সোনার তরী কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র সোনার তরী কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর PDF Download

Advertisements

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র সোনার তরী কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর PDF। তোমাদের জন্য আজকে নিয়ে আসলাম ১০০% কমন উপযোগী সোনার তরী কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর। এগুলো অনলাইনে পড়ার পাশাপাশি তুমি পিডিএফ ডাউনলোড করে অফলাইনে পড়তে পারবে । তাহলে চলো, শুরু করি সোনার তরী কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর PDF।।

সোনার তরী কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর PDF

০১। ‘কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা’– কবির এমন অনুভূতির কারণ কী? [ঢা.বো.’২৩]       

উত্তর: ‘কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা’- বলতে কৃষকের একাকিত্ব ও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। কবিতাটিতে বলা হয়েছে হঠাৎ এক বিপন্ন প্রকৃতিতে কৃষক কূলে একা বসে আছেন। সে সময় আকাশে মেঘ ডাকছিল, পরিস্থিতি প্রতিকূলে চলে যাচ্ছিল। তাই এমন অবস্থায় তিনি শঙ্কিত ছিলেন।

০২। “যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী” – ব্যাখ্যা কর।

Advertisements

উত্তর: “যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী” বলতে মহাকালের মানুষের সকল সৃষ্টিকর্মকে ধারণ করে নিয়ে যাওয়াকে বোঝানো হয়েছে। সোনার তরীতে মানুষের সৃষ্টিরই স্থান সংকুলান হয় কেবল। হারিয়ে যায় সৃষ্টিকর্তা। এখানে সোনার তরী কৃষকের ফলানো সব ফসল নিয়ে গেলেও সে একা সেই দ্বীপে পড়ে থাকলো ।

০৩। “চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা”-ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: এখানে ‘বাঁকা জল’ কথাটি দ্বারা অনন্ত কালস্রোতকে বোঝানো হয়েছে।

কবিতায় উল্লিখিত ধানক্ষেতটি ছোটো দ্বীপের আঙ্গিকে চিত্রিত। এর পাশে রয়েছে ঘূর্ণায়মান স্রোতের উদ্দামতা। নদীর ‘বাঁকা’ জলস্রোতে বেষ্টিত ছোটো ক্ষেতটুকুর আশু বিলীয়মান অবস্থার ইঙ্গিত রয়েছে এ অংশে। বাঁকা জল এখানে অনন্ত কালস্রোতের প্রতীক।

০৪। “সকলি দিলাম তুলে থরে বিথরে” – ব্যাখ্যা কর। [সি.বো.’২৩]

উত্তর: ‘সকলি দিলাম তুলে থরে বিথরে’ বলতে সোনার ফসল সোনার তরীতে তুলে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ঘন দুর্যোগের কবলে পড়ে যখন কৃষক মাঝির কাছে সাহায্য চাইল তখন মাঝি তাকে সাহায্য করতে রাজি হলো। তখনি কৃষক তার সকল উৎপাদিত সোনার ফসল থরে থরে সাজিয়ে নৌকায় তুলে দিল এবং এ প্রসঙ্গেই আলোচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন :

০৫। ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী

আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি’-ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: “ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোটো সে তরী আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি” বলতে বোঝানো হয়েছে যে— কৃষকের ধান নৌকায় জায়গা পেলেও কৃষকের ঠাঁই হয়নি।

সোনার তরী কবির মহৎ সৃষ্টিকর্মে ভরে গিয়েছে। সেখানে তাঁকে ধারণের জায়গা নেই। মহাকালের স্রোতে মানুষের সৃষ্টিকর্মের স্থান সংকুলান হয় কেবল। ব্যক্তিসত্তা ও তার শারীরিক সত্তাকে নিশ্চিতভাবে হতে হয় নিষ্ঠুর কালগ্রাসের শিকার।

০৬। ‘দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।’—চরণটি বুঝিয়ে লেখ। [দি.বো.’২৩]

উত্তর: ‘দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।’ -বলতে সোনার তরীর মাঝিকে চেনার কথা বলা হয়েছে। কবিতায় বলা হয়েছে, কৃষক যখন প্রবল বর্ষার মুখোমুখি হয়েছিল তখন সে দেখতে পায় একটা নৌকার মাঝি গান গেয়ে আসছে। এই আগন্তুক মাঝি কৃষক বা শিল্পস্রষ্টা কবির হয়তো চেনা। কেননা চেনা মনে হলেও কৃষক বা শিল্পস্রষ্টা কবির সংশয় থেকেই যায়। মূলত এ বিষয়টি বোঝাতেই কবি বলেছেন ‘দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।

০৭। ‘সোনার তরী’ কবিতায় কবির যে জীবনদর্শনের ইঙ্গিত করা হয়েছে তা আলোচনা কর । [ম.বো.’২৩]

উত্তর: ‘সোনার তরী’ কবিতায় কবির যে জীবনদর্শনের ইঙ্গিত করা হয়েছে তা হলো মহাকালের স্রোতে জীবন-যৌবন ভেসে যায় কিন্তু বেঁচে থাকে মানুষের সৃষ্টিকর্ম।

একজন স্রষ্টা কখনোই তার ব্যক্তিসত্তা ও শারীরিক অস্তিত্বকে ধরে রাখতে পারে না। মহাকালের স্রোতে তাকে একদিন ভেসে যেতে হয়। কিন্তু সে যদি তার সৃষ্টিকর্ম রেখে যেতে পারে তাহলে এই কাজই তাকে বাঁচিয়ে রাখবে সকলের মাঝে।

০৮। ‘ভরা নদী ক্ষুরধারা’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? [রা.বো., ব.বো.’২২]

উত্তর: ভরা নদী ক্ষুরধারা বলতে কবি নদীর প্রবাহ বা স্রোত ক্ষুরের মতো ধারালো বুঝিয়েছেন। কৃষক চারপাশের প্রবল স্রোতের মধ্যে জেগে থাকা দ্বীপের মতো ছোটো একটি ধানক্ষেতে উৎপন্ন সোনার ধান নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে নদীটি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ এবং স্রোত ছিল ক্ষুরের মতো ধারালো।

০৯। ‘শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি।’— উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। [চ.বো.’২২]

উত্তর: ‘শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি’–চরণটি নিঃসঙ্গ অপূর্ণতার বেদনা নিয়ে কবির আসন্ন ও অনিবার্য মৃত্যুর প্রতীক্ষার ইঙ্গিত। সোনার তরী কৃষকের সকল ধান নিয়ে খেয়াপারে চলে যায় কিন্তু কৃষককে নেয়নি। সোনার তরীতে মহৎ সৃষ্টিরই স্থান সংকুলান হয় কেবল। ব্যক্তিসত্তা ও তার শারীরিক অস্তিত্বকে নিশ্চিতভাবে হতে হয় নিষ্ঠুর কালগ্রাসের শিকার।


এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র সোনার তরী কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর PDF Download

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top