা বিবির নদী তীরের ছোট্ট বাড়িটা বন্যায় তলিয়ে গেলে আরো অনেকের মতো রাস্তার পাশের বাঁধে নতুন আশ্রয় গড়ে তুলেছে। সরকারি ত্রাণ আর জমানো কিছু টাকা নিয়ে অনিশ্চিত জীবনের প্রহর গুনছে সে। চার ছেলে-মেয়ে নিয়ে জীবন এখন তার কাছে একটা যুদ্ধের মতো। এর মধ্যে দুর্বৃত্তের দল রাতের আঁধারে নিরীহ মানুষের শেষ সম্বলও লুটে নিচ্ছে। তাহেরা জানে এ যুদ্ধে তাকে জিততেই হবে। তাই সে রামদা হাতে প্রহরীর মতো জেগে থাকে।

    ক. ‘মাসি-পিসি’ গল্পে বর্ণিত বুড়ো লোকটির নাম কী?
    খ. “মরণ ঠেকাতেই ফুরিয়ে আসছে তাদের জীবনীশক্তি।”-উক্তিটির প্রাসঙ্গিকতা লেখ।
    গ. উদ্দীপকের তাহেরার সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসির মিল সন্ধান কর।
    ঘ. “উদ্দীপক ও ‘মাসিপিসি’ গল্পের জীবনযুদ্ধ এক হলেও বাস্তবতা ভিন্ন।” -মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

    ৫। সীমা শৈশবে মা-বাবাকে হারিয়ে চাচার আশ্রয়ে ছিল। সেখানে থাকাকালীন তার বাল্যবিবাহ হয়। স্বামীর ঘরে অত্যাচার-নির্যাতন, পরে তালাক। চাচার তেমন সহযোগিতা না পেলেও দমেনি সীমা। টিউশনি করে লেখাপড়া চালিয়ে যায় সে। সীমা এখন মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

    ক. ‘মাসি-পিসি’ গল্পটির লেখক কে?
    খ. আহ্লাদি স্বামীর বাড়ি যেতে চায় না কেন?
    গ. উদ্দীপকের চাচা ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসি চরিত্রের তুলনামূলক অলোচনা কর।
    ঘ.“উদ্দীপকের সীমা এবং ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদি উভয়েই নির্যাতিত নারী সমাজের প্রতিনিধি।”—বিশ্লেষণ কর।

    ৬। ধু-ধু জ্ব’লে ওঠ ধূমায়িত অগ্নি,
    জাগো মাতা, কন্যা, বধূ, জায়া, ভগ্নী!
    পতিতোদ্ধারিণী স্বর্গ-স্খলিতা
    জাহ্নবী সম বেগে জাগো পদ-দলিতা,
    মেঘে আনো বালা বজ্রের জ্বালা
    চির-বিজয়িনী জাগো জয়ন্তিকা!

    ক. মাসি-পিসিকে কে পাগল করে তুলেছে?
    খ. জগুর বৌ নেওয়ার আগ্রহ কেন?
    গ. উদ্দীপকের সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ তা উল্লেখ করো ।
    ঘ. উদ্দীপক এবং ‘মাসি-পিসি’ গল্পে নারীশক্তির যে রূপ প্রকাশিত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করো।

    ৭। কারও লড়াই বাঁচার জন্য। কারও আবার বাঁচাটাই লড়াই করবার জন্য। এভাবেই জীবনের একটা বড়ো অংশ কাটিয়ে দিয়েছেন মেদিনীপুর শহরের দিপালী দে এবং ফুলেশ্বরী মণ্ডল। পরিবারের অন্নসংস্থানের জন্য এই দুই নারী বেছে নিয়েছেন এমন পথ। সচরাচর মহিলাদের যে পথে হাঁটতে দেখা গায় না। সাইকেলে চড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খবরের কাগজ বিক্রি করেন তারা। ভোর থেকে দুপুর। এক পাড়া থেকে অন্য পাড়া টানা ৩০ বছর। মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

    ক. আহ্লাদির নিজেকে কেমন লাগে?
    খ. ‘দুজনের হয়ে গেল এক মন প্রাণ’- কাদের সম্পর্কে এ কথাটি বলা হয়েছে এবং কেন?
    গ. উদ্দীপকের দিপালী এবং ফুলেশ্বরী ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সাথে কোন দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
    ঘ. “কারো লড়াই বাঁচার জন্য কারও আবার বাঁচাটাই লড়াই করবার জন্য। উক্তিটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আলোকে যাচাই করো।

    ৮। এইখানে তোর বুজির কবর পরীর মতন মেয়ে,
    বিয়ে দিয়েছিনু কাজিদের বাড়ি বনিয়াদি ঘর পেয়ে।
    এত আদরের বুজিরে যে তাহারা ভালোবাসিত না মোটে,
    হাতেতে যদিও না মারিত তারে শত যে মারিত ঠোঁটে।

    ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?
    খ. ‘বুড়ো রহমান ছলছল চোখে তাকায় আহ্লাদির দিকে।’- কেন?
    গ. উদ্দীপকে বুজির সঙ্গে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদির অবস্থার তুলনা করো।
    ঘ. উদ্দীপকে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মূলভাব কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে? তোমার মতামত দাও।

    ৯। দীপ শিখা গার্মেন্টসের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত হয় গার্মেন্টস কর্মী দম্পতি জলিল ও রাবেয়া। তাদের একমাত্র মেয়ে জোবাইদা অনাথ হয়ে আশ্রয় নেয় বৃদ্ধ নানা-নানির সংসারে। গরিব নানা-নানি তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে তাকে বিয়ে দেয় পাশের গ্রামের আকিবের সাথে। কিন্তু সুখের মুখ দেখা হলো না জোবাইদার। আকিব তাকে মারধর করে এবং সারাদিন কিছু না খেতে দিয়ে ঘরে আটকে রাখে। স্বামীর এই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে আবার ফিরে আসে নানানানির কাছে। নানা-নানি এতে ভীষণ কষ্ট পায়, তবু পরম যত্নে আগলে রাখে অসহায় জোবাইদাকে।

    ক. হাতে দুটো পয়সা এলে কার স্বভাব বদলে যায়?
    খ. আহ্লাদির দিকে তাকিয়ে বৃদ্ধ রহমানের চোখে জল আসে কেন? বুঝিয়ে দাও।
    গ. উদ্দীপকের আকিব চরিত্রটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? আলোচনা কর।
    ঘ. “উদ্দীপকের নানা-নানির অবস্থা ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি ও পিসির মতোই হৃদয় বিদারক।”- মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।

    ১০। মীনার বাবা হঠাৎ মারা যাওয়ায় তার মা রানু তাকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। সে তার স্বামীর রেখে যাওয়া সামান্য কৃষিজমিতে উৎপন্ন ফসল বিক্রি করে যা আয় করে তাতে মীনার লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারে না। তাই অন্যের বাড়িতে ধান ভানা, মাড়াই দেওয়া, ও গৃহপরিচারিকার কাজ করে মীনার লেখাপড়া ও সংসারের খরচ চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ বাধা হয়ে দাঁড়াল মীনার বয়স। ষোড়শী মীনাকে গ্রাম্য মোড়লের কুদৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য সে তাকে বিয়ে দিল। কিন্তু অর্থলোভী ও স্বার্থান্ধ পরিবারে মীনার ঠাঁই হলো না। সে মায়ের কাছে চলে এলো। শুরু হলো মা-মেয়ের নতুন করে বেঁচে থাকার লড়াই।

    ক. পাতাশূন্য শুকনো গাছটায়’ কারা বসেছে?
    খ. “ছেলের মুখ দেখে পাষাণ নরম হয়,”- এখানে ‘পাষাণ’ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
    গ. উদ্দীপকের সমাজচিত্রের সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সমাজচিত্রের সাদৃশ্য কতটুকু? আলোচনা করো।
    ঘ. ‘বেঁচে থাকার লড়াই’- কথাটি উদ্দীপক ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আঙ্গিকে ব্যাখ্যা করো।


    এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র মাসি পিসি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড করুন।

    Download Answer Sheet
    masi pisi srijonshil prosno মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর মাসি পিসি সৃজনশীল প্রশ্ন মাসি পিসি সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    EduQuest24
    • Website

    Related Posts

    বাংলা ২য় পত্র রচনার পয়েন্ট (রচনা সমগ্র) PDF

    April 10, 2025

    এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধপ্রয়োগ (PDF)

    March 12, 2025

    এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি

    March 11, 2025

    এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র বাক্যতত্ত্ব (বাক্য রূপান্তর) ২০২৫ PDF

    March 10, 2025

    এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র বাংলা বানানের নিয়ম ২০২৫ (PDF)

    March 9, 2025

    এইচএসসি বাংলা সহপাঠ সিরাজউদ্দৌলা নাটকের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর (PDF)

    February 22, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    © 2025 Eduquest24
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Terms and Conditions
    • Home

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.