লালসালু উপন্যাস সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

এইচএসসি বাংলা সহপাঠ লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্নত্তোর (PDF)

Advertisements

লালসালু উপন্যাস সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ ডাউনলোড। ‘লালসালু’ একটি সামাজিক সমস্যামূলক উপন্যাস। এর বিষয় যুগ-যুগ ধরে শেকড়গাড়া কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও ভীতির সঙ্গে সুস্থ জীবনাকাঙ্ক্ষার দ্বন্দ্ব। গ্রামবাসীর সরলতা ও ধর্মবিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ভণ্ড ধর্মব্যবসায়ী মজিদ প্রতারণাজাল বিস্তারের মাধ্যমে কীভাবে নিজের শাসন ও শোষণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে তারই বিবরণে সমৃদ্ধ ‘লালসালু’ উপন্যাস। কাহিনিটি ছোট, সাধারণ ও সামান্য; কিন্তু এর গ্রন্থনা ও বিন্যাস অত্যন্ত মজবুত। লেখক সাধারণ একটি ঘটনাকে অসামান্য নৈপুণ্যে বিশ্লেষণী আলো ফেলে তাৎপর্যমণ্ডিত করে তুলেছেন।


লালসালু উপন্যাস সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ২০২৫ PDF

১। বাংলাদেশের টেকনাফ অঞ্চলের এক গ্রামের গরিব অসহায় পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। কারণ, ঐ বাড়ির ছেলের বিয়েতে গ্রামের মাতব্বর পরিবারকে দাওয়াত করা হয়নি। এ কারণেই খেপে যায় মাতব্বর ও তার লোকজন। সভা করে একঘরে করে দেয় সেই গরিব পরিবারটিকে। পরিবারের লোকদের বাইরে যাওয়ার রাস্তাটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ক. ‘লালসালু’ উপন্যাসে সাত ছেলের বাপের নাম কী ?
খ. মজিদ আক্কাসকে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে বাধা দেয় কেন?
গ. উদ্দীপকের টেকনাফ অঞ্চলের ঘটনাটির সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে? কেন?
ঘ. “উদ্দীপকের মাতব্বর ও তার লোকজন এবং ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ অভিন্ন চেতনার অনুসারী।”-মূল্যায়ন কর।

সমাধান:

Advertisements

ক। উঃ ‘লালসালু’ উপন্যাসে সাত ছেলের বাপের নাম দুদু মিঞা

খ। উঃ মজিদ তার নিজের বিপদের কথা ভেবে স্কুল নির্মাণে বাধা দেয় ।

আক্কাস মিয়া গ্রামের মানুষকে শিক্ষিত করে তোলার জন্য স্কুল নির্মাণের কথা বললে মজিদের তা পছন্দ হয় না। কারণ লোকজন শিক্ষিত হলে তারা ভালো-মন্দ বুঝবে, কুসংস্কার মানবে না, মজিদের ভণ্ডামি বুঝতে পারবে। ফলে অন্ধকারে থাকা ধর্মভীরু মানুষের সাথে তার ধর্মব্যবসা করা বন্ধ হয়ে যাবে। এ কারণেই মজিদ স্কুল নির্মাণে বাধা দেয় ।

গ। উঃ উদ্দীপকের ঘটনার সঙ্গে ‘লালসালু’ উপন্যাসে বর্ণিত দুদু মিয়ার বিচারের ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে”।

‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ মহব্বতনগরে কৌশলে নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করে চলেছে। কেউ তার প্রভাবের বাইরে যেতে চাইলে বা কোনোভাবে তাকে অমান্য করলে সুকৌশলে মজিদ তাকে শাস্তি দিয়েছে। দুদু মিয়ার বিচারের ক্ষেত্রে আমরা এমনটি দেখি। দুদু মিয়া নিজের মেয়েকে শাসন করলে তার জন্য তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। মজিদ ও তার অনুসারীরা দুদু মিয়াকে বিচারের মজলিসে অপমান করে ।

উদ্দীপকেও আমরা এমন চিত্র দেখি। সেখানে গরিব অসহায় একটি পরিবার গ্রামের মাতব্বরদের অন্যায্য বিচারে শাস্তি পায়। ছেলের বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় তাদের একঘরে হয়ে বাস করতে হয় । মূলত মাতব্বররা নিজেদের প্রভাব ধরে রাখার জন্যই এই পরিবারটিকে শাস্তির মুখোমুখি করেছে। আর এমন কূটকৌশলী ভূমিকার দৃষ্টান্ত আমরা ‘লালসালু’ উপন্যাসের দুদু মিয়ার বিচারের ক্ষেত্রে দেখতে পাই।

ঘ। উঃ প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপকের মাতব্বর ও তার লোকজন এবং ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ উভয়ই অভিন্ন চেতনার অনুসারী। ‘লালসালু’ উপন্যাসে দেখা যায় মজিদ শঠ ও প্রতারক একটি চরিত্র।

মহব্বতনগর গ্রামের মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে ব্যবহার করে একটি পরিত্যক্ত কবরকে মাজার বলে ঘোষণার মাধ্যমে সে ধর্মব্যাবসা শুরু করে। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল নিজের স্বার্থসিদ্ধি। আর এ কারণে যে-ই তার পথে বাধা সৃষ্টি করেছে, তার প্রতিই সে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠেছে ।

উদ্দীপকের মাতব্বর ও তার লোকজন উপন্যাসের মজিদের মতোই কূটবুদ্ধির অধিকারী। তাই সুযোগমতো ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার প্রতি আনুগত্যহীনদের প্রতিহত করে। সামান্য দাওয়াত দেওয়াকে কেন্দ্ৰ করে একটি পরিবারকে একঘরে করেছে সে। নির্মমতা দেখিয়ে অবাধ্য লোকদের শাস্তি দেওয়ার এমন নজির আলোচ্য উপন্যাসের মজিদের মধ্যেও লক্ষ করা যায়।

আলোচ্য উপন্যাস ও উদ্দীপকের বিশ্লেষণে দেখা যায়, এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে বদ্ধপরিকর টেকনাফ অঞ্চলের মাতব্বর। অন্যদিকে উপন্যাসের মজিদ তার প্রভাব বিস্তার করেছে মহব্বতনগর গ্রামে । তবে দুজনের ঘটনার ক্ষেত্র আলাদা। তাই পালটে যায় প্রেক্ষাপটও। কিন্তু তারা দুজনেই নির্মম ও অত্যাচারী। প্রভাব বিস্তার করে তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে নেয়। তাদের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার পাশাপাশি ক্ষমতা বিস্তার করা। সেটা তারা সফলভাবেই করে। তাই, উদ্দীপক ও আলোচ্য উপন্যাসের বিশ্লেষণে বলা যায়, “উদ্দীপকের মাতব্বর ও তার লোকজন এবং ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ অভিন্ন চেতনার অধিকারী।”— মন্তব্যটি যথার্থ ।

২। খানপুরা গ্রামের মৌলবি সাহেব সকলের প্রিয় পাত্র। শুধু ধর্মীয় ব্যাপারে নয়, সবখানেই তার পদচারণা। অসুখবিসুখে ঝাড়ফুঁক, পানিপড়া এসবের পরিবর্তে তিনি সকলকে অভিজ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেন। লালসালু উপন্যাস সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

ক. বাহে মুলুক কোথায়?
খ. মজিদ আওয়ালপুরে গেল কেন?
গ. মজিদ কোনো দিক দিয়ে খানপুরা গ্রামের মৌলবি সাহেবের সমকক্ষ হতে পেরেছে বি উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।
ঘ. “লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ যদি উদ্দীপকের খানপুরা গ্রামের মৌলবি সাহেবের মতে হতো তবে ধর্মের নামে ভণ্ডামি লোপ পেত।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

সমাধান:

ক। উঃ ‘বাহে মুলুক’ উত্তরবঙ্গে।

খ। উঃ আওয়ালপুরের শীরের ভন্ডামির মুখোশ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রকারান্তরে নিজের অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে মজিদ আওয়ালপুর গেল।

‘সালসালু’ উপন্যাসে মজিদ যখন ধীরে ধীরে মহব্বতনগরের দণ্ডমুন্ডের কর্তা হয়ে বসেছে, সে সময়ে পার্শ্ববর্তী আওয়ালপুরে জনৈক পীরের আবির্ভাব হয়। আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে পীরের কাছে অনেক লোকজনকে যেতে দেখে মজিদ; এমনকি মহব্বতনগরের মানুষও যায়। এসব দেখে মজিদ অস্তিত্ব সংকটে ভুগতে থাকে। নিজের মিথ্যার রাজ্যে অশনি সংকেত দেখে সে তারই প্রায় সগোত্রীয় আওয়ালপুরের পীরের ভণ্ডামির মুখোশ উন্মোচনে প্রয়াসী হয়ে আওয়ালপুরে গেল।

গ। উঃ জনীতিগত আদর্শের দিক থেকে মজিদ খানপুরা গ্রামের মৌলবি সাহেবের সমকক্ষ হতে পারেনি।

‘সালসালু’ উপন্যাসের মজিদ শস্যহীন জনবহুল এক অঞ্চল থেকে ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য মহব্বতনগর গ্রামে আসে। এখানে এসে সে একটি অজ্ঞাত কবরকে মোদাচ্ছের পীরের মাজার বলে প্রতিষ্ঠিত করে। এই মাজারকে কেন্দ্র করে সে মহব্বতনগরে নিজের প্রভাব-প্রতিপত্তি বিস্তার করে। গ্রামের সহজ-সরল ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে সে তার ধর্মব্যাবসা চালিয়ে যায়।

উদ্দীপকের মৌলবি সাহেব অত্যন্ত বিবেকবান এবং সমাজসচেতন ও দায়িত্ববান মানুষ। গ্রামের মানুষদের কাছে তিনি আশার আলোস্বরূপ। ধর্মীয় ব্যাপার ছাড়াও গ্রামের মানুষদের সব মূল ভাবনায় তার সফল পদচারণ। তাই তো তিনি গ্রামের মানুষদের আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দেন। অন্যদিকে মজিদ একজন ভন্ড, প্রতারক ধর্মব্যবসায়ী। নিজের স্বার্থের প্রয়োজনে যে গ্রামের প্রতিটি মানুষের সাথে বেইমানি করে। সুতরাং মজিদ কখনোই মৌলবি সাহেবের সমকক্ষ নয়।

ঘ। উঃ খানপুরা গ্রামের মৌলবি সাহেব বিবেকবান ও আদর্শ চরিত্রের অধিকারী বিধায় আলোচ্য উক্তিটি যথার্থ।

‘লালসালু’ উপন্যাসে দেখা যায়, মজিদ শঠ ও প্রতারক একটি চরিত্র। মহব্বতনগর গ্রামের মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে ব্যবহার করে একটি পরিত্যক্ত কবরকে মাজার বলে ঘোষণার মাধ্যমে সে ধর্মব্যাবসা শুরু করে। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল নিজের স্বার্থসিদ্ধি। আর এ কারণে যেই তার পথে বাধা সৃষ্টি করেছে, তার প্রতিই সে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠেছে।

উদ্দীপকের মৌলবি সাহেব তার গ্রামের মানুষদের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। তিনি গ্রামের মানুষের কল্যাণেই নিজেকে সব সময় নিয়োজিত রাখেন। গ্রামের মানুষের মঙ্গল কামনা করেন বলেই তিনি অসুখ-বিসুখে ঝাড়ফুঁক, পানিপড়া এসবের পরিবর্তে সকলকে অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেন।

‘লালসালু’ উপন্যাসে মজিদ ধর্মের লেবাস পরে, ধর্মের দোহাই দিয়ে মাজার ব্যাবসা শুরু করে। গ্রামের অশিক্ষিত, ধর্মান্ধ মানুষদের পরকালীন কল্যাণের কথা বলে মাজারে অর্থদানে উদ্বুদ্ধ করে। এর মধ্য দিয়ে মজিদ তার আখের গুছিয়ে নেয়। মজিদ যদি খানপুরা গ্রামের মৌলবি সাহেবের মতো বিবেকবান ও নীতিবান মানুষ হতো, তাহলে সে মহব্বতনগর গ্রামের সহজ- সরল মানুষদের সাথে এত অন্যায় করতে পারত না। গ্রামের মানুষদের সঠিক পথের দিশা দেখাত। আর সমাজ থেকেও ধর্মের নামে ব্যাবসা লোপ পেত। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।


আরো পড়ুন:


৩। গ্রামের স্কুল শিক্ষক বাবা তমিজুদ্দীন তাঁর ছেলে রাসেলকে শহরের বড় প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাঠায়। রাসেল ডাক্তার হয়ে বাবার মুখ উজ্জ্বল করে ফিরে আসে গ্রামে। তার ইচ্ছা গ্রামের অসহায়, দুস্থ রোগীদের আধুনিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলবে এবং তাবিজ-কবজ, ঝাড়-ফুঁক ও পানিপড়া প্রভৃতি অন্ধ বিশ্বাস থেকে গ্রামবাসীদের মুক্ত করবে। কিন্তু ব্যাপারটা গ্রামের মোড়ল করিম খান মেনে নিতে পারে না। রাসেল যাতে গ্রামের মানুষদের সচেতন করতে না পারে সেই চেষ্টা করতে থাকে সে, কিন্তু রাসেল কোনো দিকে কর্ণপাত না করে এগিয়ে যায় নিজের লক্ষ্যের দিকে। লালসালু উপন্যাস সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

ক. ‘তোমার দাড়ি কৈ মিঞা?’ উক্তিটি কার?
খ. “এখন সে ঝড়ের মুখে উড়ে চলা পাতা নয়, স্বচ্ছলতায় শিকর গাড়া বৃক্ষ।”- উক্তিটির অর্থ কী? বুঝিয়ে দাও।
গ. উদ্দীপকের রাসেল চরিত্রটির সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের তুলনীয় চরিত্র কোনটি? আলোচনা কর।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘লালসালু’ উপন্যাস উভয়ই অন্ধ ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন জনজীবনের আলেখ্য।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

৪। তপু ভাগ্যান্বেষণে ঘুরতে ঘুরতে এসে হাজির হয় রাজধানী ঢাকায়। মিটফোর্ডে এক ফুটপাতে হোটেলে খেতে গিয়ে দেখতে পায় পাশের নর্দমায় অনেকগুলো ঔষধ পড়ে আছে। হোটেল বয়ের কাছে জানতে পারে এগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ কোম্পানি ফেলে গেছে। তার মাথায় বিদ্যুৎ খেলে যায়। সে ঐ ঔষধগুলো কুড়িয়ে নতুন প্যাকেটে মুড়ে কম দামে বিক্রি করতে থাকে। সাধারণ মানুষ কম দামে পেয়ে সরল বিশ্বাসে তার দোকান থেকে ঔষধ কিনে প্রতারিত হতে থাকে। আর তপু অল্পদিনে ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বনে যায়। লালসালু উপন্যাস সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

ক. ডোমপাড়া থেকে কীসের শব্দ ভেসে আসে?
খ. হাসুনির মাকে তার বাপ পিটিয়েছিল কেন?
গ. উদ্দীপকের তপুর মাঝে ফুটে উঠেছে ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদের চরিত্র- ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও তপু ও মজিদের লক্ষ্য এক’- মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো।

৫। একদিন বাইরের ঘর থেকে মজিদ হঠাৎ শোনে সোনালি মিহি সুন্দর হাসির ঝংকার। শুনে মজিদ চমকিত হয়। দীর্ঘ জীবনের মধ্যে এমন হাসি সে কখনো শোনেনি। রহিমা জোরে হাসে না। সালু আবৃত মাজারের আশেপাশে যারা আসে তারাও কোনোদিন হাসে না। অনেক সময় কান্নার রোল ওঠে, কত জীবনের দুঃখ-বেদনা বরফগলা নদীর মতো হুহু করে ভেসে আসে।

ক. মাজারটা কোন পিরের বলে মজিদ উল্লেখ করে?
খ. ‘মাজারটি তার শক্তির মূল’- কথাটির মানে কী?
গ. ‘রহিমা জোরে হাসে না।’- কথাটির আলোকে উপন্যাসের রহিমা চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।
ঘ. ‘কত জীবনের দুঃখ-বেদনা বরফগলা নদীর মতো হুহু করে ভেসে আসে।’-উক্তিটি বিশ্লেষণ করে মজিদের অতীত জীবনের কোন কোন দিক খুঁজে পাওয়া যায়? বিশ্লেষণ করো।

৬। দিনের পর দিন পিরের নাম যেমন দেশ-বিদেশে ছড়াইয়া পড়িল, মানত ও হাজতের টাকা পাইয়া রহিম শেখের অবস্থা ততোই বাড়িতে থাকে। একবার একজন বড়োলোক এখানে মানত করিয়া মামলায় জিতিল। সে বহু টাকা খরচ করিয়া শেয়ালসা পিরের দরগা পাকা করিয়া দিলো। রহিম শেখ এই দরগার খাদেম। সে চক্ষু বুজিয়া মনে মনে ভাবে, ‘দেশের লোকগুলি কী বোকা। শেয়ালের বিষ্ঠার ওপরে এই দরগা। এখানে আসিয়া কত আলেম-মৌলবি, পির-ফকির মাথা কুটিয়া সেজদা করে।’

ক. খ্যাতির শেষ নেই কার?
খ. অমন মানুষ ভালো লাগে না তার’ কেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন দিকটিকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের রহিম শেখ এবং ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদের মানসিকতা এক ও অভিন্ন”- মন্তব্যটির সত্যতা বিচার করো।

৭। নও কারবালা বুকেতে অশ্রু ঝরেছে ক্রন্দসীর
অসহায় জাতি ছিঁড়িবারে চায় জুলুমের জিঞ্জির।

ক. ‘দস্তুর মতো দেবংশি’ কী?
খ. “এখন সে ঝড়ের মুখে উড়ে চলা পাতা নয়, স্বচ্ছলতায় শিকড় গাড়া বৃক্ষ”- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের প্রথমে পংক্তির সাথে জামিলার সাদৃশ্য আলোচনা করো।
ঘ. লালসালু’ উপন্যাসের পরিণতিতে উদ্দীপকের বিদ্রোহী ভাবের ভূমিকা রয়েছে।” বিশ্লেষণ করো।

৮। ধর্মের মূল উদ্দেশ্য শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবকল্যাণ সাধন করা। কিন্তু আমাদের সমাজে কিছু কিছু অসৎ ব্যক্তি রয়েছে, যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সামাজিক অশান্তি ডেকে আনে, মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের কাজে লাগায়। ধর্মব্যবসায়ীদের হাত থেকে সমাজের মানুষকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা ও সচেতনতা। (লালসালু উপন্যাস সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর)

ক. ‘কলমা জান মিঞা?’ মজিদ প্রশ্নটি কাকে করেছে?
খ. মজিদ আওয়ালপুরে গেল কেন?
গ. উদ্দীপকের বিষয়বস্তুর সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের বিধৃত বিষয়বস্তুর সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য আলোচনা করো ।
ঘ. “ধর্মব্যবসায়ীদের হাত থেকে সামাজিক মানুষকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন বিশুদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষা ও সচেতনতা।’— উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘লালসালু’ উপন্যাসের আলোকে মূল্যায়ন করে

৯। মধ্যযুগে বাংলার মুসলিম নারীসমাজ অনেকটাই পিছিয়ে ছিল। শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ তো তারা পেতই না বরং চার দেয়ালে বন্দি জীবন কাটাতে হতো। ধর্মের নামে অধর্মের বেসাতি চালানো হতো তাদের উপর। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সর্বদাই নারীরা ছিল অবহেলার পাত্র। নিতান্তই হুকুম পালন ও ঘরকন্যা ছাড়া তাদের আর কোনো অধিকার ছিলনা। (লালসালু উপন্যাস সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর)

ক. খালেক ব্যাপারীর দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম কী?
খ. “শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি।”—ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘লালসালু’ উপন্যাসের রহিমা উদ্দীপকে উল্লিখিত মুসলিম নারী সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করে।”—কথাটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা সর্বদাই অবহেলার পাত্র।” —উদ্দীপক ‘লালসালু’ উপন্যাসের আলোকে তোমার মতামত দাও।

১০। গফুর মিয়ার সংসার টিকিয়ে রেখেছে তার স্ত্রী মরিয়ম। বিশাল সংসারের সকল দায়িত্ব মরিয়মের- গরুবাছুরের তত্ত্বতালাশ, ধান মাড়াই থেকে সিদ্ধ করা, মেহমান মুসাফির সবকিছুই একহাতে সামলান তিনি। অবশ্য এতে তার ক্লান্তি নেই। শুধু মাঝে মাঝে নিজেকে বড় একলা মনে হয়। গফুর মরিফমের মনের অবস্থা বোঝে। কারণ সে জানে, তাদের কোনো সন্তান নেই।

ক. ‘নিরাক পড়া’ কী?
খ. ‘শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি’- বুঝিয়ে লেখো।
গ. ’’মরিয়ম ‘লালসালু’ উপন্যাসের রহিমার মতই গফুরের ঘরের খুঁটি”- ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘মরিয়মের সন্তান কামনা অতৃপ্ত কিন্তু রহিমার মাতৃহৃদয় কিছু পরিতৃপ্ত’- কীভাবে? বিশ্লেষণ করো।


এইচএসসি বাংলা সহপাঠ লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্নত্তোর | লালসালু উপন্যাস সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ২০২৫ PDF Download.

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top