ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর PDF Download

Advertisements

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর PDF। তোমাদের জন্য আজকে নিয়ে আসলাম ১০০% কমন উপযোগী ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর। এগুলো অনলাইনে পড়ার পাশাপাশি তুমি পিডিএফ ডাউনলোড করে অফলাইনে পড়তে পারবে । তাহলে চলো, শুরু করি ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর PDF।।

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর PDF

০১। ‘সেই ফুল আমাদের প্রাণ’ – বুঝিয়ে দাও ৷ – [রা.বো.’২৩]

উত্তর: ‘সেই ফুল আমাদের প্রাণ’ বলতে বাংলা ভাষাকে বোঝানো হয়েছে। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে অনেক মানুষ প্রাণ দিয়েছিলেন। তাঁদের এ ত্যাগ ও মহিমা পরবর্তী নানা আন্দোলনকে বেগবান করেছিল। এই বাংলাকে, বাংলা ভাষাকে শাসকের অত্যাচারী হাত থেকে রক্ষা করতেই বাঙালি এত ত্যাগ স্বীকার করেছিলো। কারণ এই বাংলা ভাষাকে মানুষ প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে।

০২। “দুঃখিনী মাতার অশ্রুজলে ফোটে ফুল” —বলতে কী বোঝানো হয়েছে? [য.বো.’২৩]

Advertisements

উত্তর: “দুঃখিনী মাতার অশ্রুজলে ফোটে ফুল” বলতে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করতে যে অনেক মায়ের চোখের জল ফেলতে হয়েছিল তা বোঝানো হয়েছে ।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে আমাদের দেশের অনেক বীরকে রক্ত দিতে হয়েছিল। ছেলেহারা হয়েছিলেন অনেক মা। ছেলেদের দেশের জন্য উৎসর্গ করে তাঁরা তাঁদের বাকি জীবন চোখেরজলে কাটিয়েছেন। এই প্রসঙ্গেই আলোচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।

০৩। “এ রঙের বিপরীতে আছে অন্য রং”— বলতে কী বোঝানো হয়েছে? [ব.বো.,’২৩, ঢা.বো.’২২]

উত্তর: “এ রঙের বিপরীতে আছে অন্য রং”বলতে ভাষা আন্দোলনের চেতনার ধারক কৃষ্ণচূড়ার লাল রং-এর বিপরীতে অন্য রঙের কথা বলা হয়েছে যা ঘাতকের অশুভ চেতনাকে ধারণ করে।

কবিতায় কৃষ্ণচূড়া ফুলকে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে যা আলাদা জাতি হিসেবে আমাদের প্রতিষ্ঠালাভের বিষয়টির ইঙ্গিত বহন করে। তবে এর বিপরীতেও রয়েছে এক অশুভ শক্তি যা আমাদের এই স্বাধিকার চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। প্রশ্নোল্লিখিত পঙ্ক্তিটি এই বিষয়টিকেই ইঙ্গিত করে।

আরো পড়ুন :

০৪। ‘অবিনাশী বর্ণমালা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? [দি.বো., ম.বো.’২৩]

উত্তর: কবি অবিনাশী বর্ণমালা বলতে বাংলা বর্ণমালা তথা রাষ্ট্রভাষার ধারক চিহ্নের অমরত্ব বুঝিয়েছেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে রাজপথে নেমেছিল সালাম, বরকতসহ অনেকেই। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাকে “রাষ্ট্রভাষা” করা। পাকিস্তানি সৈন্যরা তাদেরকে গুলি করে হত্যা করতে পারলেও বর্ণমালায় স্পর্শও করতে পারেনি। রাষ্ট্রভাষার এ স্মারকচিহ্ন অবিনাশী হয়ে নক্ষত্রের মতো ঝরে পড়েছে। এরই প্রেক্ষিতে আলোচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।

০৫। ‘সারা দেশ ঘাতকের অশুভ আস্তানা’ – বলতে কী বোঝানো হয়েছে? –[কু.বো.’২২]

উত্তর: সারাদেশ ঘাতকের অশুভ আস্তানা বলতে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও অত্যাচার যে সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়েছে সে বিষয়টিকে বোঝানো হয়েছে ।

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাংলার মানুষের শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতি, অর্থনীতি—সকল বিষয়ের অধিকার হরণ করে। তাদের অত্যাচারেশোষণে জর্জরিত হয় বাংলার প্রতিটি মানুষ। আর এভাবেই সারা বাংলা পরিণত হয় তাদের আস্তানায়।

০৬। “সালামের মুখ আজ তরুণ শ্যামল পূর্ব বাংলা”–ব্যাখ্যা কর। [ঢা.বো.’১৯]

উত্তর: ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনা যেন ভাষা আন্দোলনের চেতনারই অন্যরূপ। তাই গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লবী রূপের মাঝে কবি যেন সালামের মুখের প্রতিচ্ছবি দেখতে পান

৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মূল প্রেরণা ছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সাফল্য। ভাষা আন্দোলনের শহিদ সালাম, বরকত, রফিক, জব্বাররাই ছিলেন ‘৬৯-এর আন্দোলনের প্রেরণা-পুরুষ। তাই কবি কল্পনায় এই নতুন বিপ্লবীদের মাঝে সালামের মুখাবয়ব দেখতে পান।

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর PDF Download

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top