এইচএসসি সিরাজউদ্দৌলা নাটকের নোটটি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যার মাধ্যমে তুমি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে ।এই লেকচারে অন্তর্ভুক্ত আছে নাটকের ব্যাখ্যা, সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, নাটকের মূলভাব, জ্ঞানমূলক ও mcq pdf । তাই আর দেরি না করে আমাদের সিরাজউদ্দৌলা নাটকের লেকচার শীটটি পড়ে ফেলুন ।।
সিরাজউদ্দৌলা
সিকানদার আবু জাফর
লেখক পরিচিতি ও সাহিত্যকর্ম
জন্ম পরিচয়:
১৯ মার্চ ১৯১৯ সালে; তেঁতুলিয়া, তালা, সাতক্ষীরা। পিতা: সৈয়দ মঈনুদ্দীন হাশেমী। পিতৃব্য: সৈয়দ জালালুদ্দীন হাশেমী (কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ও অবিভক্ত বঙ্গের লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার)।
শিক্ষাজীবন:
মাধ্যমিক ম্যাট্রিক (১৯৩৬), তালা বি. দে ইন্সটিটিউশন, তৎকালীন খুলনা (বর্তমান সাতক্ষীরা)। উচ্চ মাধ্যমিক – রিপন কলেজ (বর্তমানে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ), কলকাতা।
কর্মজীবন/পেশা:
কলকাতার মিলিটারি একাউন্টাস বিভাগে (১৯৩৯) পেশাগত জীবন শুরু করে। চাকরি – রেডিও পাকিস্তান। সাংবাদিক দৈনিক নবযুগ’ সহযোগী সম্পাদক দৈনিক ইত্তেফাক’: প্রধান সম্পাদক দৈনিক মিল্লাত’ : প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ‘মাসিক সমকাল’।
পুরস্কার:
বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৬), একুশে পদক (১৯৮৪, মরণোত্তর)। মৃত্যুবরণ: ৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে।
কাব্যগ্রন্থ:
প্রসন্ন প্রহর (১৯৬৫), বৈরী বৃষ্টিতে (১৯৬৫), তিমিরান্তিক (১৯৬৫), কবিতা ১৩৭২ (১৯৬৮), বৃশ্চিক লগ্ন (১৯৭১), বাংলা ছাড়ো (১৯৭১)।
নাটক:
শকুন্ত উপাখ্যান (১৯৫৮), সিরাজউদ্দৌলা (১৯৬৫), মহাকবি আলাওল (১৯৬৫), মাকড়সা (১৯৬০)।
উপন্যাস:
মাটি আর অশ্রু (১৯৪২), পূরবী (১৯৪৪), নতুন সকাল (১৯৪৫)।
গল্পগ্রন্থ:
মর্তি আর অশ্রু (১৯৪১)।
কিশোর উপন্যাস:
জয়ের পথে (১৯৪২), নবী কাহিনী (১৯৫১)।
অনুবাদ:
রুবাইয়াৎ ওমর খৈয়াম (১৯৬৬), সেন্ট লুইয়ের সেতু (১৯৬১), বারনাড মালামুডের যাদুর কলস (১৯৫৯)।
গান:
মালৰ কৌশিক (১৯৬৯)।
‘সিরাজউদ্দৌলা‘ নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি
★ ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকটি চারটি অঙ্কে ও বারোটি দৃশ্যে বিন্যস্ত।
★ কলকাতার নাম আলিনগর ঘোষণা করেন সিরাজউদ্দৌলা।
★ ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের প্রথম চরিত্র- ক্লেটন।
★ আলিনগরের দেওয়ান নিযুক্ত করা হয়- রাজা মানিকচাঁদকে।
★ ‘প্রাণপণে যুদ্ধ করো, সাহসী ব্রিটিশ সৈনিক’ এ কথাটি ক্যাপ্টেন ক্লেটনের।
★ নবাবের রাজধানী মুর্শিদাবাদ।
★ ‘ডাচ’ শব্দটি দ্বারা বোঝায় ওলন্দাজ বা হল্যান্ডের অধিবাসীদের।
★ ‘যুদ্ধে জয়লাভ অথবা মৃত্যুবরণ, এ আমাদের প্রতিজ্ঞা।’ এ সংলাপটি – ক্লেটনের।
★ নবাবের পদাতিক বাহিনী দমদমের সরু রাস্তা দিয়ে চলে এসেছে।
* নবাবের গোলন্দাজ বাহিনী শিয়ালদহের মারাঠা খাল পেরিয়ে ইংরেজ দুর্গের দিকে এগিয়ে আসে।
★ ‘কাপুরুষ বেইমান, জ্বলন্ত আগুনের মুখে বন্ধুদের ফেলে পালিয়ে যায়।’ উক্তিটি ক্লেটন মিনচিন, ফ্রাঙ্কল্যান্ড, ম্যানিংহাম উদ্দেশ্যে করেন।
★ উইলিয়াম ওয়াটস ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাশিমবাজার এলাকার কুঠির পরিচালক ছিলেন।
★ পেশায় চিকিৎসক হলওয়েল ‘অন্ধকূপ হত্যা’ কল্পিত ঘটনা প্রচার করে।
★ হলওয়েলের উপাধি সার্জন হলে রোজার ড্রেকের উপাধি গভর্নর এবং ক্লেটনের উপাধি ক্যাপ্টেন।
★ ‘আপনিই এখন কমান্ডার-ইন-চিফ।’ উমিচাঁদ হলওয়েল এর উদ্দেশ্যে এ সংলাপটি করেছেন।
★ ইংরেজরা আত্মরক্ষার নামে কাশিমবাজারে গোপনে অস্ত্র আমদানি করছিল।
আরো পড়ুন :
★ ‘নবাবসৈন্য কলকাতা আক্রমণ করার সঙ্গে সঙ্গে রোজার ড্রেক প্রাণভয়ে কুকুরের মতো ল্যাজ গুটিয়ে পালিয়েছে।’ সংলাপটি – সিরাজউদ্দৌলার।
★ উমিচাঁদ নিজেকে দওলতের পূজারি বলে পরিচয় দেন।
★ ‘সিপাহসালার’ বলতে বোঝায় সেনাপতিকে ।
★ ‘নবাব আলিবর্দি আমাদের বাণিজ্য করার অনুমতি দিয়েছেন।’ সিরাজের উদ্দেশ্যে হলওয়েল এ সংলাপটি করেন।
★ ‘ফরাসিরা ডাকাত! আর ইংরেজরা অতিশয় সজ্জন ব্যক্তি, কেমন?’ হলওয়েলের উদ্দেশ্যে নবাব সিরাজ এ সংলাপটি করেন।
★ সিরাজউদ্দৌলা মিরমদানকে শ্রেষ্ঠ বাঙালি বীর বলে অভিহিত করেন।
★ ক্লেটন, জর্জ, হলওয়েল এরা সম্মিলিতভাবে নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে ।
★ মিরজাফরের প্রকৃত নাম – মিরজাফর আলি খান।
★ মিরজাফর ভারতবর্ষে আসেন – পারস্য থেকে।
★ কলকাতা থেকে নবাবের তাড়া খেয়ে ইংরেজরা আস্তানা গেড়েছে ভাগীরথী নদীর ফোর্ট উইলিয়াম জাহাজে।
★ ‘এত অল্পে অধৈর্য হলে চলবে কেন?’ সংলাপটি কিলপ্যাট্রিক হ্যারির উদ্দেশ্যে বলেন।
★ জগৎশেঠ ছিলেন নবাবের সেনাপতি মানিকচাঁদের ভ্রাতুষ্পুত্র।
★ ফতেহ চাঁদকে ‘জগৎশেঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় – ১৭২৩ সালে।
★ ভাগীরথী নদীতে ইংরেজদের ভাসমান জাহাজে ম্যালেরিয়া ও আমাশয় রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় ।
★ ভাগীরথী নদীতে অবস্থানরত ইংরেজদের জাহাজ থেকে কলকাতার দূরত্ব – 80 মাইলের ভেতরে
★ নারান সিং ‘রাইসুল জুহালা’ ছদ্মনামে ইংরেজদের ষড়যন্ত্রের খবর নবাবকে জানাতেন।
★ ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে মিরজাফরের পদবি সিপাহসালার বা প্রধান সেনাপতি।
★ শওকতজঙ্গকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার জন্য নবাব সিরাজউদ্দৌলা মোহনলালের অধীনে সেনাবাহিনী পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
★ স্থানীয় লোকজনের তৈরি লবণ ইংরেজরা তিন-চার আনা মণ দরে কিনে বিক্রি করে দুই-আড়াই টাকা দরে।
★ ‘ঈশ্বরের নামে প্রতিজ্ঞা করছি, সর্বশক্তি নিয়ে চিরকালের জন্য আমি নবাবের অনুগামী একথা রায়দুর্লভ বলেন।
★ ইংরেজরা বেইমান নন্দকুমারকে ঘুষ দিয়ে চন্দননগর ধ্বংস করে।
★ “আমাদের কারও অদৃষ্ট মেঘমুক্ত থাকবে না শেঠজি।’ সংলাপটি মিরজাফর করেছিলেন।
* “একটু নুন জোগাড় হলেই কাঁচা খাব বলে মুলোটা হাতে নিয়ে ঘরছিলাম।’ উক্তিটি রাইসুল জুহালা।
★ মিরজাফরের পুত্র মিরন।
★ ‘চারিদিকে শুধু অবিশ্বাস আর ষড়যন্ত্র’ সংলাপটি রায়দুর্লভ মিরনকে উদ্দেশ্যে করে বলেন।
* রমণীর ছদ্মবেশে মিরনের বাসগৃহে প্রবেশ করেন – ওয়ার্টস ও ক্লাইভ ।
★ ‘আজ নবাবকে ডোবাচ্ছেন, কাল আমাদের পথে বসাবেন না তা কি করে বিশ্বাস করা যায়।’ সংলাপটি রাজবল্লভের উদ্দেশ্যে ক্যাপ্টেন ক্রেটন করেছেন।
★ ওয়াটসনের পদমর্যাদা ছিল ইংরেজ নৌবাহিনী প্রধান।
★ আলিবর্দি খাঁর কনিষ্ঠ কন্যা আমিনার স্বামীর নাম জয়েন উদ্দিন।
★ ‘রৌশনি’ অর্থ- আলোকসজ্জা।
★ সিরাজউদ্দৌলার পক্ষে অংশগ্রহণকারী অন্যতম বিশ্বস্ত ফরাসি সেনাপতি ছিলেন সাঁয়ে।
★ মিরজাফরের বিশ্বস্ত গুপ্তচর উমর বেগ জমাদারকে খুন করা হয়েছিল – মোহনলালের হুকুমে ।
★ নবাবের পক্ষে পশ্চিম দিকে গঙ্গার ধারে উঁচু স্থানে অবস্থান ছিল – বদ্রিআলি খাঁর।
★ পলাশি যুদ্ধের পূর্ব রাত্রে শলাপরামর্শের জন্য নবাবের শিবিরে উপস্থিত ছিলেন। মোহনলাল, মিরমদান।
★ টুলের উপর দাঁড়িয়ে দূরবিন দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা দেখার চেষ্টা করেন। নিজেই। – নবাব
* ক্লাইভ এর গুলি করার সঙ্গে সঙ্গে নারান সিংয়ের মৃত্যু হয়।
★ নাটোরের মহারানি ভবানীর স্বামীর নাম – রাজা রামকান্ত রায়।
★ “আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন বিহার থেকে রামনারায়ণ, পাটনা থেকে ফরাসি বীর মসিয়ে ল।’ এ সংলাপটি – নবাবের।
★ Long live Nabab jafar Ali Khan’ সংলাপটি ক্লাইভের ।
* মিরন নবাবকে হত্যা করার জন্য নিয়োগ করে – মোহাম্মদি বেগকে ।
★ মোহাম্মদি বেগ লাঠি ফেলে খাপ থেকে ছোরা খুলে সিরাজের পিঠে আঘাত করল।
★ মোহাম্মদ বেগ দশ হাজার টাকার বিনিময়ে সিরাজকে হত্যা করতে রাজি হলেন।
★ মিরজাফর কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান
★’সাদা নিশান’ – সন্ধির প্রতীক।
★ ‘যত বড় মুখ নয়, তত বড় কথা” উক্তিটি ক্লেটনের।
★ ‘কাপুরুষ বাঙালির কাছে যুদ্ধ বন্ধ হবে না’ উক্তিটি – ক্লেটনের।
★ ‘সুপ্রভাত তাই না উমিচাঁদ’ সংলাপটি হলওয়ের’র। ।
★ ‘আমিও ঘুষ খাইনে’ সংলাপটি ক্লেটনের
★ কিলপ্যাট্রিক ২৫০ জন সৈন্য নিয়ে হাজির হয়।
★ মার্টিন ও কিলপ্যাট্রিক কোম্পানির ৭০ টাকা বেতনের কর্মচারী।
★ ‘সিরাজের পতন কে না চায়’ সংলাপটি – ঘসেটি বেগমের।
* গঙ্গাজল হয়ে ঈশ্বরের নামে শপথ করে রাজবল্লভ।
★ ‘রাইসুল জুহালাকে ঘসেটি বেগমের বাড়িতে উমিচাঁদ নিয়ে আসে
★ জগৎশেঠ দু’হাজার অশ্বারোহী পুষছে ।
★ উমিচাঁদকে মিরজাফর সাংকেতিক মোহর দেয়।
★ ওয়াটসনের সই জাল করে দিয়েছে লুসিংটন।
★ যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলার পতন হলে কোম্পানি এক কোটি টাকা পাবে।
★ প্রয়োজনমতো যেকোনো জায়গায় যাওয়ার অনুমতি আছে মোহনলালের।
★ ‘মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন সেনাপতি’ উক্তিটি – মিরনের
★ ‘সিরাজউদ্দৌলা আমার কেউ নয়,তিনি বাংলার নবাব’ উক্তিটি – ঘসেটি বেগমের।
* নবাব সিরাজউদ্দৌলার কামানের সংখ্যা ৫০টার বেশি আর সৈন্যসংখ্যা ৫০ হাজার।
★ শিবিরের কাছে ফৌজ রাখার কথা আমরাও ভাবি না’ উক্তিটি – সিরাজের।
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের লেকচার শীটটি ডাউনলোড করুন :