আমি কিংবদন্তির কথা বলছি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫: কবিতাটি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’-র নাম কবিতা। রচনাটিতে বিষয় ও আঙ্গিকগত অভিনবত্ব রয়েছে। আলোচ্য কবিতাটিতে উচ্চারিত হয়েছে ঐতিহ্যসচেতন শিকড়সন্ধানী মানুষের সর্বাঙ্গীণ মুক্তির দৃপ্ত ঘোষণা। প্রকৃতপক্ষে, রচনার প্রেক্ষাপটে আছে বাঙালি সংস্কৃতির হাজার বছরের ইতিহাস; এই জাতির সংগ্রাম, বিজয় ও মানবিক উদ্ভাসনের অনিন্দ্য অনুষঙ্গসমূহ। তিনি এই কবিতায় পৌনঃপুনিকভাবে মানবমুক্তির আকাঙ্ক্ষায় সোচ্চার হন। কবির একান্ত প্রত্যাশিত মুক্তির প্রতীক হয়ে উপস্থাপিত হয় একটি বিশেষ শব্দবন্ধ ‘কবিতা’। কবি তাঁর পূর্বপুরুষের সাহসী ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে তাঁর বক্তব্যকে এগিয়ে নিয়ে চলেন। কবির বর্ণিত এই ইতিহাস মাটির কাছাকাছি মানুষের ইতিহাস; বাংলার ভূমিজীবী অনার্য ক্রীতদাসের লড়াই করে টিকে থাকার ইতিহাস। ‘কবিতা’ ও সত্যের অভেদকল্পনার মধ্য দিয়ে কবি নিয়ে আসেন মায়ের কথা, বোনের কথা, ভাইয়ের কথা, পরিবারের কথা। কবি এ-ও জানেন মুক্তির পূর্বশর্ত যুদ্ধ। আর সেই যুদ্ধে পরিবার থেকে দূরে সরে যেতে হয়। ভালোবাসার জন্য, তাদেরকে মুক্ত করবার জন্যই তাদের ছেড়ে যেতে হয়। এই অমোঘ সত্য কবি জেনেছেন আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস থেকে।
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫
১। বিভিন্ন মুখের কোটি অশ্বারোহী এসে
খুরে খুরে ক্ষতময় করে গেছে সহনীয়া মাটি,
লালসার লালামাখা ক্রোধে বন্দুক কামান কত
অসুর গর্জনে চিরেছে আকাশ পরিপাটি,
বিদীর্ণ বুক নীল বর্ণ হয়ে গেছ তুমি, বাংলাভূমি
ক. উনোনের আগুনে আলোকিত কিসের কথা বলা হয়েছে?
খ. ‘বিচলিত স্নেহ’ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের ‘বাংলাভূমি’-এর সাথে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার চেতনাগত সাদৃশ্য কোথায়? আলোচনা কর।
ঘ. ‘লালসার লালা মাখা ক্রোধে’ কীভাবে আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসের পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায়? উদ্দীপক ও ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার প্রেক্ষাপটে আলোচনা কর।
সমাধান:
ক। উঃ উনোনের আগুনে আলোকিত একটি উজ্জ্বল জানালার কথা বলা হয়েছে।
খ। উঃ ‘আমি বিচলিত স্নেহের কথা বলছি’- বলতে কবি আপনজনের আন্তরিক উৎকণ্ঠার কথাই বুঝিয়েছেন।
আবহমান কাল থেকে এদেশে পারিবারিক বন্ধন অত্যন্ত দৃঢ় ও মায়াময়। পরিবারে ছোটোদের প্রতি বড়োদের অকৃত্রিম স্নেহ ও মমতা কাজ করে । এই স্নেহ মমতার কোনো তুলনা চলে না। কবি তাই এদেশের ঐতিহ্যের কথা বলতে গিয়ে এই স্নেহ মমতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। ‘বিচলিত স্নেহ’ বলতে তিনি আপনজনের উৎকণ্ঠা তথা অকৃত্রিম স্নেহ- মমতার দিকটিকে বুঝিয়েছেন ।
গ। উঃ উদ্দীপকের বাংলাভূমির সাথে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সংগ্রামী চেতনাগত সাদৃশ্য রয়েছে।
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় বাঙালির সংগ্রাম করে টিকে থাকার চেতনা প্রকাশিত হয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে বাঙালি জাতি ত্যাগ ও সংগ্রামী চেতনা ধারক। বিভিন্ন সময়ে এ জাতিকে ক্ষত-বিক্ষত করে বিদেশি শক্তি। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে যে ক্ষত জাতির বুকে তৈরি হয়েছে তা এখনো তাজা রয়েছে রক্তজবার মতো।
উদ্দীপকের বাংলাভূমিতে বাঙালির ওপরে নির্যাতনের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। এদেশে বহুকাল থেকেই বিদেশিদের লালসার বস্তু ছিল। অনেক সম্পদে ভরপুর ও ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় স্বার্থান্বেষী মহল সর্বদা একে কক্ষিগত রাখার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। তাদের লালসার জন্য এখানে বন্দুক কামান দিয়ে মহড়া চলেছে। এদেশের আকাশ সেই অসুরের দলের গর্জনে বারবার চিরে খান খান হয়েছে। বিদীর্ণ হয়েছে বাংলার বুক। কষ্টের নীল বর্ণ এ মাটির পরতে পরতে যেন ছড়িয়ে আছে। | উদ্দীপকের বাংলাভূমির এমন চিত্র ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার | বাঙালির ঐতিহ্যগত সংগ্রামী চেতনার প্রতিচ্ছবি। কবি: আলোচ্য কবিতায় | বাঙালির পূর্বপুরুষের যে সাহস ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের পরিচয় দিয়েছেন । উদ্দীপকটির বাংলাভূমি সেই ছবিই যেন ফুটিয়ে তুলেছে।
ঘ। উঃ ‘লালসার লালামাখা ক্রোধে’ স্বার্থান্বেষী শক্তির শাসন-শোষণের কালানুক্রমিক অতীত কাহিনির মধ্য দিয়ে আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসের পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায়।
“আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরা হয়েছে। বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে আমাদের গোলাম বানিয়ে রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। তারা এ জনপদকে কুক্ষিগত করতে বারবার আক্রমণ ও শোষণ করেছে। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে বাঙালি জাতি লড়াই করে যাদের বিরোচিত স্বভাবের পরিচয় দিতে ভুল করেনি।
উদ্দীপকে ‘লালসার লালামাখা ক্রোধ’ বলতে এদেশকে কুক্ষিগত করার লালসায় যারা এখানে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে তাদেরকে বোঝানো হয়েছে। বিভিন্ন পরিচয়ে তারা অস্ত্র-কামান নিয়ে এখানে এসেছিল দখল করার মানসিকতায়। বাঙালির বুকে তারা ক্ষত-চিহ্ন এঁকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেছিল । নির্যাতিত হতে হতে যেন এ মাটি ক্ষত সহ্য করার ক্ষমতা অর্জন করেছে। সেই লোভীগোষ্ঠী তাদের স্বার্থ-চরিতার্থ করতে এদেশের আকাশ চিরেছে, বিদীর্ণ বাংলাভূমি যেন তাদের আঘাতে নীল হয়ে গেছে।
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় বাঙালির হাজার বছরের সংগ্রামের ঐতিহ্য গাঁথা তুলে ধরা হয়েছে। কবি খুব সচেতন বিধায় তিনি আমাদের পূর্বপুরুষের বীরত্ব ও সংগ্রাম অতুলনীয় কাব্যিক গাঁথুনিতে উপস্থাপন করতে পেয়েছেন । তিনি বাঙালির শিকড়ের খবর তুলে ধরেছেন। আজ যে সমৃদ্ধ জাতির গৌরব আমরা বোধ করছি এর পশ্চাতে রয়েছে ঐতিহ্যের সংগ্রামী ইতিহাস । কালে কালে কত জনপদ এখানে ধ্বংস হয়েছে। অনেক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এখানে বাণিজ্য সুবিধা নিতে এসেছিল । তারা আমাদের পূর্বপুরুষদের অত্যাচার-নির্যাতন করে নিঃশেষ করতে চেয়েছে। তাদের সেই নৃশংস নখরের দাগ এখনো শুকায়নি। রক্তজবার মতো সেই ক্ষত এখনো সতেজ রয়েছে । তারা হিংস্র মাংসাশী শিকারির মতো খাবলে খেতে চেয়েছে এদেশের অমূল্য সম্পদ। উদ্দীপকেও কবি একই ইতিহাস বর্ণনা করেছেন। বিভিন্ন জাতির কোটি অশ্বারোহীর শাসন-শোষণের কথা তুলে ধরেছেন। যারা এ দেশের লালসা চরিতার্থ করতে এসে অসুরের মতো আচরণ করেছে। ভিনদেশিদের লোভের কারণে শাসন, শোষণ ও নির্যাতন।
২। এদেশ আমি বিকিয়ে দেবো না পণ্যের বিনিময়ে
এদেশ আমার প্রেম, অপ্রেমে; শঙ্কা ও সংশয়ে
শত্রুকে আমি দেবো না এখানে অকারণ প্রশ্রয়
রক্তের দামে কিনেছি এ দেশ
আমার স্বদেশ তবে আর ভয় কেন?
বলুন এবং আত্মীয়জন, নর-নারী
আমরা সবাই শত্রুর সংহারী ।
ক. মাছের সঙ্গে খেলা করতে জানে ?
খ. “যে কবিতা শুনতে জানে না সে ভালোবেসে যুদ্ধে যেতে পারে না” বলতে কী বোঝো?
গ. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কোন বিষয়টি উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকে উল্লিখিত দেশপ্রেম এবং সাহসিকতাই ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য” – মন্তব্যটি সত্যতা পরীক্ষা করো।
সমাধান:
ক। উঃ যে কবিতা শুনতে জানে না সে মাছের সঙ্গে খেলা করতে জানে না।
খ। উঃ যে কবিতা শুনতে জানে না সে ইতিবাচক চিন্তাকে ধারণ করতে পারে না বলে মাতৃভূমিকে ভালোবেসে যুদ্ধে যেতে পারে না।
কবিতা চিরন্তন সুন্দর ও সত্যের কথা বলে। কবিতা মানুষের সংবেদনশীল মানবিক মনন তৈরির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। যিনি কবিতা ভালোবাসেন, তিনি সত্য ও সুন্দরকে হৃদয়ে ধারণ করেন। তার পক্ষে অকল্যাণকর কোনো কাজ হতে পারে না। কবিতা মানুষকে দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। তাই যে কবিতা শুনতে জানে না সে স্বদেশের দুর্দিনে ভালোবেসে স্বেচ্ছায় যুদ্ধে যেতে পারে না।
গ। উঃ আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় স্বদেশপ্রেম ও ঐতিহ্যপ্রীতির যে দৃষ্টান্ত উপস্থাপিত হয়েছে, উদ্দীপকে তার চমৎকার প্রতিফলন দেখা যায়।
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় ঐতিহ্যসচেতন শিকড়সন্ধানী মানুষের সর্বাঙ্গীণ মুক্তির দৃপ্ত ঘোষণা রয়েছে। কবিতায় স্বপ্নময় উচ্চাশার পাশাপাশি উন্নয়ন ও এগিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ এসেছে। প্রয়োজনে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের প্রসঙ্গ এসেছে। পূর্বপুরুষের হাত ধরে উত্তরাধিকারসূত্রে আমরা যে সম্পদ ও সম্মান অর্জন করেছি, সেটা কিছুতেই ম্লান হতে দেওয়া যাবে না। কবি ‘কবিতা’র প্রতীকে বারবার সেই প্রসঙ্গটি পাঠকের সম্মুখে তুলে ধরেছেন। উদ্দীপকেও কবিতার অনুরূপ ভাব প্রকাশ পেয়েছে। এখানে উঠে এসেছে প্রেমে-অপ্রেমে, শঙ্কা কিংবা সংশয়ে দেশপ্রেমের কথা। শত্রুদের প্রশ্রয় না দিয়ে প্রতিহত করার কথা। পূর্বপুরুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষায় জীবন বাজি রাখার কথা। আত্মীয়জন ও নর-নারী সবাই মিলে শত্রুকে পরাস্ত করার কথা। অর্থাৎ, ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতা ও উদ্দীপকের উভয়স্থানে স্বদেশপ্রেম ও ঐতিহ্যপ্রীতি প্রকাশ পেয়েছে ।
ঘ। উঃ “উদ্দীপকে উল্লিখিত দেশপ্রেম এবং সাহসিকতাই ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য” – মন্তব্যটি যথার্থ।
“আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় গভীর দেশপ্রেমের কথা এসেছে। পূর্বপুরুষের ঋণ স্বীকার করে তাঁদের রেখে যাওয়া ঐতিহ্যের কথা বলা হয়েছে। তাদের লড়াই ও সংগ্রামী জীবনের কথা। যুগে যুগে শোষকশ্রেণির নির্যাতন ও পরাধীনতার গ্লানিকে মুছে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে। স্বদেশরক্ষায় যুদ্ধের কথাও বলা হয়েছে। কৃষিজীবী মানুষের জীবনমান ও বেঁচে থাকার প্রত্যয়ে সংগ্রামের বৃত্তান্ত উপস্থাপিত হয়েছে। ‘কবিতা’র প্রতীকে কবি বারবার সেই ঐতিহ্য ও সাহসিকতার কথা বলেছেন। উদ্দীপকের মূলসুরেও অনুরূপ দেশপ্রেম ও সাহসিকতার প্রকাশ ঘটেছে। এই দেশ আমাদের পরিচয়। রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আমরা প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি। ফলে সুখে-দুঃখে, সংশয় ও শঙ্কায় আমরা দেশমাতৃকার পক্ষে কাজ করব। উদ্দীপকে উল্লিখিত এই প্রত্যয় যেন *আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার ভাবার্থের প্রকাশ।
আরো পড়ুন:
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র রেইনকোট প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন
৩। পরাক্রমশালী মোগলরা ভারতবর্ষের অধিকাংশ অঞ্চল অনায়াসে দখল করতে পারলেও বাংলায় এসে তারা চরম প্রতিরোধের মুখে পতিত হয়। বাংলার বারো-ভূঁইয়ারা ঈশা খাঁ এর নেতৃত্বে তারা মোগলদের আগ্রাসন থেকে বাংলাকে রক্ষা করে। ঈশা খাঁ ছিলেন সংগ্রামী ও অদম্য দেশপ্রেমীর মর্ত প্রতীক। আমি কিংবদন্তির কথা বলছি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘বিচলিত স্নেহ’ অর্থ কী?
খ. ‘ভালোবাসা দিলে মা মরে যায়’- বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকটিতে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার আংশিক ভাবকে ধারণ করেছে।”- মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই করে।।
৪। মিজান স্যার ক্লাশে সেদিন বাঙালি জাতির অতীত ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বাঙালি জাতি সংগ্রামী চেতনা ধারণ করে অত্যাচারীদের মোকাবিলা করে আসছে। শত অত্যাচার সহ্য করলেও তারা পরাধীনতাকে মুখ বুঝে মেনে নেয়নি। বাঙালির ইতিহাস লড়াই করে টিকে থাকার ইতিহাস। যার বড়ো প্রমাণ পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ। আমি কিংবদন্তির কথা বলছি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. পূর্বপুরুষদের পিঠে কীসের মতো ক্ষত ছিল?
খ. `আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় বেদনাসমূহ উল্লেখ করো।
গ. উদ্দীপকটি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কোন বিষয়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকটি কবিতার সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করেছে।’- মন্তব্যটি যাচাই করো।
৫। নব দিগন্তের নতুন চলার চিঠি।
মেলেছে এ জীবন সম্ভাবনার দীতি।
আমায় যদি প্রশ্ন করে
কাব্য-গীতির কোন দেশ
বলব আমি বাংলাদেশ।
ক. শস্যের সম্ভার কাকে সমৃদ্ধ করবে?
খ. আমাদের পূর্বপুরুষেরা কীভাবে পতিত জমি আবাদ করতেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের ‘কাব্য-গীতির দেশ’ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের ‘নব দিগন্তে নতুন চলার সম্ভাবনা’ যেন ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।”- মূল্যায়ন করো।
৬। কে আসে সঙ্গে দেখ দেখ চেয়ে আজ
কারখানার রাজা, লাঙ্গলের নাবিক,
উত্তাল ঢেউয়ের শাসক উদ্যত বৈঠাহাতে মাল্লাদল,
এবং কামার কুমোর তাঁতি। এরাতো সবাই সেই
মেহনতের প্রভু, আনুগত্যে
শাণিত রক্তে ঢল হয়ে যায় বয়ে,
তোমার শিরাময় সারা পথে পথে।
ক. করতলে কী ছিল?
খ. কবি প্রবহমান নদীর কথা বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের মানুষ আর ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় বর্ণিত পূর্বপুরুষের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার মূলবক্তব্যেরই ধারক।” -মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
৭। শত যুগের ঘন আঁধার
গায়ে আজো আছে
সেই আঁধারে মানুষগুলো
লড়াই করে বাঁচে
মনে আমার ঝলসে ওঠে
একাত্তরের কথা
পাখির ডানায় লিখেছিলাম
প্রিয় স্বাধীনতা।
ক. জিহবায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ কী?
খ. ভালোবাসা দিলে মা মরে যায় — এ চরণটিতে কবি কী বলতে চেয়েছেন? বুঝিয়ে দাও।
গ. উদ্দীপকের বিষয়ের সাথে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার যে বিষয়ের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায় তা বর্ণনা করো
ঘ. “উদ্দীপকে প্রতিফলিত স্বাধীনতার কথা ও ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সর্বাঙ্গীন মানব মুক্তির কথা একসূত্রে গাঁথা” – বিশ্লেষণ করো ।
৮। মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি
মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি
মোরা নতুন একটি কবিতা লিখতে যুদ্ধ করি
মোরা নতুন একটি গানের জন্য যুদ্ধ করি
মোরা একখানা ভালো ছবির জন্য যুদ্ধ করি
মোরা সারা বিশ্বের শান্তি বাঁচাতে আজকে লড়ি।
ক. রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ কোন সম্মাননায় ভূষিত হন?
খ. ‘সশস্ত্র সুন্দরের অনিবার্য অভ্যুত্থান কবিতা’- ব্যাখ্যা করো।
গ. ‘উনোনের আগুনে আলোকিত একটি উজ্জ্বল জানালার কথার’ সাথে উদ্দীপকের চেতনার ঐক্য নির্দেশ করো।
ঘ. উক্ত ঐক্যের প্রেক্ষাপট ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কতটুকু সার্থক? মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো।
৯। মুক্তা তার ছোট্ট শিশুকে তার মুক্তিযোদ্ধা পিতার সাহসিকতা ও সংগ্রামের গল্প শোনায়। পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে তার পিতার সহযোদ্ধারা শহিদ হলেও তিনি যতক্ষণ জীবিত ছিলেন একাই লড়াই করেছেন। তার পিতার জন্য সে গর্ববোধ করে। আমি কিংবদন্তির কথা বলছি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. সুপুরুষ ভালোবাসার সুকণ্ঠ সংগীত কী?
খ. কবি পূর্বপুরুষদের ক্রীতদাস বলেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটির কোন বিষয়টি উঠে এসেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের মুক্তার পিতা ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটির কবির পূর্বপুরুষদের একজন”- মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই করো।
১০। আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে
আমি যে এসেছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে
এসেছি আমার পেছনে হাজার চরণচিহ্ন ফেলে
শুধাও আমাকে এতদূর তুমি কোন প্রেরণায় এলে?
ক. জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ কী?
খ. ‘যে কবিতা শুনতে জানে না, সে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে’- কেন?
গ. উদ্দীপকে প্রকাশিত প্রেরণা ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার মূলভাব আলোচনা করো।
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫ | এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র আমি কিংবদন্তির কথা বলছি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নত্তোর PDF Download

