আমার পথ সৃজনশীল

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র আমার পথ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)

Advertisements

আমার পথ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড করুন। ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম এমন এক আমি’র আগমন প্রত্যাশা করেছেন যার পথ সত্যের পথ, সত্য প্রকাশে তিনি নির্ভীক, অসংকোচ । এখানে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল দেওয়া আছে , এগুলোর উত্তর পিডিএফ ফাইলে পাওয়া যাবে। তাহলে চলো, শুরু করি।


আমার পথ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫

১। আত্মবিশ্বাসী মানুষই সাফল্যের পথে এগিয়ে যান। তিনি অন্যের মত ও পথের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখেও নিজের সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। অন্যের উপর নির্ভরতা তার লক্ষ্য নয়। নিজেকে চিনে এবং নিজের বিশ্বাসকে বড় মনে করার মধ্য দিয়েই তিনি কল্যাণকর কিছু করতে পারেন।

ক.’আমার পথ’ প্রবন্ধ অবলম্বনে কোনটি সবচেয়ে বড় দাসত্ব?
খ. যে নিজের সত্যকে চিনতে পারে না তার ভেতরে ভয় কাজ করে বলে সে বাইরেও ভয় পায় । — ব্যাখ্যা করো
গ. উদ্দীপকের ভাবনা ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কীভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ? আলোচনা কর ।
ঘ. “আত্মনির্ভরশীলতার মধ্য দিয়েই একজন ব্যক্তি বা একটি জাতি উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছতে পারে। ” উদ্দীপক ও ‘আমার পথ’ প্রবন্ধ অবলম্বনে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

উত্তর:

Advertisements

ক। উঃ ‘আমার পথ’ প্রবন্ধ অবলম্বনে সবচেয়ে বড় দাসত্ব হলো পরাবলম্বন।

খ। উঃ যে নিজের সত্যকে চিনতে পারে না তার ভেতরে ভয় কাজ করে বলে সে বাইরেও ভয় পায় ।

বাস্তব জীবনে মানুষকে প্রতিনিয়ত নানারকম সত্য মিথ্যার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু খুব অল্প মানুষই সত্য-মিথ্যার প্রকৃত রূপ চিনতে পারে। যে সত্যকে সঠিকভাবে চিনতে পারে তার অন্তরে মিথ্যার অমূলক ভয় থাকে না। আর যে ব্যক্তি সত্যের আসল রূপটি চিনতে ব্যর্থ হয় তার অন্তরেই মিথ্যার ভয় থাকে। যার মনে মিথ্যা সেই মিথ্যার ভয় করে, আর অন্তরে ভয় থাকলে সে ভয় বাইরেও প্রকাশ পায়। এজন্য প্রাবন্ধিক বলেছেন, যার ভেতরে ভয় সেই বাইরে ভয় পায় ।

গ। উঃ নিজের শক্তি ও ক্ষমতা সম্পর্কে জেনে আপন সত্যকে ধারণ করে এগিয়ে যাবার কথা ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের ন্যায় উদ্দীপকেও ফুটে উঠেছে।

‘আমার পথ’ প্রবন্ধে লেখক আত্মনির্ভরশীলতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। পরাবলম্বন আমাদের নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। তিনি মনে করেন, এ পরাবলম্বনই সবচেয়ে বড়ো দাসত্ব। অন্তরে যাদের গোলামির ভাব বাইরের গোলামি থেকে তাদের মুক্তি নেই। আত্মনির্ভরশীল ব্যক্তি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আত্মনির্ভরশীলতা না থাকলে মানুষ নিজের উন্নতির জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করে। বস্তুত যেদিন মানুষের মনে আত্মনির্ভরশীলতা আসবে সেদিনই মানুষ প্রকৃত স্বাধীনতা পাবে ।

উদ্দীপকে সাফল্যের পথ হিসেবে আত্মবিশ্বাসী মানুষের পথকে বোঝানো হয়েছে।অন্যের মত ও পথের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখেও নিজের সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে পারা-ই সফলতা। ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে নজরুল ইসলাম ‘আমি’ সত্তার জাগরণের কথা বলেছেন যার প্রকাশ উদ্দীপকেও রয়েছে। নিজেকে চেনা, নিজের সত্যকে উপলব্ধি করার মাধ্যমে মানুষ চিরকল্যাণের পথে অগ্রসর হতে পারে— আর এ ভাবনাটি প্রবন্ধ ও গল্পে প্রকাশিত হয়েছে।

ঘ। উঃ “আত্মনির্ভরশীলতার মধ্য দিয়েই একজন ব্যক্তি বা একটি জাতি উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছতে পারে। ” উদ্দীপক ও ‘আমার পথ’ প্রবন্ধ অবলম্বনে মন্তব্যটি উপযুক্ত।

আত্মবিশ্বাস ও আত্মনির্ভরতার আহ্বান জানানো হয়েছে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে। সত্যের উপলব্ধি লেখকের প্রাণপ্রাচুর্যের উৎসবিন্দু। লেখক সত্যের আলোতে মানুষের ব্যক্তিত্বের জাগরণ ও বিকাশ প্রত্যাশা করেছেন। – পরনির্ভরতামুক্ত স্বাধীন ব্যক্তি আত্মবিশ্বাসী, এরা সত্য প্রকাশে নির্ভীক হয়ে থাকে। আত্মশক্তিকে অনুধাবন করতে পারলেই মানুষ আত্মনির্ভরশীল হতে পারে’। আর আত্মনির্ভরশীল মানুষ সব কিছুকেই সম্ভব করে তুলতে পারে ।

উদ্দীপকে বলা হয়েছে, আত্মবিশ্বাসী মানুষই সাফল্যের পথে এগিয়ে যান। তিনি অন্যের মত ও পথের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখেও নিজের সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। অন্যের উপর নির্ভরতা তার লক্ষ্য নয়। নিজেকে চিনে এবং নিজের বিশ্বাসকে বড় মনে করার মধ্য দিয়েই তিনি কল্যাণকর কিছু করতে পারেন।

‘আমার পথ’ প্রবন্ধ এবং উদ্দীপকের লেখক আত্মশক্তিকে প্রাণপ্রাচুর্যের উৎস হিসেবে উপলব্ধি করেছেন। নিজে নিষ্ক্রিয় থেকে কখনোই সফলতা অর্জন সম্ভব নয়। তাই নিজের সত্য ও বিশ্বাসকে জেনে আত্মার অফুরান শক্তিকে জাগ্রত করতে পারলেই মানুষ পেতে পারে আত্মনির্ভরশীলতা। আর এ আত্মনির্ভরশীলতার গুণেই মানুষ পেতে পারে সাফল্য।

“আত্মনির্ভরশীলতার মধ্য দিয়েই একজন ব্যক্তি বা একটি জাতি উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছতে পারে। ” উদ্দীপক ও ‘আমার পথ’ প্রবন্ধ অবলম্বনে মন্তব্যটি যথার্থ।

২। রক্তের অক্ষরে দেখিলাম
আপনার রূপ
চিনিলাম আপনাকে
আঘাতে আঘাতে;
সত্য যে কঠিন
কঠিনেরে ভালোবাসিলাম
সে কখনো করে না বঞ্চনা।

ক. সবচেয়ে বড়ো দাসত্ব কোনটি?
খ. ‘আগুনের সম্মার্জনা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটিতে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের কোন বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘সত্য যে কঠিন; কঠিনেরে ভালোবাসিলাম’ এই চরণ দুটির আলোকে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তর:

ক। উঃ সবচেয়ে বড়ো দাসত্ব হলো পরাবলম্বনই।

খ। উঃ ‘আগুনের সম্মার্জনা’ বলতে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে সমাজের সকল অশুদ্ধি ও ক্লেদ দূর করার হাতিয়ারকে বোঝানো হয়েছে।

‘আমার পথ’ প্রবন্ধে লেখক যে সমাজের ভিত্তি পচে গেছে তাকে সমূলে উৎপাটন করার পক্ষপাতী। তিনি পক্ষপাতী যা কিছু অশুভ, মিথ্যা, মেকি তা দূর করার। এজন্য তাঁর মতে, প্রয়োজন আগুনের। কেননা, আগুন সব রকম অশুদ্ধিকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। ‘আগুনের সম্মার্জনা’ বলতে লেখক এ বিষয়টিকেই বুঝিয়েছেন।

গ। উঃ উদ্দীপকের কবিতাংশে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের সত্যের পথকে বেছে নেওয়ার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।

‘আমার পথ’ প্রবন্ধে লেখক নিজেকেই নিজের কর্ণধার হিসেবে বরণ – করে সত্যের পথ ধরে এগিয়ে চলার জন্য দৃঢ় প্রত্যয়ী। নিজের ভিতরে যে সত্য আছে এই সত্যই লেখকের মূল কান্ডারি, মূল পথপ্রদর্শক। সত্যকে অবলম্বন করেই লেখকের পথ চলা। তিনি বুঝতে পেরেছেন, অন্তরে মিথ্যা থাকলে বাইরেও তার প্রতিফলন ঘটে। আপন সত্যকে পথের একমাত্র দিশারি করে পথ চলতে পারলে তবেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। আত্ম-সত্যই সবচেয়ে বড়ো সত্য, আত্মকে চিনতে পারলে মানুষ কখনোই মিথ্যাপথে পরিচালিত হতে পারে না। তাই লেখক আত্ম সত্যকেই তাঁর পথ বলে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে, উদ্দীপকের কবিতাংশ থেকে জানা যায়, কবি আঘাতে- বেদনায় এখন নিজেকে তথা সত্যকে বুঝতে পেরেছেন। এ’ সত্যকে পাওয়া কঠিন বটে কিন্তু সত্য কখনো মানুষকে বঞ্চনা দেয় না কিংবা প্রতারণা করে না অর্থাৎ উদ্দীপকের কবিতাংশের মূল বিষয় হলো আত্মকে চেনার মাধ্যমে সত্যকে চেনা আর সত্যকে চেনার মাধ্যমেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছা। তাই বলা যায়, ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের আত্মকে চেনার মাধ্যমে সত্যপথকে চেনার বিষয়টি উদ্দীপকের কবিতাংশে প্রতিফলিত হয়েছে।

ঘ। উঃ ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে যে রকম সত্যের শক্তিতে বলীয়ান হওয়ার কথা বলা হয়েছে, তেমনই উদ্দীপকের কবিতাংশ সত্যের শক্তিতে বলীয়ান হওয়ার কথাই বলে।

‘আমার পথ’ প্রবন্ধে লেখক সত্যকে তাঁর একমাত্র কর্ণধার হিসেবে বর্ণনা করেছেন। লেখক অসত্য বা মিথ্যার সাথে আপস না করে সত্যকে একমাত্র পথ হিসেবে বিবেচনা করে সে পথেই অগ্রসর হয়েছেন। অন্তরের ভীরুতা, কাপুরুষতা সবকিছু ঝেড়ে ফেলে আত্মশক্তিতে বলীয়ান হতে চেয়েছেন। ভুল করলে সে ভুল পথ থেকে নিজেকে শুধরিয়ে নিতে লেখকের কোনো আপত্তি নেই। লেখক ঝোঁকের বশবর্তী হয়ে, আবেগের বশে কোনো কাজ করতে চান না। সত্যকেই তাঁর জীবনের একমাত্র পথ বিবেচনা করে তাঁর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে চান। আর সত্য শক্তিতে বলীয়ান থাকলেই মানুষ কেবল গন্তব্যে যথাযথভাবে পৌছাতে পারে অর্থাৎ মানুষের একমাত্র পথ সত্যপথই হওয়া উচিত।

অন্যদিকে, উদ্দীপকের কবিতাংশ থেকে দেখা যায়, কবি আত্মকে চেনার মাধ্যমে সত্যকে চিনতে পেরেছেন এবং এই সত্যের পথকে তিনি একমাত্র অবলম্বন হিসেবে আঁকড়ে ধরেছেন। বুঝতে পেরেছেন যে, সত্যপ্রাপ্তি কঠিন হলেও একবার সেই সত্যকে পেলে কখনোই সে বঞ্চনা করে না কিংবা তার কারণে কখনোই ভ্রষ্ট হতে হয় না। উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি এই সত্যের শক্তিতে বলীয়ান হয়েই পথ চলতে চেয়েছেন। সুতরাং ‘আমার পথ’ প্রবন্ধ এবং উদ্দীপকের আলোকে বলা যায়, উভয় ক্ষেত্রে আত্মাকে চেনার মাধ্যমে সত্যকে চেনা এবং সত্যকে চেনার মাধ্যমে সার্বিক কল্যাণ আনয়নের দিকটি ফুটে উঠেছে। উদ্দীপকের কবি কিংবা প্রবন্ধের লেখকের জীবনদর্শন একই। তাঁরা সমস্ত মিথ্যা পন্থা বাদ দিয়ে, অন্ধ নেতৃত্ব উপেক্ষা করে আত্মকে অবলম্বন করে পথ চলতে চান। কবি এবং লেখকের মূল শক্তি মূলত সত্যের শক্তি। আর এই সত্যের শক্তিতে বলীয়ান হতে পারলে যত রাধাই আসুক না কেন লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়।

৩। নিজেকে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সক্রেটিস বলেছেন, ‘নিজেকে জানো।’ এ কথা সকলেই জানে যে, আত্মোপলব্ধির মধ্য দিয়ে নির্মিত হয় ব্যক্তিত্ববোধ। আর প্রবল ইচ্ছাশক্তিই পরাধীনতার জাল থেকে বের করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে। সুতরাং, ইচ্ছাশক্তি ও সত্য পথকে ধারণ করে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।

ক. ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে লেখক কাকে সালাম জানিয়েছেন?
খ. “যার ভেতরে ভয়, সেই বাইরে ভয় পায়।”- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ। উদ্দীপকের ‘নিজেকে জানো’ এই কথাটি ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের মূল বিষয়বস্তুকে ‘নির্দেশ করে কিনা তা নিজের ভাষায় তুলে ধরো।


Read More:


৪। “রূপনারাণের কূলে জেগে উঠিলাম।
জানিলাম এ জগৎ স্বপ্ন নয়।
……………………………………………
সত্য যে কঠিন,
কঠিণেরে ভালোবাসিলাম,
সে কখনো করে না বঞ্চনা।”

ক. সবচেয়ে বড় ধর্ম কী?
খ.”আত্মাকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে” কথাটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের যে বিষয়টির মিল আছে, তা আলোচনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের কবিতাংশে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের সম্পূর্ণভাব ফুটে উঠেছে কি? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দেখাও।

৫। রমিজ উদ্দিন সারাটি জীবন শিক্ষকতা করেছেন, গড়েছেন আলোকিত মানুষ। অবসর গ্রহণের পর তিনি গড়ে তুলেছেন তারুণ্য নামের সেবা সংগঠন। বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজের পাশাপাশি পথশিশুদের শিক্ষাদান, দুর্নীতি-বিরোধী অভিযান, নৈতিকতা ও মূল্যবোধবিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করেন তিনি। অনেকে তাঁর কাজের প্রশংসা করেন আবার নিন্দা ও কটূক্তি করতেও ছাড়েন না কেউ কেউ। তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন-

মনেরে আজ কহ যে
ভালোমন্দ যাহাই আসুক
সত্যরে লও সহজে।

ক. কাজী নজরুল ইসলামের মতে কোনটি নিষ্ক্রিয় করে দেয়?
খ. কবি নিজেকে ‘অভিশাপ রথের সারথি’ বলে অভিহিত করেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের রমিজ উদ্দিনের মাধ্যমে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের যে বাণী উচ্চারিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকের কবিতাংশের বক্তব্য চেতনায় ধারণ করে আলোকিত পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব।’- প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো।

৬। জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে ‘বিশ্বাস’ অর্থাৎ ‘আত্মবিশ্বাস’ শব্দটি মানবমনের এমন শক্তির প্রতীক, যার কোনো যৌক্তিক সীমানা নেই। তবুও আত্মবিশ্বাসের ভালো উদাহরণ হিসেবে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আইরিশ নাট্যকার ‘জর্জ বার্নাড শ’ এর নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। তিনি মাত্র ৫ বছর স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। দারিদ্র্যের কারণে মাত্র ১৫ (পনেরো) বছর বয়সে মাসে ৪০ টাকা বেতনে কেরানির কাজ নেন। কিন্তু লেখক হতে চেয়েছিলেন এবং বিশ্বাস করতেন একদিন বড় লেখক হবেন। তাই তিনি নিয়মিত লেখা শুরু করেন। লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে তাঁর নয় বছর সময় লেগেছিল। লেখক জীবনের প্রথম নয় বছরে তাঁর লেখা থেকে আয় হয়েছিল মাত্র ৩০০ টাকা। কিন্তু তাঁর বিশ্বাসই তাঁকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। লেখক হিসেবেই পরবর্তীতে উপার্জন করেছেন প্রচুর টাকা। আমার পথ সৃজনশীল

ক. ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে নিজের ওপর অটুট বিশ্বাস করতেই শেখাচ্ছিলেন কে?
খ. লেখক নিজ সত্যকে সালাম জানিয়েছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের জর্জ বার্নাড শ এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সাথে ‘আমর পথ’ রচনার প্রাবন্ধিকের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সাদৃশ্য বিচার কর।
ঘ. “আত্মবিশ্বাসের উপর ভর করাই উদ্দীপক আর ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের সারকথা।”-মূল্যায়ন কর।

৭। সঙ্কোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান,
সংকটের কল্পনাতে হোয়ো না ম্রিয়মাণ-
মুক্ত করো ভয়,
আপনা-মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়-
দুর্বলেরে রক্ষা করো, দুর্জনেরে হানো,
নিজেরে দীন নিঃসহায় যেন কভু না জানো।
মুক্ত করো ভয়,
নিজের ’পরে করিতে ভর না রেখো সংশয়।

ক. কাজী নজরুল ইসলামের মতে কে মিথ্যাকে ভয় করে?
খ. ‘মানুষ-ধর্মই সবচেয়ে বড় ধর্ম’- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত সংকোচ ও সংকটের দুর্বলতাকে মুক্ত করার তাগিদের সাথে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য বুঝিয়ে লেখ।
ঘ. “নিজের ’পরে করিতে ভর না রেখো সংশয়”- উদ্দীপকের এ কথাই ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের মূলভাব- মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

৮। স্বপ্নচূড়া গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মি. রহমান রাশভারি মানুষ। কর্মচারীরা আনুগত্যের ভাব প্রকাশে তাঁর সব কথাতেই হ্যাঁ স্যার, জি স্যার করেন। কেবল মতিন সাহেব তা করেন না। যেটি ঠিক সেখানে হ্যাঁ, যেটি ঠিক নয় সেখানে না বলেন। সহকমিরা মতিন সাহেবকে গোঁয়ার ও বেয়াদব ভাবেন। চেয়ারম্যান সাহেবও মাঝে মধ্যে মতিন সাহেবের গোঁয়ারতুমিতে বিরক্ত হন। হঠাৎ কোষাধ্যক্ষের মৃত্যুতে পদটি শূন্য হলে লোভনীয় এ পদে পদায়ন পেতে সহকর্মীরা চেয়ারম্যানকে তোয়াজ করতে থাকে। অবশেষে চেয়ারম্যান যেদিন উক্ত পদের নিয়োগপত্র ইস্যু করেন তা দেখে সবার চোখ ছানাবড়া। কারণ সেই পদের নিয়োগপত্র পান মতিন সাহেব।

ক. কাজী নজরুল ইসলাম কত বছর বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন?
খ. মানুষ-ধর্মকে সবচেয়ে বড় ধর্ম বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. মতিন সাহেবের আমিত্ব তাঁকে উক্ত পদের সম্মানে ভূষিত করে’- উদ্দীপক ও প্রবন্ধের আলোকে আমিত্বের স্বরূপ বিশ্লেষণ করো । আমার পথ সৃজনশীল

৯। ‘পৃথিবীতে এমন কেউ কেউ আছেন
মিথ্যার সাথে করেন না আপস
কোথাও মেকি দেখলেই ঝরে
তাদের রোষ
কেউ কেউ বলে এটা তাদের দোষ
অনেকেই তাদের বাহবা দিয়ে বলে
আছে বটে সাহস।’

ক. ‘কুহেলিকা’ কাজী নজরুল ইসলামের কোন ধরনের রচনা?
খ. ‘ও রকম বিনয়ের চেয়ে অহংকারের পৌরুষ অনেক-অনেক ভালো।’- প্রাবন্ধিকের এ উক্তির কারণ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ‘মিথ্যার সাথে করেন না আপস’ উক্তিটি ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের কোন বিষয় ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের মূলভাবের আংশিক প্রতিফলন ঘটেছে।”- মন্তব্যটি যাচাই করো।

১০। সজল জীবনে অনেক আত্মপ্রবঞ্চনা করে করে অশেষ যন্ত্রণা ভোগ করেছে। কত রাত্রি অনুশোচনায় তার ঘুম হয়নি। এখন তার আত্মপোলব্ধি হয়েছে। সে ভাবে আমি যা ভাল বুঝি, যা সত্য বুঝি, শুধু সেটুকু প্রকাশ করব। তাতে লোকে যতই নিন্দা করুক, আমি আমার কাছে ছোট হয়ে থাকব না, আত্মপ্রবঞ্চনা করে আর আত্মযন্ত্রণা ভোগ করব না।

ক. “আমার পথ” প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?
খ. ‘মানুষ-ধৰ্মই সবচেয়ে বড় ধর্ম” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটি আমার পথ প্রবন্ধের সঙ্গে কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে উদ্দীপকটি ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের খণ্ডচিত্র।” আলোচনা কর।


এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র আমার পথ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | আমার পথ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড করুন।

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top