প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন (PDF)

Advertisements

প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড করুন। ‘প্রতিদান’ কবিতাটি কবি জসীমউদ্দীনের ‘বালুচর’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত। এ কবিতায় কবি ক্ষুদ্র স্বার্থকে বির্সজন দিয়ে পরার্থপরতা মধ্যেই যে ব্যক্তি জীবনের প্রকৃত সুখ ও জীবনের সার্থকতা নিহিত সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। কবি অনিষ্টকারীকে কেবল ক্ষমা করেই নয়, বরং প্রতিদান হিসেবে অনিষ্টকারীর উপকার করার মাধ্যমে পৃথিবীকে সুন্দর ও বাস যোগ্য করতে চেয়েছেন। তাহলে চলো, শুরু করি।


প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৫

১। আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসেনি কেহ অবনী ‘পরে
সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।

ক.’প্রতিদান’ কবিতার চরণ সংখ্যা কতটি?
খ. কবি নিরন্তর কী সাজান? কেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘প্রতিদান’ কবিতার সাদৃশ্য কোথায়? নির্ণয় করো।
ঘ. “উদ্দীপকের কবির চেতনা ‘প্রতিদান’ কবিতার কবির চেতনার সমান্তরাল”- মন্তব্যটি বিচার করো।

উত্তর:

Advertisements

ক। উঃ ‘প্রতিদান’ কবিতার চরণ সংখ্যা আঠারোটি।

খ। উঃ যে কবিকে নিষ্ঠুর কথা শোনান কবি নিরন্তর তার মুখ সাজান।

‘প্রতিদান’ কবিতায় কবি উদারতা ও সহনশীলতার বাণী উচ্চারণ করেছেন। কবির প্রতি যারা কঠোর বাণী প্রয়োগ করে তাদের প্রতি তিনি তেমনটি করবেন না। তিনি তাদের প্রতি সুন্দর ব্যবহার ও কোমল আচরণ করবেন। তিনি নিষ্ঠুরতার উত্তরে নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন পছন্দ করেন না। তাই যারা কবির প্রতি কঠোর বাণী উচ্চারণ করে কবি তাদের মুখকে নিরন্তর সাজাতে চান।

গ। উঃ উদ্দীপকে ‘প্রতিদান’ কবিতার পরার্থে আত্মনিবেদনের দিকটি প্রকাশিত হয়েছে।

‘প্রতিদান কবিতায় কবি নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ পরিহার করে অপরের কল্যাণে আত্মনিবেদন করেছেন। তিনি অনিষ্টকারীকে কেবল ক্ষমা করেই ক্ষান্ত হননি জয় বরং তার উপকার করতে চেয়েছেন। কবি মনে করেন, প্রতিশোধ- প্রতিহিংসার বিপরীতে ভালোবাসাই পারে পৃথিবীকে সুন্দর ও নিরাপদ করতে। আর তাই তিনি তাঁর শত্রুর প্রতি ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি দেখতে চেয়েছেন মানবজীবনের সার্থকতা সবসময় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে অন্যের উপকার করার মাঝে নিহিত। আমাদের অন্যের জন্য কোনো স্বার্থ ছাড়াই নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে। তাঁর মতে, এ জগতে কেউ শুধু নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য আসেনি বরং পরের কল্যাণে আত্মনিবেদন করার জন্যই এসেছে। উদ্দীপকের এই আত্মনিবেদনের স্বরূপ আমরা ‘প্রতিদান’ কবিতার কবির মাঝেও দেখি। কবি মনে করেন, পরের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করতে পারলেই সমাজ হয়ে উঠবে সুন্দর। আর এখানেই উদ্দীপকের সঙ্গে আলোচ্য কবিতার সাদৃশ্য।

ঘ। উঃ পরার্থে আত্মনিবেদন করার আহ্বানের দিক থেকে উদ্দীপকের কবির চেতনা ও ‘প্রতিদান’ কবিতার কবির চেতনা সমান্তরাল।

‘প্রতিদান’ কবিতায় ক্ষমাশীলতা, উদারতা ও সহনশীলতার দৃষ্টান্ত ফুটে উঠেছে। কবি সমাজে বিদ্যমান হানাহানি-হিংসা-বিদ্বেষের বিপরীতে প্রীতিময় পরিবেশের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। কবি মনে করেন, পরার্থপরতার মধ্য দিয়ে মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করলেই তাঁর প্রত্যাশা পূরণ হবে। তাঁর কাছে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কই পরম সত্য।

উদ্দীপকের কবিতাংশের কবিও অন্যের কল্যাণের মাঝে মানবজীবনের সার্থকতা খুঁজে পান। তিনি মনে করেন, মানুষ শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে এ জগতে আসেনি। পরার্থে আত্মনিবেদন করতে পারার মাঝে জীবনের প্রকৃত সুখ নিহিত। এজন্যই জগতে মানবের আবির্ভাব। এর বিপরীতে তাদের কোনো চাওয়া-পাওয়া থাকে না। কবি মনে করেন, অন্যের উপকারে কিছু করতে পারলেই মানবজীবন সার্থক ও সফল হবে। আলোচ্য কবিতার কবিও এমন চেতনাই ধারণ করেন।
‘প্রতিদান’ কবিতায় কবি যেমন অপরের কল্যাণের কথা বলেছেন, তেমনি উদ্দীপকের কবিতাংশেও অপরের কল্যাণ করার কথা বলা হয়েছে। পরার্থে আত্মনিবেদনের মধ্যেই যে মানবজীবনের সার্থকতা নিহিত তিনি তা দেখাতে চেয়েছেন। আর এই বিষয়টিই আলোচ্য কবিতার প্রধান বিষয়। উদ্দীপকের আদর্শ ধারণ করার মধ্য দিয়ে ‘প্রতিদান’ কবিতার কবির প্রত্যাশা পূরণ হতে পারে। আলোচ্য কবিতার কবির এই অপরের কল্যাণ করার চেতনা উদ্দীপকের কবির চেতনারই প্রতিধ্বনি। তাই উদ্দীপকের কবি ও ‘প্রতিদান’ কবিতার কবির চেতনা সমান্তরাল বলা সংগত।

২। যে পথে গিয়েছে তারা কালিদাস, দান্তে ও হোমার
আজো রবীন্দ্রনাথ, বেদব্যাস, খৈয়াম, হাফিজ,
সুকান্ত-মিল্টন-শেলী অকাতরে ঢেলে মনসিজ
সেই পথে গেছে সেও। এই শান্তি আমার তোমার ।
হে মন, প্রফুল্ল হও। শোনো তার মৃত্যুহীন গান
মানুষ সকল সত্য। এই সত্যে আমি অনির্বাণ।

ক. ‘নিরন্তর’ শব্দের অর্থ কী?
খ. সে কবির ঘর ভেঙেছে, কবি তার ঘর বাঁধতে চান কেন?
গ. উদ্দীপকের ভাবের সঙ্গে ‘প্রতিদান’ কবিতার সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. “উদ্দীপকের ‘এই শান্তি তোমার আমার’ ও ‘মানুষ সকল সত্য’ অংশই ‘প্রতিদান’ কবিতার মূল বক্তব্য।” উদ্ধৃতিটুকু কতখানি যথার্থ? বিশ্লেষণ কর।

উত্তর:

ক। উঃ ‘নিরন্তর’ শব্দের অর্থ নিয়ত বা অবিরাম।

খ। উঃ আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা অন্যের ক্ষতিসাধন করতে সর্বদা ব্যাপৃত থাকে। তারা কখনো অন্যের ভালো সহ্য করতে পারে না। তারা অন্যের অপকার করতে গিয়ে মূলত নিজেরই ক্ষতি করে। এমন ক্ষতিকর মানুষ কবিরও ঘর ভাঙে। এতে কবির অপকার হলেও তিনি মনে কোনো ক্ষোভ রাখেন না। বরং কবির ঘর যে ভেঙেছে, কবি তার ঘর প্রস্তুত করে দেন। এর মাধ্যমে কবির উদার ও ক্ষমাশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়।

গ। উঃ উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি পরার্থপরতার কথা বলেছেন। কবির মতে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে এই পৃথিবীতে কেউ আসেনি। আমরা সবাই সবার জন্য নিয়োজিত। সবারই নিজ স্বার্থ ভুলে পরার্থে কাজ করা উচিত। ‘প্রতিদান’ কবিতায়ও এই বিষয়টি লক্ষণীয়। কবি নিজের স্বার্থ ভুলে অন্যের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। তিনি দিন-রাত সেসব মানুষের জন্য ব্যাকুল হন যারা কবিকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে। কবি মনে করেন অন্যের জন্য আত্মত্যাগ করাই মানবজীবনের উদ্দেশ্য। তাই তো যে ব্যক্তি কবির ঘর ভাঙে, কবি তারই ঘর বাঁধতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন; যে কবিকে আঘাত করে, কবি তার জন্যই কেঁদে বেড়ান । এমনকি কাঁটা পেয়েও তাকে ফুল দান করেন।

উদ্দীপকে সকল মহৎ ব্যক্তিদের মানকল্যাণে মৃত্যুহীন গান গেয়েছেন তাই বলা হয়েছে।

তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের সঙ্গে ‘প্রতিদান’ কবিতার মানবকল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ। উঃ “উদ্দীপকের ‘এই শান্তি তোমার আমার’ ও ‘মানুষ সকল সত্য’ অংশই ‘প্রতিদান’ কবিতার মূল বক্তব্য।”। – উদ্ধৃতিটুকু যথার্থ হয়েছে।

মানুষকে সাহায্য করাই প্রকৃত মানুষের ধর্ম। যুগ যুগ ধরে মানুষ একে অন্যকে সাহায্য করে আসছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর তাই আমাদের সবারই অন্যকে সাহায্য করার মতো মানবিক গুণাবলি অর্জন করা উচিত ।

উদ্দীপকে মহৎ ব্যক্তি যেমন কালিদাস, দান্তে ও হোমার, রবীন্দ্রনাথ, বেদব্যাস, খৈয়াম, হাফিজ, সুকান্ত, মিল্টন, শেলী এদের কথা বলা হয়েছে যারা নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে পরার্থপরতার মধ্যে জীবনের সার্থকতা খুঁজে পেয়েছেন। এটাই তাদের শান্তি।

‘প্রতিদান’ কবিতায় সমাজ-সংসারে বিদ্যমান বিভেদ-হিংসা-হানাহানি দ্বারা আক্রান্ত হয়েও কবি প্রতিশোধপরায়ণ নন বরং তাঁর কণ্ঠে সর্বত্র প্রীতিময় এক পরিবেশ সৃষ্টির আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত হয়েছে। তিনি শত্রুর আঘাত বুকে নিয়েও প্রতিঘাত করেন না। কষ্ট পেয়ে তিনি ফুল দান করেন । ‘মানুষই সকল সত্য’ এই কথায় অটল থেকেছেন। কবির এই উদার মানবিকতা ও মানসিকতার প্রতিফলন উদ্দীপকে অনুরূপভাবে লক্ষ করা যায়।

তাই বলা যায়, “উদ্দীপকের ‘এই শান্তি তোমার আমার’ ও ‘মানুষ সকল সত্য’ অংশই ‘প্রতিদান’ কবিতার মূল বক্তব্য।”। – উদ্ধৃতিটুকু যথার্থ হয়েছে।


আরো পড়ুন:


৩। জসীম একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ হবে। একটি প্লেট ভেঙে ফেলার কারণে মালিক তাকে মারধর করে। রাতে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করার সময় ক্যাশ বাক্সের নিচে অনেকগুলো টাকা পড়ে থাকতে দেখে জসীম। তখন দোকানে কেউ ছিল না। জসীম বুঝতে পারে এগুলো মালিকের টাকা। তাই সকালে মালিক রেস্টুরেন্টে এলে জসীম টাকাগুলো তাকে ফেরত দেয়। এতে মালিক তাকে কিছু বকশিশ দেয় এবং মারধর করার জন্য অনুতপ্ত হয়। প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

ক. ‘বিষে-ভর বাণ’ অর্থ কী?
খ. জীবনের প্রকৃত সার্থকতা কীসে বলে কবি জসীমউদ্দীন মনে করেন?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘প্রতিদান’ কবিতার সাদৃশ্য আলোচনা করে।
ঘ. ‘রেস্টুরেন্ট মালিকের মানসিক পরিবর্তন যেন কবির ভালোবাসাপূর্ণ পৃথিবী নির্মাণের সহায়ক।’- উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

৪। বিথী ও তনা রুমমেট ও সহকর্মী। এক অফিসে কাজ করলেও বিথী তনাকে প্রায়ই সবার সামনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অপমান ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ আচরণ করে। তনার আড়ালে তার ব্যক্তিত্ব ও পরিবার নিয়ে আজেবাজে কথা ছড়ায়। তনা নিজের নম্র আচরণ দিয়ে এবং সবার কাছে বিথীর প্রশংসার মাধ্যমে বিথীকে শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করে। গুটি বসন্তে বিথী অসুস্থ হলে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে দিনরাত সেবার মাধ্যমে স্বজনহীন বিথীকে সুস্থ করে তোলে। বিথী তনার প্রতি নিজের আচরণের কথা ভেবে অনুশোচনায় দগ্ধ হয়।

ক. কবি জসীমউদ্‌দীনকে ডিলিট ডিগ্রি দেয় কোন বিশ্ববিদ্যালয়?
খ. কবি যে পর করেছে তাকে আপন করার জন্য কেঁদে বেড়ান কেন?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘প্রতিদান’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘প্রতিদান’ কবিতার ভাবার্থ মানুষ নিজের মধ্যে ধারণ করলে একটি সুন্দর সমাজ গড়া সম্ভব।”-মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

৫। মানুষ মানুষের জন্য
জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভূতি কি
মানুষ পেতে পারে না
ও বন্ধু-

ক. কবি কাকে ‘বুকভরা গান’ দেন?
খ.”মোর বুকে যেবা কবর বেঁধেছে, আমি তার বুক ভরি”-ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘প্রতিদান’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য আলোচনা কর।
ঘ.’মানুষ মানুষের জন্য’-উদ্দীপক এবং প্রতিদান কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর।

৬। পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলই দাও,
তার মতো সুখ কোথাও কি আছে?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।
পরের কারণে মরণেও সুখ; ‘সুখ’,
‘সুখ’ করি কেঁদো না আর’
যতই কাঁদিবে, যতই ভাবিবে
ততই বাড়িবে হৃদয় ভার।
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী ‘পরে,
সকলের তরে সকলে আমরা,
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।

ক. কবি কাকে বুক ভরা গান দেন?
খ. কবির ঘর যে ভেঙেছে তাঁর ঘর কষি বেঁধে দিতে চান কেন?
গ. ‘প্রতিদান’ কবিতার যে দিকটি উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে তা আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘প্রতিদান’ কবিতার মূলভাব একই।”। এ কথার সার্থকতা তুলে ধরো।

৭। মালেকের ঘর তালেব পুড়িয়ে দেয়। মালেক প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তৎপর হয়। কিন্তু পরে তার এই স্পৃহা পরিবর্তিত হয়। তাকে ক্ষমা করে দেয়। এতে তালেব খুশি হয়ে মালেকের নতুন ঘর বেঁধে দেয়।

ক. ‘প্রতিদান’ শব্দের অর্থ কী?
খ. কবি দীঘল রজনী জেগে থাকেন কেন?
গ. উদ্দীপকে মালেকের সঙ্গে ‘প্রতিদান’ কবিতার সাদৃশ্য কতটুকু? আলোচনা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের চেতনা এবং ‘প্রতিদান’ কবিতার মর্মকথা প্রায় একই।”—তুমি কি মনে কর? সপক্ষে যুক্তি দাও ।

৮। পরপীড়া পরিহার, পূর্ণ পরিতোষ ।
সদানন্দে পরিপূর্ণ স্বভাবের দোষা
নাহি চায় আপনার পরিবার সুখ।
রাজ্যের কুশল কার্যে সদা হাস্যমুখ
কেবল পরের হিতে প্রেম লাভ যার
মানুষ তারেই বলি, মানুষ কে আর?

ক. ‘প্রতিদান’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
খ. “কাঁটা পেয়ে তার ফুল করি দান সারাটি জনমভর”- উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটি ‘প্রতিদান’ কবিতার কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের কবির আকাঙ্ক্ষার মানুষই ‘প্রতিদান’ কবিতার কবি” – মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

৯। অনুজের হস্ত ধরিয়া নিকটে বসাইয়া হাসান বলিতে লাগিলেন, ভাই স্থির হও। আমি আমার বিষ পাতাকে চিনি। যাহা হউক ভাই, তাহার নাম আমি কখনোই মুখে আনিব না। তাহার প্রতি আমার রাগ, হিংসাবে কিছুই নাই। ঈশ্বরের নামে শপথ করিয়া বলিতেছি, আমার বিষদাতার মুক্তির জন্য ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করিব। প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

ক. ‘বান’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘প্রতিদান’ কবিতায় কবির কণ্ঠে কোন আকাঙ্খা ব্যক্ত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘প্রতিদান’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে কী? আলোচনা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের বিষদাতা ‘প্রতিদান’ কবিতার নিষ্ঠুর মানুষদের প্রতিনিধি ।” – মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

১০। আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেউ অবনী পরে
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।

ক. ‘প্রতিদান’ কবিতায় কবি ‘বিষে-ভরা বানে’র প্রতিদানে কী দেন?
খ. ‘প্রতিদান’ কবিতায় কবির পথে পথে ঘুরে বেড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘প্রতিদান’ কবিতার সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘প্রতিদান’ কবিতার মূলভাব কতটুকু ধারণ করে? তোমার মতামত দাও।


এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন | প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৫ উত্তরপত্র পিডিএফ ডাউনলোড করুন।

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top