বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ PDF Download

Advertisements

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ প্রশ্ন ও উত্তর ব্যাখ্যাসহ দেওয়া হলো। বিগত সালের বিভিন্ন বোর্ড পরিক্ষার প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ এখানে ১০০% গুরুত্বপূর্ণ বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ pdf ফাইলে দেওয়া আছে । তাই আর দেরি করে আমাদের বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ pdf answer লেকচার শীটটি ডাউনলোড করুন।

বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ প্রশ্ন ও উত্তর PDF

বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ part 01

১. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী পালিত হয়-

ক) ২০২১ সালে

খ) ২০২২ সালে

Advertisements

গ) ২০১৯ সালে

ঘ) ২০২০ সালে

সঠিক উত্তরঃ ঘ) ২০২০ সালে

ব্যাখ্যাঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী পালিত হয়- ২০২০ সালে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি ও বাঙালি জাতির পিতা। তাঁর জন্ম ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায়। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে যেহেতু বঙ্গবন্ধুর জন্মের একশত বছর পূর্ণ হয় সেহেতু ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ দিনকে কেন্দ্র করে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের জন্মশতবার্ষিকী পালিত হয়।

২. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস কোনটি?

ক) ১০ জানুয়ারি

খ) ২৩ জুন

গ) ১৪ এপ্রিল

ঘ) ১৭ মার্চ

সঠিক উত্তরঃ ঘ) ১৭ মার্চ

৩. অনশন ধর্মঘটের ব্যাপারে আলোচনার কথা বলে বঙ্গবন্ধুকে কোন তারিখে জেলগেটে আনা হয়েছিলো?

ক) ১৫ মার্চ

খ) ১৫ ফেব্রুয়ারি

গ) ১৫ এপ্রিল

ঘ) ১৫ জুন

সঠিক উত্তরঃ খ) ১৫ ফেব্রুয়ারি

ব্যাখ্যাঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৫ই ফেব্রুয়ারি ঢাকা সেন্ট্রাল জেলের গেটে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও অনশন ধর্মঘটের ব্যাপারে আলোচনার কথা বলে নেয়া হয়েছিল। একই কথা বলে মহিউদ্দীনকেও নিয়ে আসা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁদের ফরিদপুর জেলে পাঠানো হয়।

৪. বায়ান্নর দিনগুলোতে কারা অভ্যন্তরে বঙ্গবন্ধুর অনশন করার কারণ-

ক) ভাষা সংগ্রাম

খ) জেলারের দুর্ব্যবহার

গ) সরকারের দমন পীড়ন

ঘ) বিনা বিচারে আটক রাখা

সঠিক উত্তরঃ ঘ) বিনা বিচারে আটক রাখা

ব্যাখ্যাঃ কারা অভ্যন্তরে বঙ্গবন্ধুর অনশনের কারণ বিনা বিচারে আটকে রাখা। তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তাদের অপশাসন নিষ্কণ্টক রাখতে কারণে অকারণে রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের দিনের পর দিন বিনা বিচারে জেলখানায় আটকে রাখত। ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধুকেও এভাবে এভাবে তারা আটকে রাখে। এভাবে বিনা বিচারে জেলে আটকে রাখার প্রতিবাদে জেলের ভেতরেই বঙ্গবন্ধু কারাবন্দিদের মুক্তির জন্য একসময় অনশন ধর্মঘট শুরু করেন।

৫. জাহাজ ঘাটে শেখ মুজিবুর রহমান সহকর্মীদের কাছে কী চাইলেন?

ক) মুক্তি

খ) ভালোবাসা

গ) ক্ষমা

ঘ) বিদায়

সঠিক উত্তরঃ গ) ক্ষমা

ব্যাখ্যাঃ অনসনরত অবস্থায় বঙ্গবন্ধু ও মহিউদ্দিনকে ঢাকা থেকে ফরিদপুর নিয়ে যাওয়ার সময় সকলের কাছ থেকে বিদায় দেওয়ার মুহূর্তে জাহাজ ঘাটে দাড়িয়ে বললেন, “জীবনে আর দেখা না হতেও পারে৷ সকলে যেন আমাকে ক্ষমা করে দেয়৷ দুঃখ আমার নাই। একদিন মরতেই হবে, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যদি মরতে পারি, সে মরাতেও শান্তি আছে। এভাবেই তিনি সহকর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন।

৬. সে মরাতেও শান্তি আছে- লেখক শেখ মুজিবুর রহমান কোন মৃত্যুতে শান্তির কথা বলেছেন?

ক) ভাষা আন্দোলনে অংশ নিয়ে

খ) স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নিয়ে

গ) অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে

ঘ) জনতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে

সঠিক উত্তরঃ গ) অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে

ব্যাখ্যাঃ সে মরাতেও শান্তি আছে’ বলতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে মৃত্যুর কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করার মানসিকতা পোষণ করতেন৷ তিনি অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে জীবন দেয়াকে গৌরবজনক মনে করতেন। তাই মৃত্যুকে তিনি ভয় করতেন না। অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাহাত্ম্য বোঝাতে তিনি নিজের সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে আলোচ্য উক্তিটি করেন। এই উক্তিটির মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানের দেশপ্রেম ও ভাষাপ্রীতি মনোভাব প্রকাশিত হয় ।

বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ

৭. ওপরওয়ালাদের নির্দেশে বঙ্গবন্ধুকে নারায়ণগঞ্জে কোথায় রাখা হয়েছিল?

ক) জাহাজ ঘাটে

খ) পুলিশ ব্যারাকের ঘরে

গ) ভিক্টোরিয়া পার্কে

ঘ) থানা হাজতে

সঠিক উত্তরঃ ঘ) থানা হাজতে

ব্যাখ্যাঃ বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় বঙ্গবন্ধুদের নিয়ে যাওয়ার জন্য যে জাহাজে চড়ার কথা ছিল সে ‘জাহাজ ঘাট ছেড়ে চলে গেলে পরবর্তী জাহাজ ছাড়ার আগ পর্যন্ত তাঁদের কোথায় রাখা হবে তার জন্য ওপরওয়ালাদের টেলিফোন করলে তাঁদের থানায়ই রাখার হুকুম হয়। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর ভাষ্যমতে, তাদের পুলিশ ব্যারাকের একটা ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়।

৮. বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাকে তাঁর সহকর্মীদের খবর দিতে বললেন?

ক) চায়ের দোকানের মালিক

খ) নৌকার মাঝি

গ) গাড়ির ড্রাইভার

ঘ) মহিউদ্দীন

সঠিক উত্তরঃ ক) চায়ের দোকানের মালিক

ব্যাখ্যাঃ বঙ্গবন্ধুকে গোপনে ঢাকা জেল থেকে ফরিদপুর জেলে পাঠানো হচ্ছিল, এমন পরিস্থিতিতে নাস্তা করতে চাওয়ার কথা নয়। নাস্তা করার ইচ্ছা না থাকলেও সহকর্মীদের নিজের অবস্থান জানানোর জন্য বঙ্গবন্ধু নাশতা করার অজুহাত দেখান, আধাঘণ্টা পর চায়ের দোকানের মালিক এলে বঙ্গবন্ধু তাকে তাঁর নাম বলেন এবং সহকর্মীদের খবর দিতে বলেন |

৯. ভাষা সৈনিকদের শহিদ হওয়ার খবর বঙ্গবন্ধু কীভাবে পেয়েছিলেন?

ক) সিপাহীদের মাধ্যমে

খ) প্রহরীদের সহায়তায়

গ) রেডিও শুনে

ঘ) বন্দিদের কাছ থেকে

সঠিক উত্তরঃ ক) সিপাহীদের মাধ্যমে

ব্যাখ্যাঃ ভাষা সৈনিকদের শহিদ হওয়ার খবর বঙ্গবন্ধু সিপাহীদের মাধ্যমে পেয়েছিলেন৷ একুশে ফেব্রুয়ারি সারাদিন উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় কাটে বঙ্গবন্ধু ও মহিউদ্দিনের। রাতে সিপাহিরা ডিউটিতে এসে খবর দিল, ঢাকায় ভীষণ গোলমাল হয়েছে। কয়েকজন লোক গুলি খেয়ে মারা গেছে।

১০. বায়ান্নর দিনগুলো রচনায় “মানুষের যখন পতন আসে তখন পদে পদে ভুল হতে থাকে।” উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?

ক) উৎকণ্ঠা

খ) নেতিবাচকতা

গ) স্থূলতা

ঘ) অপরিণামদর্শিতা

সঠিক উত্তরঃ ঘ) অপরিণামদর্শিতা

ব্যাখ্যাঃ প্রশ্নোক্ত উক্তিটি দ্বারা অপরিণামদর্শিতাকে বোঝানো হয়েছে। মুসলিম লীগ সরকার ভাষা আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করার পরিবর্তে গুলি করে হত্যার করে। এমন ঘৃণ্য অপকৌশল গ্রহণ করাতে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর প্রতি এদেশের মানুষের ঘৃণা বাড়তে থাকে। এটি এমনই একটি ভুল পদক্ষেপ ছিলো। এরকম প্রেক্ষাপটে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান সরকারের অপরিণামদর্শিতা বোঝাতে উক্তিটি করেন।

১১. মানুষের যখন পতন আসে তখন পদে পদে ভুল হতে থাকে। – এখানে কোন প্রসঙ্গে কথাটি বলা হয়েছে?

ক) সাতচল্লিশে দেশভাগ

খ) ভাষা আন্দোলনের গুলি বর্ষণ

গ) ঊনসত্তরের অভ্যুত্থানে গুলি বর্ষণ

ঘ) ২৫ মার্চে গুলি বর্ষণ

সঠিক উত্তরঃ খ) ভাষা আন্দোলনের গুলি বর্ষণ

১২. ‘আওয়ামী লীগের কোনো কর্মীই বোধ হয় আর বাইরে নাই। – উক্তিটিতে প্রকাশ পেয়েছে আওয়ামী লীগ কর্মীদের-

ক) বন্দীদশা

খ) গৃহে আত্মগোপন

গ) যুদ্ধে অংশগ্রহণ

ঘ) শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় গ্রহণ

সঠিক উত্তরঃ ক) বন্দীদশা

ব্যাখ্যাঃ ২১শে ফেব্রুয়ারি ঘটনার পর আওয়ামী লীগ এর অধিকাংশ নেতা ও কর্মীদের বন্দি করা হয়। এ প্রসঙ্গে লেখক আলোচ্য উক্তিটি করে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বন্দিদশাকে বুঝাতে চেয়েছেন।

১৩. ফরিদপুরের সারাদিন শোভাযাত্রা চলেছিল কত তারিখে?

ক) ২০ ফেব্রুয়ারি

খ) ২২ ফেব্রুয়ারি

গ) ২১ ফেব্রুয়ারি

ঘ) ২৩ ফেব্রুয়ারি

সঠিক উত্তরঃ খ) ২২ ফেব্রুয়ারি

ব্যাখ্যাঃ ২২শে ফেব্রুয়ারিতে ফরিদপুরে সারাদিন শোভাযাত্রা হয়েছিল৷ ছাত্র- ছাত্রী এক জায়গায় হলে ভাষা আন্দোলনের পক্ষে তারা স্লোগান দেয়। বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ

১৪. “বাংলাদেশ যে আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে- উক্তিটি দ্বারা ‘বায়ান্নের দিনগুলো রচনায় কী বোঝানো হয়েছে?

ক) বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী আত্মজীবনী লেখার সুযোগ

খ) বঙ্গবন্ধুর বিচিত্র অভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ

গ) বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর আপসহীনতা

ঘ) মুক্তিকামী মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর সফল নেতৃত্ব

সঠিক উত্তরঃ ঘ) মুক্তিকামী মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর সফল নেতৃত্ব

ব্যাখ্যাঃ মুক্তিকামী মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর সফল নেতৃত্বদানকারী হিসেবে প্রশ্নোত্ত মন্তব্যে দেশের প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে। জেলে সিভিল সার্জন সাহেব অসুস্থ বঙ্গবন্ধুকে দেখে ব্যথিত হন। বাংলাদেশের মানুষের আশার কেন্দ্রবিন্দু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সুস্থ হয়ে ওঠার প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি এ কথা বলেন।

১৫. ‘বাংলাদেশ যে আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করে।’- ‘বায়ান্নর দিনগুলো’তে এই ‘অনেক কিছু হলো

ক) যুদ্ধ

খ) যোগ্য নেতৃত্ব

গ) অভ্যূত্থান

ঘ) স্বাধীনতা

সঠিক উত্তরঃ খ) যোগ্য নেতৃত্ব

ব্যাখ্যাঃ তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অপশাসনের প্রতিবাদে জেলের ভেতরেই বঙ্গবন্ধু অনশন করার ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে কারাভ্যন্তরেই তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করা হলেও তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। সেই সময় সিভিল সার্জন বঙ্গবন্ধুকে পরীক্ষা করতে এসে আলোচ্য উক্তিটি করে তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, বাংলাদেশের জনগণ তাঁর কাছ থেকে যোগ্য নেতৃত্ব আশা করে।

১৬. শেখ মুজিবুর রহমান কাদের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলেন?

ক) স্ত্রী ও কন্যার

খ) বাবা ও মায়ের

গ) দেশ ও জনগণের

ঘ) ভাই ও বোনের

সঠিক উত্তরঃ গ) দেশ ও জনগণের

ব্যাখ্যাঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ ও জনগণের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু অনশনরত অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পতিত হলে সিভিল সার্জন তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করে বলেন, “এভাবে মৃত্যুবরণ করে কি কোনো লাভ হবে? বাংলাদেশ যে আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করে।” আমার কথা বলতে কষ্ট হয়, আস্তে আস্তে বললাম, “অনেক লোক আছে। কাজ পড়ে থাকবে না। দেশকে ও দেশের মানুষকে ভালোবাসি, তাদের জন্যই জীবন দিতে পারলাম, এই শান্তি।” এ কথার মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ ও দেশের জনগণের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত থাকার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়।

১৭. ১৯৫২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জন্য কয়টি অর্ডার এসেছিল?

ক) দুইটি

খ) চারটি

গ) একটি

ঘ) তিনটি

সঠিক উত্তরঃ ক) দুইটি

ব্যাখ্যাঃ ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধু যখন কারাবন্দি অবস্থায় অনশন পালন করছিলেন, তখন ডেপুটি জেলার সাহেব বঙ্গবন্ধুকে জানান যে, তাঁর মুক্তির জন্য দুইটি অর্ডার এসেছে- একটি রেডিওগ্রামে এবং অন্যটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের অফিস থেকে

বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ part 02

১৮. রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে সরকারি কর্মচারীদের কর্তৃত্বমূলক ব্যবস্থাকে কী বলে?

অথবা, সরকারি কর্মচারীদের কর্তৃত্বমূলক ব্যবস্থাকে কী বলে?

ক) আমলাতন্ত্র

খ) স্বৈরতন্ত্র

গ) গণতন্ত্র

ঘ) শাসনতন্ত্র

সঠিক উত্তরঃ ক) আমলাতন্ত্ৰ

ব্যাখ্যাঃ রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে সরকারি কর্মচারীদের কর্তৃত্বমূলক ব্যবস্থা হলো আমলাতন্ত্র | সরকারি আমলারা দেশ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। উল্লেখ্য জার্মান সমাজবিদ ম্যাক্স ওয়েবার ছিলেন আমলাতন্ত্রের জনক।

১৯. “আমি তোমাকে দেখবার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম- উক্তিটি কার?

ক) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

খ) শেখ কামাল

গ) শেখ হাসিনা

ঘ) শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব

সঠিক উত্তরঃ ঘ) শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব

ব্যাখ্যাঃ প্রশ্নোক্ত উক্তিটি ছিল বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব তথা “রেনু’র। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরে আসলে সহধর্মিণীর সাথে একান্ত আলাপচারিতায় রেণু কেঁদে ফেলল এবং বলল, তোমার চিঠি পেয়ে আমি বুঝেছিলাম, তুমি কিছু একটা করে ফেলবা। আমি তোমাকে দেখবার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। কাকে বলব নিয়ে যেতে, আব্বাকে বলতে পারি না লজ্জায়। নাসের ভাই বাড়ি নাই। যখন খবর পেলাম খবরের কাগজে, তখন লজ্জা শরম ত্যাগ করে আব্বাকে বললাম। আব্বা ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। তাই রওয়ানা করলাম ঢাকায়, সোজা আমাদের বড় নৌকায় তিনজন মাল্লা নিয়ে।

আরো পড়ুন :

২০. জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত সালে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী রচনা করেন?

ক) ১৯৬৫

খ) ১৯৬৭

গ) ১৯৫২

ঘ) ১৯৫৫

সঠিক উত্তরঃ খ) ১৯৬৭

ব্যাখ্যাঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী ও সহধর্মিণীর অনুরোধে ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে রাজবন্দি থাকা অবস্থায় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ লেখা আরম্ভ করেন। পরবর্তীতে এটি ২০১২ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়৷ এই গ্রন্থ থেকে “বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনাটি নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ এটি আত্মজীবনীমূলক রচনা। উল্লেখ্য, কারাগারের রোজনামচা বঙ্গবন্ধুর আরেকটি উল্লেখযোগ্য রচনা যা ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত হয়।

২১.’অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যদি মরতে পারি, সে মরাতেও শান্তি আছে।- ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার উক্তিটিতে শেখ মুজিবুর রহমানের যে মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে—

i. দেশপ্ৰেম

ii. ভাষাপ্রীতি

iii. আত্মসমর্পণ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক)i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তরঃ ক) i ও ii

ব্যাখ্যাঃ প্রশ্নোক্ত উক্তিটির মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানের দেশপ্রেম ও ভাষাপ্রীতি মনোভাব প্রকাশিত হয়। বঙ্গবন্ধু মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করার মানসিকতা পোষণ করতেন৷ তিনি অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে জীবন দেয়াকে গৌরবজনক মনে করতেন৷ তাই মৃত্যুকে তিনি ভয় করতেন না। অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাহাত্ম্য বোঝাতে তিনি নিজের সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে আলোচ্য উক্তিটি করেন |

২২. “মানুষের যখন পতন আসে তখন পদে পদে ভুল হতে থাকে।”— “বায়ান্নর দিনগুলো’ প্রবন্ধের এ উক্তিতে প্রকাশ পেয়েছে—

i. অভিজ্ঞতা

ii. ভাগ্য বিড়ম্বনা

iii. ইতিহাসবোধ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তরঃ খ) i ও iii

ব্যাখ্যাঃ প্রশ্নোক্ত উক্তিতে বঙ্গবন্ধুর অভিজ্ঞতা ও ইতিহাসবোধ প্রকাশিত হয়েছে। পাকিস্তান সরকার ভাষা আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করার পরিবর্তে গুলি করে, এমন ঘৃণ্য অপকৌশল গ্রহণ করলে পাকিস্তানি শাসক-গোষ্ঠীর প্রতি মানুষের ঘৃণা বাড়তে থাকে। এমন প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু তাঁর অতীতের অভিজ্ঞতা ও ইতিহাসবোধে উক্ত উক্তিটি করেন।

বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ

২৩. ‘বায়ান্নর দিনগুলো রচনার কথকের সত্তায় কী লক্ষ করা যায়?

ক) দৃঢ়চেতা মনোভাব

খ) ক্ষমতার লোভ

গ) পরোপকারের মানসিকতা

ঘ) আপসকামিতা

সঠিক উত্তরঃ ক) দৃঢ়চেতা মনোভাব

ব্যাখ্যাঃ ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় দাবি আদায়ের আপসহীনতায় কথকের দৃঢ়চেতা মনোভাব লক্ষ্য করা যায়।

২৪. ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কোন জীবনের কথা বিবৃত হয়েছে?

ক) পারিবারিক জীবন

খ) সামাজিক জীবন

গ) জেল জীবন

ঘ) রাজনৈতিক জীবন

সঠিক উত্তরঃ গ) জেল জীবন

ব্যাখ্যাঃ দেশের মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে জেলে গিয়েছেন এবং নির্মম অত্যাচারের শিকার হয়েছেন, “বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেল জীবন এর কথা বিবৃত হয়েছে। বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ

২৫. বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় বঙ্গবন্ধুকে স্ট্রেচারে করে বাইরে রাখা হয় –

i. মৃত্যুর আশঙ্কায়

ii. কর্তৃপক্ষের অবহেলায়

iii. দায় এড়ানোর জন্য

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তরঃ খ) i ও iii

ব্যাখ্যাঃ বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় বঙ্গবন্ধুকে স্ট্রেচারে করে বাইরে রাখা হয় মৃত্যুর আশঙ্কায় এবং দায় এড়ানোর জন্য। তাদের ধারণা যদি কিছু হয় তাহলে বাহিরে গিয়ে হোক।

২৬. কখন জনগণের মঙ্গল হওয়ার চেয়ে অমঙ্গলই বেশি হয় –

i. শাসকরা যখন শোষক হয়

ii. স্বৈরাচার যখন জেঁকে বসে

iii. আমলাতন্ত্রের দৌরাত্ম্য যখন বেড়ে যায়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তরঃ ক) i

ব্যাখ্যাঃ শাসকরা যখন শোষক হয় তখন দেশ ও জনগণের জন্য তা খারাপ বার্তা বয়ে আনে৷ বঙ্গবন্ধু তাঁর লেখায় এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন | তিনি অনুধাবন করেছিলেন শাসকরা শোষক হলে কখনই দেশের ও জনগণের মঙ্গল হয় না।

২৭. মহিউদ্দিন রাজনৈতিক কারণে কারাভোগ করেন-

i. ব্রিটিশ আমলে

ii. পাকিস্তান আমলে

iii. বাংলাদেশ আমলে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তরঃ ঘ) i, ii ও iii

ব্যাখ্যাঃ মহিউদ্দিন আহমদ (১৯২৫-১৯৯৭) একজন রাজনীতিবিদ। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পূর্বে ও পরে প্রায় সকল রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক কারণে ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে দীর্ঘকাল কারাভোগ করেন। ১৯৭৯-১৯৮১ কালপর্বে তিনি জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা ছিলেন।

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে নিচের দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ

মালিক পক্ষের নিপীড়ন আর শোষণ বঞ্চনা বন্ধের দাবিতে ‘হাওলাদার কটন মিলে’ এর শ্রমিকগণ আমরণ অনশন-ধর্মঘট শুরু করে। তাদের কথা- অত্যাচার ও শোষণের অবসান না হলে আমৃত্যু অনশন চালিয়ে যাবে।

২৮. উদ্দীপকের মালিকপক্ষের সাথে ‘বায়ান্নর দিনগুলো রচনার কীসে মিল রয়েছে?

ক) জেল কর্তৃপক্ষের

খ) কারা পুলিশের

গ) পাকিস্তান সরকারের

ঘ) জেলের কয়েদিদের

সঠিক উত্তরঃ গ) পাকিস্তান সরকারের

ব্যাখ্যাঃ উদ্দীপকের মালিক পক্ষের সাথে ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার পাকিস্তান সরকারের সাদৃশ্য রয়েছে। পাকিস্তান সরকার বছরের পর বছর বাঙালি জনগণের উপর নিপীড়ন, শোষণ, জুলুম-নির্যাতন করতে থাকে। রাষ্ট্রভাষা নিয়েও তারা বাঙালির উপর অন্যায় অত্যাচার করতে থাকে। এর প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুর সভাপতিত্বে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে ধর্মঘট শুরু হলে বঙ্গবন্ধুসহ আরো অনেকে গ্রেফতার হয়। তাঁরাও পাকিস্তান সরকারের অত্যাচার ও শোষণের প্রতিবাদে আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন

২৯. উদ্দীপকের মূলভাব ‘বায়ান্নর দিনগুলো রচনার কোন বাক্যে প্রতিফলিত হয়েছে?

ক) অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধের প্রতিবাদ করে যদি মরতে পারি, সে মরাতেও শাস্তি আছে।

খ) তাদের কথা হলো- মরতে দেব না।’

গ) মুক্তি দিলে খাব; না দিলে খাব না।

ঘ) এভাবে মৃত্যুবরণ করে কি কোনো লাভ হবে?

সঠিক উত্তরঃ ক) অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধের প্রতিবাদ করে যদি মরতে পারি, সে মরাতেও শাস্তি আছে।

ব্যাখ্যাঃ অনশনরত অবস্থায় বঙ্গবন্ধু ও মহিউদ্দিনকে ঢাকা থেকে ফরিদপুর নিয়ে যাওয়ার সময় সকলের সাথে বিদায় নেওয়ার মুহূর্তে জাহাজ ঘাটে দাঁড়িয়ে বললেন, “জীবনে আর দেখা না হতেও পারে। সকলে যেন আমাকে ক্ষমা করে দেয়৷ দুঃখ আমার নাই। একদিন মরতেই হবে, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যদি মরতে পারি, সে মরাতেও শান্তি আছে। উদ্দীপকের মূলভাব মূলত এখানেই প্রতিফলিত হয়েছে।

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে নিচের দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও: বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ pdf Question

স্বাধীকার আন্দোলনের সময় এদেশের মানুষ “জয় বাংলা’, ‘বীরবাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ স্লোগানে শহরবন্দর- গ্রাম আন্দোলিত করে তোলে।

৩০. বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় উল্লিখিত সাদৃশ্যপূর্ণ স্লোগানগুলো হলো-

i. রাজবন্দিদের মুক্তি চাই,

ii. পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা

iii. বাঙালিদের শোষণ করা চলবে না

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তরঃ খ) i ও iii

ব্যাখ্যাঃ বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় উল্লিখিত উদ্দীপকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ যোগানগুলো হলো- রাজবন্দিদের মুক্তি চাই, বাঙালিদের শোষণ করা চলবে না। এছাড়া আরো ছিলো- রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই, শেখ মুজিবের মুক্তি চাই।

বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ

৩১. উদ্দীপকে ‘বায়ান্নর দিনগুলো রচনার কোন চেতনা প্রকাশ পেয়েছে?

ক) বিচারহীনতার প্রতিবাদ

খ) রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই

গ) রাজবন্দিদের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা

ঘ) পরাধীনতা থেকে মুক্তি

সঠিক উত্তরঃ ঘ) পরাধীনতা থেকে মুক্তি

ব্যাখ্যাঃ উদ্দীপকে ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার যে চেতনা প্রকাশ পেয়েছে তা হলো পরাধীনতা থেকে মুক্তি। উদ্দীপকে যেমন ‘জয় বাংলা’ বলে বীরবাঙালিকে অস্ত্র হাতে দেশকে স্বাধীন করা কথা বলা হয়েছে তেমনি ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায়ও বিভিন্ন শ্লোগানের মাধ্যমে পরাধীনতা থেকে মুক্তির চেতনা প্ৰকাশ পায় |

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে নিচের দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ pdf answer

নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণের জন্য আমৃত্যু লড়াই করেছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর কারাবরণ করেও শোষকস্বৈরশাসকের সঙ্গে আপস করেননি

৩২. উদ্দীপকটি তোমার পাঠ্য কোন রচনার সাথে মিল রয়েছে?

ক) ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

খ) বায়ান্নর দিনগুলো  

গ) রেইনকোট

ঘ) নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়

সঠিক উত্তরঃ খ) বায়ান্নর দিনগুলো

ব্যাখ্যাঃ উদ্দীপকটি পাঠ্যবইয়ের ‘বায়ান্নর দিনগুলো রচনার সাথে মিল রয়েছে। উদ্দীপকে নেলসন ম্যান্ডেলা যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণের জন্য লড়াই করে দীর্ঘ ২৭ বছর কারাবরণ করেও স্বৈরশাসকদের সঙ্গে আপস করেননি। তেমনি ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও পাকিস্তানি শাসকদের অপশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন কারাবরণ করেও পকিস্তানি শাসকদের সঙ্গে আপস করেননি।

৩৩. নেলসন ম্যান্ডেলা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন দিক থেকে সমার্থক-

i. কারাভোগে

ii. প্রতিবাদে

iii. দেশপ্রেমে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তরঃ ঘ) i, ii ও iii

ব্যাখ্যাঃ নেলসন ম্যান্ডেলা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে দেশপ্রেম, প্রতিবাদ ও কারাভোগ তিনটি দিকই সমার্থক। নেলসন ম্যান্ডেলা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দু’জনই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে শাসকশ্রেণির অপশাসনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে কারাভোগ করেন।

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে নিচের দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও: বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী দেশের মানুষের জন্য আন্দোলন করেন। আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্বে তিনি ছিলেন পুরোধা, নিবেদিতপ্রাণ | তিনি কখনো কারো কাছে মাথা নত করেননি।

৩৪. উদ্দীপকের আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সাথে তোমার পঠিত ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনাংশের কোন চরিত্রের মিল দেখা যায়

ক) লেখক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

খ) নূরুল আমিন

গ) খন্দকার মোশতাক আহমদ

ঘ) মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ

সঠিক উত্তরঃ ক) লেখক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

ব্যাখ্যাঃ উদ্দীপকের আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সাথে পাঠ্যবইয়ের বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনাংশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর চরিত্রের মিল দেখা যায়। মিলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

• মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী যেমন দেশের মানুষের জন্য আন্দোলন করেন। তেমনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করেন।

• মাওলানা ভাসানী যেমন কারো কাছে মাথা নত করেননি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও নির্মম নির্যাতনে কারো কাছে মাথা নত করেননি।

৩৫. এরূপ সাদৃশ্যের অন্তর্নিহিত কারণ—

i. আপসহীন মনোভাব

ii. অনশন দ্বারা দাবি আদায়

iii. উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তরঃ খ) i ও iii

ব্যাখ্যাঃ বঙ্গবন্ধু ও মাওলানা ভাসানীর সাদৃশ্যের অন্তর্নিহিত কারণগুলো হলো:

• দাবি আদায়ে উভয়ের আপোষহীন মনোভাব

• সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্দোলন।

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের MCQ PDF Download

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top