বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)

Advertisements

বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড করুন। ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় ১৯৫২ সালের বঙ্গবন্ধুর জেলজীবন ও জেল থেকে মু্ক্তিলাভের স্মৃতি বিবৃতহয়েছে। তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অপশাসন ও বিনাবিচারে বৎসরের পর বৎসর রাজবন্দিদের কারাগারে আটক রাখার প্রতিবাদে ১৯৫২সালে লেখক অনশন ধর্মঘট করেন।সেই সঙ্গে অনশনরত অবস্থায় মৃত্যু জেনেও পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভাবনা এবং অবশেষে মুক্তি পেয়ে প্রিয়জনদের কাছে ফিরে আসার স্মৃতি এই প্রবন্ধে সংকলিত হয়েছে। এখানে ১০টি গুরুত্বপূণ বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হলো। তাহলে চলো, শুরু করি।


বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ২০২৫

১। ১৫৯১ সালে গ্যালিলিও-এর আমলে ব্রুনো ছিলেন প্রতিশ্রুতিশীল মেধাবী গুরু-দার্শনিক। ভেনিসের অভিজাত এক ব্যক্তি জিওভানি মচেনিগো শিক্ষা লাভের আশায় ব্রুনোকে আমন্ত্রণ করেন । মচেনিগোকে পড়াতে গিয়ে প্রসঙ্গক্রমে যে কথাগুলো বলেছিলেন— তা মচেনিগোর অনুভূতিতে আঘাত হানে। তাই একসময় ভেনেটিয়ান ইনকুইজেশনের কাছে ব্রুনোর বিরুদ্ধে নালিশ করেন। ব্রুনো গ্রেফতার হন, ভেনেটিয়ানদের বিচার অমীমাংসিত থাকায় তাঁকে রোমে প্রেরণ করা হয়। ছয় বছর কারাভোগের পরে ১৬০০ সালে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়; কঠিন আগুনে পুড়িয়ে মারা হবে তাঁকে। ১৬০০ সালের ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখে তাকে শেষবারের মতো- সুযোগ দেওয়া হয় আত্মপক্ষ সমর্থনের- দোষ স্বীকারের। বিপন্ন, বিপর্যন্ত, অপদস্থ ব্রুনো তখন সেই অবিস্মরণীয় কথাটি বলেছিলেন— “Perhaps your fear in Passing this sentence upon me is grater than mine in accepting it.” বদ্ধভূমিতে নেওয়ার সময় দুপাশের মানুষের প্রতি তার সত্য বলার স্পৃহা দেখে দুই ঠোঁটে স্পাইক দিয়ে মুখ বন্ধ দেওয়া হয়। শাসকরা ভেবেছিল, তাঁকে হত্যা করলেই তাঁর আদর্শ শেষ হয়ে যাবে। আসলে হয়েছে উলটো।

ক. ভিক্টোরিয়া পার্কের বর্তমান নাম কী?
খ. তবে আমার লাশ মুক্তি পেয়ে যাবে’— এ কথা বলার কারণ কী?
গ. উদ্দীপকের ব্রুনোর অনমনীয়তার সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামীচেতনা কতটুকু সংগতিপূর্ণ?
ঘ. আদর্শগত বিবেচনায় ব্রুনো ও শেখ মুজিবুর রহমানের ভিন্নতা থাকলেও স্বাধীনচেতা, দৃঢ়তা মনোবলে উভয়ের মধ্যে দারুণ মিল। উদ্দীপক ও ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার অবলম্বনে বিচার করো ।

সমাধান:

Advertisements

ক। উঃ ভিক্টোরিয়া পার্কের বর্তমান নাম বাহাদুর শাহ্ পার্ক ।

খ। উঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ রাজবন্দিদের জেল থেকে মুক্তি না দেওয়ায় আক্ষেপ করে তিনি প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছিলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের পূর্বে জীবনের অধিকাংশ সময়েই রাজনৈতিক কারণে তাঁকে জেলে থাকতে হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিনাবিচারে আটক রাখার প্রতিবাদে অনশন শুরু করেন। অনশনের এক পর্যায়ে শরীর বেশি খারাপ হলে ডেপুটি জেলার এসে যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করেন মুক্তি দিলে খাবেন কিনা; তখন শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, মুক্তি দিলে খাব, না দিলে খাব না। তবে আমার লাশ মুক্তি পেয়ে যাবে ।

গ। উঃ মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও ব্রুনো তাঁর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি, তেমনি শেখ মুজিবুর রহমানও মৃত্যুকে ভয় না করে, শোষকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে গেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে জীবনের অনেক সময় জেলে কাটিয়েছেন। বিনাবিচারে জেলে বছরের পর বছর বন্দি থাকার প্রতিবাদে তিনি অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। মৃত্যুকে ভয় না পেয়ে তিনি আলিঙ্গন করতেন, তাঁর মতে, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে মৃত্যুবরণ করাও শান্তির।

উদ্দীপকে বলা হয়েছে বিখ্যাত গণিতবিদ ও দার্শনিক ব্রুনোর কথা। তিনি তাঁর দর্শন প্রচার করায় তাঁর নামে ভেনেটিয়ান ইনকুইজেশন এর কাছে নালিশ করা হয়। তাকে রোমের জেলখানায় ছয় বছর বন্দি রাখা হয় এবং শেষে পুড়িয়ে মারা হয়। মৃত্যুর আগে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করতে চায় কি না জানতে চাইলে ব্রুনো বলেন, তাঁর বিচার সম্পর্কে হত্যাকারীদেরই ভয় বেশি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও একজন আপসহীন নেতা ছিলেন, উদ্দীপকের ব্রুনোর মতোই মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তিনি নিজের বিশ্বাসে অটল থেকেছেন, এখানে ব্রুনোর অনমনীয়তার সাথে তাই শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী চেতনার সংগতি লক্ষ করা যায় ।

ঘ। উঃ আদর্শ, রাজনৈতিক ও সমাজবাস্তবতা ভিন্ন থাকলেও মনোবল, স্বাধীনচেতা ও দৃঢ়তার ক্ষেত্রে শেখ মুজিবুর রহমান ও ব্রুনোর মিল পরিলক্ষিত হয় ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের অবিসংবাদী নেতা। দেশের স্বার্থে পাকিস্তানি শোসকদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য তিনি অনেকবার গ্রেফতার হন। বিনাবিচারে বছরের পর বছর আটক রাখার প্রতিবাদে তিনি আরেক সহযোদ্ধাকে নিয়ে ফরিদপুর কারাগারে অনশন শুরু করেন। মৃত্যুর মুখে চলে গেলেও তাঁরা অনশন ভাঙেননি, বরং মৃত্যু যেকোনো দিন হতে পারে ভেবে প্রস্তুতি নিয়েছেন। কারাগার থেকে মুক্তির আদেশ আসলেই কেবল অনশন ভঙ্গ করেছেন ।

উদ্দীপকের ব্রুনো নিজের বিশ্বাসে অটল ছিলেন। তাঁর সত্য দর্শনকে প্রচার করে তিনি শাসকদের রোষানলে পড়েন। নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও নিজের সত্য প্রকাশ করে গেছেন। ৬ বছর রোমের কারাগারে নির্যাতন সহ্য করার পর তাঁকে পুড়িয়ে মারা হয়। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও নিজের সত্যে অবিচল থেকেছেন ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মনোবল ছিল পাহাড়ের মতো অটল। শিশু সন্তানদের বাড়িতে রেখে দেশের জন্য দিনের পর দিন কারাগারে থেকে যেকোনো মানুষের মনোবল যেখানে হারিয়ে যাওয়ার কথা, সেখানে তিনি মৃত্যুকে নিজে থেকে আলিঙ্গন করতে চেয়েছেন। তাঁর দৃঢ়তার কাছে বারবার শাসকগোষ্ঠী মাথা নত করেছে। উদ্দীপকের ব্রুনোও শাসকদের চাপে পড়ে নিজের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। সুতরাং আদর্শগতভাবে তাঁদের ভিন্নতা থাকলেও স্বাধীনচেতা মনোভাবে, দৃঢ়তা ও মনোবলে তাঁরা একই রকম।

২। দুই হাজার কিলোমিটার দূরত্বের দুটি দেশকে জোর করে এক করতে চাওয়া শাসকগোষ্ঠী পূর্বপ কিস্তানের প্রতি সেরকম কোনো দায়িত্বই নেয়নি। উপরন্ত জোর করে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার হীন ষড়যন্ত্র করে। বাংলার দামাল ছেলেরা তা প্রতিহত করতে বিন্দুমাত্র দেরি করেনি। ভাষার জন্য বুক পেতে দেয় বন্দুকের নলের সামনে। বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

ক. ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার ডেপুটি জেলারের নাম কী?
খ. ‘মানুষের যখন পতন আসে তখন পদে পদে ভুল হতে থাকে।’- কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. ‘উদ্দীপকে ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার সমগ্রভাব প্রকাশিত হয়নি।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনা একই সূত্রে গাঁথা।”- মন্তব্যটি যাচাই করো।

সমাধান:

ক। উঃ ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় ডেপুটি জেলারের নাম মোখলেসুর রহমান।

খ। উঃ পাকিস্তান সরকার ভাষা আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করার পরিবর্তে গুলি করে হত্যার অপকৌশল গ্রহণ প্রসঙ্গে লেখক প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছিলেন ১৯৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে রাজপথে নামে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র-জনতা। ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আন্দোলনকারীরা প্রতিবাদ-মিছিল বের করে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে প্রতিহত করতে এমন ঘৃণ্য অপকৌশল গ্রহণ করলে শাসকগোষ্ঠীর প্রতি এদেশের মানুষের ঘৃণা বাড়তে থাকে। এরকম প্রেক্ষাপটে ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার লেখক শেখ মুজিবুর রহমান মনে করেন, পাকিস্তান সরকারের এ ধরনের অপকৌশলই তাদের পতন ত্বরান্বিত করবে।

গ। উঃ উদ্দীপকে কেবল ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ফুটে উঠেছে, যা ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার সমগ্রভাব প্রকাশ করে না। ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধুর জেল জীবন ও জেল থেকে মুক্তি লাভের স্মৃতি বিবৃত হয়েছে। তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অপশাসন ও বিনাবিচারে বছরের পর বছর রাজবন্দিদের কারাগারে আটকে রাখার প্রতিবাদে তিনি অনশন ধর্মঘট করেন। এছাড়া এখানে ফুটে উঠেছে লেখকের ব্যক্তিজীবনের নানাদিক। স্মৃতিচরণে বিশেষভাবে বর্ণিত হয়েছে ভাষা আন্দোলনের নানাদিক।

উদ্দীপকে বাঙালির ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট বর্ণিত হয়েছে। বর্ণনামতে, দুই হাজার কিলোমিটার দূরত্বের দুটি দেশকে জোর করে এক করতে চাওয়া শাসকগোষ্ঠী পূর্বপাকিস্তানের প্রতি কোনো দায়িত্ব পালন তো করেইনি, উপরন্তু জোর করে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার হীন ষড়যন্ত্র করে। বাংলার দামাল ছেলেরা তা প্রতিহত করতে বুক পেতে দেয় বন্দুকের নলের সামনে। ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায়ও ভাষা আন্দোলনের একইরকম বর্ণনা পাওয়া যায়। কিন্তু আলোচ্য রচনায় ভাষা আন্দোলনের কথা ছাড়াও লেখকের ব্যক্তিজীবন, জেলখানার নানা ঘটনা, অনশন, পরিবার, রাজনৈতিক নানাদিক উঠে এসেছে, যা। উদ্দীপকে নেই। সুতরাং প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

ঘ। উঃ সংগ্রামী চেতনা প্রকাশিত হওয়ায় বলা যায় যে, উদ্দীপক ও ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ একই সূত্রে গাঁথা।

‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় বঙ্গবন্ধুর দেশের জন্য আত্মত্যাগ ও সংগ্রামী মানসিকতা ফুটে উঠেছে। যৌবনের অধিকাংশ সময় তাকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় জেলে থাকতে হয়েছে। কিন্তু তারপরেও জনগণ অন্তপ্রাণ এ মানুষটি ছিলেন আপসহীন ও নির্ভীক। এ রচনায় তাঁর স্মৃতিচারণে বিশেষভাবে বর্ণিত হয়েছে ঢাকায় ২১শে ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলির খবর।

উদ্দীপকে বলা হয়েছে, দুই হাজার কিলোমিটার দূরত্বের দুটি দেশকে জোর করে এক করতে চাওয়া শাসকগোষ্ঠী পূর্বপাকিস্তানের প্রতি কোনো দায়িত্বপালন তো করেইনি, উপরন্তু জোর করে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে সচেষ্ট হয়। বাংলার দামাল ছেলেরা তা প্রতিহত করতে গিয়ে ভাষার জন্য বুক পেতে দেয় বন্দুকের নলের সামনে।

‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের স্বরূপ তুলে ধরা হয়েছে। আলোচ্য রচনায় লেখকের ব্যক্তিগত অনেক বিষয় উঠে এলেও উদ্দীপকে ফুটেওঠা ভাষা আন্দোলনের বিষয়টি বিশেষভাবে প্রাধান্য পেয়েছে। উভয় জায়গায় যে দিকটি প্রধান নিয়ামক হিসেবে ফুটে উঠেছে – তা হলো বাঙালির সংগ্রামী চেতনা। সেই বিবেচনায় বলা যায় উদ্দীপক ও – ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ একই সূত্রে গাঁথা।


আরো পড়ুন:


৩। “অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরণ, কান্ডারি! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তিপণ। “হিন্দু না ওরা মুসলিম?” ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? কান্ডারি। বল ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার।

ক. লেবুর রস ও লবণ পানির মধ্যে কী নাই?
খ. “জনাব নূরুল আমিন বুঝতে পারলেন না, আমলাতন্ত্র তাঁকে কোথায় নিয়ে গেল” -ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের ‘অসহায় জাতি’র স্বরূপ ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের কাণ্ডারি যেন ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার বঙ্গবন্ধু।” মন্তব্যটি যাচাই কর।

৪। আমার বিশ্ব ভ্রমণ কেবলি তোমার কাছে যাওয়া
সকল নিসর্গ ছুঁয়ে তোমাকে খুঁজে পাওয়া।
পৃথিবীর শেষপ্রান্তে গিয়ে দেখেছি তোমার মুখ
আরম্ভ বিন্দুতে দাঁড়ানো আমি সেই বিস্মিত, উজবুক।

ক. ‘বোধ হয় আর দু-একদিন বাচতে পারি’ – শেখ মুজিবুর রহমানের এই বোধ কত তারিখে হয়েছিল?
খ. ‘তবে আমার লাশ মুক্তি পেয়ে যাবে।’ – শেখ মুজিবুর রহমানের এমন কঠোর অবস্থানের কারণ কী?
গ. উদ্দীপকের বিশ্ব ভ্রমণের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনকে কিভাবে তুমি তুলনা করবে ?
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ স্বদেশ চেতনার ধারক।” উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।

৫। আমারে তোমার বুকে টেনে লও রাজা
আমি হিন্দু না- আমি না মোছলমান
যাবজ্জীবন কারাবাসসহ সাজা
দেশান্তরের খাঁটি নিষ্পাপ প্রাণ। (সত্যগুহ)

ক. ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ কোন গ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে?
খ. ‘ভরসা হলো, আর দমাতে পারবে না।’- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাথে শেখ মুজিবের কী সাদৃশ্য পাওয়া যায় তা আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকে ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার সমগ্রভাব ফুটে উঠেছে কি? মতামত দাও।

৬। “মুক্তির মন্দির সোপানতলে
কত প্রাণ হলো বলিদান,
লেখা আছে অশ্রুজলে।
কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা,
বন্দিশালার ওই শিকল ভাঙা
তাঁরা কি ফিরিবে আজ সুপ্রভাতে,
যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে।”

ক. বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় সুপারিনটেনডেন্টের নাম কী?
খ. “মানুষের যখন পতন আসে তখন পদে পদে ভুল হতে থাকে”— উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকটি ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার সঙ্গে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? তুলে ধরো।
ঘ. “উদ্দীপকের ভাবচেতনায় ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগের ছবিই মূর্ত হয়ে উঠেছে।”— বিশ্লেষণ করো।

৭। ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগের বন্ধ উদ্যানে জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে নিরস্ত্র জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল ব্রিটিশ পুলিশ। ব্রিটিশ শাসকশ্রেণি ও তার দেশি-বিদেশি দোসরদের এ জাতীয় অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল পরাধীন ‘ভারতবর্ষের সাধারণ জনগণ। নির্যাতিত জনগণের মুক্তির অগ্রদূত হয়ে দেখা দিয়েছিলেন মোহনদাস করম চাঁদ গান্ধী। মহাত্মা গান্ধী নামে সমধিক পরিচিত এই রাজনীতিবিদ বর্ণবৈষম্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে নিজেকে ভারতবাসীর কাছে অবিসংবাদিতা নেতা হিসেবে প্রমাণ করেন এবং বিভিন্ন অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েও ব্রিটিশ বিরোধী ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। অহিংস আন্দোলনের পুরোধা হলেও দেশ ও জনগণের মুক্তির প্রশ্নে কখনোই আপস করেননি মাহাত্মা গান্ধী। বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

ক. মহিউদ্দিন আহমদ কী রোগে ভুগছিলেন?
খ. “বেশি জোরে চালাবেন না, কারণ বাবার কালের জীবনটা যেন রাস্তায় না যায়।”- আলোচনা করো।
গ. উদ্দীপকের ব্রিটিশ শাসকের নির্যাতন এবং ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় পাকিস্তানি শাসকদের নির্যাতনের তুলনা করো।
ঘ. “মহাত্মা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উভয়েই দেশ ও দেশের মানুষের মুক্তিকেই সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিয়েছেন।’ উদ্দীপক ও ‘বায়ান্নর দিনগুলো'” রচনার আলোকে উক্তিটি মূল্যায়ন করো।

৮। জেলে বন্দি থাকাকালে ভগৎ সিং ভারতীয় বন্দিদের সমানাধিকারের দাবিতে ৬৩ দিন অনশন করেন। ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত দুজনই ছিলেন অনশন ধর্মঘটে। তাদের স্ট্রেচারে করে যখন আদালতে আনা হয়, অন্য কারাবন্দিরা অনশনের কথা জানতে পেরে যোগ দেন। ৬৩ দিন অনশনের পর ব্রিটিশশক্তি নতি স্বীকার করে। নিজের দেশকে মুক্ত করার জন্য জীবন বাজি রেখে ভগৎ সিং নানা সংগ্রামে অংশ নেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। পরে হাসিমুখে ব্রিটিশদের দেওয়া ফাঁসির দড়ি তিনি বরণ করে নেন।

ক. বঙ্গবন্ধুর মুক্তির কয়টি অর্ডার এসেছিল?
খ. ‘মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়।’-উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. “উদ্দীপকে বর্ণিত অনশন ধর্মঘটের সঙ্গে ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় প্রতিফলিত অনশন ধর্মঘটের সাদৃশ্য কোথায়? আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের বর্ণিত ভগৎ সিং এর ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে নিজের জীবন উৎসর্গ করার সঙ্গে ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার প্রেক্ষাপট ও কাহিনির ভিন্নতা রয়েছে।”- মন্তব্যটি সমর্থন করো কি? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও।

৯। এবার ফেব্রুয়ারিতে আমি কাঁদবনা।
মানুষ চোখের জলের ভাষা ভুলে গেছে
ভোরের নির্মল শিশিরে আমি মেশাবনা নোনা জলের ঘ্রাণ।
প্রভাতফেরিতে যাঁরা নগ্নপায়ে হাঁটবে
তাদের পা যেন নোনা জলের স্বাদে তেতো না হয়
তাদের বুকের বাতাস যেন ভারী না হয় করুণ দীর্ঘশ্বাসে।

ক. ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার স্মৃতিকথা কোন তারিখ থেকে শুরু হয়?
খ. ‘মাতৃভাষা’ আন্দোলনে পৃথিবীতে এই প্রথম বাঙালিরাই রক্ত দিল’- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি তুলে ধরো।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার সমগ্র ভাব ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।”- মন্তব্যটির সত্যাসত্য যাচাই করো।

১০। মুক্তির মন্দির সোপানতলে
কত প্রাণ হল বলিদান,
লেখা আছে অশ্রুজলে
কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা,
বন্দিশালার ওই শিকল ভাঙা
তাঁরা কি ফিরিবে আজ সুপ্রভাতে,
যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে।

ক. বঙ্গবন্ধুকে ডাবের পানি খাইয়ে দিয়ে অনশন ভাঙান কে?
খ. “ভরসা হলো , আর দমাতে পারবে না।”- বিশ্লেষণ করো।
গ. উদ্দীপকটি ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার সঙ্গে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ঘ. “উদ্দীপকের ভাবচেতনায় ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগের ছবিই প্রমূর্ত হয়ে উঠেছে।”- বিশ্লেষণ করো।


এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড করুন।

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top