এইচএসসি জীববিজ্ঞান ২য় পত্রের ৫ম অধ্যায় শ্বসন ও শ্বাসক্রিয়ার নোটটি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যার মাধ্যমে তুমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় , মেডিকেল কলেজ পরিক্ষা ও ইন্জিনিয়ারিং পরিক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারবে । এই লেকচারে অন্তর্ভুক্ত আছে শ্বসন ও শ্বাসক্রিয়া: শ্বসননালির সমস্যা – লক্ষণ ও প্রতিকার, শ্বাসযন্ত্র, শ্বাসক্রিয়া, প্রশ্বাস-নিঃশ্বাস কার্যক্রম । তাই আর দেরি না করে আমাদের শ্বসন ও শ্বাসক্রিয়ার লেকচার শীটটি পড়ে ফেলুন ।।
শ্বসন ও শ্বাসক্রিয়া
শ্বাসক্রিয়ার ধারণা
শ্বাসক্রিয়া হলো জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে অক্সিজেন গ্রহণ করা হয় এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসৃত হয়।
এটি দুই ধরনের হয়:
- আন্তরিক শ্বাসক্রিয়া (Internal Respiration): এটি কোষের ভেতরে ঘটে যেখানে গ্লুকোজ ও অক্সিজেনের প্রতিক্রিয়া হয় এবং শক্তি উৎপন্ন হয়।
- বহির্মুখী শ্বাসক্রিয়া (External Respiration): এটি শরীরের বাইরের পরিবেশে ঘটে যেখানে অক্সিজেন গ্রহণ এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসৃত হয়।
শ্বাসপ্রণালী
শ্বাসপ্রণালী হল সেই প্রক্রিয়া যা শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন অংশের মাধ্যমে বাতাসের প্রবাহের সাথে সম্পর্কিত:
- নাসিকা গহ্বর (Nasal Cavity): বাতাসকে গরম, সিক্ত এবং পরিশোধিত করে।
- ফ্যারিংস (Pharynx): খাদ্যনালীর সাথে যুক্ত এই অংশ শ্বাসযন্ত্র এবং পাচনতন্ত্রের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।
- ল্যারিংক্স (Larynx): এটি ভোকাল কর্ডস (মুখপাত্র) ধারণ করে এবং স্বরের উৎপাদনে সাহায্য করে।
- ট্র্যাকিয়া (Trachea): বাতাসকে দুইটি ব্রঙ্কিয়াতে (bronchi) পরিবাহিত করে।
- ব্রঙ্কি (Bronchi): ট্র্যাকিয়া থেকে শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন অংশে বাতাস পরিবাহিত করে।
- আলভিওলি (Alveoli): শ্বাসযন্ত্রের শেষ অংশ যেখানে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের গ্যাস বিনিময় ঘটে।
শ্বাসযন্ত্রের কাজ
- অক্সিজেন গ্রহণ: বায়ুর অক্সিজেন রক্তে মিশে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন কোষে পরিবাহিত হয়।
- কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ: কোষে উৎপন্ন কার্বন ডাইঅক্সাইড রক্তে মিশে চলে যায় এবং শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে বাইরে বের হয়।
আরো পড়ুন :
শ্বাসক্রিয়ার পদক্ষেপ
- ইনহেলেশন (Inhalation): অক্সিজেনযুক্ত বাতাস ফুসফুসে প্রবাহিত হয়।
- গ্যাস বিনিময়: আলভিওলিতে অক্সিজেন রক্তে প্রবাহিত হয় এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড বাতাসে নিঃসৃত হয়।
- এক্সহেলেশন (Exhalation): কার্বন ডাইঅক্সাইডযুক্ত বাতাস শরীর থেকে বের হয়।
শ্বাসযন্ত্রের রোগ ও সমস্যাসমূহ
- অ্যাজমা (Asthma): শ্বাসনালীর প্রদাহ ও সংকোচনের কারণে শ্বাসকষ্ট।
- কপিডি (Chronic Obstructive Pulmonary Disease): দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগ যা শ্বাসপ্রণালী সংকুচিত করে।
- ফুসফুসের সংক্রমণ (Pneumonia): ফুসফুসের প্রদাহ যা শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করে।
শ্বাসক্রিয়া ও শরীরের স্বাস্থ্য
- অনুশীলন ও শ্বাসক্রিয়া: নিয়মিত ব্যায়াম শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়।
- বেশি জল পান: শরীরের হাইড্রেশন শ্বাসযন্ত্রের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এইচএসসি জীববিজ্ঞান ২য় পত্রের শ্বসন ও শ্বাসক্রিয়া লেকচার শীটটি ডাউনলোড করুন :