বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র বিলাসী সৃজনশীল প্রশ্ন ২০২৫ | PDF Download

Advertisements

বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫ PDF Download। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘বিলাসী’ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ‘ভারতী’ পত্রিকার ১৩২৫ বঙ্গাব্দের বৈশাখ সংখ্যায়। এই গল্পে জাতিগত বিভেদের সংকীর্ণ সীমা অর্থাৎ হিন্দু ধর্মের নিষ্ঠুর আচরণের ঊর্ধ্ধে দুই মানবীর প্রেমের মহিমা ফুটে উঠেছে। দেশ, কাল, পাত্র, সমাজ সব কিছুর ঊর্ধ্ধে মানুষের হৃদয়ের ভালোবাসার আবেদন এই গল্পের মূল বিষয়।


বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫ PDF

১। মহুয়া শহরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। তার শহরে কাজ করার বিষয়টি গ্রামের কিছু মানুষ পছন্দ করে না। উপরন্তু তার নামে দুর্নাম রটনা করে। ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসলে গ্রামের মানুষগুলো মহুয়ার নামে বিচার বসায়। তারা মহুয়াকে জোর করে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু মহুয়া তাতে প্রতিবাদ করে। অসুস্থ মাকে রেখে সে কিছুতেই কোথাও যাবে না।

ক. এডেন কীসের জন্য বিখ্যাত?
খ.’ঠিক যেন ফুলদানিতে জল দিয়া ভিজাইয়া রাখা বাসি ফুলের মতো।’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ.বিলাসী চরিত্রের কোন দিকটি মহুয়ার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, তা বর্ণনা করো।
ঘ.”বিলাসী ও মহুয়া পরস্পর বিপরীত চরিত্রের মানুষ।”- মন্তব্যটি যাচাই করো’।

উত্তর:

Advertisements

ক। উঃ এডেন বন্দর সামুদ্রিক লবণ তৈরির জন্য বিখ্যাত।

খ। উঃ উদ্ধৃত উক্তিটির মাধ্যমে অসুস্থ মৃত্যুঞ্জয়ের সেবারত বিলাসীর অবস্থা বোঝানো হয়েছে।
‘বিলাসী’ গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয় অসুস্থ হয়ে পড়লে বিলাসী রাতের পর রাত জেগে তার সেবা-শুশ্রুষা করে। এই নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রমে বিলাসী শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। তার সারা শরীরে একটা অপরিসীম ক্লান্তি ও নিরবচ্ছিন্ন রাত জাগার ছাপ পড়ে যায়। তার এ সজীবতাহীন ও অবসন্ন শরীরকে গল্পের কথক তুলে ধরেছেন উক্তিটির মাধ্যমে।

গ। উঃ কাবিলাসী চরিত্রে অসুস্থ মানুষের প্রতি মমত্ববোধ প্রকাশের দিকটি মহুয়ার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। ‘বিলাসী’ গল্পে জাতভেদ প্রথার সংকীর্ণ সীমা অতিক্রম করে দুই মানব- মানবীর অসাধারণ প্রেমকাহিনি বর্ণিত হয়েছে। গল্পের প্রধান চরিত্র বিলাসী এক কর্মনিপুণ, বুদ্ধিমতী ও সেবাব্রতী নারী। অনাথ যুবক মৃত্যুঞ্জয় কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে সাপুড়ে কন্যা বিলাসী তাকে দিনরাত সেবা দিয়ে বাঁচিয়ে তোলে। মৃত্যুঞ্জয় বিলাসীর এই ত্যাগ ও নিষ্ঠা দেখে ভালোবেসে তাকে বিয়ে করে। কিন্তু নীচ জাতের বিলাসীকে বিয়ে করার অপরাধে মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে সমাজের লোকজন হামলা চালায়।

বিলাসী চুলের মুঠি ধরে টেনেহিচড়ে বের করে নিয়ে যায়। পরে সাপের কামড়ে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হলে বিলাসী শোক সইতে না পেরে কদিন পরেই বিষপানে আত্মহত্যা করে।

উদ্দীপকের মহুয়া শহরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। গ্রামের মানুষ তার কাজ করার বিষয়টি পছন্দ করে না, তার নামে দুর্নাম রটনা করে। গ্রামের মানুষ মহুয়ার নামে বিচার বসায়। তাকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু প্রতিবাদী মহুয়া অসুস্থ মাকে রেখে কোথাও যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। ‘বিলাসী’ ‘গল্পের বিলাসীও অসুস্থ মৃত্যুঞ্জয়কে রেখে খেতে চায়নি, মানুষজন যখন তাকে গ্রামের বাইরে রেখে আসার জন্য উদ্যত হয় তখন বিলাসী মিনতি করে বলে, ‘বাবুরা আমাকে একটিবার ছেড়ে দাও আমি রুটিগুলো ঘরে দিয়ে আসি, রোগা মানুষ সমস্ত রাত খেতে পারে না’। একজন অসুস্থ মানুষের প্রতি বিলাসীর এই মমত্ববোধ উদ্দীপকের মহুয়ার সঙ্গে তুলনীয়।

ঘ। উঃ বিষয় বিবেচনায় বিলাসী ও মহুয়া বিপরীত চরিত্রের মানুষ। ‘বিলাসী’ গল্পে বিলাসী এক সেবাব্রতী নারী। কিন্তু কুংস্কারাচ্ছন্ন সমাজে সে এক অদৃশ্য, নীচ জাতের মেয়ে। মৃত্যুঞ্জয় কঠিন রোগে আক্রান্ত হলে বিলাসী অপরিসীম মমতায় সেবা-যত্ন দিয়ে তাকে সারিয়ে তোলে। মৃত্যুঞ্জয় এক পর্যায়ে তাকে ভালোবেসে বিয়ে করে। কিন্তু মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়োসহ সমাজের মানুষ নিচু জাতের মেয়েকে বিয়ে করার বিষয়টি মেনে নেয়নি। অন্নপাপ হয়েছে বলে মৃত্যুঞ্জয়কে দোষারোপ করে। যার খেসারত দিতে হয় বিলাসীকে। মৃত্যুঞ্জয়কে ঘরে আবদ্ধ করে বিলাসীকে তারা গ্রামের বাইরে রেখে আসতে উদ্যত হয়। তাকে অশ্রাব্য গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে নিঃগৃহীত করে। সাপের কামড়ে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হলে শোক সইতে না পেরে বিলাসী আত্মহত্যা করে।

উদ্দীপকের মহুয়া পোশাক কারখানায় কাজ করে। শহরে তার কাজ করার এই বিষয়টি গ্রামের মানুষের পছন্দ নয়। তার নামে তারা দুর্নাম রটায়। মহুয়াকে তারা জোর করে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মহুয়া প্রতিবাদ করে যে অসুস্থ মাকে রেখে সে কিছুতেই যাবে না। উদ্দীপকের মহুয়া এবং ‘বিলাসী’ গল্পের বিলাসীর প্রেক্ষিত ও প্রেক্ষাপট এক নয়। বিলাসীকে যখন দশ-বারোজন লোক লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে তখন বিলাসী ভয়ে নীলবর্ণ হয়ে যায়। তাকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাবার সময় সে অনুনয় বিনয় করে, অসুস্থ মৃত্যুঞ্জয় সারা রাত কী খাবে সে চিন্তা করে। বিলাসী সমাজের রক্তচক্ষুর সামনে প্রতিবাদী হতে পারেনি। স্বামীর মৃত্যুর পর সে এতটাই অসহায় পড়ে যে সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়, তার জীবন অত্যন্ত বেদনার্ত ও করুণ পরিণতি লাভ করে। সেদিক থেকে মহুয়া প্রতিবাদী সে পরিস্থিতিকে সামলে নিয়েছে। সংগত কারণেই বিলাসী ও মহুয়া পরস্পরবিরোধী চরিত্রের মানুষ।

২। শরৎচন্দ্রের ‘মহেশ’ গল্পে গফুরের প্রিয় গরুটির নাম মহেশ। দরিদ্র গফুর নিরীহ পশুটিকে ঠিকমতো খাবারের জোগান দিতে পারে না। ফসল নষ্ট করার জন্য তাকে জমিদারের শাস্তিও পেতে হয়েছে। একদিন তৃষ্ণার্ত মহেশ পানির জন্য গফুরের মেয়ে আমিনার মাটির পাত্র ভেঙে ফেলে। রাগান্বিত গফুর লাঙলের ফলা দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মহেশ মারা যায়। গোহত্যার প্রায়শ্চিত্ত করতে গফুর রাতের আঁধারে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

ক. ‘বিলাসী’ গল্পটি প্রথমে কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
খ. “গ্রামের মধ্যে মৃত্যুঞ্জয়ের ছিল এমনি সুনাম”- ব্যাখ্যা কর।
গ.গফুরের জীবন-বাস্তবতার সাথে ‘বিলাসী’ গল্পের কোন ঘটনার সাদৃশ্য বিদ্যমান? বিশ্লেষণ কর।
ঘ. “উদ্দীপকের ‘গোহত্যা’ এবং গল্পের ‘অন্নপাপ’ একই সূত্রে গাঁথা”- তোমার মতামত আলোচনা কর।

উত্তর:

ক। উঃ ‘বিলাসী’ গল্পটি প্রথম ‘ভারতী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ।

খ। উঃ প্রশ্নোক্ত উক্তিটিতে গ্রামের মধ্যে মৃত্যুঞ্জয়ের নেতিবাচক ভাবমূর্তিকে ব্যঙ্গার্থে ‘সুনাম’ বলা হয়েছে।

মৃত্যুঞ্জয় সম্পর্কে উদ্ধৃত উক্তিতে ‘সুনাম’ শব্দটি গল্পকথক ন্যাড়া ‘দুর্নাম’ অর্থে ব্যবহার করেছে। আত্মীয়-পরিজনহীন মৃত্যুঞ্জয়ের এক জ্ঞাতি খুড়া ছিল। সে তার নামে দুর্নাম রটনা করে বেড়াত। দুর্নাম রটানোর কারণে গ্রামের মধ্যে মৃত্যুঞ্জয়ের এমন একটা নেতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছিল যে, গ্রামবাসী তার সঙ্গে প্রকাশ্যে মেলামেশা দূরে থাক, তার সঙ্গে সংশ্রব থাকার কথাটা পর্যন্ত স্বীকার করত না। নিজ গ্রামে মৃত্যুঞ্জয়ের এমন নেতিবাচক ভাবমূর্তি প্রসঙ্গেই গল্পটিতে উদ্ধৃত উক্তিটির অবতারণা করা হয়েছে।

গ। উঃ গফুরের জীবনবাস্তবতার সাথে ‘বিলাসী’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের সমাজচ্যুত হওয়ার ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে।

‘বিলাসী’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সেবা-শুশ্রূষা করে সুস্থ করে তোলে সাপুড়ের মেয়ে বিলাসী। পরবর্তী সময়ে বিলাসীর গুণমুগ্ধ হয়ে তাকে ভালোবেসে বিয়ে করে মৃত্যুঞ্জয়। এ কারণে রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের চাপে পড়ে জাত বিসর্জন দিয়ে সাপুড়ে হতে হয় মৃত্যুঞ্জয়কে।

উদ্দীপকের গফুর রেগে গিয়ে লাঙলের ফলা দিয়ে তার প্রিয় গরু মহেশকে আঘাত করে। ফলে মহেশ মারা যায়, যা তাকে অত্যন্ত ব্যথিত করে। কিন্তু এর ফলে সমাজপতিদের চাপে তাকে গোহত্যার প্রায়শ্চিত্ত করার মতো শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে। তাই শাস্তি থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে গফুর রাতের অন্ধকারে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এক্ষেত্রে গোহত্যার ঘটনাটি তার ইচ্ছাকৃত ছিল না, তবুও সমাজের ভয়ে তাকে তার বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়। অন্যদিকে, ‘বিলাসী’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয় বিলাসীকে ভালোবেসে বিয়ে করে সমাজচ্যুত হয়। গফুরের জীবনবাস্তবতার সাথে ‘বিলাসী’ গল্পের এই ঘটনার সাদৃশ্য বিদ্যমান ।

ঘ। উঃ তৎকালীন রক্ষণশীল সমাজ বাস্তবতার নিরিখে উদ্দীপকের ‘গোহত্যা’ এবং গল্পের ‘অন্নপাপ’ মূলত একই সূত্রে গাঁথা ।

সেকালে রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কারের মধ্যে অন্যতম ছিল ‘অন্নপাপ’ নামক প্রচলিত ধারণা। অন্নপাপ বলতে সমাজে উঁচু জাতের কেউ নিচু জাতের কারো হাতে ভাত খাওয়াকে বোঝায়। গল্পের মৃত্যুঞ্জয় সাপুড়ে কন্যা বিলাসীর গুণমুগ্ধ হয়ে তাকে বিয়ে করলে অন্নপাপের অভিযোগে তাদের সমাজচ্যুত করা হয়৷

উদ্দীপকের গফুরের অত্যন্ত প্রিয় গরু মহেশ। দারিদ্র্যের কারণে গফুর ঠিকমতো তার খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে না। একদিন রাগের মাথায় মহেশকে আঘাত করলে মহেশ মারা যায়। এমতাবস্থায় গোহত্যার অভিযোগে তাকে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। তাই নিজেকে বাঁচাতে সে সপরিবারে রাতের আঁধারে পালিয়ে যায়। তার এই গ্রামছাড়া হওয়ার কারণ তৎকালীন সমাজের কুসংস্কার ও সংকীর্ণ চিন্তাধারা।

‘বিলাসী’ গল্পে গল্পকার তৎকালীন রক্ষণশীল সমাজের ভয়াবহ রূপটি উন্মোচন করেছেন। অসবর্ণের হওয়ায় সেই সমাজ বিলাসী-মৃত্যুঞ্জয়ের বিয়েকে স্বীকৃতি দেয় না। উপরন্তু অন্নপাপের অজুহাতে তাদের নিপীড়ন করে গ্রামছাড়া করে । ফলে বাধ্য হয়েই মৃত্যুঞ্জয়কে সাপুড়ে জীবন গ্রহণ করতে হয় এবং পরিণতিতে সর্প দংশনে মৃত্যু হয় তার। একইভাবে, গোহত্যার কারণে রক্ষণশীল সমাজের শাস্তির ভয়েই গফুরকেও গ্রাম ছাড়তে হয়। এই গোহত্যাজনিত অপরাধ বা অন্নপাপ মূলত রক্ষণশীল মানসিকতারই প্রকাশ। এ দিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথাযথ ।

৩। আলেয়া খাতুন রাতের বেলা এক হাতে লণ্ঠন আর অন্য হাতে রশি নিয়ে মনের দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে পাশের বাড়ির সালেহা বেগমকে এসে বললেন, ‘আম্মা, আমার আর বাঁচার এতটুকু ইচ্ছে নেই। যাকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসলাম সেই যখন আমাকে ছেড়ে চলে গেল তখন আমি বাঁচতে চাই না। আমিও মরতে চাই।’ সাহেলা বেগম বললেন, ‘দেখ বউমা, এমন কথা বলো না। তোমার শ্বশুরের সাথে ত্রিশ বছর ধরে সংসার করেছি। তিনি মারা যাওয়ার পরে আজও এই ঘর, এই সংসারকে আঁকড়ে পড়ে আছি। কোনোদিন এই সংসার ছেড়ে চলে যাওয়ার চিন্তাও করি নাই। তিনি যেদিন মারা গেলেন, বুকে পাথর বেঁধে সারাটি রাত তার পাশেই বসে ছিলাম। যাও বাড়ি যাও। সব ঠিক হয়ে যাবে।’ পাশেই বসে থাকা সালেহা বেগমের ছোট সন্তান সোহাগ আলেয়া খাতুনকে জিজ্ঞাসা করে, ‘ভাবী, তোমার হাতে লণ্ঠন কেন?’ আলেয়া খাতুন চট করে উত্তর দেয়-‘যদি সাপে কামড়ায়!’

ক. ন্যাড়ার মাদুলি-কবচ কবরে দেওয়ার পরে তার কাছে আর কী অবশিষ্ট রইল?
খ. ‘ঠিক যেন ফুলদানিতে জল দিয়া ভজাইয়া রাখা বাসি ফুলের মতো।’ ব্যাখ্যা কর।
গ.উদ্দীপকের আলেয়া খাতুনের সাথে ‘বিলাসী’ গল্পের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়? আলোচনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের সালেহা বেগমের ক্ষেত্রে ‘বিলাসী’ গল্পের ‘ইহা আর এক শক্তি’ উক্তিটি প্রযোজ্য হয়নি। বিশ্লেষণ কর।


আরো পড়ুন:


৪। করোনাকালীন দুর্যোগে জনাব শিমুল চাকুরি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। চরম আর্থিক সংকট এবং মানসিক চাপে তিনি শারীরিকভাবেও ভেঙে পড়েন। ফলে দুই সন্তানের লেখাপড়াসহ সংসারের খরচ চালানো তার জন্য কঠিন হয়ে যায়। এই সময়ে তার স্ত্রী পারুল আক্তার সেলাইয়ের কাজ করে সংসারের হাল ধরেন। পাশাপাশি অসুস্থ স্বামীর সেবা করেন পরম মমতায়।

ক. মৃত্যুঞ্জয় কোন ক্লাসে পড়ত?
খ.“একদিন এই মন্ত্রের সত্য-মিথ্যার চরম মীমাংসা হইয়া গেল।”—উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ ।
গ. পারুল আক্তারের সঙ্গে বিলাসী চরিত্রের কোন দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের ভাববস্তুর সঙ্গে ‘বিলাসী’ গল্পের সাদৃশ্য থাকলেও প্রেক্ষাপট ভিন্ন।”—উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।

৫। ভয়ংকর এক সড়ক দুর্ঘটনায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা রায়হানকে পাশের বস্তির মেয়ে জাহানারা উদ্ধার করে নিয়ে আসে। স্মৃতি ফিরে পেলে রায়হান জানতে পারে তার জীবন বাঁচিয়েছে ঐ মেয়েটি। দীর্ঘদিন সেবা-যত্নের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে সে। রায়হান মেয়েটির প্রতি কৃজ্ঞতাবোধ থেকে তাকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে। তার বাবা জাহানারাকে মেনে নেয় না। কিছু টাকা-পয়সা দিয়ে তাকে বিদায় করে দিতে চাইলে রায়হানও জাহানার সাথে বস্তিতেই চলে যায় এবং সেখানেই সুখে সংসার বাঁধে।

ক.‘বিলাসী’ গল্পের গল্পকথকের নাম কী?
খ. “ওরে বাপরে! আমি একলা থাকতে পারব না।” উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের জাহানারা চরিত্রের সাথে ‘বিলাসী’ গল্পের বিলাসীর সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি আলোচনা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের রায়হান এবং ‘বিলাসী’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয় উভয়েই মানবিকতার মূর্ত প্রতীক।” উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

৬। (ⅰ) ‘আমি যেকোনো ধরনের বর্ণবাদী বৈষম্যকে সবচেয়ে তীব্রভাবে ঘৃণা করি। সারাজীবন আমি এর বিরুদ্ধে লড়েছি। আমি এখনো লড়াই করি এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব’- নেলসন ম্যান্ডেলা।
(ii) ‘আমরা এমন একটি সমাজের জন্য যুদ্ধ করছি যেখানে মানুষের বর্ণ নিয়ে কেউ চিন্তা করবে না।”- নেলসন ম্যান্ডেলা।

ক. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘মন্দির’ গল্পের জন্য কী পুরস্কার পেয়েছেন?
খ.”তারা বাস করিতে থাকিলে তো পল্লির এত দুর্দশা হয় না।”- ব্যাখ্যা করো।
গ. i নং উদ্দীপকে ‘বিলাসী’ গল্পের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? আলোচনা করো।
ঘ. ii নং উদ্দীপকটি ‘বিলাসী’ গল্পের অন্তলীন প্রত্যাশাকে তুলে ধরতে পেরেছে কি? বিশ্লেষণ করো।

৭। অসুস্থ সুমন মিয়ার দুর্দিনে তার সব আত্মীয়স্বজন দূরে চলে যায়। তার স্ত্রী নিজের গয়না বিক্রি করে এবং সমস্ত সঞ্চয় নষ্ট করে সুমন মিয়ার ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। স্ত্রীর সেবা ও ডাক্তারদের প্রচেষ্টায় সুমন মিয়া সুস্থ হয়ে তার সব সম্পত্তি স্ত্রীর নামে লিখে দেয়। এতে তার আত্মীয়স্বজনেরা সুমন মিয়াকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন অপবাদ প্রচার করতে থাকলে সুমন মিয়া তার স্ত্রীর ত্যাগ আর দয়ার্দ্র আচরণের কথা মনে করিয়ে দেয়।

ক. প্রত্নতাত্ত্বিকদের গবেষণার বিষয় কী?
খ. সবাই করে-এতে দোষ কী? উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সুমন মিয়ার স্ত্রীর সাথে ‘বিলাসী’ গল্পের বিলাসীর সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকে ‘বিলাসী’ গল্পের একটি মাত্র দিক প্রকাশিত হয়েছে, মূল গল্পের বিষয়বস্তু বিস্তৃত বর্ণনায় সমৃদ্ধ।”- যুক্তিসহ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

৮। সৌদামিনী মালো স্বামীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে ধানী জমি, বসতবাড়ি, পুকুরসহ কয়েক একর সম্পত্তির মালিক হয়। এই সম্পত্তির উপর নজর পড়ে সৌদামিনীর জ্ঞাতি দেবর মনোরস্তানের। সৌদামিনীর সম্পত্তি দখলের জন্য সে নানা কৌশল অবলম্বন করে। একদিন এক শিশুকে দুর্ভিক্ষের কবল থেকে প্রাণে বাঁচিয়ে তুলে এনে লালনপালন করতে থাকে নিজ সন্তানের মতো। শিশুটি বড়ো হতে থাকে কিন্তু সম্পত্তির লোভে সৌদামিনীর দেবর অভিযোগ তোলে রাস্তা থেকে একটা অস্পৃশ্য সন্তানকে তুলে এনে নিজ ঘরে আশ্রয় দিয়েছে সৌদামিনী। সে জাতের বিধান লঙ্ঘন করেছে। উপরন্তু মনোরঞ্জন সৌদামিনীকে সমাজচ্যুত করতে প্রচার করে যে- সে যা করছে তা মহাপাপ, হিন্দু সমাজের জাত ধর্ম শেষ হলে গেল। (কাহিনি সূত্র: সৌদামিনী মালো- শওকত ওসমান)

ক. ‘ফোর্থ ক্লাস’ বলতে কোন ক্লাসকে বোঝানো হয়েছে?
খ. ‘আমাদের তো খাবারের ভাবনা নাই আমরা কেন মিছামিছি লোক ঠকাতে যাই’- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. সৌদামিনী চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্যটি বিলাসীর চরিত্রের সঙ্গে মিলে যায়? আলোচনা করো।
ঘ. “মনোরঞ্জন যেন ‘বিলাসী’ গল্পের খুড়ারই প্রতিচ্ছবি।”- বিষয়টি মূল্যায়ন করো।

১০। করি না বিচার জাতিধর্মের
কোনো ভেদাভেদ ভাষা বর্ণের
সবাই মানুষ এই পরিচয়
হৃদয়ে নিরন্তর।

ক. সাপুড়েদের সবচেয়ে লাভের ব্যাবসা কী?
খ. ‘একলা যেতে ভয় করবে না তো?’- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকটি ‘বিলাসী’ গল্পের কোন বিষয়টি সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘বিলাসী’ গল্পের তাৎপর্য বহন করে কী?- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।


বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫ | এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র বিলাসী সৃজনশীল প্রশ্ন ২০২৫ PDF Answer Sheet Download

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top