সিরাজউদ্দৌলা নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

এইচএসসি বাংলা সহপাঠ সিরাজউদ্দৌলা নাটকের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর (PDF)

Advertisements

সিরাজউদ্দৌলা নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ ডাউনলোড। সিরাজউদ্দৌলা” নাটকের মূলভাব হলো এক বিশাল রাজনৈতিক ট্র্যাজেডি, যেখানে সিরাজউদ্দৌলার জীবন ও শাসনকাল তুলে ধরা হয়েছে। নাটকটি তার শাসনের দুর্বলতা, বিশ্বাসঘাতকতা, ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তার পতনকে চিহৃত করে। সিরাজউদ্দৌলা একজন আদর্শ দেশপ্রেমিক শাসক ছিলেন, তার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের কল্যাণ। তবে তার কাছের মানুষরা, বিশেষত তারই মন্ত্রী ও সেনাপতিদের ষড়যন্ত্রের কারণে তাকে পরাজিত হতে হয়।

নাটকে দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় সিরাজউদ্দৌলার সংগ্রাম এবং সেই সংগ্রামের ভেতর দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা ও রাজনৈতিক চক্রান্তের ভয়াবহতা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। নাটকটি একদিকে যেমন শক্তির অধিকারী মানুষের অহংকার ও সীমাহীন লোভের বিরুদ্ধে সততা ও দেশপ্রেমের গুরুত্ব বোঝায়, তেমনি অন্যদিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতির শিকার একজন যুবরাজের হতাশা, একাকিত্ব এবং শেষ পর্যন্ত পতনের মধ্য দিয়ে আমাদের এক বড় শিক্ষা দেয়।


সিরাজউদ্দৌলা নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ২০২৫ PDF

১। জমিদার নন্দলালের মৃত্যুর পর তার একমাত্র উত্তরাধিকারী গোবিন্দলাল জমিদারি পায়। গোবিন্দলাল বয়সে তরুণ ও সরল প্রকৃতির। তার এ সুযোগ নিয়ে তার কাকা শিশির গোবিন্দলালের অমাত্যদের নিয়ে ‘ঘরের শত্রু বিভীষণে’ পরিণত হয়। গোবিন্দলাল বিষয়টি বুঝতে পারে এবং তার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়।

ক. ‘সিরাজউদ্দৌলা’ কয় অঙ্কের নাটক?
খ.’ব্রিটিশ সিংহ ভয়ে লেজ গুটিয়ে নিলেন, এ বড়ো লজ্জার কথা।’- উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
গ. গোবিন্দলালের কাকা ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কোন কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? আলোচনা করো।
ঘ. “সিরাজউদ্দৌলা এবং গোবিন্দলালের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কর্মতৎপরতা ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটক ও উদ্দীপকের শেষ পরিণতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছে’। উদ্দীপক ও ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের আলোকে তোমার মত উপস্থাপন করো।

Advertisements

সমাধান:

ক। উঃ ‘সিরাজউদ্দৌলা’ চার অঙ্কের নাটক।

খ। উঃ ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে নবাব সিরাজউদ্দৌলার আক্রমণের মুখে ইংরেজরা পালিয়ে যাওয়ায় উমিচাঁদ প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছে। ১৭০৬ সালে’ প্রতিষ্ঠিত ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে ইংরেজরা নবাবের বিনা অনুমতিতে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে। তাই নবাব ওই দুর্গ আক্রমণ করেন। ইংরেজ সৈন্যরা নবাবের সৈন্যদের আক্রমণের মুখে দিশেহারা হয়ে পড়লে ক্যাপ্টেন মিনচিন, কাউন্সিলর ফকল্যান্ড ও ম্যানিংহাম নৌকাযোগে দুর্গ থেকে পালিয়ে আত্মরক্ষা করে। শেষ পর্যায়ে ক্যাপ্টেন ক্লেটনও গভর্নর ড্রেকের সাথে পরামর্শের নাম করে আত্মরক্ষার্থে সব প্রতিজ্ঞা ভুলে দুর্গ থেকে পালিয়ে যায়। তাই ব্যঙ্গার্থে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলা হয়েছে।

গ। উঃ গোবিন্দলালের কাকা ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের সিরাজের খালা ঘসেটি বেগম চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ’সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে, আলীবর্দি খাঁ তার ছোটো মেয়ের ছেলে – সিরাজকে খুব অল্প বয়সে বাংলার নবাব নিযুক্ত করলে, সিরাজের খালা ঘসেটি বেগম ঈর্ষান্বিত হয়ে ওঠেন। ফলে সিরাজের প্রতি অগ্নিসম হিংসা হৃদয়ে লালন করা শুরু করেন। এই পরিণতিতে ঘসেটি বেগম সিরাজের ধ্বংস নিশ্চিত করার ষড়যন্ত্রে মিরজাফর ও রাজবল্লভকে যুক্ত করেন। উদ্দীপকে জমিদার নন্দলালের মৃতুর পর তার একমাত্র উত্তরাধিকারী গোবিন্দলাল জমিদারি পায়। গোবিন্দলাল বয়সে তরুণ ও সরল প্রকৃতির। তার এ সুযোগ নিয়ে তার কাকা শিশির গোবিন্দলালের অমাত্যদের নিয়ে ‘ঘরের শত্রু বিভীষণে’ পরিণত হয়। যেটি ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের সিরাজের বড়ো খালা ঘসেটি বেগমের সাথে হুবহু সাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ নবাব আলীবর্দী খাঁ যখন সিরাজউদ্দৌলাকে নবাব হিসেবে নিয়োগ দেন তখন তাঁর বড়ো মেয়ে ঘসেটি বেগমও এটি মেনে নিতে পারেননি বরং নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের গোবিন্দলালের কাকার সঙ্গে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের ঘসেটি বেগম চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ।

২। সমস্ত দুর্বলতা ঝেড়ে ফেলে আপনারা ভেবে দেখুন, কে বেশি শক্তিমান? একদিকে দেশের সমস্ত সাধারণ মানুষ- অন্যদিকে মুষ্টিমেয় কয়েকজন বিদ্রোহী। তাদের হাতে অস্ত্র আছে, আর আছে ছলনা এবং শাঠ্য। অস্ত্র আমাদেরও আছে, কিন্তু তার চেয়ে যা বড়ো, সবচেয়ে যা বড়ো আমাদের আছে সে-ই দেশপ্রেম এবং স্বাধীনতা রক্ষার সংকল্প।

ক. কোন সন্ধির শর্ত অনুসারে ওয়াটসকে দরবারে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল?
খ. ওয়াটসের নিকট থেকে নবাব কোন কোন অপকীর্তির জবাব চাইছিলেন?
গ. তাদের হাতে অস্ত্র আচ্ছে আর আছে ছলনা এবং শাঠ্য।’- কাদের হাতে? উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
ঘ. ‘আমাদের আছে সে-ই দেশপ্রেম এবং স্বাধীনতা রক্ষার সংকল্প।’- এই সংকল্প সেসময় কী কারণে ব্যর্থ হয়? বিশ্লেষণ করো।

সমাধান:

ক। উঃ আলি নগরের সন্ধির শর্ত অনুসারে ওয়াটসকে দরবারে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।

খ। উঃ ওয়াটসের নিকট থেকে নবাব সিরাজউদ্দৌলা বেশকিছু অপকীতির জবাব চেয়েছিল।

কাশিম বাজারে ইংরেজরা নবাবের অনুমতি ছাড়াই গোলাবারুদ আমদানি করে। তাছাড়া কলকাতার আশপাশে গ্রামের পর গ্রাম তারা নিজেদের দখলে নেয়, ফোট উইলিয়াম দুর্গ সংস্কার করে ইংরেজরা সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে প্রচেষ্টা চালায়। এছাড়া নবাবের নিষেধ অগ্রাহ্য করে কৃষ্ণবল্লভকে আশ্রয় দেয় বলে নবাব ওয়াটসের কাছে তাদের অপকীতির জবাব চায়। এসব ছাড়াও নবাবকে ইংরেজরা নজরানা দেয়নি বলে নবাব অভিযোগ করে এবং কারণ জানতে চায়।

গ। উঃ পলাশির যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পরে দেশপ্রেমী জনতার সাথে নবাব সিরাজউদ্দৌলা কথা বলার সময় ইংরেজদের উদ্দেশে করে আলোচ্য উক্তিটি করেন।

‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে আমরা দেখি যে যুদ্ধের সময় নবাবের গোলাবারুদ বৃষ্টিতে ভিজে যায়। ইংরেজদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে নবাবের বিশ্বস্ত মানুষেরা তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। মিরজাফরের সেনারা যুদ্ধের মাঠে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। ছলনার আশ্রয় নিয়ে ইংরেজ বাহিনী নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে যুদ্ধে পরাজিত করে দেয়। পলাশির ময়দানে যুদ্ধের চেয়ে যুদ্ধের অভিনয়ই হয় বেশি। উদ্দীপকে দেখা যায় যে, যুদ্ধে প্রতারিত হলে পরাজয় বরণ করার পর জনতার উদ্দেশ্যে কথা বলা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের দেশপ্রেম আছে কিন্তু প্রতারকদের হাতে আছে অস্ত্র, ছলনা ও শঠতা। সংখ্যায় প্রতারকেরা মুষ্টিমেয়, আর জনতা সংখ্যায় বেশি। জনতার হাতে অস্ত্র থাকলেও তাদের বড়ো শক্তি দেশপ্রেম। ইংরেজদের ছলনা ও শঠতার আশ্রয় নিয়ে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার বিষয়টি বোঝাতে আলোচ্য উক্তিটি করা হয়।

ঘ। উঃ দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার, সংকল্প থাকা সত্ত্বেও বিশ্বাসঘাতকতার কারণে পলাশির যুদ্ধে জয়ের সংকল্প তখন ব্যর্থ হয়।

‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে সিরাজ ও জনতা ও বেশকিছু চরিত্রের দেশপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায়। যারা ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য বন্ধ পরিকর। দেশপ্রেমিক মানুষের পাশাপাশি সিরাজউদ্দৌলা নাটকে কিছু বিশ্বাসঘাতক চরিত্রের দেখা পাওয়া যায়। যারা নিজের ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষার জন্য দেশের স্বার্থকে নিলামে তুলে দেয়।

উদ্দীপকে বোঝানো হয়েছে যে, বিশ্বাসঘাতকতার শক্তির চেয়ে দেশপ্রেমের শক্তি অনেক বেশি। হাতেগোনা কিছু বিদ্রোহীর বিরুদ্ধে দেশের জনতা রুখে দাড়ালে জনতার শক্তিই জয়ী হবে। অস্ত্র ও গোলাবারুদের সাথে যাদের মনে দেশপ্রেমও থাকে তাদের মনের শক্তি, অনেক বেশি হয়। ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে দেশপ্রেম ও স্বাধীনতা রক্ষার সংকল্পে আঘাত আসে দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতকদের কর্মকাণ্ডে।

‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে আমরা দেখতে পাই, বাংলার নবাবের সামরিক ক্ষমতা ছিল অনেক বেশি। নবাব নিজে দেশপ্রেমী ছিলেন এবং বাংলার জনগণ তার অনুগত। অন্যদিকে, কিছু অমাত্য নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। ইংরেজরা নবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিলে তারা ইংরেজদের সাহায্য করে। উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই দেশপ্রেম ও ‘দেশরক্ষার সংকল্পকে শঠতা ও ছলনার শক্তির চেয়ে বড়ো করে দেখা হয়েছে।

কিন্তু কখনো একটি ছোটো ছিদ্র যেমন জাহাজ ডুবিয়ে দেয়, তেমনি রাজদরবারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে সে সময় স্বাধীনতা রক্ষার সংকল্প ব্যর্থ হয়ে যায়।


আরো পড়ুন:


৩। মেঘনাদবধ কাব্যের দেশপ্রেমিক রাক্ষসরাজ রাবণের দেশ শত্রুবেষ্টিত ও অবরুদ্ধ। রামচন্দ্র ও তাঁর বানর সৈন্য লঙ্কা নগরীকে চারদিক থেকে ঘিরে রয়েছে। রাবণের অনুজ বিভীষণ শত্রুসেনাদের সাথে যোগ দিয়ে রাবণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। চারদিকে অবিশ্বাস, প্রতারণা ও বিপর্যয়ের হাতছানি। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বীর পুত্রদের মৃত্যুর খবর আসে তাঁর কানে। বিষণ্ণ ও দ্রোহক্ষুব্ধ রাবণ শত্রুর মোকাবিলা করার জন্য যুদ্ধসাজ নিয়ে রণক্ষেত্রে অগ্রসর হয়। দেশের জন্য এ সংগ্রাম প্রকৃত বীরত্বের মহিমায় উজ্জ্বল।

ক. কার নির্দেশে সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করা হয়?
খ. “কত বড় শক্তি, তবু কত তুচ্ছ”- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের রাবণ চরিত্রটি ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? বিশ্লেষণ করো।
ঘ. উদ্দীপকের দেশপ্রেম ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে তা মূল্যায়ন করো।

৪। রতন ও রমন দুই বন্ধু বনের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল। তারা এই মর্মে প্রতিজ্ঞা করে যে, কোনো বিপদ আসলে কেউ কাউকে ছেড়ে পালাবে না। কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর তারা দেখতে পায় একটি ভালুক তাদের দিকে এগিয়ে আসছে। দু’জনই ভীত হয়। রতন হঠাৎ লাফ দিয়ে গাছের উপরে ওঠে। রমন গাছে চড়তে জানে না। তাই মৃত মানুষের মতো মাটিতে শুয়ে পড়ে। হিংস্র ভালুকটি দৌড়ে এসে মাটিতে শুয়ে থাকা রমনের দেহটিকে নিরীক্ষণ করে অবশেষে মৃতদেহ ভেবে চলে যায়। রতন গাছ থেকে নেমে রমনের কাছে গিয়ে ভালুক তার কানে কানে কী বলে পেল তা জানতে চায়। রমন গম্ভীর স্বরে উত্তর দিলো। ভালুকটি বলেছে “বিপদের সময় যারা প্রতিমার কথা ভুলে যায়, অসহায় বন্ধুকে ত্যাগ করে, তারা কখনও ভালো মানুষ হয় না।” রতন লজ্জিত হয়। বিনয় স্বরে বলে, “বন্ধু, বন্ধুত্ব নয়, বুদ্ধি দিয়ে তুমি জিতেছ।”

ক. “কাপুরুষ, বেইমান। জ্বলন্ত আগুনের মুখে বন্ধুদের ফেলে পালিয়ে যায়।” উক্তিটি কার?
খ. “ব্রিটিশ সিংহ ভয়ে লেজ গুটিয়ে নিলেন, এ বড় লজ্জার কথা। ”- ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের বিশ্বাসভঙ্গের দিকটি কতটুকু উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে। তুলনামূলক আলোচনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের রমনের পরিণতি এবং ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে সিরাজের পরিণতি সম্পূর্ণ ভিন্ন”———উক্তিটি মূল্যায়ন কর।

৫। রহিম গাজীর খুব কাছের লোক ছিল শিহাব উদ্দীন। সে তাকে বিশ্বাস করে তার জমি-জমা দেখানোর ভার দেয়। কিন্তু একদিন রহিম গাজী দেখে তার সম্পত্তি শিহাব উদ্দীনের নামে হয়ে আছে। সে ভাবলো এতদিন সে ভুল মানুষকে বিশ্বাস করেছে। বিশ্বাস করা ভালো, কিন্তু অন্ধবিশ্বাস কখনো কখনো মানুষকে সর্বনাশ করে ফেলে।

ক. সিরাজউদ্দৌলার মায়ের নাম কী?
খ. “শুভ কাজে অযথা বিলম্ব করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।” –ব্যাখ্যা কর ।
গ. উদ্দীপকের শিহাব উদ্দীন ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? যুক্তিসহ বুঝিয়ে লেখ ।
ঘ. “বিশ্বাস করা ভালো, কিন্তু অন্ধবিশ্বাস কখনো কখনো মানুষকে সর্বনাশ করে ফেলে”— ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর ।

৬। অল্প বয়সে পিতৃহারা হয়ে পিতার রাজত্বের ভার নিতে হলো হিরণকে। সাথে সাথে শুরু হয়ে গেল ষড়যন্ত্র। নিজের ভাইদের অসহযোগিতায় তাঁর রাজ্য শাসন হয়ে উঠল অসম্ভব! কিন্তু তবুও দমে যাননি রাজা হিরণ। শক্ত হাতে মোকাবিলা করলেন সকল বিদ্রোহ ।

ক. পাটনা থেকে সিরাজের সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দেবেন কে?
খ. “আমি দওলতের পূজারী” – কে, কোন প্রসঙ্গে বলেছিল? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের রাজা হিরণের ভাইদের সাথে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কোন কোন চরিত্রের সাদৃশ্য আছে? আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের প্রেক্ষাপট কি রাজা হিরণ ও নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে একসূত্রে বাধতে পেরেছে। তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও ।

৭। লোকমান একটি বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে আজ মালিক হয়ে বসেছে। তরুণ মালিকের বিধবা স্ত্রীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করে সে মালিকানা হস্তগত করে। তার স্বপ্নপূরণ হলেও স্বস্তি নেই মনে। ষড়যন্ত্রকারী সঙ্গীরাও তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। সমাজের চোখে সে আজ ঘৃণিত।

ক. ‘ক্লাইভের গাধা’ হিসেবে পরিচিত ছিল কে?
খ. ‘সবাই মিলে সত্যিই আমরা বাংলাকে বিক্রি করে দিচ্ছি নাতো?’- ব্যাখ্যা করো।
গ. লোকমানের মালিক হওয়ার আকাঙ্ক্ষা কেন তা মিরজাফর চরিত্র অবলম্বনে ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘বাংলার ইতিহাসে মিরজাফর বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক, নিকৃষ্ট মানুষের প্রতীক।’- উদ্দীপকের আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

৮। শহরে বড়সড় এক ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল ডাকাত সরদার নিজাম ও তার দল। এ লক্ষ্যে শহরের প্রান্তে এক পরিত্যক্ত বাড়িতে তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংগঠিত হতে থাকে। গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে নগর পুলিশ পরিত্যক্ত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সদলবলে নিজামকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে।

ক. ক্লাইভের গাধা বলা হয় কাকে?
খ.“আমার সারা অস্তিত্ব জুড়ে কেবল যেন দেয়ালের ভিড়।”-উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. ডাকাতদলের প্রস্তুতির বিষয়টিকে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কোন ঘটনার সাথে তুলনা করা যায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “ইংরেজদের পরিণতি উদ্দীপকের নিজামদের মতো হলে এ দেশের ইতিহাস পাল্টে যেত।”- উক্তিটির যথার্থতা নির্ণয় কর।

৯। স্ত্রী জাএদা কর্তৃক বিষ প্রয়োগে মৃত্যুর পূর্ব সময়ে হাসানের উক্তি, শয্যার নিকটে জাএদাকে ডাকিয়া হাসান চুপি চুপি বলিতে লাগিলেন, ‘জাএদা, তোমার চক্ষু হইতে। হাসান বিদায় হইতেছে, আশীর্বাদ করি, সুখে থাকো। তুমি যে কার্য করিলে সমস্তই আমি জানিতে পারিয়াছি। তোমাকে বড়োই বিশ্বাস করিতাম। বড়োই ভালোবাসিতাম। তাহার উপর্যুক্ত কার্যই তুমি করিয়াছ। ভালো থেকো, সুখে থাকো, আমি তোমাকে ক্ষমা করিলাম।’

ক. রাইসুল জুহালা কে?
খ. সিরাউদ্দৌলা নাটকে কে, কেন নিজেকে ‘দওলাতের পূজারি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে?
গ. হাসানের পরিণতির সঙ্গে সিরাজউদ্দৌলার চরিত্রের পরিণতির পার্থক্য কোথায়? বুঝিয়ে লেখো।
ঘ. “উদ্দীপকের সংকট ব্যক্তি পর্যায়ে হলেও ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের সংকট রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের।” বিশ্লেষণ করো।

১০। দশ গ্রামের মাতব্বর আশরাদ চৌধুরী নিঃসন্তান না হলেও কোনো পুত্র সন্তান নেই। বিত্তশালী চৌধুরী সাহেব তাই সমস্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী করেন ভাইপো সজলকে। এতে ক্ষিপ্ত হয় তার অন্যান্য ওয়ারিশরা। চৌধুরী সাহেব সকলকে বোঝাতে পারলেও জামাতা আসমত সাহেবকে কোনোভাবে বোঝাতে পারেনি। তিনি শ্বশুরকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

ক. সিরাজউদ্দৌলা নাটকে মোট কয়টি দৃশ্য রয়েছে?
খ. ক্লাইড সিরাজউদ্দৌলাকে দ্রুত হত্যা করতে চেয়েছিল কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের আসমত সাহেব ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে? আলোচনা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটিতে চক্রান্তের আভাস থাকলেও তা সিরাজউদ্দৌলা নাটকের সমগ্র ভাব ধারাকে ধারণ করতে পারেনি।” এ বিষয়ে তোমার মতামত ব্যক্ত কর।


এইচএসসি বাংলা সহপাঠ সিরাজউদ্দৌলা নাটকের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর | সিরাজউদ্দৌলা নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ২০২৫ PDF Download

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top