অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল (PDF)

Advertisements

অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫: অপরিচিতা গল্পটির মূলভাব হলো পরিচয়, আত্মসম্মান এবং সামাজিক শৃঙ্খলা। গল্পে একটি মেয়ের মাধ্যমে, ঠাকুর সমাজের মুখোশ এবং এর পিছনে থাকা চিরন্তন সত্যগুলোকে প্রকাশ করতে চেয়েছেন।

গল্পটির প্রধান চরিত্র একজন অপরিচিতা নারী, তার নাম কল্যাণী। তিনি সমাজে প্রচলিত প্রথা ও বিশ্বাসের বাইরে গিয়ে নিজের পরিচয় খুঁজে পান। গল্পটি একদিকে যেমন পুরানো সামাজিক বিধি-বিধান এবং প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের একটি উপস্থাপনা, অন্যদিকে এটি ব্যক্তিগত অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন এবং আত্মপরিচয়ের সন্ধানও।


অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫

১। আমাদের অন্যতম ব্যবসায় পাশ বিক্রয়। এই পাশ বিক্রেতার নাম ‘বর’ এবং ক্রেতাকে স্বশুর বলে। এক একটি পাশের মূল্য কত জানো? ‘অর্ধেক রাজত্ব ও এক রাজকুমারী’ এম এ পাশ অমূল্যর, ইহ্য যে সে ক্রেতার ক্রেয় নয়। নিতান্ত সস্তা দরে বিক্রয় হইলে, মূল্য-এক রাজকুমারী এবং সমুদয় রাজত্ব। আমরা অলস, তরলমতি, শ্রমকাতর, কোমলাঙ্কা বাঙালি কি না তা-ই ভাবিয়া দেখিয়াছি। সশরীর পরিশ্রম করিয়া মুদ্রালাভ করা অপেক্ষা স্বশুরের যথা সর্বস্ব লুণ্ঠন করা সহজ।

ক. হরিশ কোথায় কাজ করে?
খ.’মন্দ নয় হে। খাঁটি সোনা বটে’- ব্যাখ্যা করো
গ.উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?- আলোচনা করো।
ঘ.”উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের আংশিক প্রতিফলন মাত্র।”- মন্তব্যটি যাচাই করো।

Advertisements

উত্তর:

ক। উঃ হরিশ কানপুরে কাজ করে।

খ। উঃ কল্যাণীর প্রশংসাস্বরূপ প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করা হয়েছে। অনুপমের বিবাহের জন্য কন্যাকে আশীর্বাদ করতে তার পিসতুতো ভাইে বিনুকে পাঠানো হয়েছিল। সে ফিরে এসে কন্যার প্রশংসা করে প্রশ্নোত্ত প উক্তিটি করে। বিনু খুবই রুচিশীল মানুষ, সে অল্প কথায় অনেক অর্থ প্রকাশ নি করে। তার বুচির উপর অনুপম ষোলো আনা নির্ভর করতে পারে। সে যখন বলে খাঁটি সোনা, তখন অনুপমের বুঝতে বাকি থাকে না যে তার জন্য যে পাত্রী পছন্দ করা হয়েছে, সে অনন্য গুণসম্পন্ন নারী।

গ। উঃ উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের ব্যক্তিত্বহীনতা এবং তার মামার যৌতুকলোভী মানসিকতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। ‘অপরিচিতা’ গল্পে দেখা যায়, গল্পের নায়ক অনুপম এমএ পাশ করা উচ্চশিক্ষিত এক যুবক। উচ্চশিক্ষিত হলেও সে কাজের প্রতি অনাগ্রহী ও অদায়িত্বশীল। সে কারণে পুরো গল্প জুড়ে তাকে যেকোনো সিদ্ধান্তের জন্য মামার উপর নির্ভরশীল হতে দেখা যায়, যা তার ব্যক্তিত্বহীনতার পরিচয় বহন করে। অপরদিকে, তার মামা একজন যৌতুকলোভী ব্যক্তি। অনুপমের বিয়ের সময় সে কন্যাপক্ষের থেকে অর্থ ও গহনা দাবি করে। উদ্দীপকে বিয়েকে এক ধরনের ব্যাবসা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বর সার্টিফিকেট মূল্যে বিক্রিত হয় এবং শ্বশুর হয় ক্রেতা। অলস, শ্রমকাতর, কোমলমতি বাঙালি উচ্চশিক্ষিত হয়েও নিজে পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করতে চায় না বরং বিয়ে করে যৌতুক লাভের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন সহজ মনে করে। বাঙালির এই যৌতুকলোভী মানসিকতার সঙ্গে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার যৌতুকলোভী মানসিকতার মিল রয়েছে। আবার, উচ্চশিক্ষিত হয়েও কর্মবিমুখ থাকার বিষয়টি অনুপমের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এসব দিক বিবেচনায় বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের তৎকালীন সমাজব্যবস্থার অনুপমের ব্যক্তিত্বহীনতা ও তার মামার যৌতুকলোভী মানসিকতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ। উঃ উদ্দীপকে ‘অপরিচিতা’ গল্পের ব্যক্তিত্বহীন ও যৌতুকলোভী মানসিকতার উল্লেখ থাকলেও কল্যাণীর দৃঢ় ব্যক্তিত্ব, শম্ভুনাথ সেনের আত্মসম্মান, অনুপমের ভুলের স্বীকারোক্তি অনুপস্থিত থাকায় তা গল্পের আংশিক প্রতিফলন মাত্র।
‘অপরিচিতা’ গল্পে আঠারো শতকের যৌতুকলোভী মানসিকতার এক সমাজচিত্র ফুটে উঠেছে। সেখানে উচ্চশিক্ষিত যুবক অনুপম শ্রমবিমুখ ও ব্যক্তিত্বহীন। তার বিয়ের সময় মামা চরিত্রের ঘৃণ্য যৌতুকলোভী মানসিকতা লক্ষ করা যায়। এমনকি অনুপম ও কল্যাণীর বিয়ের আসরে সেকরা নিয়ে গহনা পরীক্ষার মাধ্যমে অনাকাক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ফলে কন্যার পিতা শম্ভুনাথ সেন বিয়ে ভেঙে দেন। পরবর্তীতে কল্যাণী দেশব্রতে নিজেকে নিয়োজিত করে এবং অনুপম নিজের ভুল বুঝতে পারে।
উদ্দীপকে অলস, তরলমতি, শ্রমকাতর, কোমলমতি বাঙালি বিয়েকে অর্থ আদান-প্রদানের একটি ব্যাবসা হিসেবে মনে করে। যেখানে বর হলো বিক্রেতা এবং শ্বশুর হলো ক্রেতা। শ্বশুর বর কিনে নেওয়ার মাধ্যমে তার কন্যা ও অর্থ বরকে প্রদান করে। শ্রমবিমুখ বাঙালি এই অর্থ লাভের প্রক্রিয়াকে সহজ মনে করে, পরিশ্রম করে অর্থ লাভকে নয়, যা একই সঙ্গে তাদের ব্যক্তিত্বহীন ও যৌতুকলোভী মানসিকতাকে ইঙ্গিত করে। ‘অপরিচিতা’ গল্প ও উদ্দীপকে যৌতুকলোভী ও ব্যক্তিত্বহীন মানসিকতার চিত্র ফুটে উঠলেও ‘অপরিচিতা’ গল্পের বিষয়বস্তু আরও বিস্তৃত। সেখানে যৌতুককে কেন্দ্র করে বিয়ের আসরে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি হয়। ফলে আত্মসম্মান বোধসম্পন্ন কল্যাণীর বাবা এই বিয়ে ভেঙে দেয়। বিয়ে ভাঙলেও কল্যাণী দমে না গিয়ে দেশব্রতে নিজেকে নিয়োজিত করে। পরবর্তী সময়ে অনুপম নিজের ভুল বুঝতে পারে। এসব দিক উদ্দীপকে অনুপস্থিত থাকায় বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের আংশিক প্রতিফলন মাত্র।

২। অতুলনীয় মাতৃস্নেহের উত্তাপে সন্তানের পরিপুষ্টি, তাহারই আধিক্যে সে অসহায় হইয়া পড়ে। মাতৃস্নেহের প্রাবাল্যে মানুষ আপনাকে হারাইয়া আসল শক্তির মর্যাদা বুঝিতে পারে না। নিয়ত মাতৃষেহের অন্তরালে অবস্থান করিয়া আত্মশক্তির সন্ধান সে পায় না—দুর্বল অসহায় পক্ষীশাবকের মতো চিরদিন স্নেহাতিশয্যে আপনাকে সে একান্ত নির্ভরশীল মনে করে। ক্রমে জননীর পরম সম্পদ সন্তান অলস, ভীরু, দুর্বল ও পরনির্ভরশীল হইয়া মনুষ্যত্ব বিকাশের পথ হইতে দূরে সরিয়া যায়।

ক. রবীন্দ্রনাথের সর্বশেষ গল্পের নাম কী?
খ.’একে তো বরের হাট মহার্ঘ, তাহার পরে ধনুকভাঙা পণ’ – ব্যাখ্যা কর।
গ.উদ্দীপকে বর্ণিত সন্তানের সঙ্গে ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখা কর।
ঘ.উদ্দীপকের ইতিবাচক মর্মার্থ উপলব্ধির মানসিকতাই ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমের পরিবর্তিত জীবনভাবনার উপায় হিসেবে কাজ করেছে।” মন্তব্যটির সার্থকতা বিচার কর।

উত্তর:

ক। উঃ রবীন্দ্রনাথের সর্বশেষ গল্পের নাম মুসলমানীর গল্প।

খ। উঃ পনেরো বছর বয়সেও কল্যাণীর বিয়ে না হওয়ার কারণ নির্দেশ করা হয়েছে উক্তিটির মাধ্যমে।
কল্যাণীর বয়স পনেরো যা তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় বিয়ের যোগ্য কন্যার জন্য অনেকটাই বেশি। মোটা টাকা পণ দিতে হয় বলে সুপাত্র মেলাই ভার। তবে এ ব্যাপারে কল্যাণীর বাবা চিন্তিত নয়। বয়স যতই হোক উপযুক্ত পাত্র ছাড়া কন্যার বিয়ে না দিতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তখনকার সমাজে কন্যার পিতার এরূপ মনোভাবের প্রকাশ ঘটতে সাধারণত দেখা যেত না।

গ। উঃ উদ্দীপকে বর্ণিত সন্তানের সঙ্গে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপম চরিত্রটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
অপরিচিতা’ গল্পের নায়ক অনুপম। নায়ক হলেও তার মধ্যে নায়কোচিত গুণতো নেইই, পুরুষোচিত গুণেরও অভাব ছিল। শিক্ষিত হলেও সে ছিল ব্যক্তিত্বহীন। অন্যদিকে নারী চরিত্র কল্যাণী ও তার বাবা শম্ভুনাথ সেন ছিলেন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন নি কখনো, মাথা নত করেন নি।

গল্পে অনুপমের লোভী মামার অশোভন আচরণ তৎকালীন বাঙালি সমাজকে প্রতিফলিত করেছে। গল্পের শুরুতে অনুপমের পরিচয় পাওয়া যায়, অনুপম দেখতে সুশ্রী ছিল। কিন্তু গুণহীনতার কারণে শিক্ষক তাকে শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের সাথে তুলনা করতেন। পিতার মৃত্যুর পর মায়ের স্নেহেই অনুপম বড় হয়। অনুগত সন্তান বলেই কখনো মাতৃআজ্ঞার বাইরে যাওয়ার সুযোগ তার ছিল না। কিন্তু তার আসল অভিভাবক ছিলেন মামা। যিনি অনুপমদের সংসারের সবকিছুর ভার কাঁধে নিয়েছিলেন।

উদ্দীপকে বর্ণিত, অতুলনীয় মাতৃস্নেহের উত্তাপে সন্তানের পরিপুষ্টি, তাহারই আধিক্যে সে অসহায় হইয়া পড়ে। মাতৃস্নেহের প্রাবাল্যে মানুষ আপনাকে হারাইয়া আসল শক্তির মর্যাদা বুঝিতে পারে না। অপরিচিতা গল্পে অনুপমের মধ্যে উপরোক্ত চরিত্রটি ফটো উঠেছে।

ঘ। উঃ উদ্দীপকের ইতিবাচক মর্মার্থ উপলব্ধির মানসিকতাই ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমের পরিবর্তিত জীবনভাবনার উপায় হিসেবে কাজ করেছে।”

‘অপরিচিতা’ গল্পটি নারীর মর্যাদাপ্রতিষ্ঠায় নিযুক্ত। মর্যাদাপ্রতিষ্ঠায় নারীর যে বিদ্রোহ, গল্পে লেখক তারই পটে নারীর দৈহিক নয়, মানসিক সৌন্দর্য দেখিয়েছেন। ‘অপরিচিতা’ গল্পে নায়িকা কল্যাণীর বিদ্রোহ-প্রয়াসে অংশীদার তার পিতা শম্ভুনাথ সেন। শম্ভুনাথের কন্যা কল্যাণীর বিয়ে ঠিক হয়েছে কলকাতার এক এমএ পাশ যুবকের সঙ্গে। বরের অভিভাবক তার মামা। তার মামার চোখের চামড়া ছিল না। পণের টাকা এবং দরদস্তুরি আগেই ঠিক ছিল। শম্ভুনাথ লোকটির ব্যবহার ঠাণ্ডা। পাত্রীপক্ষের সাথে নির্লজ্জ দরাদরি, স্বর্ণালঙ্কার সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ, নিজের সেকরাকে দিয়ে সেই অলঙ্কার পরীক্ষা করানোয় যে ইতরতা প্রকাশ পেয়েছে, মেরুদণ্ডহীন নায়ক তাতে সায় দিয়েছে।

ফলে কন্যার পিতা বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন। বিয়ের লগ্ন যখন প্রস্তুত তখন কন্যার লগ্নভ্রষ্ট হওয়ার লৌকিকতাকে অগ্রাহ্য করে শম্ভুনাথ সেনের নির্বিকার অথচ বলিষ্ঠ প্রত্যাখ্যান নতুন এক সময়ের আশু আবির্ভাবকেই সংকেতবহ করে তুলেছে। কর্মীর ভূমিকায় বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের জাগরণের মধ্য দিয়ে গল্পের শেষাংশে কল্যাণীর শুচিশুভ্র আত্মপ্রকাশও ভবিষ্যতের নতুন নারীর আগমনীর ইঙ্গিতে পরিসমাপ্ত।

‘অপরিচিতা’ মনস্তাপে ভেঙেপড়া এক ব্যক্তিত্বহীন যুবকের স্বীকারোক্তির গল্প, তার পাপস্খালনের অকপট কথামালা। অনুপমের আত্মবিবৃতির সূত্র ধরেই গল্পের নারী কল্যাণী অসামান্যা হয়ে উঠেছে। গল্পটিতে পুরুষতন্ত্রের অমানবিকতার স্ফুরণ যেমন ঘটেছে, তেমনি একই সঙ্গে পুরুষের ভাষ্যে নারীর প্রশস্তিও কীর্তিত হয়েছে।

৩। লিটন শীল আর চন্দনা একে অপরের ভালো বন্ধু। ছাত্রজীবন থেকে তাদের মাঝে বেশ সখ্য আর জানা-শোনা। উভয়ই উচ্চশিক্ষিত। চন্দনা এমএ পাস করে স্বল্প বেতনের একটা চাকরি করে। স্বল্প বেতনের জন্য মা-বাবাকে সাথে নিয়ে শহরতলীতে একটা পুরনো ভাড়া বাসায় বাস করে। তার যাপিত জীবন আভিজাত্যের নয়, নিম্ন মধ্যবিত্তের। লিটন শীল সরকারি চাকরিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বাবা বিক্রম শীলের কাছে চন্দনাকে বিয়ে করার কথা জানালে বাবা বিক্রমশীল মেয়েকে এবং মেয়ের পরিবারকে দেখতে চান। মেয়ের পারিবারিক অবস্থা দেখে ফিরে এসে বাবা গম্ভীর কণ্ঠে বলেন, “মেয়ে দেখতে সুন্দর, তবে এ বিয়ে হবে না।” বাবার এরূপ মানসিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারেনি লিটন শীল। কারণ বাল্যকাল থেকেই সে তার বাবার কথার অবাধ্য হয়নি কখনো। অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক.বিনুদাদা অনুপমের কেমন ভাই?
খ.“মেয়ের চেয়ে মেয়ের বাপের খবরটাই তাঁহার কাছে গুরুতর।”- ব্যাখ্যা কর।
গ.উপরের উদ্দীপকে ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? বিচার কর।
ঘ.“উদ্দীপকের বিক্রম শীল এবং ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার মতো মানুষের হীনমানসিকতার কারণেই তৎকালীন সমাজে যৌতুক প্রথা মারাত্মক রূপ ধারণ করেছিল।”-আলোচনা কর।


আরো পড়ুন:


৪। তমা ও রাকিব দুজনই উচ্চশিক্ষিত। তমার সঙ্গে রাকিবের বিয়ের কথা ঠিক হয়। হঠাৎ করে রাকিবের মামা তমার বাবার কাছে যৌতুক দাবি করেন। রাকিবের মামা বলেন, পড়াশোনা করতে গিয়ে তমার বয়সটা একটু বেশি হয়ে গেছে। তখন রাকিব তার মামাকে চুপ করতে বলে। সে তমার বাবার কাছে এজন্য ক্ষমাও চেয়ে নেয়।

ক.বিয়ে ভাঙার পর থেকে কল্যাণী কীসের ব্রত গ্রহণ করেছে?
খ.অনুপমের মামা বিয়ে বাড়িতে সেকরাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল কেন?
গ.উদ্দীপকের রাকিবের সঙ্গে ‘অপরিচিতা’ গল্পের কার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য রয়েছে? কীভাবে?
ঘ.উদ্দীপকের রাকিবের মতো ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপম একটু সাহসী হলে গল্পের পরিণতি অন্যরকম হতো”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

৫। কোনো যৌতুক না চাইলেও বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার সময় গাড়িবোঝাই উপহার দৈখে আজাদ সাহেব অবাক হয়ে গেলেন। তিনি মেয়ের বাবাকে বলেন, আমরা উপহার যা যৌতুক নিতে আসেনি, আমার ছেলের জন্য শুধু আপনার মেয়েকে নিতে এসেছি।

ক.একান্তই নির্জীব, কোনো তেজ নাই- কার?
খ.পণপ্রথা বলতে কী বোঝো?
গ.উদ্দীপকের আজাদ সাহেবের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের বৈসাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্রটি তুলনা করো।
ঘ.উদ্দীপকের আজাদ সাহেবে মনোভাব ‘অপরিচিতা’ গল্পের মূলভাব পরিবর্তনের চাবিকাঠি।”- উক্তিটির যৌক্তিকতা বিচার করো।

৬। অবশেষে বিবাহের দিন উপস্থিত হইল। নিতান্ত অতিরিক্ত সুদে একজন বাকি টাকাটা ধার দিতে স্বীকার করিয়াছিল, বিন্তু সময়কালে সে উপস্থিত হইল না। বিবাহ সভায় একটা তুমুল গোলযোগ বাধিয়া গেল। রামসুন্দর আমাদের রায় বাহাদুরের হাতে-পায়ে ধরিয়া বলিলেন, ‘শুভকার্য সম্পন্ন হইয়া যাক। আমি নিশ্চয় টাকাটা শোধ করিয়া দেবো।’ রায় বাহাদুর বলিলেন, ‘টাকা হাতে না পাইলে বর সভাস্থ করা যাইবে না।’ অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. অনুপমের কাছে চিরকাল কোনটিকে বড়ো সত্য বলে মনে হয়েছে?
খ. ‘প্রমাণ হইয়া গেছে, আমি কেহই নই।’- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের ‘রামসুন্দর’ চরিত্রটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের রায় বাহাদুর আর ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামা একই মানসিকতা লালন করে।” মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো।

৭। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থী শ্রীযুক্তা। পড়ালেখা শেষ করতেই ২৭ বছর পেরিয়ে গেল। বিয়ের ব্যাপারে কয়েকবার সম্বন্ধ আসা এবং দেখাশোনা হলেও শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়নি। শ্রীযুক্ত আইন ও সালিশ কেন্দ্রে সমাজের অধিকার বঞ্চিত নারীদের আইনি সহায়তা দিচ্ছে। হঠাৎ একদিন শ্রীযুক্তার কাকা বিয়ের সম্বন্ধের কথা বললেন। তিনি বিনয়ের সাথে কাকাকে বললেন, “নারীর কল্যাণে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”

ক. অনুপমকে ‘মাকাল ফলের’ সাথে তুলনা করে বিদ্রূপ করেছিল কে?
খ. বলিলেন, “সে কী কথা। লগ্ন”- কে, কেন বলেছিল? প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বুঝিয়ে দাও।
গ. উদ্দীপকের শ্রীযুক্তার সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর সাদৃশ্য আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকে শ্রীযুক্তার বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের জাগরণ ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর শুচিশুভ্র আত্মপ্রকাশ।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

৮। নিঝুম আর অহনা পরস্পরকে গভীরভাবে ভালোভাসে। তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায়। কিন্তু নিঝুমের পরিবার সেটা মেনে নেয় না। কারণ, নিঝুম শিক্ষিত এবং ধনী পরিবারের একমাত্র সন্তান। অপরদিকে, অহনার পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। নিঝুম পরিবারের সম্মতিতে অন্যত্র বিয়ে করে এবং একসময় অহনাকে ভুলে যায়। অহনার দিন কাটে কষ্টের সমুদ্রে। কারণ, সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো মরে না। অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. বিবাহ ভাঙার পর হতে কল্যাণী কোন ব্রত গ্রহণ করেছে?
খ.’আমার ভাগ্যে প্রজাপতির সঙ্গে পঞ্চশরের কোন বিরোধ নাই’- বাক্যটির তাৎপর্য কী?
গ. উদ্দীপকের নিঝুমের সঙ্গে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের কী বৈসাদৃশ্য রয়েছে লেখো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপম-কল্যাণীর জীবনের বিপরীত প্রতিচ্ছবি- মূল্যায়ন করো।

৯। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শ্রী গীতা রাণী সরকার। লেখা-পড়া শেষ করতেই ২৭ বছর পেরিয়ে গেল। বিয়ের ব্যাপারে কয়েকবার সম্বন্ধ আসে এবং দেখাশুনা হলেও শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়নি। গীতা রাণী লেখা-পড়া শেষে একটি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। সমাজে অবহেলিত, পশ্চাৎপদ নারীদের গভীর মনোযোগ সহকারে শিক্ষাদান করেন। হঠাৎ প্রতিবেশি কালীচরণ রায় একটি সম্বন্ধ নিয়ে আসে। গীতা তাকে বিনয়ের সঙ্গে জানান- সে এখন আর বিয়ে করতে পারবে না। কারণ সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের শিক্ষার গুরু দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন।

ক. অনুপমকে ‘মাকাল’ ফলে’র সাথে তুলনা করে বিদ্রুপ করেছিল কে?
খ. “একে তো বরের হাট মহার্ঘ, তাহার পরে ধনুক ভাঙা পণ”—এ কথার অর্থ বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের গীতা রাণীর সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর সাদৃশ্য আলোচনা কর ।
ঘ. উদ্দীপকের গীতা রাণীর বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের জাগরণ ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর বুদ্ধিদীপ্ততার আত্মপ্রকাশ – তুমি কি এ মত সমর্থন কর? যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

১০। সবেমাত্র ডাক্তারি পাস করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে যোগদান করেছে পরেশ। এর মধ্যেই তার বাবা তাকে না জানিয়ে পাশের গ্রামের সুন্দরী শিক্ষিতা এক মেয়ের সাথে বিয়ের ব্যবস্থা পাকা করে ফেলেছেন। ঘটকের মাধ্যমে পরেশ জানতে পেরেছে, ঘর সাজিয়ে দেওয়া ছাড়াও বরপক্ষকে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে। সবকিছু জানার পর, কোনো বিনিময় ছাড়াই পরেশ বিয়ের পক্ষে মত দেয় এবং শেষ পর্যন্ত তার কথা সবাই মেনে নেয়।

ক. বিবাহ ভাঙার পর হতে কল্যাণী কোন ব্রত গ্রহণ করে?
খ. “এটা আপনাদের জিনিস, আপনাদের কাছেই থাক।”- এরূপ মন্তব্যের কারণ কী?
গ. উদ্দীপকের পরেশ ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রের বিপরীত? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘অপরিচিতা’ গল্পের উদ্দিষ্ট চরিত্র যদি উদ্দীপকের পরেশের মতো হতো, তাহলে গল্পের পরিণতি কেমন হতো? বিশ্লেষণ কর।


অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫ | এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৫ PDF Download

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top