সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)

Advertisements

সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড করুন। ‘সোনার তরী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থের নাম-কবিতা। শতাধিক বছর ধরে এ কবিতা বিপুল আলোচনা ও নানামুখী ব্যাখ্যায় নতুন নতুন তাৎপর্যে অভিষিক্ত। একইসঙ্গে কবিতাটি গূঢ় রহস্য ও শ্রেষ্ঠত্বেরও স্মারক। মহৎ সাহিত্যের একটি বিশেষ গুণ হলো কালে কালে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও বিবেচনার আলোকে তার শ্রেষ্ঠত্ব নিরূপিত হয়ে থাকে। বাংলা কবিতার ইতিহাসে ‘সোনার তরী’ তেমনি আশ্চর্যসুন্দর এক চিরায়ত আবেদনবাহী কবিতা।

কবিতাটিতে দেখা যায়, চারপাশের প্রবল স্রোতের মধ্যে জেগে থাকা দ্বীপের মতো ছোটো একটি ধানখেতে উৎপন্ন সোনার ধানের সম্ভার নিয়ে অপেক্ষারত নিঃসঙ্গ এক কৃষক। আকাশের ঘন মেঘ আর ভারী বর্ষণে পাশের খরস্রোতা নদী হয়ে উঠেছে হিংস্র। চারদিকের ‘বাঁকা জল’ কৃষকের মনে সৃষ্টি করেছে ঘনঘোর আশঙ্কা। এরকম এক পরিস্থিতিতে ওই খরস্রোতা নদীতে একটি পাল তোলা সোনার নৌকা নিয়ে বেয়ে আসা এক মাঝিকে দেখা যায়। উৎকণ্ঠিত কৃষক নৌকা কুলে ভিড়িয়ে তার উৎপাদিত সোনার ধান নিয়ে যাওয়ার জন্য মাঝিকে সকাতরে মিনতি জানালে ওই সোনার ধানের সম্ভার নৌকায় তুলে নিয়ে মাঝি চলে যায়। নৌকায় স্থান সংকুলান হয় না কৃষকের। শূন্য নদীর তীরে আশাহত কৃষকের বেদনা গুমরে মরে।

এ কবিতায় নিবিড়ভাবে মিশে আছে কবির গভীর জীবনদর্শন। মহাকালের স্রোতে জীবন-যৌবন ভেসে যায়, কিন্তু বেঁচে থাকে মানুষের সৃজনশীল কর্মসম্ভার। তার ব্যক্তিসত্তা ও শারীরিক অস্তিত্বকে নিশ্চিতভাবে হতে হয় মহাকালের নিষ্ঠুর কালগ্রাসের শিকার।’সোনার তরী’ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।


সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৫ PDF

১। মরণ যেদিন দিনের শেষে আসবে তোমার দুয়ারে
সেদিন তুমি কি ধন দিবে উহারে ?
ভরা আমার পরানখানি
সম্মুখে তার দিব আনি,
শূন্য বিদায় করব না তো উহারে
মরণ যেদিন আসবে তোমার দুয়ারে ।

Advertisements

ক.খরপরশা’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী’ চরণটি দ্বারা কবি কী – বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপকে ‘সোনার তরী’ কবিতার কোন ভাবটি ব্যক্ত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘মৃত্যু মানুষের জীবনের অনিবার্য পরিণতি।’- উদ্দীপক ও ‘সোনার তরী’ কবিতার আলোকে এই চিরায়ত সত্যটির স্বরূপ বিশ্লেষণ করো।

সমাধান:

ক। উঃ ‘খরপরশা’ শব্দের অর্থ ধারালো বর্শা।

খ। উঃ প্রশ্নোক্ত চরণটিতে মহাকালের প্রতীক সোনার তরীতে মানুষের কর্মের স্থান হলেও সেখানে ব্যক্তিমানুষের যে স্থান হয় না, সে বিষয়টিই ফুটে উঠেছে।

ব্যক্তিমানুষের মৃত্যু অনিবার্য; তাকে রোধ করা সম্ভব নয়। কিন্তু ব্যক্তির কর্মফল বা অর্জনকে মৃত্যু স্পর্শ করতে পারে না। আর তাই সোনার তরীতে • কেবল কৃষকের সোনার ধানই ঠাঁই পায়, কিন্তু ব্যক্তিকৃষককে অপূর্ণতার বেদনা নিয়ে অপেক্ষা করতে হয় অনিবার্যভাবে মহাকালের স্রোতে বিলীন হওয়ার জন্য। মানুষ তার কর্মকে রেখে যায়, মানুষের স্থান হয় না এ নশ্বর। পৃথিবীতে। প্রশ্নোক্ত চরণটিতে ঠাঁই নাই কথাটির মাধ্যমে জীবনের এই অমোঘ সত্যটিকেই তুলে ধরা হয়েছে।

গ। উঃ জাউদ্দীপকে ‘সোনার তরী’ কবিতার ক্ষণস্থায়ী জীবনের কথা ব্যক্ত করা হয়েছে।

‘সোনার তরী’ কবিতাতে প্রকাশ পেয়েছে মানুষ অমরত্ব লাভ করতে চাইলেও মহাকাল তাকে সে সুযোগ দেয় না। মানুষ মাত্রই মরণশীল, সে বাঁচে তার কর্মের মধ্যে। তার ব্যক্তিসত্তা ও শারিরীক অস্তিত্ব। নিশ্চিতভাবেই মৃত্যুর অতল গহ্বরে হারিয়ে যায়।

উদ্দীপকে বলা হয়েছে মরণ যেদিন দিনের শেষে দুয়ারে আসবে সেদিন তাকে কি উপহার দেবে। নিজের প্রাণ উপহার দিয়ে বিদায় করতে হবে তাকে। অর্থাৎ মৃত্যু যে অবধারিত সেটাই প্রকাশ করা হয়েছে। দুনিয়ার পিছনে ছুটতে ছুটতে আমরা ভুলে যাই অবধারিত সত্যের কথা। উদ্দীপকের সাথে ‘সোনার তরী’ কবিতায় এই ভাবটির মিল রয়েছে। ‘সোনার তরী’ কবিতাতেও লেখক বলেছেন মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী কিন্তু তার সৃষ্ট কাজ চিরস্থায়ী, যা মানুষ আজীবন স্মরণ করবে।

ঘ। উঃ ‘মৃত্যু মানুষের জীবনের অনিবার্য পরিণতি।’- উক্তিটি যথার্থ।

‘সোনার তরী’ কবিতায় নিবিড়ভাবে মিশে আছে কবির জীবনদর্শন। মহাকালের স্রোতে জীবন-যৌবন ভেসে যায় কিন্তু বেঁচে থাকে মানুষের সৃষ্ট সোনার ফসল। মানুষের ব্যক্তিসত্তা ও শারীরিক অস্তিত্বকে নিশ্চিতভাবে হতে হয় মহাকালের নিষ্ঠুর কালগ্রাসের শিকার। কারণ মানুষ মারা গেলে তার অস্তিত্ব শেষ হয়ে যায় কিন্তু তার সৃষ্টিসম্ভার অমরত্ব লাভ করে।

উদ্দীপকে মানুষের ক্ষণস্থায়ী জীবনের কথা বলা হয়েছে। যে জীবনে মৃত্যু এসে কড়া নাড়ে। মৃত্যুকে খালি হাতে ফেরানোর ক্ষমতা আমাদের কারোর নেই। উপহারস্বরূপ নিজের জীবন দিতে হয়।

‘সোনার তরী’ কবিতায় নিঃসঙ্গ অপূর্ণতার বেদনা নিয়ে আসন্ন ও ‘অনিবার্য মৃত্যুর প্রতীক্ষার ইঙ্গিত সম্পর্কে বলা হয়েছে। মৃত্যু চিরন্তন মানুষ চাইলেও অমর হতে পারে না। যদিও কৃষকরূপী কবি অমর হতে চান কিন্তু অনিবার্য মৃত্যু তার দুয়ারে দাঁড়িয়ে তাই তিনি শূন্য নদীর তীরে • মৃত্যুর প্রহর গোনেন। উদ্দীপকেও বলা হয়েছে যেদিন মৃত্যু আসবে সেদিন তাকে আর কোনোভাবেই প্রতিহত করা যাবে না। কারণ মৃত্যুই জীবনের একমাত্র সত্য। তাই মৃত্যু যখন দুয়ারে এসে দাঁড়াবে তখন অবধারিত ভাবেই তাকে নিজের জীবন উপহার দিতে হবে। এ কারণে বলা যায় প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

২। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তাঁর লেখায় ফুটে উঠেছে প্রেম ও দ্রোহের বার্তা সমানভাবে। বঞ্চিত মানুষরা তাঁর লেখায় খুঁজে পান উজ্জীবনের মন্ত্র। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। অথচ তাঁর কবিতা ও গান আজও প্রতিটি মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার উৎস। তাই তো তিনি মরেও অমর হয়ে আছেন আপামর জনসাধারণের মাঝে। সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল

ক. ‘সোনার তরী’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত?
খ. “চারি দিকে বাঁকা জল”- চরণটিতে কিসের ইঙ্গিত রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘সোনার তরী’ কবিতার কোন দিকটি উদ্দীপকের কবির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? বুঝিয়ে লেখ।
ঘ. “কর্ম নয়, কর্মই অবিনশ্বর”- উদ্দীপক ও ‘সোনার তরী’ কবিতার আলোকে উক্তিটি মূল্যায়ন কর।

সমাধান:

ক। উঃ ‘সোনার তরী’ কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।

খ। উঃ ‘চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা’- চরণটির মধ্য দিয়ে বর্ষার জলস্রোতবেষ্টিত ছোটো জমিটুকুর বিলীন হওয়ার আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি ব্যক্ত হয়েছে।

‘সোনার তরী’ কবিতায় কবি নানা রূপক এবং দৃশ্যের অবতারণা ঘটিয়েছেন । উদ্ধৃত অংশের মধ্য দিয়ে তেমনই অসাধারণ একটি দৃশ্যকল্প তৈরি হয়েছে । কবিতায় ধানখেতটি ছোটো দ্বীপের মতো কল্পিত। তার চারপাশে ঘূর্ণায়মান স্রোতের উদ্দামতা। নদীর ‘বাঁকা জলস্রোত’ পরিবেষ্টিত ছোট্ট জমিটুকুর আশু বিলীন হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে এ অংশে । এখানে বাঁকা জল কালস্রোতের প্রতীক।

গ। উঃ উদ্দীপকে ‘সোনার তরী’ কবিতার কর্মফলের অমরতার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।

‘সোনার তরী’ কবিতায় রূপকের আশ্রয়ে মানবজীবনের গূঢ় দর্শন প্রকাশিত হয়েছে। এ কবিতায় বাহ্যরূপে বর্ষার হিংস্র স্রোত পরিবেষ্টিত ধানখেতে রাশি রাশি সোনার ধান নিয়ে অপেক্ষা করেন এক কৃষক। একসময় ভরা পালে সোনার তরী বেয়ে চলে যেতে থাকা এক মাঝিকে ধানগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য কাতর অনুনয় করেন তিনি। মাঝি তাঁর ধানগুলো তরীতে তুলে নেয়; কিন্তু ব্যক্তিকৃষকের সেখানে স্থান হয় না ।

উদ্দীপকে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি কাজী নজরুল ইসলামের কথা বলা হয়েছে। নিজ লেখনীর মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে সত্য ও সুন্দরের পথে চলার প্রেরণা দিয়েছেন তিনি। অন্যায় ও অসাম্যের বিরুদ্ধে তিনি আমাদের প্রেরণার বাতিঘর। সংগত কারণেই বাঙালির মনের মণিকোঠায় আসন লাভ করেছেন তিনি। আজও বাঙালিরা তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। অর্থাৎ, ব্যক্তি নজরুলের মৃত্যু হলেও তাঁর সৃষ্টিকর্মের বিনাশ হয়নি। ‘সোনার তরী’ কবিতাতেও কবি ব্যক্তি মানুষের বিপরীতে মহাকালের কালস্রোতে কর্মফলের টিকে যাওয়ার কথা মৃত্যুর বলেছেন, যা উদ্দীপকে উল্লিখিত কবি নজরুলের জীবন ও কর্মের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে। সে বিবেচনায় উদ্দীপকটিতে আলোচ্য কবিতায় বিধৃত কর্মফলের অমরতার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। কবি নজরুল বেঁচে না থাকলেও বেঁচে আছে তাঁর কর্ম। বাংলা ভাষায় এক বিদ্রোহ, সাম্য ও অধিকারের কথা লিখে সাহিত্যের মাধ্যমে তিনি আজও তাঁর প্রেরণা জোগান সাধারণ মানুষের অন্তরে। তাঁর কবিতা ও গান এখনো কের। আমাদের শক্তি দেয়, সাহস জোগায়। যেকোনো সংগ্রামে-সমরে তাঁকে আমরা স্মরণ করি। উদ্দীপকে এ ভাবটি ব্যক্ত হওয়ায় বলা যায় যে, | আলোচ্য কবিতার অন্তর্নিহিত জীবনদর্শন উদ্দীপকে যথাযথভাবে । চরে প্রতিফলিত হয়েছে। এখানে সময়ের বহমানতার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। সময় পরিক্রমায় ব্যক্তিমানুষ একদিন পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায়; শুধু টিকে থাকে তার সোনার ধান বা কর্মফল ।

ঘ। উঃ মানুষ চলে গেলেও তার কর্ম পৃথিবীতে থেকে যায়, উদ্দীপক ও ‘সোনার তরী’ কবিতায় এ বিষয়টিই বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে।

‘সোনার তরী’ কবিতার মূলকথা হলো, মহাকাল মানুষের কর্মকে সযত্নে যুগের পর যুগ ধরে রাখলেও কর্মের স্রষ্টাকে ধরে রাখে না। মানুষের সৃষ্টিকর্ম অবিনশ্বর হলেও মানুষের জীবন নশ্বর। অনাদিকাল ধরে জগতের ই নিয়ম একই। হাজার বছরের পুরোনো কীর্তি টিকে থাকলেও তাদের যাঁরা সৃষ্টি করেছিল তাঁরা কেউই বেঁচে নেই। যদিও তাঁরা তাঁদের কর্মের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন, কিন্তু সময়ের নিষ্ঠুরতা থেকে বাঁচতে পারেননি। ‘সোনার তরী’ কবিতায় কর্মের এই অবিনশ্বরতার দিকটি ফুটে উঠেছে।

উদ্দীপকে উল্লেখ্য কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি। তিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে মানুষকে অধিকার-সচেতন করে তুলেছেন। জাতির মুক্তির লক্ষ্যে রচিত তাঁর দ্রোহের বাণী বাঙালিকে শ্রেণিসংগ্রাম ও স্বাধিকার আন্দোলনে প্রেরণা জুগিয়েছে। তাঁর কবিতা ও গান এখনো বাঙালির আত্মপ্রেরণার উৎস। মহৎ কর্মের জন্যই আজও বাঙালি জাতি তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। উদ্দীপকে কর্মের অমরত্বের দিকটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

‘সোনার তরী’ কবিতায় বৈরী পরিবেশে এক কৃষকের রূপকে এক গভীর জীবনদর্শন ফুটিয়ে তুলেছেন কবি। তিনি মনে করেন, মহাকালের স্রোতে ব্যক্তিমানুষ বা কবিতার কৃষক হারিয়ে যাবেন ঠিকই, কিন্তু বেঁচে থাকবে তাঁর সোনার ধান বা কর্মফল। কবিতায় নির্দেশিত এ কর্মফল প্রকৃতপক্ষে উদ্দীপকে বর্ণিত কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিকর্মের ইঙ্গিতবাহী। মহাকালের স্রোতে ব্যক্তি নজরুল হারিয়ে গেছেন ঠিকই; কিন্তু তাঁর কীর্তির মৃত্যু হয়নি। সৃষ্টিকর্মের ভেতর দিয়েই অমরত্ব পেয়েছেন তিনি। আলোচ্য কবিতার অন্তরালেও সৃষ্টিকর্মের অমরতার এ দিকটিই প্রকাশ হয়েছে। সে বিবেচনায় প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথাযথ।


আরো পড়ুন:


৩। এই পৃথিবী যেমন আছে তেমনই ঠিক হবে,
সুন্দর এ পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে।
তোমার টাকাকড়ি সুন্দর বাড়ি সবই পড়ে রবে,
তুমি আর থাকবে না এই জরাকীর্ণ ভবে। (তথ্যসূত্র: বাউল গান-বিজয় সরকার)

ক. ‘সোনার তরী’ কবিতায় মাঝি কীসের প্রতীক?
খ. “শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি”- কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ‘সোনার তরী’ কবিতার কোন ভাব প্রতিফলিত হয়েছে? বর্ণনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের শেষ চরণ দুটি যেন ‘সোনর তরী’ কবিতার কবির জীবনদর্শনের প্রতিচ্ছবি”- ‘সোনার তরী’ কবিতার আলোকে মূল্যায়ন করো।

৪। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণের শুরুতেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বাংলাদেশের মানুষের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেছেন। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক অন্যায়ভাবে এবং বিনা করণে বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, গুলি ও রক্তপাত করা হয়েছে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ১৯৭১ সালের ৬ই মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকের সঙ্গে সমঝোতার জন্য ‘সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা সমঝোতা না করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুরে গুলি চালিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে হতাহত করেছে। এরূপ রন্দ্রের করুণ ইতিহাস পুরো পাকিস্তানি শাসনকাল জুড়ে বিরাজমান ছিল। সর্বোপরি ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে জাতির পিতা পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কর্তৃক ২৩ বছর যাবৎ পাকিস্তানি শাসকদের বাংলাদেশের মানুষের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেছেন। আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক কিন্তু ভুলিনি পাকিস্তানি শাসক ও তার দোসরদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, ভুলিনি জাতির পিতা ও লাখো শহিদের অবদান। সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল

ক. শ্রাবণগগন ঘিরে কী ঘুরে?
খ. আর আছে- আর নাই, গিয়াছি ভরে’- অন্তর্নিহিত কারণ ব্যাখ্যা করো।
গ. ‘সোনার তরী’ কবিতার বিষয়গত সাদৃশ্য বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘সোনার তরী’ কবিতা অবলম্বনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গভীর জীবনদর্শন বিশ্লেষণ করো।

৫। মাদার তেরেসা অকৃত্রিম মাতৃস্নেহের আধার ছিলেন। আলবেনিয়ান বংশোদ্ভূত হয়েও তিনি। তাঁর কাজের জন্য সারা পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ১৯৫০ সালে তিনি কলকাতায়। মিশনারিজ অব চ্যারিটি হোমে সমগ্র পৃথিবীর দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ ও মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের জন্য কাজ করেন। এই কাজের জন্য ১৯৭৯ সালে তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেই পুরস্কারের সমস্ত অর্থ তিনি সেবার কাজে ব্যয় করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি মারা যান। কিন্তু পৃথিবীর মানুষ আজও তাঁর নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

ক.’সোনার ধান’ কীসের প্রতীক?
খ. সোনার তরী’ কবিতায় করিব যে জীবনদর্শনের ইঙ্গিত করা হয়েছে তা আলোচনা কর ।
গ. “সোনার তরী’ কবিতার কোন বিষয়টি মাদার তেরেসার জীবনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “মাদার তেরেসার জীবনের পরিণতিই ‘সোনার তরী’ কবিতার মূল উপজীব্য”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

৬। আমায় নহে গো ভালোবাস, শুধু ভালোবাস মোর গান।
বনের পাখিরে কে চিনে রাখে গান হলে অবসান ।
চাঁদেরে কে চায়, জোছনা সবাই যাচে
গীত শেষে বীণা পড়ে থাকে ধূলি মাঝে।

ক. চারিদিকে বাঁকা জল কী করছে?
খ. “ যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী”—ব্যাখ্যা কর ।
গ. ‘সোনার তরী’ কবিতার কৃষকের সঙ্গে উদ্দীপকের বনের পাখির তুলনামূলক আলোচনা কর।
ঘ. “সোনার তরী’ কবিতার মূল বক্তব্য উদ্দীপকের শেষ চরণের মধ্যে নিহিত।”- তোমার মতামত দাও।

৭। ‘আমায় নহে গো, ভালোবাসো শুধু ভালোবাসো মোর গান
বনের পাখিরে কে চিনে রাখে গান হলে অবসান
চাঁদেরে কে চায় জোছনা সবাই যাচে
গীত-শেষে বীণা পড়ে থাকে ধূলি মাঝে।’

ক. ‘সোনার তরী’ কবিতায় কৃষকের ছোটো খেতের চারদিকে কী খেলা করছে?
খ. সোনার তরীতে কৃষকের ঠাঁই হলো না কেন?
গ. ‘সোনার তরী’ কবিতার ধানের সঙ্গে উদ্দীপকের ‘গান’ ও গীতের তুলনা করো।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘সোনার তরী’ কবিতার মূলভাব অভিন্ন।”- তোমার মতামত দাও।

৮। “আমায় নহে গো
ভালোবাস শুধু ভালোবাস মোর গান।
বনের পাখিরে কে চিনে রাখে
গান হলে অবসান।
…..…………………………
চাঁদেরে কে চায়, জোছনা সবাই যাচে
গীত শেষে বীণা পড়ে থাকে ধূলি মাঝে
তুমি বুঝিবে না, বুঝিবে না, বুঝিবে না
আলো দিতে কত পোড়ে
কত প্রদীপের প্রাণ ।
ভালোবাস মোর গান।”

ক. ‘সোনার তরী’ কবিতায় কোন ঋতুর কথা বলা হয়েছে?
খ. ‘দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।’—চরণটি বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের প্রথমাংশের ভাববস্তু ‘সোনার তরী’ কবিতার সঙ্গে কোন দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘সোনার তরী’ কবিতার মূলভাবকে সম্পূর্ণ ধারণ করে কি?”— তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।

৯। আধুনিক বাংলা কবিতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন কবি মাইকেল মধূসুদন দত্ত। অমিত্রাক্ষরের ছন্দ ব্যবহার করে তিনি বাংলা কবিতাকে মুক্তি দিয়েছেন। আজ তিনি নেই কিন্তু তাঁর সৃষ্টিকর্ম আছে ও থাকবে। সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল

ক. ছোটো তরি কীসে ভরে গিয়েছে?
খ. চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা’- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপক ও ‘সোনার তরী’ কবিতার সাদৃশ্যসূত্র চিহ্নিত করো।
ঘ. ‘আজ তিনি নেই কিন্তু তাঁর সৃষ্টিকর্ম আছে ও থাকবে’- ‘সোনার তরী’ কবিতার আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

১০। “আমায় নহে গো ভালোবাস শুধু ভালোবাস মোর গান
বনের পাখিরে কে চিনে রাখে গান হলে অবসান।
চাঁদেরে কে চায়, জোছনা সবাই যাচে
গীত শেষে বীণা পড়ে থাকে ধূলি-মাঝে।”

ক. ‘সোনার তরী’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত?
খ. “আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি ” – বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের গান ‘সোনার তরী’ কবিতার কোন বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে। ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটিতে “সোনার তরী” কবিতার মূলভাব ফুটে উঠেছে – মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।


এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৫ PDF Download

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

1 thought on “এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top