ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড করুন। “ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯” শীর্ষক কবিতাটি কবি শামসুর রাহমানের ‘নিজ বাসভূমে’ কাব্যগ্রন্থ থেকে চয়ন করা হয়েছে। “ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯” দেশপ্রেম, গণজাগরণ ও সংগ্রামী চেতনার কবিতা।
১৯৬৯-এ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ববঙ্গে যে গণআন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, কবিতাটি সেই গণজাগরণের পটভূমিতে রচিত। জাতিগত শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এদেশের সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ১৯৬৯-এ। প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জ, হাটবাজার, কলকারখানা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অসংখ্য মানুষ জড়ো হয় ঢাকার রাজপথে। শামসুর রাহমান বিচিত্র শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সংগ্রামী চেতনার অসাধারণ এক শিল্পভাষ্য রচনা করেছেন এই কবিতায়।
কবিতাটিতে দেশমাতৃকার প্রতি জনতার বিপুল ভালোবাসা সংবর্ধিত হয়েছে। দেশকে ভালোবেসে মানুষের আত্মদান ও আত্মাহুতির প্রেরণাকে কবি গভীর মমতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে মূর্ত করে তুলেছেন। কবিতাটি একুশের রক্তঝরা দিনগুলোতে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে এদেশের সংগ্রামী মানুষের আত্মাহুতির মাহাত্ম্যে প্রগাঢ়তা লাভকরেছে। গদ্যছন্দ ও প্রবহমান ভাষার সুষ্ঠু বিকাশে কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য সংযোজন।
ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫
১। প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার পথেই রুমার নজর পড়ে আম গাছটির দিকে। ওদিকে তাকাতেই তার মনে পড়ে তার প্রতিবাদী বুবুর কথা। কেননা ঐ গাছটাতেই বুবু রীণার গলায় দড়ি দেয়া লাশ পাওয়া গিয়েছিল। কয়েকটা বখাটে যুবক তাকে প্রায়ই বিরক্ত করত। তাই একদিন সে প্রতিবাদ করেছিল এবং জুতা দেখিয়েছিল। সেই কারণে পরের দিনই তার প্রতিবাদী বুবু রীণার লাশ ঐ গাছটাতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
ক. শহরের পথে থরে থরে কী ফুটেছে?
খ. ‘সেই ফুল আমাদের প্রাণ’ – বুঝিয়ে দাও।
গ. উদ্দীপকের চেতনা ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার কোন বিষয়টির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? আলোচনা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের রীণা আর ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার শহিদরা একই প্রতিবাদের মূর্ত প্রতীক।” —উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
সমাধাণ:
ক। উঃ শহরের পথে থরে থরে কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে।
খ। উঃ ‘সেই ফুল আমাদেরই প্রাণ’ -এখানে ‘সেই ফুল’ বলতে মুক্তি ও স্বাধিকার চেতনাকে নির্দেশ করা হয়েছে।
১৯৬৯-এর ফেব্রুয়ারি কবি দেশে কিছু লোকের অপতৎপরতা লক্ষ করেছেন। চারদিকে সন্ত্রাসের রং ছড়িয়ে পড়তে দেখেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি ভাষা আন্দোলনে আত্মদানকারী বীর শহিদ সালাম ও বরকতকে আবারও রাজপথে নেমে আসতে দেখেন। অর্থাৎ ভাষা-আন্দোলনের অবিনশ্বর সংগ্রামী চেতনায় এখনো মৃত্যু ঘটেনি। ফলে সেই বাস্তবতায়ও মুক্তি ও স্বাধিকার চেতনায় বাঙালি আবার উজ্জীবিত হয়। আর এই চেতনাই বাঙালির প্রাণ।
গ। উঃ উদ্দীপকের চেতনা ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার সংগ্রামী মানুষের প্রাণোৎসর্গের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
১৯৬৯ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ববঙ্গে যে গণ খ আন্দোলন সূচিত হয়েছিল, ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতাটি সেই গণজাগরণের পটভূমিতে রচিত। দেশকে ভালোবেসে মানুষের আত্মদান ও আত্মাহুতির প্রেরণাকে এ কবিতায় কবি গভীর মমতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে তুলে ধরেছেন। – কবিতাটিতে একুশের রক্তঝরা দিনগুলোতে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে এদেশের সংগ্রামী মানুষের আত্মাহুতির মাহাত্মে প্রগাঢ়তা লাভ করেছে। দেশকে ভালবেসে গণমানুষ যে প্রাণ দিয়েছে, কবি পরম মমতায় তা উপস্থাপন করেছেন।
উদ্দীপকে রুমার প্রতিবাদী বুবু রীনা বখাটেদের প্রতিবাদে জুতা প্রদর্শন করলে বখাটে কর্তৃক তার করুণ পরিণতি অর্থাৎ মৃত্যুমুখে পতিত হতে হয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণে নিজ প্রাণ উৎসর্গ করে দিতে হয় তার।
উদ্দীপকের চেতনা ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার সংগ্রামী মানুষের প্রাণোৎসর্গের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ। উঃ “উদ্দীপকের রীণা আর ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার শহিদরা একই প্রতিবাদের মূর্ত প্রতীক।” —উক্তিটির যথার্থ।
‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতাটি সংগ্রামী চেতনার কবিতা, দেশপ্রেমের কবিতা, গণ জাগরণের কবিতা। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন মূলত বাঙালির জাতীয়তাবাদী চেতনার ভিত্তিস্বরূপ। ভাষার জন্য যারা রক্ত দিয়েছেন, জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের ত্যাগ আর মহিমা যেন পরবর্তী কালের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে বাঙালিকে প্রেরণা জুগিয়েছে। ভাষা শহিদের যুগ যুগ ধরে আমাদের প্রেরণার উৎস। তাই এ কবিতায় কবি শোষণ আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও আত্মাহুতি দেওয়ার বীর জনতাকে ভাষাশহিদ সালাম ও বরকতের প্রতীকে তাৎপর্যময় করে তুলেছেন।
উদ্দীপকে প্রতিবাদী এক নারী চরিত্র রুমার প্রতিবাদী বুবু রীনা। বখাটেদের জ্বালাতন সহ্য করতে না পেরে তার প্রতিবাদে তাদেরকে জুতা প্রদর্শন করে। সেই কারণে পরের দিনই তার প্রতিবাদী বুবু রীণার লাশ ঐ ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় ভাষাশহিদদের আত্মত্যাগ আর তাঁদের বীরত্ব গাথাকে স্মরণ করা হয়েছে। যাঁরা পরবর্তীতে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে বাঙালিকে প্রেরণা জুগিয়েছে। মূলত ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান ছিল ভাষা আন্দোলনেরই ফলস্বরূপ। আবার উদ্দীপকেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন এক নারীর ব্যাপারে বলা হয়েছে। যারা যুগ যুগ ধরে স্বাধীনতাবাদী মানুষকে সাহস জুগিয়েছে। তাই উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতার আলোকে বলা যায়,
“উদ্দীপকের রীণা আর ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার শহিদরা একই প্রতিবাদের মূর্ত প্রতীক।” —উক্তিটির যথার্থ হয়েছে।
২। মনে পড়ে বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি,
লাখো বাঙালির কাতর চিত্তে করুণ আহাজারি,
একুশ তুমি বাংলার মানুষের হৃদয়ভরা আশা,
তোমার কারণে পেয়েছি আজ কাঙ্ক্ষিত মাতৃভাষা,
রক্ত ঝরাল, সালাম, বরকত, রফিক, শফিক জব্বার,
বায়ান্নর সেই করুণ কাহিনি মনে পড়ে বরাবর,
স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে সে বিষণ্ণ দিনের কথা..
যত ভাবি ততই যেন মনে পাই বড়ো ব্যথা।
ক. কার রক্তে বাস্তবের বিশাল চত্বরে ফুল ফোটে?
খ. ‘সারাদেশ ঘাতকের অশুভ আস্তানা।’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার বৈসাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার মর্মবাণীকে পুরোপুরি ধারণ না করলেও আত্মত্যাগ ও অধিকার আদায়ের কথাই বলে।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
সমাধাণ:
ক। উঃ এখনো বীরের রক্তে বাস্তবের বিশাল চত্বরে ফুল ফোটে।
খ। উঃ হানাদার বাহিনীর অশুভ পদচারণে বিপর্যস্ত দেশকে বোঝাতেই কবি সমগ্র দেশকে ঘাতকের অশুভ আস্তানার সঙ্গে তুলনা করেছেন। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালির উপর ব্যাপক নির্যাতন চালায়। তারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের উপর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালায়। চারদিকে তাদের পরিচালিত হত্যা, সন্ত্রাস ও লুণ্ঠন জনজীবনে আতঙ্ক তৈরি করে। এ বিষয়টি বোঝাতেই কবি সারা দেশকে ঘাতকের অশুভ আস্তানার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
গ। উঃ উদ্দীপকে শুধু বায়ান্নর কথা বলা হলেও আলোচ্য ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় বায়ান্নর পথ ধরে উনসত্তর ও ১৯৭১ এর কথাও উল্লেখ রয়েছে, এখানেই উদ্দীপকের সাথে আলোচ্য কবিতার বৈসাদৃশ্য দেখা যায়। ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে উনসত্তরের গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পথে অগ্রসর হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় ১৯৬৯ সালে জাতিগত নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। গ্রামগঞ্জ, হাটবাজার, কলকারখানা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অসংখ্য মানুষ নেমে আসে ঢাকার রাজপথে। শোষণের বিরুদ্ধে প্রবল গণজাগরণের শুরু হয়।
উদ্দীপকে বায়ান্নর স্মৃতিচারণ করা হয়েছে। যে ভাষাকে ঘিরে বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষা আবর্তিত হতো এবং এর জন্যই রক্ত ঝরল সালাম, রফিক, শফিক ও বরকতের। তাঁদের জন্যই আমরা একটি ভাষা পেয়েছি। কবি যখনই পিছন ফিরে তাকান তখন যেন শুধুই বিষণ্ণ দিনগুলো চোখে ভেসে ওঠে। দেখা যাচ্ছে, উদ্দীপকে শুধু বায়ান্নর স্মৃতিচারণ করা হয়েছে। কিন্তু ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় ২১শে ফেব্রুয়ারিসহ, ১৯৬৯ ও ১৯৭১ সালের বিষয়ও উঠে এসেছে।
ঘ। উঃ উদ্দীপকটি ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার সামগ্রিকতা ধারণ না করলেও দাবি আদায়ের জন্য আত্মত্যাগের বিষয়ে সাদৃশ্য ধারণ করে।
দেশপ্রেম, গণজাগরণ ও সংগ্রামী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে এ কবিতায়। মুক্তিসংগ্রামের প্রথম সোপান ভাষা আন্দোলনে প্রথমবারের মতো রক্ত ঝরিয়েছে তরুণ জনতা এবং এভাবেই বাঙালিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন চেতনা। বাঙালির পরবর্তী ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামকে শক্তিদান করার পিছনে রয়েছে ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগ। ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় ১৯৬৯ সালে জাতিগত নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
উদ্দীপকে বাঙালি জনতার বাংলা ভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও আহাজারি প্রকাশিত হয়েছে এবং এখানে বায়ান্নর স্মৃতিচারণ করা হয়েছে। এই ভাষাকে ঘিরে বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষা আবর্তিত হতো এবং এই ভাষার জন্যই রক্ত ঝরায় সালাম, রফিক, শফিক, বরকতেরা। তাঁদের জন্যই আমরা একটি ভাষা পেয়েছি। কবি যখনই পিছন ফিরে তাকান তখন যেন শুধুই বিষণ্ণ দিনগুলো চোখে ভেসে ওঠে।উদ্দীপকে দেখা যায়, ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের স্মৃতিচারণের বিষয়টি দেখানো হয়েছে এবং এখানে তাঁদের আত্মত্যাগের কথা উল্লিখিত হয়েছে। অন্যদিকে, আলোচ্য কবিতায় ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ এ যাঁরা আত্মত্যাগ করেছেন তাঁদের কথাও বলা হয়েছে। উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতায় বর্ণিত ঘটনার পার্থক্য থাকলেও উভয় ক্ষেত্রেই আত্মত্যাগ ও অধিকার আদায়ের কথা বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র আমি কিংবদন্তির কথা বলছি কবিতার সৃজনশীল
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র রেইনকোট প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন
- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন
৩। পরিচয়ে আমি বাঙালি, আমার আছে ইতিহাস গর্বের-
কখনোই ভয় করিনিকো আমি উদ্যত কোন পরো
শত্রুর সাথে লড়াই করেছি, স্বপ্নের সাথে বাস;
অস্ত্রেও শান দিয়েছি যেমন শস্য করেছি চাষ;
একই হাসি মুখে বাজিয়েছি বাঁশি গলায় পড়েছি ফাঁস
আপস করিনি কখনোই আমি—এই হলো ইতিহাস।
ক. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় কোন ফুলের উল্লেখ রয়েছে?
খ. “দুঃখিনী মাতার অশ্রুজলে ফোটে ফুল “ -বলতে কী বুঝানো হয়েছে।
গ. উদ্দীপকের ইতিহাস প্রসঙ্গ এবং ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার ঐতিহ্য চেতনার সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ. উদ্দীপক এবং ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতা বাঙালির স্বতঃস্ফুর্ত সংগ্রামী চেতনার এক অসাধারণ শিল্পভাষ্য- বিশ্লেষণ কর।
৪। তিনজন আমরা পাশাপাশি হাঁটছিলাম। রাহাত স্লোগান দিচ্ছিল। আর তপুর হাতে ছিল একটি মস্ত প্ল্যাকার্ড। তার ওপরে লাল কালিতে লেখা ছিল ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’। মিছিলটা হাইকোর্টের মোড়ে পৌছাতেই অকস্মাৎ কিছু বুঝবার আগেই চেয়ে দেখি, প্ল্যাকার্ডসহ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে তপু। কপালের ঠিক মাঝখানটায় গোল একটা গর্ত। আর সে গর্ত দিয়ে নির্ঝরের মতো রক্ত ঝরছে তার। (একুশের গল্প- জহির রায়হান)
ক. ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় সালামের হাত থেকে নক্ষত্রের মতো কী ঝরে?
খ. ’এ- রঙের বিপরীত আছে অন্য রং’- বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ব্যাখ্যা করে।।
গ. উদ্দীপকে ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতাটির কোন দিকটি ফুটে উঠেছে তা আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপক এবং ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সংগ্রাম চেতনার এক অসাধারণ এক শিল্পভাষ্য’।”- মন্তব্যটি তুমি স্বীকার কর কি? তোমার মতামতসহ বিশ্লেষণ করো।
৫। ব্রিটিশ শাসনামলে ইংরেজরা এদেশের চাষীদের দিয়ে জোর করে নীলচাষ করাতো। চাষীদেরকে নামেমাত্র দাদন দিয়ে নীলচাষ করানো হতো। নীলচাষে বাধ্য হওয়ায় চাষীরা তাদের প্রয়োজনীয় শস্য যেমন ধান, পাট, সরিষা ইত্যাদি উৎপাদন করতে পারতো না। নীলচাষ করতে অপারগ হলে চাষীদের ওপর নেমে আসতো নির্মম অত্যাচার। এ কারণে গড়ে ওঠে নীল বিদ্রোহ। নদীয়ার বিষ্ণুচরণ ও পাবনার কাদের মোল্লার মতো অসংখ্য মানুষ কৃষক- আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘ফেব্রুয়ারি-১৯৬৯’ কবিতায় শহরের পথে ধরে ধরে কী ফুটেছে?
খ. “এ রঙের বিপরীত আছে অন্য রং” —বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের বিষ্ণু ও কাদের মোল্লা ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার কাদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়? এ সাদৃশ্যের কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপক এবং ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সংগ্রামী চেতনার এক অসাধারণ শিল্পভাষ্য”–কবিতার আলোকে বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।
৬। ক-অংশ:
যুবকের বুকে নিয়ে বুলেটের অংশ
পড়িল মাটির পরে
ফোঁটায় ফোঁটায় লহুধারা
রাজপথে বিছাইল রক্ত জবা ফুল।
শেষ নিশ্বাসের আগে তারা
গেয়ে গেল রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই।
খ-অংশ:
তোমাদের রক্তঋণ, অম্লান আহুতি
………………………………………..
বেঁকে যাওয়া আমাদের মেরুদণ্ড
টান টান সোজা করে উদ্যত দাঁড়াতে
দরকারি ক্রোধ, প্রেম প্রকাশ, শক্তি দেয়।
ক. ঘাতকের থাবার সম্মুখে কে বুক পেতে দেয়?
খ. ‘এ রক্তের বিপরীতে আছে অন্য রং’- বলতে কী বোঝো?
গ. উদ্দীপকের ক-অংশ দ্বারা ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় বর্ণিত কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? আলোচনা করো।
ঘ. “বায়ান্নর শহিদরাই উনসত্তরের অভ্যুত্থানের চেতনাকে জাগিয়ে তুলেছিল’— উদ্দীপকের ‘খ’ অংশ ও ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
৭। “ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ
দুপুর বেলার অক্ত
বৃষ্টি ঝরে, বৃষ্টি কোথায়
বরকতেরই রক্ত।”
ক. শহরের পথে থরে থরে কী ফুটেছে?
খ. ‘সালামের মুখে আজ তরুণ শ্যামল পূর্ববাংলা।’-উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটিতে ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার কোন প্রসঙ্গটি প্রকাশ পেয়েছে?-আলোচনা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার একটি খণ্ডচিত্র মাত্র।” উক্তিটির পক্ষে তোমার যুক্তি দাও।
৮। তুমি তরুণ, তুমি অরুণ, জাতির ভাগ্যাকাশে
তোমার তাজা প্রাণের ছোঁয়ায় বাংলা ভাষা হাসে
উনসত্তরের অভ্যুত্থানে তোমারই বুক পাতা
তোমারই লাল রক্তে ভিজে এসেছে স্বাধীনতা।
ক. ধরে ধরে কৃষ্ণচূড়া কোথায় ফুটেছে।
খ. ফুল নয়, ওরা শহিদদের ঝলকিত রক্তের বুদ্বুদ’- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকটি ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার যে দিকটিকে নির্দেশ করে তা তুলে ধরো।
ঘ. ‘বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে তরুণদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।’- উদ্দীপক ও ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ করো।
৯। সুন্দর সকাল। কুজনে মুখরিত চারপাশ। আকাশটা যেন আজ ধূপছায়া শাড়িতে নিজেকে জড়িয়েছে। এমনি মনোরম নৈসর্গিক নান্দনিকতা ভেদ করে চিৎকার করে উঠল ভিনদেশি যন্ত্রদানব। ছুটল গুলি! ঝরল রক্ত! বিনিময়ে বায়ান্নতে আমরা পেলাম কথা বলবার অধিকার। চুয়ান্ন, ছেষট্টি, ঊনসত্তর পেরিয়ে একাত্তরে আমরা পেলাম লাল-সবুজের পতাকা, পবিত্র মানচিত্র আর প্রিয় স্বদেশ। ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. শহরের পথে কী ফুটেছে?
খ. ‘অবিনাশী বর্ণমালা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটি ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার সঙ্গে কোন কোন দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ—তুলে ধর।
ঘ. “উদ্দীপকে ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার পূর্ণ অনুরণন ঘটেনি।”— মন্তব্যটি যাথার্থ্য নির্ণয় কর।
১০। তোমার রাইফেল থেকে বেরিয়ে আসছে জীবন
তুমি দাও থরোথরো দীপ্ত প্রাণ বেয়নেটে নিহত লাশকে
তোমার আগমনে প্রাণ পায় মরা গাছ পোড়া প্রজাপতি
তোমার পায়ের শব্দে বাংলাদেশে ঘনায় ফাল্গুন
৫৬,০০০ বর্গমাইলের এই বিধ্বস্ত বাগানে
এক সুরে গান গেয়ে ওঠে সাত কোটি বিপন্ন কোকিল।
(মুক্তিবাহিনীর জন্য- হুমায়ূন আজাদ]
ক. ফুল কোথায় ফোটে?
খ. ‘সারা দেশ ঘাতকের অশুভ আস্তানা’- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় সাদৃশ্য তুলে ধরো।
ঘ. ‘বাঙালির সংগ্রাম ছিল ধ্বংসের বিরুদ্ধে মানবতার লড়াই।’ মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো।
এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫ PDF Download